নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষের মন, ভাবনা, অনুভূতি ও ভালবাসা বৈচিত্র্যময় বলেই পৃথিবীটা এত সুন্দর!https://www.facebook.com/akterbanu.alpona

আলপনা তালুকদার

ড.আকতার বানু আলপনা,সহযোগী অধ্যাপক, শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউট, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী

আলপনা তালুকদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশে অপরাধ বৃদ্ধির কারণ কি?

১৬ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:১৪

বাংলাদেশে অপরাধ বৃদ্ধির কারণ কি?

পৃথিবীর সব চাইতে উন্নত ও সভ্য দেশগুলোতে অপরাধ নেই বললেই চলে। যেমন ফিনল্যান্ড, জাপান, নরওয়ে, সুইজারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস ইত্যাদি। নেদারল্যান্ডসে অপরাধীর সংখ্যা শূণ্যের কোঠায় চলে যাওয়ায় সেখানে কারাগারগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। দেশটি ২০১৩ সালে একসাথে ১৯ টি ও ২০১৫ সালে আরো ৫টি কারাগার বন্ধ করে দেয়। অপরাধী না থাকার কারণে তারা অন্য দেশ থেকে অপরাধী আমদানী করছে জেলখানা ভরাবার জন্য। অন্যদিকে বাংলাদেশে হত্যা, গুম, ধর্ষণ, ডাকাতি, প্রতারণা, জবরদখল, ঘুষ, দুর্নীতি, রাহাজানিতে সমাজের জেরবার অবস্থা ও জেলখানাগুলো কয়েদিতে উপচে পড়ার কারণে এশিয়ার বৃহত্তম কারাগার নির্মিত হয়েছে এদেশে। এখানে অপরাধীর সংখ্যা বেড়ে চলেছে জ্যামিতিক হারে। কেন?

সমাজবিজ্ঞানীরা বলবেন, সুষ্ঠু সামাজিক পরিবেশের অভাব, রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা বলবেন, সুষ্ঠু রাজনৈতিক পরিবেশ নেই, প্রশাসন বলবে, সত্যিকারের আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে না পারা, মনোবিজ্ঞানীরা বলবেন, নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধের অবক্ষয়, শিক্ষাবিদরা বলবেন, প্রকৃত শিক্ষার অভাব, আইনশৃংখলা বাহিনীর লোকেরা বলবেন, জনবলের অভাব, ধর্মীয় নেতারা বলবেন, ধর্মীয় অনুশাসন না মানা, গরীবরা বলবেন, অভাবে স্বভাব নষ্ট, ধনীরা বলবেন, দুষ্টামী, সরকার বলবেন, বিরোধীদের প্রচারণা, আল ইজ ওয়েল।

ওসব দেশ, যেমন নেদারল্যান্ডসে অপরাধ কমে যাবার কারণ কি?

১। ধর্মীয় কুসংস্কারমুক্ত ও বিজ্ঞানমনস্ক শিক্ষাব্যবস্থাঃ

ইউরোপের সবচেয়ে কম ধর্ম পালনকারীদের দেশ নেদারল্যান্ডস। ইউরোপের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উদার ধর্মীয় সংস্কৃতির দেশ। ধর্ম নিরপেক্ষ এই রাষ্ট্রের ধর্মীয় কুসংস্কারমুক্ত ও বিজ্ঞানমনস্ক শিক্ষাব্যবস্থা মানুষকে উদার হতে সাহায্য করছে। রেডবাড ইউনিভার্সিটি ও ভির্জি ইউনিভার্সিটি আমস্টার্ডামের এক জরিপে দেখা যাচ্ছে, ১৯৬৬ সালে মুক্তচিন্তার মানুষের সংখ্যা যেখানে ছিল ৩৩ শতাংশ, সেটা ১৯৭৯ সালে ৪৩ শতাংশ, ১৯৯৬ সালে ৫৩ শতাংশ, ২০০৬ সালে ৬১ শতাংশ এবং ২০১৫ সালে ৬৭ দশমিক ৮ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এই সংখ্যা ২০২০ সালে ৭২ শতাংশে গিয়ে ঠেকবে।

২। অপরাধীদের পুনর্বাসনঃ

নেদারল্যান্ডসে কয়েদিদের সংখ্যা কমে যাওয়ার পেছনে কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো-

