নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষের মন, ভাবনা, অনুভূতি ও ভালবাসা বৈচিত্র্যময় বলেই পৃথিবীটা এত সুন্দর!https://www.facebook.com/akterbanu.alpona

আলপনা তালুকদার

ড.আকতার বানু আলপনা,সহযোগী অধ্যাপক, শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউট, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী

আলপনা তালুকদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

পুরুষ নির্যাতন

১৮ ই জুন, ২০১৭ রাত ৯:৪৪




পুরুষ নির্যাতন

নানা সময়ে পুরুষরাও তাদের বৌদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করেন যা তাঁদের মনোকষ্টের কারণ। সেগুলো বিচ্ছিন্নভাবে আমি আমার আগের লেখাগুলোতে বিভিন্ন সময়ে উল্লেখ করেছি। আজ সেগুলো একসাথে তুলে দিলাম।

বেশীরভাগ পুরুষ তাঁদের স্ত্রীদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগটি করেন, তা হলঃ বৌরা শ্বশুরবাড়ির লোকদের দেখতে পারেননা, তাঁদের সাথে ভাল আচরণ করেননা। তাঁদের পিছনে টাকা খরচ করা অপচয় মনে করেন, স্বামীকে তাঁদের জন্য খরচ করতে বাধা দেন। কোন কোন স্বামী গোপনে বাড়ীতে টাকা পাঠান। বৌরা জানতে পারলে অশান্তি করেন, টাকার হিসাব রাখেন, এত টাকা কোথায় খরচ করেছেন, তার কৈফিয়ত চান।

স্বামীদের কমন একটি অভিযোগ হল - স্বামীদের প্রাক্তন প্রেমিকার কথা তুলে বউরা খোঁটা দেন, নানা অশান্তি করেন।

অনেকে অভিযোগ করেন, কোন কারণে ঝগড়া হলেই বৌ আত্মহত্যার হুমকি দেন, কথা বলেননা, আলাদা ঘরে ঘুমান, কখনও কখনও রাগ করে বাপেরবাড়ী চলে যান, স্বামীর উপর রাগ করে বাচ্চাদের সাথে রাগারাগি করেন, ওদের মারেন। বাচ্চাদের সাথে এমন আচরণ স্বামীদের সবচেয়ে বড় মনোকষ্টের কারণ। (মনোবিজ্ঞান বলে, মানুষ তীব্র মানসিক পীড়নের সম্মুখীন হলে কখনও কখনও নানা প্রতিরক্ষামূলক কৌশল বা Defense Mechanism ব্যবহার করে অভিযোজন করে। স্বামীর উপর রাগ করে বাচ্চাকে মারা - এটাকে বলে Displacement. এ বিষয়গুলো নিয়ে আমার আলাদা একটা লেখা আছে।)

একজন বললেন, তাঁর স্ত্রীকে তাঁর পছন্দ হয়না। কারণ তার মন-মানসিকতা, চিন্তা-ভাবনা, রুচি,... কোনকিছুই তাঁর বউয়ের সাথে মেলেনা। ফলে তিনি বৌয়ের সাথে কোনকিছু শেয়ার করতে পারেননা। ফলে তিনি তাঁর পুরনো প্রেমিকাকে ভুলতে পারেননা, সবসময় মিস করেন। মনে করেন, প্রেমিকাকে বৌ হিসেবে পেলে জীবনটা অন্যরকম হত। এই না পাওয়ার কষ্ট তাঁকে দিনরাত মানসিকভাবে বিপর্যস্ত রাখে। কখনো কখনো তিনি ডিভোর্সের কথা ভাবেন। ছেলের কথা ভেবে তাও করতে পারেন না।

একজন জানালেন, তাঁর বউ খুব নোংরা। কোনকিছু গুছিয়ে রাখেননা। পুরো বাড়ীর জিনিসপত্র এলোমেলো পড়ে থাকে। দামী দামী ফার্নিচারের প্রতিটার উপরে এক ইঞ্চি করে ধূলার স্তর। বাথরুম, কিচেনসহ পুরো বাড়ী নোংরা হয়ে থাকে। নিজে পরিস্কার করেননা, কাজের লোককে দিয়েও করাননা। স্বামী নিজে মাঝে মাঝে বাড়ী পরিস্কার করেন। কখনও কাজের লোককে দিয়ে করান। এই নিয়ে রোজ অশান্তি।

একজন জানালেন, তাঁর স্বল্প আয়ে সংসার চালাতে এমনিতেই কষ্ট হয়। তার উপর তাঁর বউ অপচয় করেন। তাঁকে না জানিয়ে পকেট থেকে টাকা নিয়ে খরচ করেন।প্রতি মাসের শেষে তাঁর বাজার খরচের টাকা থাকেনা। বৌ কথা শোনেননা। প্রতি মাসে তাঁর শাড়ী কেনা চাইই চাই।

