নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষের মন, ভাবনা, অনুভূতি ও ভালবাসা বৈচিত্র্যময় বলেই পৃথিবীটা এত সুন্দর!https://www.facebook.com/akterbanu.alpona

আলপনা তালুকদার

ড.আকতার বানু আলপনা,সহযোগী অধ্যাপক, শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউট, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী

আলপনা তালুকদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্ম এবং মানবিকতা

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৪



কিছুদিন আগে ফেসবুকে পড়েছিলাম, নবিজীকে গালি দেওয়ায় এক শিক্ষককে ছাত্ররা মেরে নাক ফাটিয়ে দিয়েছে। ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটুক্তি, কার্টুন, বিকৃত ছবি, বই ইত্যাদি প্রায়ই শোনা যায়। নানা দেশে এসবের তীব্র প্রতিবাদও হয়। কখনো কখনো মাথার দাম নির্ধারণ, 'মুরতাদ' ঘোষণা, খুন - এসবও হয়। প্রতিবাদ সাভাবিক। কেননা আমাদের ধর্মে তা করতে বলা হয়েছে। শুধু কি ইসলাম ধর্ম নিয়েই লোকে কটুক্তি করে? না। উদাহরণ দেই।

অনেক পুরনো ভারতীয় বাংলা ছবি 'যমালয়ে জীবন্ত মানুষ' ছবিতে ভগবানের বিচারব্যবস্থাকে তীব্রভাবে ব্যাঙ্গ করা হয়েছে। হিন্দুধর্মে যদি প্রতিবাদ করতে বলা হতো, তাহলে এ ছবি মুক্তি পাবার কথা নয়। ভুলক্রমে মুক্তি পেলেও হিন্দুদের প্রতিবাদের কারণে ব্যান হবার কথা। তা হয়নি। সম্প্রতি 'পিকে' ছবিতেও ধর্ম নিয়ে অনেক আপত্তি করার মত বিষয় উঠে এসেছে। এটিও ব্যান হয়নি।

বিভিন্ন লেখা, নাটক-সিনেমায় প্রতিনিয়ত ধর্ম নিয়ে মানুষ আপত্তিকর মন্তব্য করে।কিন্তু আমরা মুসলিমরা ছাড়া আর কোন ধর্মাবলম্বীরা সেভাবে আপত্তি করেনা। তাদের ধর্মে তা করতে বলা হয়নি বলেই হয়তো করেনা।

ভারতের কোন কোন রাজ্যে, যেমন গুজরাটে গরুর মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ। গরুর মাংস খাওয়া ও রাখার গুজব ছড়িয়ে যখন ভারতে মুসলিম হত্যা শুরু হয় তখন হিন্দু হয়েও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শোভা দে, ভারতের সুপ্রীম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি মার্কন্ডেয় কাটজু প্রকাশ্যে গরুর মাংস খান, খাবেন, এতে দোষের কিছু আছে বলে তারা মনে করেন না, এমন ঘোষণা দেন। কিন্তু আমাদের মত কোন হিন্দু তাদের 'মুরতাদ' জাতীয় কোন ঘোষণা দিয়ে খুন করতে যায়নি।

প্রশ্ন হলো, কেন ইসলামকে নিয়েই বার বার নানা আপত্তিকর মন্তব্য, বই, ছবি প্রকাশ করা হয়? এর কারণ কি? কেন মানুষ ইসলাম বা নবীকে নিয়ে কটুক্তি করে? কি লাভ তাতে?

মানুষের সহজাত কিছু প্রবৃত্তি আছে ( যার কারণে অন্যায় জেনেও আমরা কিছু কাজ করি) যেগুলো এর পেছনে দায়ী হতে পারে। যেমন -