(ক) মাদক আইন শিথিল করা। ফলে মাদকসেবীদের শাস্তি দেওয়ার বদলে তাদের পূনর্বাসনে জোর দেওয়া হয়েছে।

(খ) এঙ্কেল মনিটরিং ব্যবস্থা। এই ব্যবস্থায় কয়েদিদের জেলে বসিয়ে রাষ্ট্রীয় অন্ন ধবংস না করে তাদের পায়ে ট্রাকার ( অপরাধীর অবস্থান জানা ও পালিয়ে গেলে সনাক্ত করার ব্যবস্থা) লাগিয়ে সমাজে বিভিন্ন ইতিবাচক খাতে কাজে লাগানো হচ্ছে। তাতে করে সে নিজের উপার্জন নিজে করার পাশাপাশি নিজের ভুল থেকেও শিক্ষা নিতে পারছে।

৩। সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাঃ

আরেকটা জিনিস যেটা অপরাধী কমাতে সাহায্য করছে, সেটা হলো সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। কোনো অপরাধী সাজা খেটে বের হলে তাকে সুস্থধারায় ফেরানোর জন্য উপযুক্ত কাজের ব্যবস্থ্য করা, যা কি না খোদ যুক্তরাষ্ট্রেও নেই। ফলে মার্কিন কয়েদির সংখ্যা পৃথিবীতে সর্বোচ্চ। প্রতি ১ লক্ষ জনগণের মধ্যে অপরাধীর সংখ্যা ৭১৬ জন, যেখানে নেদারল্যান্ডসের প্রতি লাখে অপরাধীর সংখ্যা মাত্র ৬৯ জন।

৪। অপরাধ ও অপরাধীদের সম্পর্কে মানুষ ও রাষ্ট্রের দৃষ্টিভঙ্গীর পরিবর্তনঃ

নেদারল্যান্ডসের মানুষই অতীতে জলদস্যু ছিলো; অপরাধপ্রবণ জাতি হিসেবে তাদের দুর্নামও ছিলো। এখন সেখানে অপরাধকে ঘৃণা করা হয়; কিন্তু অপরাধীকে নয়। আর কারাগারকে দেখা হয় সংশোধন কেন্দ্র হিসেবে। সেখানে রাষ্ট্র ও সমাজ মানুষকে নীচ-নিকৃষ্ট বলে মনে করেনা; বরং মানুষকে দেখে অসীম সম্ভাবনাময় হিসেবে; কারণ প্রত্যেক মানুষের মধ্যে মন্দ থেকে ভালো হবার সম্ভাবনা থাকে প্রবল। আর রাষ্ট্রে একটি সতত মুক্তভাবনার পরিবেশ থাকলে তা রাষ্ট্রটিকে কখনোই কারাগার রাষ্ট্রে পরিণত করেনা; বরং কারাগারগুলোকে সংশোধন কেন্দ্রে পরিণত করে একসময় অপরাধী শূণ্য করে ফেলতে পারে পুরো সমাজকেই।

বাংলাদেশ প্রেক্ষিতঃ

কারাগারে আটক অপরাধীর সঙ্গে পাশবিক আচরণের যে আদিম রেওয়াজ চালু আছে, তা দিয়ে অসংখ্য অপরাধীর সঙ্গে অমানবিক আচরণ করে সংশোধনের কোন দৃষ্টান্ত তুলে ধরা যায়নি; বরং সমাজ হারিয়ে গেছে অপরাধের গোলক ধাঁধায়; ক্রমে ক্রমে পুরো সমাজ ও রাষ্ট্রই যেন কারাগার হয়ে পড়েছে। তাই বাংলাদেশের উচিত, নেদারল্যান্ডস যেভাবে তার সমাজকে অপরাধশূণ্য করে ফেলতে পেরেছে; তা অনুসরণ করা।

বাংলাদেশের কারাগারগুলোর নাম বদলে সংশোধন কেন্দ্র করা প্রয়োজন। নতুন প্রজন্মের পুলিশ সদস্যরা এই সংশোধন কেন্দ্রগুলোতে সেখানকার বাসিন্দাদের মন্দ মানুষ থেকে ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য তাদেরকে দিয়ে নানা সৃষ্টিশীল কাজ করানোর চেষ্টা করতে পারেন। তাদের সদিচ্ছা ও সৃজনশীলতা দিয়ে অপরাধীদের বানাতে পারেন এক একটা বাল্মীকি বা নিজামউদ্দীন আউলিয়া।

অপরাধীদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গী বদলাতে হলে মিডিয়ার আচরণও পরিবর্তন হওয়া দরকার। কারণ আমাদের মিডিয়ায় কারো বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ উত্থাপিত হওয়া মাত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একদল শকুন নেমে আসে অভিযুক্ত ব্যক্তির শব-ব্যবচ্ছেদ করতে। এসময় পুরো সমাজ সাধু-সন্তের মত আচরণ করে। অথচ এসব উন্মত্ত মবের প্রত্যেকের মধ্যেই অপরাধী হয়ে ওঠার মতো সব লক্ষণই উপস্থিত রয়েছে। কেউ কেউ আবার ভিকটিমকে দোষারোপ করেন, অপরাধীর পক্ষে সাফাই গান। আর কোন কোন পুলিশ বা ক্ষমতাবান ব্যক্তি চেষ্টা করেন অপরাধীকে বাঁচাতে। এতে তারা ছাড়া পেয়ে বার বার অপরাধ করে। তাই অপরাধীর শাস্তি হওয়াটা জরুরী। তবে শাস্তি হবার পর তাকে এমন কিছু শেখাতে হবে যাতে সে বেরিয়ে আবার অপরাধে না জড়ায়। অর্থাৎ তাদের সামাজিক পুনর্বাসন করা।

শেষকথাঃ

প্রতিটা শিশুর সামাজিকীকরণের প্রথম প্রতিষ্ঠান হল তার বাড়ী, তার পরিবার। এটিই তার আচরণ, মূল্যবোধ, ধারণা, বিশ্বাস, নৈতিকতা, সাহস, শিক্ষা.. ইত্যাদির ভিত্তি তৈরী করে দেয়। এই ভিত্তিই তার সারাজীবনের আচরণের মূল চাবিকাঠি। এখান থেকে সে যা শিখবে, সারাজীবন সে তাই করবে। পরিবারে সে ভাল কিছু শিখলে সে ভাল হবে, নাহলে খারাপ। তাই ছোটবেলা থেকে আমাদের উচিত আমাদের শিশুদের প্রতিবাদ করতে শেখানো। কখনো যেন তারা কোন অন্যায় মেনে না নেয়। তাহলে তারা ভয় পাবেনা, কিছু গোপন করবেনা, সাহসী হবে, যেকোন অন্যায়ের শুরুতেই প্রতিবাদ করতে শিখবে। এটা খুব জরুরী।

পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোতে ছোটবেলা থেকেই পরিবার ও রাষ্ট্র অত্যন্ত কঠোরভাবে ছোট-বড় সব অন্যায়কে প্রতিহত করতে ও নিজে অন্যায় না করতে শেখানো হয়। তাই ওদের দেশে অপরাধ কম। নিচের ভিডিওটি দেখার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি


https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1887471028173388&id=100007315272396






মন্তব্য ২৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:৫১

রওশন_মনি বলেছেন: আপনার শেষকথাটি আমার মনের কথা।আমার আরও মনে হয়,বিদ্যাশিক্ষার প্রতি আমাদের পরিবার,সমাজ এবং রাষ্ট্র যেভাবে গুরুত্ব দিয়ে থাকে, এরসাথে যদি নৈতিক শিক্ষাকে সমান বা একটু বেশি গুরুত্ব দেয়া হতো যেমন- শিখানো হতো, মার্কস দেয়া হতো, প্রাকটিস,প্রাকটিক্যাল এরকম কিছু করানো হতো অর্থাৎ অভ্যাস করানো হতো পারিবারিকভাবে এবং শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে। তাহলে জাতি পূর্ণশিক্ষিত হতো।পরিবারে,সমাজে,দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হতো।

১৬ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:০৭

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ আপা।

২| ১৭ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:০৯

শৈবাল আহম্মেদ বলেছেন: ধন্যবাদ,আপনি আমার মনের কথাগুলো আরো স্বাভাবিক ও যুক্তিসংগত করে তুলেছেন। এমন সুন্দর ও নিরপেক্ষ জ্ঞানের কথাগুলো বাংলার মাথাওয়ালারা কি কখনও কাজে লাগাবে? নাকি আপন স্বার্থে বিভোর বাঙ্গালী মানুষ সঠিক ও সত্যটার দিকে ঘাড় ফিরিয়ে তাকানোর সময় পর্যন্ত পাবে? আফছোস হয়-এমন ভাল ভাল কথাগুলো শুধু বাতাশে ভেষে বেড়াচ্ছে। আমাদের ভোতা অনুভূতিতে কবে যে এমন সুচিন্তা কার্যকর হবে কে জানে। সেদিন হয়ত প্রকৃত্ব মানুষের আত্নাগুলো একটু শ্বান্তি পাবে।