একজন জানালেন, তাঁর বউ তাঁকে নিয়ে আলাদা থাকতে চান প্রাইভেসীর কারণে। নিজেদের মত আলাদা, স্বাধীন থাকবে, যা খুশী করবে, যেখানে খুশী যাবে, বিলাসিতা করবে, কারো কথা মেনে চলতে হবেনা ইত্যাদি। বউ নিজে তার পরিবার ছেড়ে এসে স্বামীর সাথে থাকতে পারলে স্বামী পারবেনা কেন? - এই হল বউয়ের যুক্তি। আর স্বামী চান, বৌ নিয়ে বাবামার সাথে থাকতে। এই নিয়ে রোজ ঝগড়া হয়।

আমার এক ডাক্তার বন্ধু প্রেম করে বিয়ে করেছে। কিন্তু তার স্ত্রী তার বাড়ীর লোকেদের সাথে কথা বলেনা, ভাল আচরণ করেনা। তার কারণ আমার বন্ধুর পরিবার তার স্ত্রীর সাথে বন্ধুর বিয়েকে মেনে নিতে চায়নি বলে। বন্ধু তার ছোটবোনকে কাছে রেখে পড়াতে চেয়ে পারেনি। কারণ বউ তার সাথে খারাপ ব্যবহার করে। তাই আলাদা বাসা ভাড়া নিয়ে বাবামাকে এনে বোনসহ রেখেছে। ছুটির দিনে সে বাবামার কাছে ছেলেদের নিয়ে যায়, বাজার করে বা টাকা দিয়ে আসে। বউ কখনোই যায়না।

বেশীরভাগ পুরুষের মত আমার এ বন্ধুরও অভিযোগ হল - তার বৌ সন্দেহপ্রবণ। কোন মেয়ে বান্ধবীর সাথে কথা বলা পছন্দ করেনা। এমন কি, নিজের এলাকা থেকে যেসব মেয়েরা কলেজ-ভার্সিটিতে পড়তে আসে, তারা নানা সময়ে আসে নানা সমস্যা নিয়ে। তাদের সাথে কথা বলাও যাবেনা। বউ ফোন চেক করে। ওসব মেয়েদের গালি দেয়, আজেবাজে মেসেজ দেয়। স্বামীকে তার মোবাইল নাম্বার বদলাতে বলে যাতে ওরা কথা বলতে না পারে। সে বদলাতে পারেনা। কারণ অনেক রোগীর কাছে তার ফোন নাম্বারটা আছে। এসব নিয়ে চরম অশান্তি।

এক লেখক বন্ধু জানালো, তার বউয়ের দাবী, তার কোন মেয়ে ভক্ত থাকা যাবেনা। তাদের সাথে চ্যাট করা যাবেনা। কোন মেয়ে তার লেখাতে লাইক বা কমেন্ট করলে তা নিয়ে অশান্তি। তার পাসওয়ার্ড হ্যাক করে সে ওসব ভক্তদের গালি দেয়।

এক বন্ধু জানালো, যেকোন সমস্যা, কষ্টের কথা সে তার বৌয়ের সাথে প্রাণখুলে শেয়ার করতে পারেনা। বউ তার মত, বন্ধু তার মত থাকে। বন্ধু কোন বিষয় নিয়ে বউয়ের সাথে কথা বলে আনন্দ পায়না। কারণ তার বউয়ের শোনার আগ্রহ নেই। তার সব আগ্রহ ভারতীয় বাংলা সিরিয়ালে। দুনিয়ার আর কোন কিছু তাকে টানেনা।

একজন জানালো, বিয়ের আগে বৌ বলেছিল দু'জনের আয়ে সংসার চালাবে। এখন বউ তার বেতনের টাকা দেয়না। টাকা দিয়ে কি করে, বলেও না। স্বামী একার আয় দিয়ে সংসার চালাতে পারেনা, ব্যাংক লোন আছে। এই নিয়ে রাগারাগি হয় প্রায়ই।

একজন জানালো, তার বউ শ্বশুর-শ্বাশুড়ীকে কিছু দিতে দেয়না। কোন জিনিস বা খাবার কিনে আনলে লুকিয়ে রাখে। দেয়না। স্বামীর বেতনের সব টাকা নিয়ে নেয়। স্বামীকে টাকা দিলেও তার হিসাব নেয়। বাবামা, ভাইবোনকে টাকা দিতে দেয়না। দিলে বলে, আমাকেও আলাদা করে টাকা দাও।আমার বাবামা, ভাইবোনকে দেব।

