নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের সম্বন্ধে বলার মতো তেমন কিছু নেই।আমি খুবই সাধারন একজন মানুষ।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিষয়ে মাস্টার্স শেষ করেছি,এখনও চাকরি নামক সোনার হরিণের দেখা পাই নাই।"সততাই উৎকৃষ্ট পন্থা" নীতিতে আমি বিশ্বাসী।প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য্য আমাকে প্রচন্ডরকম টানে; নদীর ধার,বর্ষায় বিস্তৃত জলরাশি কিংবা ধানক্ষেতে সবুজের ঢেউ আমার চোখে নেশা ধরায়। ভালবাসি আড্ডা দিতে ও গান শুনতে।গীটারে টুং-টাং করার অভ্যাস আছে।সরকারি চাকুরী করে দেশের জন্য কিছু একটা করার স্বপ্ন দেখি।আমার স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য সকলের কাছে দোয়াপ্রত্যাশী।ভালো থাকবেন।
স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে মেধাবী শিক্ষার্থীদের কোণঠাসা করে রাখার নিমিত্তে আরোপিত নিকৃষ্টতম ও জঘন্যতম ব্যবস্হা "কোটা প্রথা"র বিরুদ্ধে আন্দোলনরত মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের উপর সরকারের লেলিয়ে দেয়া পুলিশ বাহিনী যেভাবে সাজোয়া যান নিয়ে ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে (টি.এস.সি, কেন্দ্রীয় মসজিদ, পাবলিক লাইব্রেরী ইত্যাদি জায়গায়) লাঠিপেটা,টিয়ার শেল,গুলি চালিয়েছে তা নজিরবিহীন।একইসাথে ছাত্রলীগ ক্যাডাররা নিরীহ ছাত্রদের(এমনকি আন্দোলনকারী সক্রিয় ছাত্রলীগ কর্মী) উপর হায়েনার মত ঝাপিয়ে পড়ে ক্ষান্ত হয় নি,বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি হলে পাহারা বসিয়েছে যাতে করে গত শুক্রবারের বিকেল ৩টার আন্দেলন কর্মসূচীতে কেউ যোগ দিতে না পারে: যা খুবই ন্যাক্কারজনক।
এমতাবস্হায়, ঢা.বি'র প্রতিটি বিভাগ ও শিক্ষাবর্ষের ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি লাগাতার ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের মাধ্যমে এই আন্দোলন সফল করার আহবান জানাচ্ছি ।
কারণঃ
১. আপনারা পাশ করার পর বিসিএস সহ সকল সরকারী চাকুরীতে ভাল পরীক্ষা দিয়েও শুধুমাত্র কোটার কারনে চাকুরী নামক সোনার হরিণের দেখা পাওয়া এভারেস্ট জয়ের চেয়েও কঠিন হবে।
২. আমাদের দৃঢ়বিশ্বাস, এ আন্দোলন অব্যাহত রাখতে গিয়ে আপনারা সাময়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও দীর্ঘমেয়াদে (আপনি,আপনার পরবর্তী প্রজন্ম, দেশ ও জাতি) লাভবান হবেন।
৩. ছাত্রলীগ ভাইদের বলব, গণদাবি ও জনরোষের বিরুদ্ধে গিয়ে আর যাই হোক ভোটের রাজনীতিতে জিততে পারবেন না। বরং আপনি যখন চাকুরী খুজবেন তখন বুঝতে পারবেন নিজের পায়ে নিজেই কুড়াল মেরেছেন।মনে রাখবেন, "আপনি ৭-৮ বছর সক্রিয়ভাবে ছাত্রলীগ করলেও চাকুরী লাভের যোগ্যতা বিবেচনায় আওয়ামী পরিবারের কেউই না (ক্ষেত্র বিশেষে আপনি শিবির বলেও গণ্য হতে পারেন) কিন্তু একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান/নাতি/নাতনি/নারী সক্রিয়ভাবে ও মনেপ্রাণে শিবির করলেও কট্টর আওয়ামীপন্থী বলেই গণ্য হয়"। ,আপনারা কোটাবিরোধী আন্দোলনে বিরোধীতা না করে বরং নেতৃত্ব দিন। আর যদি শীর্ষনেতাদের চাপে তা সম্ভব নাও হয় তবে অন্তত বাধা দিবেন না।
৪. এবার যদি কোটাবিরোধী আন্দোলন স্তিমিত হয় তাহলে আগামী এক যুগেও আর এরকম সুযোগ পাওয়া যাবে না। তাই সকলকে সর্বোচ্চ সচেষ্ট থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি।
©somewhere in net ltd.