১৭ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১:০৪

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩| ১৭ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:১২

সুপ্ত আগ্নেয়গিরি বলেছেন: আহ! কী অমিয় বাণী!!! নিজের দেশকে খাটো করে উপস্থাপন।

১৭ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১:১০

আলপনা তালুকদার বলেছেন: তাও তো পাঁচ বার দূর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হবার কথা বলিই নাই। বাংলাদেশ ব্যাংক ডাকাতি, সুইস ব্যাংকে টাকা পাচার, শেয়ার বাজার লুট,..... এসব তো বাদই দিয়েছি।

সত্যি কথা সবসময় তেতো। তবে নিজের সমালোচনা করতে না জানলে নিজেকে শোধরানো যায়না, আত্মতৃপ্তি পাওয়া যায় শুধু। ধন্যবাদ।

৪| ১৭ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:১৩

সুপ্ত আগ্নেয়গিরি বলেছেন: লেখার সাথেই একমত হতে পারলাম না।
আপনি নেদারল্যন্ড কে এক নম্বর সভ্য দেশ বলেছেন। খোজঁ নিয়ে দেখুন এরা অধিকাংশই পুটুকামী

১৭ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১:১৬

আলপনা তালুকদার বলেছেন: তাতে সমস্যা কি? রেপ তো করেনা। অন্যের ক্ষতি না করে কিছু করলে তাকে অপরাধী বলা যায়না।

৫| ১৭ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি খুব সুন্দর করে গুছিয়ে লিখেছেন।
সহজ সরল ভাষায় সহজ সরলভাবে লিখেছেন।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।

১৭ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১:১৮

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ

৬| ১৭ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:৩৪

কানিজ রিনা বলেছেন: আমাদের দেশের পরিবার থেকে বখে যাওয়া
সন্তান গুলই সমাজ কলংকীত করছে।
যেমন আপন জুয়েলারীর মালিকের ছেলে।
এরকম হাজার হাজার পরিবার আছে যাদের
ছেলেরা বখে যায় টাকার জোরে কিছু ভাল
ছেলের আয়ত্ব্যে এনে ভাল গুলকে চতুরতায়
নষ্ঠ বানায়। আর রাষ্ট্রিয় ভাবে এদের অন্যায়
হাতে গোনা কয়েকটা বিচার হোলেও সবই
মামলাধীন অবস্থা তামাদী হয়ে যায় সাক্ষী
সাপদের অভাবে। আমাদের দেশের আইনজীবি
উকিলগুল এসব কেস যেমন খুন ধর্ষন গুম
হওয়া কেসগুল হাতে পেলে রাতারাতি কটিপতি
হয়ে যায়। মামলার আইনগুল নয়ছয় দেখিয়ে
এমনকি থানার তদন্তকারীকে হাত করে কেস
দুরল করে সাজানো হয় বলে বিচারক বিচার
কার্জ সুষ্ঠ বিচার করতে পারেনা।
সাধারনত আমার বিধোবা মায়ের জমি জাল
হয়ে যাওয়া কেস নিয়ে থানা থেকে ভূমি অফিস তৌসিল অফিস সব জালজালিয়াতির
পসরা এমনকি আমাদের উকিলের মহুরির
হাত করে টাকা দিয়ে নথি থেকে আসল
কাগজ পত্র সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

অপরাধ প্রবনতা রন্ধ্রে রন্ধ্রে জড়িয়ে গেছে
সমাজে। এখন খুব কম পরিবার থেকেই
একটি সৎ ছেলে বাহির হয়। যদিও হয়
বাইরের পরিবেশ ভাল থাকতে কঠিন হয়ে পড়ে
এখন থেকে বিশ বছর আগেও একটা যৌথ
পরিবারের দশটা ছেলের মধ্যে হয়ত একটা
এমন ওমন হোত। এখন একটি পরিবারের
একটি ছেলেই অতি আদরে বখে যাচ্ছে যা
বাবা মা গোপন করে শেষ বয়সে এসে পস্তায়।
আমাদের পরিবারে এমন ভাবে ধর্মীয় অনুশাসন
চলত কোনও ছেলে সন্ধার পর ঘরের বাহিরে
থাকলে চরম শাস্তির ব্যবস্থা করা হত।