- আমাদের প্রবৃত্তি আছে অন্যকে কষ্ট দিয়ে মজা পাওয়া,

- অন্যের মনে আঘাত দিয়ে প্রতিবাদ দেখা,

- আলোচনায় আসা, বিখ্যাত হওয়া, নিজের জ্ঞান জাহির করা,

- নিজে যা পছন্দ করিনা তা অন্য কেউ পছন্দ করুক তা মেনে না নেওয়া,

- নিজের মত অন্যের উপর চাপানো,

- অন্যের স্বাধীনতায় বাধা দেয়া,

- ক্ষমতার অপব্যবহার করা,

- ভিন্ন ধর্মের মানুষের বিশ্বাস বা আচারের প্রতি শ্রদ্ধাবোধের অভাব,

- ভিন্ন ধর্মের লোকেদের হত্যা করে বা উচ্ছেদ করে তাদের সম্পদ বা সম্পত্তি দখল করার জন্য ধর্মের মত স্পর্শকাতর বিষয় সম্পর্কে কুটসা রটানো বা ধর্মকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা,

- ধর্ম নিয়ে নানা কুরূচিপূর্ণ মন্তব্য বা বিপরীত মত প্রকাশ করার আরেকটি বড় কারণ হল ধর্মের নানা বিষয় সস্পর্কে একমত হতে না পারা বা যুক্তিসংগত মনে না হওয়া।

হতেই পারে। সেটা তার সমস্যা। মানুষের চিন্তার স্বাধীনতা থাকা দরকার। ভাবতেই পারে যা খুশী। যেমন আমরা ভাবতে পারি আমাদের ধর্ম সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ। একজন হিন্দু, বৌদ্ধ বা ক্রিশ্চিয়ান ভাবতে পারে তার ধর্ম শ্রেষ্ঠ। তেমনি একজন অবিশ্বাসী ভাবতে পারে সব ধর্মই মিথ্যা বা বানোয়াট।

অন্য ধর্মের লোকেরা প্রতিবাদ করেনা বলেই তাদের ধর্ম নিয়ে কেউ কিছু বলেনা বা আমাদের ধর্ম নিয়ে বলে। পশ্চিমা দেশগুলোতে কেউ যদি যীশু বা বাইবেল সম্পর্কে আজেবাজে কথা বলে, তাহলে লোকে দেখে মুচকি হেসে চলে যাবে। কিছুই বলবে না। নিষেধ ও করবেনা। কি বলছে, কেন বলছে জানার চেষ্টাও করবেনা।

কাউকে জব্দ করার সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র হল, তাকে এড়িয়ে যাওয়া, তার কথায় কান না দেয়া। আমরা কান দেই বলেই সালমান রুশদীরা বিখ্যাত হয়ে যায়, একের পর এক সালমান রুশদী জন্ম নেয়, ইসলাম নিয়ে কটুক্তি বাড়ে, মুসলিমরা কট্টর-উগ্রপন্থী-ধর্মান্ধ হিসেবে কুখ্যাতি কুড়ায়, মুসলিমদের প্রতি ঘৃণা-বিদ্বেষ-নির্যাতন বাড়ে।

একটু চিন্তা করলেই বোঝা যায়, একজন বিধর্মী বা অবিশ্বাসী নেতিবাচক কিছু বললেই কি ইসলাম ধংস হয়ে যাবে? ইসলাম কি অতই ঠুনকো? একজন বিধর্মী বা অবিশ্বাসীর কথায় কি এসে যায়?

আমার নানাবাড়ী জয়পুরহাটের দোগাছি ইউনিয়নের ঘাশুরিয়া গ্রামে (পোস্টঅফিস দরগাতলাহাট)। এ গ্রামের ৬/৭ ঘর মুসলিম আর বাকী পুরো গ্রামের বাসিন্দারা হিন্দু। আমার নানা ছিলেন এ গ্রামের প্রধান। সারাজীবন উনি গ্রাম্য নানা সালিশে বিচার করেছেন, গ্রামের মানুষের নানা প্রয়োজনে পাশে থেকেছেন। ছোটবেলা থেকে দেখেছি, যখন পুরো গ্রামে মোটে ২/৩ টা টিউবওয়েল ছিল তখন নানার বাড়ীর আশপাশের সবকটি হিন্দু বাড়ীর লোকজন নানার কলের পানি খেত, নানার পুকুরে গোসল করত, ষষ্ঠী পূজার ফল নিয়ে যেত নানার বাগান থেকে।