একজন বলল, তার বউ সংসারের বিষয়ে উদাসীন। কোন কিছু করতে চায়না। এমন কি, রান্নাও না। অনেক বেলা পর্যন্ত ঘুমায়। সব কিছু কাজের মেয়ের উপর ফেলে রাখে। নিজের মেয়েকেও ঠিকমত খাওয়ায় না। মেয়েটা দিন দিন রোগা হয়ে যাচ্ছে। ছেলেমেয়েকে পড়াতেও চায়না। কাজের মেয়ে টিকেনা তার দূর্ব্যবহারের কারণে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক জানালেন, তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকা বউ
শ্বশুরবাড়ী ঈদ করতে যেতে চাননা। বউয়ের দেখাদেখি ছেলেও যেতে চায়না। তিনি প্রতিবার বাবামার সাথে গ্রামের বাড়ীতে একা ঈদ করতে যান। এ নিয়ে তাঁর প্রচণ্ড মানসিক কষ্ট আছে।

একজন জানালো, তার স্ত্রী পরকীয়া করে। তিনি স্ত্রীকে খুব ভালবাসেন। তাই তালাক দিতেও পারছেন না। আবার তাকে ফেরাতেও পারছেন না। তীব্র মানসিক যন্ত্রণায় আছেন।

একজন বলল, তার স্ত্রীকে স্ত্রীর পরিবার স্ত্রীর মতের বিরুদ্ধে তার সাথে বিয়ে দিয়েছে। ফলে সে স্বামীকে মন থেকে মেনে নিতে পারছেনা। পুরনো প্রেমিককে সে ভুলতে পারেনি। প্রায়ই তার কথা বলে। পরে স্বামীকে সরিও বলে। বলে, আর বলবেনা। কিন্তু আবার বলে। এলোমেলো আচরণ করে। কিছুদিন বাবার বাড়ীতেও ছিল। তাতেও স্বামীর জন্য তার আকর্ষণ তৈরী হয়নি। তিনি তালাক দিতেও পারছেন না। কারণ তিনি জানেন, তাঁর স্ত্রী খুব সৎ এবং খুবই ভাল মেয়ে।

যদিও একসাথে থাকতে গেলে কিছু বিষয়ে মতের মিল না হওয়াটাই স্বাভাবিক। তবে স্বামীদের সুবিধা হল, স্ত্রী কোন কিছু করার জন্য স্বামীকে বলতে বা চাপ দিতে পারে মাত্র, তাকে কোনভাবেই কোনকিছু করতে বাধ্য করতে পারেনা। মারতেও পারেনা। রাগারাগি, কান্নাকাটি, মন খারাপ করতে পারে বড়জোর। তাই এগুলোকে 'নির্যাতন' বলা যায়না। আর নির্যাতন মনে করলে স্বামী অনায়াসে স্ত্রীকে তালাক দিতে পারেন। কেউ নির্যাতন সহ্য করে তাকে সংসার করতে বাধ্য করতে পারেনা, করেনা। (ছেলেরা যেহেতু আয় করেন, তাই বউ তালাক দিয়ে আবার বিয়ে করতে পারেন বা করেনও যা মেয়েরা পারেনা। কারণ মেয়েরা আয় করেনা। স্বামীকে তালাক দিলে তাকে বাবা বা ভাইদের ঘাড়ে বোঝা হতে হবে যা মোটেই ভাল কিছু না। তাই মেয়েরা সবধরণের নির্যাতন মুখ বুঁজে সহ্য করে।) কিন্তু মেয়েরা স্বামী বা শ্বশুরবাড়ির লোকেদের দ্বারা (শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, কখনো কখনো খুন) নির্যাতিত হলে বেশীরভাগ ক্ষেত্রে বাবামা মেয়েকে তার স্বামীকে তালাক দিতে দেয়না। নির্যাতন সহ্য করে হলেও সংসার করতে বাধ্য করে। ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের উপর নির্যাতনের মূল পার্থক্যটা এখানেই।