কিন্তু এখন সে সব বদলে গেছে। সেই সাথে
পাশ্চাত্ব্য নেট জগত ঝড় হাওয়ার গতিতে বয়ে
যাচ্ছে শহর কিম্বা মফর্সল। যা আমাদের
সামাজিকতায় অপরাধ প্রবনতা উর্ধগতিতে
চলছে।

তারপর বাইরের সমাজে নেশাদ্রব্য। নেশা দ্রব্যের ব্যবসায় কোটিপতি চাটুকাররা রাজনীতি
যখন যেদল থাকে তাদের চোখে আঙলদিয়ে
চলে। প্রশাসন উপরওয়ালার চোখ রাঙানিতে
চুপ থাকে। আর প্রতিটি ধর্ষন হয় নেশাখোর
ব্যক্তির দ্বারা আজকাল ঘরে ঘরে বড়লোকদের
কাছে মদের লাইসেন্স তারা নানান রকম
অপকর্মে জড়িয়ে থাকে।

আলপনা দারুন একটা লেখা দিয়েছ। তাই কিছু বলতে পারলাম। তোমাকে অসংখ্য
ধন্যবাদ।

১৭ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১:২০

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ভাল লিখেছেন। যারা স্বীকার করতে চায়না, তারা বুঝবে দেশের প্রকৃত অবস্থা। ধন্যবাদ আপা।

৭| ১৭ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:২৪

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: এম কবে হবে আমাদের দেশে ! সেই প্রত্যাশা সবসময়ের।

১৮ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:২৮

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ।

৮| ১৮ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:৫৫

টারজান০০০০৭ বলেছেন: বাংলাদেশে অপরাধ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হইলো , অপরাধের সংজ্ঞার ব্যাপক পরিধি ! মদ, গাজা , জুয়া , পতিতাবৃত্তি ,ধর্ষণ , অবৈধ সঙ্গম , ধর্মের বিরুদ্ধে বলা, সরকারের বা প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে বলা, এমনকি নেতাকর্মীদের সালাম না দেওয়াও অপরাধ ! তাইলে অপরাধ বৃদ্ধি পাইবে নাতো কি হইবে ?

তাছাড়া অপরাধীদের এখানে গৃহপালিত পশুর মতন পালা হয় ! তাই অপরাধ বৃদ্ধি পাইবেই !

আব্দুল্লাহ আবু সাঈদের কোনো এক বচনে পড়িয়াছিলাম , যখন ডাকাতের সংখ্যা বাড়িয়া যায় , তখন নিজেদের নিরাপত্তা রক্ষার জন্যই ডাকাতরা একত্র হইয়া শান্তি প্রতিষ্ঠা করে ! নইলে নিজেদের পশ্চাৎদেশও অক্ষত থাকে না যে ! একারণেই গুলশান , বনানী , বারিধারা , বসুন্ধরাতে শান্তি তুলনামূলক ভাবে বেশি দেখা যায় ! একই কারণে পাশ্চাত্যেও !

পাশ্চাত্য সারাজীবন ডাকাতি করিয়া নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থেই এখন সাধু হইয়াছে ! তাই তাহাদের দেশে অপরাধ নাই ! তাছাড়া মৌলিক চাহিদা পূরণ , সামাজিক নিরাপত্তা , লাগাম ছাড়া যৌনতা, মাঝে মাঝে পোঙটামো করার অবাধ অধিকার, এগুলো থাকিলে আর অপরাধ করার দরকার কি ? তাছাড়া অন্যদেশে আকাম কুকাম , মানুষ মারা , প্রতারণা, ডাকাতি এগুলো তো বন্ধ নাই ! শুধু নিজ দেশে না করিলেই হইলো !

তাহাদের পুরোন অভ্যাস , ফায়ারপ্লেসে আগুন জ্বালাইয়া নিরাপদ দূরত্বে থাকিয়া উহার তাপ উপভোগ করার মানসিকতাতো এখনো যায় নাই ! তাই তৃতীয় বিশ্বে আগুন জ্বালাইয়া তাহারা নিজ দেশে শান্তি স্থাপন করিতেছে ! না হইলে সম্পদের ফ্লো তাহাদের দিকে যায় না যে !

