নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্মৃতি শৈশবের ডানায়

আলী প্রাণ

বাণের জলের মত, ভাঙ্গ কিংবা ভাসিয়ে নাও যা কিছু অযাচিত ভ্রান্তি বাঁচানোর জন্য লড়ে ...

আলী প্রাণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছয় মাস আগে বন্যা ও ঝড়ের পূর্বাভাস সম্ভব

২১ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৭:০৫

দেশে তিন থেকে ছয় মাস আগে বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব। এর ফলে বন্যা ও ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় বাংলাদেশ আগাম প্রস্তুতি নিতে পারবে। বাঁচবে জীবন ও সম্পদ।
যুক্তরাষ্ট্রের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক গবেষণা সংস্থা প্যাসিফিক ইএনএসও অ্যাপ্লিকেশন ক্লাইমেটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বিজ্ঞানী রাশেদ চৌধুরীর গবেষণায় এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। গতকাল সোমবার এই বিজ্ঞানী পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ গবেষণার ফলাফল তুলে ধরেন। তিনি জানান, তাঁর গবেষণার ফলাফল ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জগুলোতে ছয় মাস আগে বন্যা ও ঝড়ের পূর্বাভাস দেওয়া হয়। এতে স্থানীয় জনগোষ্ঠী দুর্যোগ মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতির সুযোগ পায়। সরকারও দুর্যোগের আশঙ্কার কথা বিবেচনা করে উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করে।
অনুষ্ঠানে পাউবোর কর্মকর্তারা জানান, বাংলাদেশে দুই থেকে তিন দিন আগে বন্যার পূর্বাভাস দেওয়া যায়। এখানে যে বন্যা হয়, তার পানির ৮০ শতাংশ আসে উজান থেকে। বাকি ২০ শতাংশ পানির উৎস স্থানীয় বৃষ্টিপাত। উজানের পানি প্রবাহ সম্পর্কে প্রতিবেশী দেশ থেকে বাংলাদেশ কোনো তথ্য পায় না। এ কারণে বন্যার দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব হয় না।
রাশেদ চৌধুরী জানান, বাংলাদেশের উজানের তিনটি প্রধান নদ-নদী অববাহিকা গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র ও মেঘনা-যমুনায় বৃষ্টিপাত নির্ভর করে প্রশান্ত মহাসাগরের পানির তাপমাত্রার ওপর। সেখানে তাপমাত্রা বেড়ে গেলে জলীয়বাষ্প বেড়ে তা তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে বঙ্গোপসাগরের দিকে আসে। এই জলীয়বাষ্পই ওই তিন নদী অববাহিকায় বৃষ্টিপাত ঘটায়। ফলে বাংলাদেশ যদি প্রশান্ত মহাসাগরের তাপমাত্রা বাড়া-কমার তথ্য আগাম জানতে পারে, তাহলে ছয় মাস পরে বৃষ্টি কিংবা ক্ষরা হবে কি না, তা জানতে পারবে।
গবেষণার ফলাফল তুলে ধরে রাশেদ চৌধুরী বলেন, পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে কয়েক বছর পর পর তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে দশমিক ৫ ডিগ্রি থেকে দেড় ডিগ্রি পর্যন্ত বেড়ে যায় বা কমে যায়। তাপমাত্রা কেন বাড়ে বা কমে, তার কোনো ব্যাখ্যা বিজ্ঞানীরা বের করতে পারেননি। তাপমাত্রা বৃদ্ধিকে এল নিনো এবং কমাকে লা নিনা বলা হয়। এল নিনোর প্রভাব দেখা দেয় এমন বছরে প্রশান্ত মহাসাগর থেকে বিপুল পরিমাণ জলীয়বাষ্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপগুলো এবং বাংলাদেশ ও ভারতে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে ওই বছর বৃষ্টিপাত বেড়ে বন্যার সৃষ্টি হয়। আর লা নিনার প্রভাবে বৃষ্টিপাত কমে খরার সৃষ্টি হয়।
লা নিনার প্রভাবে দেশে ডায়রিয়া ও কলেরা বেড়ে যায়। যে দেশগুলোর ওপরে লা নিনার প্রভাব পড়ে সেই দেশগুলোতে সংঘাত বেড়ে যায় বলেও উল্লেখ করে রাশেদ চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঘূর্ণিঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রের আবহাওয়াবিদ এস এম কামরুল ইসলাম দেশের বৃষ্টিপাতের ৩০ বছরের গড় পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে বলেন, মৌসুমী বায়ু আসার সময়, অর্থাৎ ভরা বর্ষায় বৃষ্টিপাত কমে যাচ্ছে। আর বর্ষা মৌসুমের আগে ও পরে বৃষ্টিপাত বেড়ে যাচ্ছে। ফলে দেশের কৃষিব্যবস্থার ওপর এর প্রভাব পড়ছে।
পানিসম্পদ পরিকল্পনা সংস্থা ওয়ারপোর মহাপরিচালক সেলিম ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় সভায় পাউবো ও বুয়েটের পানি বিশেষজ্ঞ এবং আবহাওয়াবিদেরা বক্তব্য দেন।

ছয় মাস আগে বন্যা ও ঝড়ের পূর্বাভাস সম্ভব নিউজ লিংক

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৭:১৭

মন ময়ূরী বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৭:৪৯

আলী প্রাণ বলেছেন: মন্তব্যে নিরন্তর শুভেচ্ছা,
ভালো থাকুন সবসময়।

২| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৮:৩২

তুষার কাব্য বলেছেন: দারুন খবর..!

৩| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:৫৫

আহসানের ব্লগ বলেছেন: হুম

৪| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:০৫

ভরকেন্দ্র বলেছেন: দারুন.......।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.