আমার বিরুদ্ধে আমার স্বামীর অভিযোগ হলঃ

আমি খরচের ছোটখাট একটা জাহাজ। টাকা খরচ করতে না পারলে আমার পেটের ভাত হজম হয়না। অপচয় করা আমার শখ। স্বামী যখন অস্ট্রেলিয়া ছিল, তখন তাকে না জানিয়ে শ্বাশুড়ীর মতেরও বিরুদ্ধে ( শ্বাশুড়ীও চাননি মৃত স্বামীর পুরাতন ভাঙ্গা ঘর ছেড়ে তিনতলার উপরে ফ্ল্যাট বাসায় উঠতে) আমি একগাদা টাকা খরচ করে (নিজের ও স্বামীর সঞ্চয় করা টাকা দিয়ে) শ্বাশুড়ী ও ননদের জন্য ছয় রুমের বিশাল বাড়ী বানিয়েছি। প্রতি ঈদে স্বামীকে না জানিয়ে, কখনও জানিয়ে স্বামীর পক্ষের আত্মীয়দের জন্য প্রচুর উপহার কিনি। ( স্বামীর পক্ষের গরীব আত্মীয়দের বাড়ী যাই। এটা, সেটা কিনে নিয়ে গিয়ে দিয়ে আসি বা টাকা পাঠিয়ে দেই। অসুস্থ ননদের জন্য প্রতি মাসে অনেক টাকা খরচ করি, তিনজন ছাত্রের পড়াশোনার খরচ চালাই,... - এগুলো মুখে অভিযোগ বললেও মনে মনে খুশীই হয়), প্রতি মাসে কমপক্ষে ষোলো থেকে বিশ হাজার টাকা দান করি। শ্বাশুড়ীর জন্য একটা বিছানার চাদর কিনতে যেয়ে নিজের জন্যও ছয়টা কিনে আনি। কখনোই দু'একটা শাড়ী বা থ্রিপিচ আমি কিনতে পারিনা। কমপক্ষে চারটা কেনা চাই। একবার ঈদে ছয়টা জামদানী শাড়ী বাকীতে কিনে এনে স্বামীকে বলেছিলাম, "আমি কিনতে চাইনি। পছন্দ হলে কি করব? তাছাড়া দোকানদার জোর করে দিয়ে বলল, টাকা পরে দিলেও হবে।" সস্তা কোন জিনিসই আমার পছন্দ হয়না। আর সবচেয়ে বড় অভিযোগ - আমি ফেসবুকে প্রচুর সময় নষ্ট করি। ফেসবুকে লেখালেখি করতে গিয়ে মেয়েদের পড়াই না। অথচ আমার লেখার চেয়ে লোকে আমার ছবি বেশী পছন্দ করে!!! সত্যি সেলুকাস.....!!!!!

মন্তব্য ৬১ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৬১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জুন, ২০১৭ রাত ৯:৫৬

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আপনারটা সহ অনেকগুলি কেস স্টাডি পড়লাম। সব গুলিই বাস্তব।

১৮ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:০১

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ। আমি খুশী যে অবাস্তব কিছু লিখিনি।

২| ১৮ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:০৩

উজ্জ্বল হায়দার বলেছেন: হুম সবই সত্যি, পুরুষরা আসলেই অনেক কষ্টে দিন পার করে। নারীরা একটু তে ই কান্না কাটি করে বাড়ি মাথায় তোলে, ছেলেরা সেটা পারে না, তারা নিরবে এই অমানসিক নির্যাতন সহ্য করে জীবন পার করে।

১৮ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:১৫

আলপনা তালুকদার বলেছেন: আহা!!! বেচারা!!!! কি করা যায়?????

৩| ১৮ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:২০

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: সবগুলোই বাস্তব। আসল কথা হলো নারী নির্যাতনের কথা/ঘটনা প্রচার- প্রকাশ করা হয় ফলাও করে। কিন্তু পুরুষ নির্যাতনের কথা গোপনেই থেকে যায়। ভালো থাকবেন।

১৮ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:৫৪

আলপনা তালুকদার বলেছেন: জ্বি। কারণ সেগুলো প্রচার পাবার মত না। আপনারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকার দুচোখ উপরে ফেলেন, ডাক্তারের মেরুদণ্ড ভেঙ্গে দেন, এসিডে ঝলসে দেন, আগুনে পুড়িয়ে মারেন, গলা টিপে মেরে ফেলে ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রাখেন, হাত-পা ভেঙ্গে হাসপাতালে ফেলে রাখেন,....। মেয়েরা তো এতকিছু করতে পারেনা। তাই প্রচার, প্রকাশও হয়না। সরি।

৪| ১৮ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:৪৩

রানার ব্লগ বলেছেন: আপনি নারী হয়ে পুরুষ নির্যাতনের কথা বলছেন এই ঢের !! কলুর বলদ কিন্তু পুরুষদেরি বলে।

১৮ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:৫৬

আলপনা তালুকদার বলেছেন: তাই কি? হবে হয়তো। মেয়েরা সংসারের জন্য তো কোন পরিশ্রমই করেনা! কলুর বলদ হবে কি করে?