১৮ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৫

আলপনা তালুকদার বলেছেন: খুব সত্যি কথা। তাহলে দোষ তো তাদের নয়। আমরা তাদেরকে সুযোগ করে দিচ্ছি আমাদেরকে শোষণ- নির্যাতন করার। এই সুযোগ না দিলেই তারা কিছু করতে পারেনা। ভারত ছাড় বা মুক্তিযুদ্ধ তার প্রমাণ। তবে তাদের কিছু ভাল জিনিস আমরা নিতেই পারি (নিচ্ছিও) নিজেদের ভালর জন্য। জ্ঞান, যন্ত্র, অষুধ,.... ইত্যাদি। ধন্যবাদ।

৯| ১৮ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:২৯

ঘুড্ডির পাইলট বলেছেন: আপ্নার লেখার সাথে আমি সহমত জানাই। সেই সাথে যোগ করতে চাই একটা পয়েন্ট। আমাদের দেশের বেশিরভাগ
কিশোর কিশোরী মাত্রাতিরিক্ত বেয়াদব, এগুলা বড় হয়ে নানাবিধ অপরাধের সাথে জড়িত হয়
কিছু অপরাধ আছে যেটা গোপন থাকে , বিচার হয় না।

৯০, এর যুগের কিশোর কিশোরীদের সাথে বর্তমানের তুলনা চোখে পরছে বলে এমন মন্তব্যটি করলাম,

১৮ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:৫৩

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ঠিক। এটা নিয়ে আমি আমার বিভিন্ন লেখায় লিখেছি। "প্রেমে প্রতারণা ও তার প্রতিকার" নামে আমার ব্লগে একটি লেখা আছে। চাইলে দেখে নিতে পারেন। অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।

১০| ১৮ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:১৭

বাকরখানি বলেছেন: কথায় কথায় ধর্মের পিছনে লাগা গত কয়েক বছর সেলিব্রিটি হৈতে চাওনের পয়লা লক্ষণ হৈয়া যাইতাসে।

আফনে কুনুদিন নেদারল্যান্ডসে গেছেন? নাকি বইয়ে পৈড়া এই রুপকথা শুনাইতে আসছেন বাংলাদেশিদের? আফনে জানেন নেদারল্যান্ডসে ধর্মের দৃষ্টিতে পাপচার যেগুলা সেগুলা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য বিশেষ কিছু এলাকা আছে যে? ঐসব এলাকায় কিসব কাজকাম হয় জীবনে দেখলে এমনে ডাচদের সুনাম লেখতেন না। নরওয়ে, ফিনল্যান্ড এই দুইটা দেশের সব নিয়মনীতি বিশেষ এক সমাজ ব্যবস্হার অধীনে চলে-যেইটা ওদের সামাজিক এবং আর্থিকভাবে নিশ্চিন্ত রাখে মরার আগে পর্যন্ত।

আরও শুনবেন? কন তো রাষ্ট্রীয়ভাবে কোন ধর্ম মানা হয় না এরকম দেশ কয়টা দুনিয়ায়? ওগুলার অবস্হা তো হিসাবে হল্যান্ডের চেয়েও ভাল হওনের কথা, বাস্তবে হল্যান্ডের চেয়ে খারাপ কেন?

অপরাধ নিয়া দৃষ্টিভঙ্গী দুনিয়ার কোথাও পাল্টায় নাই, অপরাধীরে নিয়াও না। অনেক দেশে ফাঁসি উঠায়া দিসে মানে অপরাধরে ভালুবাসার দৃষ্টিতে দেখা আর অপরাধীরে সাধু মনে করা না।

১৮ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:১৭

আলপনা তালুকদার বলেছেন: রাষ্ট্রীয়ভাবে ধর্ম মানা আর 'ধর্মীয় কুসংস্কারমুক্ত' হওয়া এক জিনিস নয়। আমি ধর্মের পিছনে লাগিনি। আপনি আমার বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করেছেন।

আপনার কথামত, কোন দেশে না গেলে সে দেশ সম্পর্কে কেউ কিছু লিখতে পারবে না। এ আইন কি আপনি বানালেন?
আমাদের দেশেও পতিতালয় আছে। তবু বাবা মেয়েকে রেপ করে।

"অপরাধ নিয়া দৃষ্টিভঙ্গী দুনিয়ার কোথাও পাল্টায় নাই, অপরাধীরে নিয়াও না।" - তাহলে আমি যে কৌশলগুলো বলেছি, সেগুলো ওরা
নিচ্ছে কেন? আর জেলখানাগুলোই বা বন্ধ হচ্ছে কেন?