৫| ১৮ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: আমার বউ এর কথা বলি- সে কেনা কাটা করতে পারে না। একেবারেই কেনা কাটা করতে পারে না। দেড়শ টাকার জিনিস কিনে আনবে ১৫০০ টাকা দিয়ে।
আরেকটা ঘটনা বলি- খুব দামাদামি করে রিকশা নিবে। শেষে সেই রিকশাওয়ালাকে ৫০০ টাকা দিয়ে দিবে। জিজ্ঞেস করলে বলবে- লোকটাকে দেখে মায়া লাগছে।

১৮ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:৫৭

আলপনা তালুকদার বলেছেন: এগুলো কি আপনার প্রতি তার নির্যাতন???

৬| ১৮ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:৪৫

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ গুলো তো দারুন । এমন বউ কোথায় পাওয়া যায় বলেন তো । আমারটাতো বাছুর ।

১৮ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:৫৮

আলপনা তালুকদার বলেছেন: পাবেন না। আলপনা তালুকদার একটাই। উপরওয়ালারর কাছে এপ্লিকেশন করে দেখতে পারেন।

৭| ১৯ শে জুন, ২০১৭ রাত ১২:৩১

সাঈদ মোহাম্মদ ফাহিম আবরার বলেছেন: আমি ফেসবুকে প্রচুর সময় নষ্ট করি। ফেসবুকে লেখালেখি করতে গিয়ে মেয়েদের পড়াই না। অথচ আমার লেখার চেয়ে লোকে আমার ছবি বেশী পছন্দ করে!!! সত্যি সেলুকাস.....!!!!

এই লাইনের লেখাটা এতো ভালো লাগছে। এক্সপ্রেস করার মতো না।

১৯ শে জুন, ২০১৭ রাত ১২:৩৭

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ। শুনে ভীষণ খুশী হলাম। ভাল থাকুন।

৮| ১৯ শে জুন, ২০১৭ রাত ১:১৫

কানিজ রিনা বলেছেন: হ্যা কিছু মেয়েরা আছে বিয়ের ভাবে স্বামীটা
তার একার সে কোনও মায়ের সন্তান ভাই
বোনের প্রিয় ভাই। সেকথা মনে করেনা।
নিজের স্বার্থটাকে বড় করে দেখে।
যেমন একটা পুরুষ ভাবে বিয়ের বউটা তার
কিনা হয়েগেছে বউএর বাবা মা ভাই বোন
কিছুই থাকতে নেই। একই পকৃতির নারীরাও
আছে। ইদানীং মেয়েদের ভিতর এই প্রবনতা
অনেক বেশী।
তাই আমি সব সময় বলি পুরুষের পাশাপাশি
নারীর অবনতী অনেক গুন বেড়েছে।
একটা শাশুরী যেমন পরের মেয়েকে নিজের
মেয়ে ভাবতে পারেনা। মেয়েরাও তেমন শাশুরী
কে নিজের মা ভাবতে পারেনা।
আগের দিনে দেখা যেত শাশুরী ননদ যতই
খারাপ হোক মেয়েরা ধর্য ধরে একসাথে
বসবাস করত এখন কোনও অজুহাত ধরে
স্বামীকে নিয়ে আলাদা হয় এবং বেশীর ভাগ
ফ্যামিলিতেই তাই ঘটে।
ইদানিং যৌথ পরিবার খুব কমই আছে।
তবে একথা সত্য পুরুষরা যেমন ভাই ভাইতে
সক্রতা হলে খুন করতে দিধা করেনা এমনকি
স্ত্রীকেও মেয়েরা এখনও সেদিকে আগাতে
পারেনা নাই। মেয়েরা মেয়েদের খুন করেনা।
খুব কম। ধন্যবাদ আলপনা।

১৯ শে জুন, ২০১৭ রাত ১:৪০

আলপনা তালুকদার বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।

৯| ১৯ শে জুন, ২০১৭ সকাল ৯:২৮

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: এত্ত সমস্যা! এখনও ব্যাচেলর ভাবছি ব্যাচেলরই থেকে যাব কিনা।

১৯ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১০:১৩

আলপনা তালুকদার বলেছেন: শুধু সমস্যাটাই দেখলেন????

১০| ১৯ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১০:১৫

রক বেনন বলেছেন: আপনার এর আগের পোস্ট গুলোতে দেখেছি আপনি সমস্যার পাশাপাশি সমাধানের উপায় ও দিয়েছিলেন, কিন্তু সম্ভবত এটাই আপনার একমাত্র পোস্ট যেখানে আপনি সমস্যা গুলো উল্লেখ করেছেন কিন্তু কোনো সমাধান দেননি।

১৯ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১০:৫০

আলপনা তালুকদার বলেছেন: এই সমস্যাগুলোরই সমাধান দিয়েছি অন্য এরকম পোস্টগুলোতে। তাই রিপিট করিনি। ধন্যবাদ।

১১| ১৯ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১০:৪১

তানুন ইসলাম বলেছেন: আমি আমার সংসার লাইফ নিয়ে সুখে আছি,মেয়েদের একটু বক্রতা তো থাকবেই,তার মাঝেই খারাপ কে দূরে সরিয়ে ভালো কে খুঁজতে হবে,এটাই তো জীবন

১৯ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১০:৫২

আলপনা তালুকদার বলেছেন: রাইট! অতি মূল্যবান কথা! ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।

১২| ১৯ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১০:৪৬

নতুন নকিব বলেছেন:



//পাবেন না। আলপনা তালুকদার একটাই। উপরওয়ালারর কাছে এপ্লিকেশন করে দেখতে পারেন।//

-আমরাও কি এপ্লিকেশন করে দেখতে পারি?

দীর্ঘ পোস্টে ধন্যবাদ অনেক।

১৯ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১০:৫৫

আলপনা তালুকদার বলেছেন: জ্বি পারেন, যদি তার মত কাউকে পেতে চান। আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।

১৩| ১৯ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১১:১৪

তানুন ইসলাম বলেছেন:

১৯ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১১:২৮

আলপনা তালুকদার বলেছেন: সাবাস! এরকম দু'চারজন করলে কাপুরুষগুলা সাবধান হয়ে যাবে!

১৪| ১৯ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১১:১৫

তানুন ইসলাম বলেছেন:

১৯ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১১:২৯

আলপনা তালুকদার বলেছেন: এগুলো কি সত্যি ঘটনা? সত্যি হলে তো কেউ ছবি তুলতে দেবেনা!

১৫| ১৯ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১:১৫

নতুন বলেছেন: কেস স্টাডি গুলি ভালোই...

মেয়েদের মনে হয় কিছু সমস্যা থাকতেই হয়... আর ঝগড়া না করলে মনে হয় ভালো লাগেনা... কিছু একটা ইসু নিয়ে ঝামেলা করতে ভালো লাগে মেয়েদের

হাজারো ছেলেদের মতন কোন সমস্যা না থাকলেও ছোট খাটো বিষয়গুলি নিয়েই কথা বাধায়... আরে বাবা দুনিয়ার সকল স্বামীরাই যেই সব ভ্যাজাল বাধায় তার ১%ও করিনা... তার পরেও যদি মনে করে এটা কেন ওটা কেন? তবে কেমন লাগে...
আমিতো আর ১০০% পারফেক্ট মানুষ না...

:( বাবাও বুঝলো না... বউও বুঝলো না.. :(

১৯ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১:৫৬

আলপনা তালুকদার বলেছেন: হা হা হা! ধন্যবাদ।

১৬| ১৯ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ২:৫৯

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: সমাজের বাস্তবিক চিত্রে পুরুষ নির্যাতন নিয়ে যা লিখেছেন তার সবই ঠিক আছে।
কিন্তু লেখক যখন কোন সমস্যা নিয়ে লিখবেন লেখকের দায়িত্ব হল সমস্যা গুলো কিভাবে সমাধান দেয়া যায়।
ঠিক যেমন আপনি লিখেছেন-
আপনার বিরুদ্ধে আমার স্বামীর অভিযোগ হলঃ

আমি খরচের ছোটখাট একটা জাহাজ। টাকা খরচ করতে না পারলে আমার পেটের ভাত হজম হয়না।


সেখানে নিশ্চিত আপনার খরচ করার পিছনে যুক্তিগত লজিক দেখিয়েছেন এবং আপনার স্বামী তা বোঝতে পেরেছেন।
উনি বোঝতে পারার পর আর এমন অভিযোগ আর করেন নি।
ধন্যবাদ

১৯ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:২৮

আলপনা তালুকদার বলেছেন: করেছেন। বোঝার পরেও করেছেন। তিনি প্রতিনিয়ত আমাকে খরচ কমাতে বলেন যা আমি পারিনা। আমার কাছে যে খরচগুলো খুবই ন্যায্য মনে হয়, তাঁর কাছে সেগুলো ততটা গুরুত্ব পায়না। উদাহরণ দিলে আপনি বুঝতে পারতেন। খুবই ব্যক্তিগত হয়ে যাবে বলে লিখলাম না। ধন্যবাদ।

১৭| ১৯ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০০

বিজন রয় বলেছেন: মনের বিজ্ঞান।

জীবন কঠিন।

১৯ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৭

আলপনা তালুকদার বলেছেন: না দাদা, কঠিণ না। তবে সহজ করা জানা চাই।

১৮| ১৯ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫১

মোহাম্মদ বাসার বলেছেন: নতুন নকিব ছাবের কি এইটাই প্রথম বিয়া নাকি ? এপ্লিকেশান করতে চাচ্ছেন? নাকি ৪ টা কিংবা ১৪টা এখনো পূর্নো হয় নাই?