ধন্যবাদ।


১১| ১৮ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:৪৩

বাকরখানি বলেছেন: রাষ্ট্রীয়ভাবে ধর্ম মানা আর 'ধর্মীয় কুসংস্কারমুক্ত' হওয়া এক জিনিস নয়। আমি ধর্মের পিছনে লাগিনি। আপনি আমার বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করেছেন।

হল্যান্ডে গেলে দেক্তেন যে হেরা ধর্মীয় কুসংস্কার অন্যান্য দেশের চেয়ে খুব কম মানে সেইটা না। উন্নত যেসব দেশে ধর্মের ব্যাপারে গাছাড়া হয়া গেসে, কখনও কথা কৈলে পরে কারও সাথে দেক্তেন হেরা ধর্ম নিয়া কোন কেয়ারই করে না, ধর্মের নীতির খবর নাই কুসংস্কার মানা তো আরও পরের কথা। জাতিগতভাবে ধর্মের ব্যাপারে উদাসীন হয় যখন সারা দেশে একরকম হয় তখন, গরীব দেশগুলার মত চাপায়া দেয়া সিদ্ধান্ত না।


"অপরাধ নিয়া দৃষ্টিভঙ্গী দুনিয়ার কোথাও পাল্টায় নাই, অপরাধীরে নিয়াও না।" - তাহলে আমি যে কৌশলগুলো বলেছি, সেগুলো ওরা
নিচ্ছে কেন? আর জেলখানাগুলোই বা বন্ধ হচ্ছে কেন?


আজিব তো। জেলখানা বন্ধ হৈতাসে কারণ অপরাধ কমসে। আফনে যেই কারণগুলা দেখাইসে, সেইটার ফাঁকগুলান দেখাইলাম তাও আফনে গো ধৈড়া আছেন। অপরাধীর ব্যাপারে সমাজের দৃষ্টিভংগী নরম হৈসে এই জিনিষ কই পাইসেন জানার জন্যই জিগাইসিলাম কখনও হল্যান্ডে গেসেন নাকি। সমাজ ব্যবস্হা নিয়া টানাটানি কর্লেন আবার, পরিষ্কার ভাষায় আমার কমেন্টে লেকসি ফিনল্যান্ড আর নরওয়ের বিশেষ অর্থনৈতিক সিসটেমের কথা, যেইটা প্রত্যেকটা নাগরিকরে মরার আগ পর্যন্ত সামাজিক আর আর্থিক নিরাপত্তা দেয়। সেইটার সাথে হল্যান্ডের ব্যবস্হার কোন মিলই নাই।

ঠ্যাং-এ এংকেল মনিটর অনেক দেশেই লাগায়। বাংলাদেশের কোন জেলে ঢুইকা দেকসেন পরিবেশ? ঐ জিনিষ এত আসামীর জন্য ব্যবহারের টাকা পাইব কৈ সরকারে?

জাইগা উঠেন ভগিনী। বাংলাদেশের বাস্তবতা আর স্বপ্নের মধ্যে আকাশ পাতাল ফারাক। পকেটে নিশ্চিত টাকা, কাজের নিশ্চয়তা থাকলে অপরাধের হার কিছু হৈলেও কমত। সেইগুলা বলেন।

১২| ১৯ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:০৪

টারজান০০০০৭ বলেছেন: যেহেতু অপরাধের সংজ্ঞার পরিধি ব্যাপক হওয়ার কারণে বাংলাদেশে অপরাধের সংখ্যা বৃদ্ধি পাইতেছে , একারণে অপরাধের মাত্রা কমানোর জন্য অপরাধের সংজ্ঞা থেকে মদ, গাজা , জুয়া , পতিতাবৃত্তি ,ধর্ষণ , অবৈধ সঙ্গম , ধর্ম বিদ্বেষ , সরকারের বা প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে বলা, সমকামিতা এগুলো মুছে ফেললেই অপরাধ কমে যাবে ! :D =p~

১৯ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:১৮

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ঠিক। ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.