১৯ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪০

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ধর্ম অনুমতি দিলে সমস্যা কি?

১৯| ১৯ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৩

লক্ষণ ভান্ডারী বলেছেন: পুরুষ নির্যাতন করে কি নারী নির্যাতন বন্ধ হবে?
এটার উত্তর কি লেখিকার জানা আছে?
উত্তরের প্রতীক্ষায় রইলাম।

১৯ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪২

আলপনা তালুকদার বলেছেন: আমি কি আমার লেখার কোথাও সেটা বলেছি? কোন নির্যাতনই কোন নির্যাতন থামাতে পারেনা। আমি সব ধরণের নির্যাতনের বিরুদ্ধে। ধন্যবাদ।

২০| ১৯ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৮

লক্ষণ ভান্ডারী বলেছেন: এর পরিণাম হবে সমুদ্র মন্থনের মত।
সুধা অভিলাষী দৈত্যকুল যেমন সুধার
বিনিময়ে গরল খেয়েছিল। তেমনি
পুরুষ নির্যাতনকারী নারীরা
পুরুষ নির্যাতনের বিনিময়ে
পাবে অনবরত নারী নির্যাতন।
নারী নির্যাতন চলছে, চলবে কিন্তু
শেষ হবে না কোনদিন-ই।

১৯ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৬

আলপনা তালুকদার বলেছেন: সহিংসতা ভাল কিছু নয়, সেটা যার বিরুদ্ধেই হোক। সব নির্যাতন বন্ধ হোক, মানুষের সুকোমল বৃত্তির উদয় হোক। নারী ও পুরুষের শান্তিপূর্ণ সহঅবস্থান নিশ্চিত হোক। কেননা তারা একে অপরের পরিপূরক। আমার লেখার উদ্দেশ্য তাই। ধন্যবাদ।

২১| ১৯ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪২

সোহানী বলেছেন: ভালোলাগলো কেসস্টাডিগুলো। হাঁ, সমাজেরই প্রতিচ্ছবি। কিন্তু ওই যে বললেন, মেয়েদের জন্য সহ্য করা ছাড়া কোন সমাধান নেই অথচ ছেলেদের আছে কারন একটাই অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা। পশ্চিমা বিশ্বের দিকে তাকালে দেখবেন পুরো ঘটানাই উল্টো....

১৯ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৮

আলপনা তালুকদার বলেছেন: জ্বি। ঠিক। আর্থ-সামাজিক নিরাপত্তা একটা বড় বিষয়। ধন্যবাদ।

২২| ১৯ শে জুন, ২০১৭ রাত ৮:৫০

বিজন রয় বলেছেন: ব্লগে তাহলে আপনি ভালই মজেছেন।

আরো আগে নিক খোলেন নি কেন?

১৯ শে জুন, ২০১৭ রাত ৮:৫৫

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ইচ্ছে করেনি। আমি খুব খেয়ালী। আবার দেখবেন হুট করে উধাও হয়ে গেছি।

২৩| ১৯ শে জুন, ২০১৭ রাত ৮:৫৭

বিজন রয় বলেছেন: হা হা হা ....... এখন তো আর আপনি ইচ্ছে করলেই ইধাও হতে পারবেন না। দিলে তো!!

আর আপনাকে যে চিনে ফেলেছি..................

হা হা হা ................

১৯ শে জুন, ২০১৭ রাত ৯:২৫

আলপনা তালুকদার বলেছেন: তাও তো ঠিক!

২৪| ১৯ শে জুন, ২০১৭ রাত ৮:৫৯

বিজন রয় বলেছেন: আপনার মাধবী সিরিজ কি শেষ?

১৯ শে জুন, ২০১৭ রাত ৯:২৬

আলপনা তালুকদার বলেছেন: না। কেন? পোস্ট দেব আবার।

২৫| ১৯ শে জুন, ২০১৭ রাত ৯:০৪

নায়না নাসরিন বলেছেন: ভালো লিখা ++++++++

১৯ শে জুন, ২০১৭ রাত ৯:২৬

আলপনা তালুকদার বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।

২৬| ২০ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১০:১১

স্বতু সাঁই বলেছেন: লেখনীটা নিরপেক্ষতা হারিয়ে মেয়েলী ঢঙেরই হয়েছে।

২০ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:১৭

আলপনা তালুকদার বলেছেন: তাই? ইস্! এখন উপায়?

২৭| ২০ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:৪০

স্বতু সাঁই বলেছেন: উত্তরটাও মেয়েলী হয়ে গেলো!!

২০ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:১৭

আলপনা তালুকদার বলেছেন: মেয়ে লিখলে তো মেয়েলীই হবার কথা। তাইনা?

২৮| ২০ শে জুন, ২০১৭ রাত ৮:১০

স্বতু সাঁই বলেছেন: কিন্তু লেখকের ক্ষেত্রে তা হওয়ার কথা না। কারণ লেখক একটি নিরপেক্ষ সত্তা। সে যখন লিখবে তখন তার হাতে ন্যায় দণ্ড থাকে। তাই লেখকের প্রতিটি বাক্য গঠনে শব্দ ন্যায়দণ্ডে ওজন করে বসাতে হয়। এখন লেখক যদি পেশাগত দক্ষতা অনুসারে মনে করে যে সে একজন মনোবিজ্ঞানী এবং তার সকল পাঠক পাগল, তাহলে বলার কিছুই নাই। তাহলে লেখক যা লিখবে, পাগলা পঠকেরা তাই গিলবে।

২০ শে জুন, ২০১৭ রাত ৯:০০

আলপনা তালুকদার বলেছেন: আপনাকে একটা ছোট্ট অনুরোধ করি? আপনি দয়া করে আমার লেখা পড়বেন না। প্লিজ।

২৯| ২০ শে জুন, ২০১৭ রাত ৮:২২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: সব গুলোই বাস্তব !!
ভালো লাগল লেখা ।

২০ শে জুন, ২০১৭ রাত ৯:০৪

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ আমার লেখা বাস্তবসম্মত মনে হওয়ার জন্য। কেউ কেউ আবার লেখায় মেয়েলী ও নিরপেক্ষতা হারানোর গন্ধ পাচ্ছেন। ভাল থাকুন।

৩০| ২০ শে জুন, ২০১৭ রাত ৮:৩৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: অভিযোগগুলোর বাস্তব ভিত্তি আছে।

ধন্যবাদ বোন আলপনা তালুকদার।

২০ শে জুন, ২০১৭ রাত ৯:০৬

আলপনা তালুকদার বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ "অভিযোগগুলোর বাস্তব ভিত্তি আছে" - এই মন্তব্যটুকুর জন্য। ভাল থাকুন। ঈদের আগাম শুভেচ্ছা জানবেন।

৩১| ২১ শে জুন, ২০১৭ সকাল ৯:১৫

স্বতু সাঁই বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনাকে একটা ছোট্ট অনুরোধ করি? আপনি দয়া করে আমার লেখা পড়বেন না। প্লিজ।

এতো দেখি স্বৈরাচারী কথা। আপনি তো পাঠক ও সমালোচকের অধিকার হরণ করতে পারেন না। রবিন্দ্রনাথও কখনও তার পাঠক ও সমালোচকের প্রতি এমন আচরণ করেছেন বলে শুনি নি। আপনি লেখক লাখা আপনার কাজ, পাঠক পাঠ করবে এবং সমালোচক সমালোচনা করবে এটা তাদের অধিকার। আপনি বই ছাপালে কি বইয়ের মলাটে লিখে রাখবেন, অমুক শ্রেণীর পাঠকেরা আমার লিখা পড়বেন না। সেক্স আর্টিকেল বা নোভেলের বা স্টোরীর ক্ষেত্রে অবশ্য লিখা থাকে 'অনুর্ধ আঠারোর জন্য নয়'। কিন্তু সে ধরনের বই হলেও আপনি আমাকে পড়তে নিষেধ করতে পারেন না। কারণ আমার বয়স আঠারোর অনেক উর্ধ্বে।

আপনি উত্তেজিত হচ্ছেন কেন বুঝলাম না। লেখকদের রিপুদোষ থাকতে নেই। বিশেষ করে ক্রোধ ও অহংকার। কারণ এই দুটো রিপু যদি লেখকের মাঝে থাকে তাহলে সেই লেখকের লেখনীতে নিরপেক্ষতা থাকে না। আপনি মনোবিজ্ঞানের শিক্ষক হতে পারেন, কিন্তু অধিবিদ্যা সম্পর্কে আপনার ধারণা খুবই সামান্য। অধিবিদ্যা সম্পর্কে যদি আপনাক সম্যক ধারণা থাকতো, তাহলে পাঠককে আপনি বিভক্ত করতে চাইতেন না।

আমি আপনার লেখনীর সমালোচনা করেছি। যদি চান তাহলে প্রতিটি বাক্যের প্রতিটি শব্দ ধরে ধরে বিশ্লেষণ করে দেখাতে পারি, আমি যা বলেছি তা সঠিক ছিলো। একটা কথা মনে রাখবেন, আমরা পাঠক, সকলের লেখনী পাঠ করি এবং লেখনীর গুণগত মান বিচার করি লেখনীর গভীরতা থেকে। ধন্যবাদ, শুভকামনা রইলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.