সবচেয়ে বেশী অবাক হতাম, গ্রামের পূজা-কীর্তনের সময় ঢাকঢোল বাজিয়ে গ্রামের নারী-পুরুষ উৎসব করতো, কিন্তু নানার উঠানে আসতোনা। কি সুন্দর সহাবস্থান! গ্রামের প্রতিটা বিয়েতে নানার দাওয়াত থাকতো। নানা তাঁর পুকুরের বড় বড় কাতল মাছ তুলে দিতেন বিয়েতে রান্নার জন্য। নতুন বর-বৌ নিয়ে লোকজন আসতো নানার দোয়া নিতে। নানা নতুন বর-বৌকে দোয়া করতেন, নতুন বৌয়ের হাতে টাকা দিতেন।

নানার সবচেয়ে ভাল বন্ধু ছিলেন যতীন বৈরাগী দাদু। তিনি নানার সাথে বর্ষার দিনে একই ছাতার তলে আধাআধি ভিজতে ভিজতে হাসিমুখে গল্প করতে করতে হাট থেকে ফিরতেন। ছোটবেলায় দাদু আমাকে মাছ ধরার খুতি বানিয়ে দিতেন। আখের জমির ভিতর দিয়ে যে নালা বয়ে গেছে, সেইখানে খুতি ফেলে রাখলে রাতে তাতে মাগুর আর টাকি মাছ পড়ত। কিডনি রোগে ভুগে দাদু মারা যাবার পর গ্রামের হিন্দুদের সাথে আমিও কেঁদেছি।

এখনো নানার বাড়ী গেলে গ্রামের লোকেরা আমাকে দেখে খুব খুশী হন , একান্ত আপনজনকে দেখলে লোকে যেমন হয়। কুশল বিনিময় করে। আমি অনেকের বাড়ীতে যাই। আমার মনে আছে, আমার সন্তান হবে শুনে এক কাকীমা বলেছিলেন, "আশীর্বাদ করি তোমার ছেলে হোক মা।" আমি অবাক হয়েছিলাম। আমার ছেলে হলেও ওনার কিছু যায় আসেনা, মেয়ে হলেও না। ওনার মেয়ের জন্য তিনি যে দোয়া করতেন, আমার জন্যও তাইই করেছেন। এরই নাম মানবতা। এখনো নানা কাজে নানার গ্রামের হিন্দু লোকজন রাজশাহী এলে আমাদের বাসায় ওঠে। আম্মা পরম যত্নে তাদের দেখাশোনা করেন। দেখে আমার ভাল লাগে।

গত ২৭ জানুয়ারী শুক্রবার রাত ন'টায় রাজশাহী মেডিকেলে হার্ট এ্যাটাকে আমার মামা মারা যান। পরেরদিন সকালে মামার লাশের পাশে সিঁদুর পরা বৌগুলোকে অঝোরে কাঁদতে দেখে আবার অবাক হলাম। একদিকে শোক, আরেকদিকে ভিন্ন ধর্মের মানুষগুলোর এমন মনের টান আমাকে আনন্দ দিয়েছে, এই ভেবে যে, আমাদের মানবিকতাবোধ এখনও পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায়নি।

মায়ানমারে গণহত্যার ছবি ও ভিডিওগুলোতে দেখেছি, কি নির্মম নির্যাতন। মানুষের কান্নায় যে মানুষের মন বিচলিত হয়না, সে মানুষ মানুষ নয়। ধার্মিক তো নয়ই। যে স্রষ্টার সৃষ্ট জীবের প্রতি দয়া করতে জানেনা, সে স্রষ্টার আদেশকে অমান্য করে। সে ধার্মিক হয় কি করে?

একটা গ্রামের কৃষক, কামার, কুমার, জেলে, তাঁতি.... সবার পরিশ্রমের ফল আমাদের কাজে লাগে। ধর্মের বিভাজন করে আমরা তাঁদের অবদান নিতে অস্বীকার করিনা। তেমনি পৃথিবীটাকে একটা গ্রাম ধরে নিলে সব ধর্মের মানুষের, এমনকি অবিশ্বাসীদের অবদান কে (জ্ঞান-বিজ্ঞান, চিকিৎসা, যোগাযোগ... ইত্যাদি সব ক্ষেত্রে) গ্রহণ না করে আমরা বাঁচতে পারিনা।
অথচ শুধুমাত্র ভিন্ন ধর্ম বিশ্বাসের অজুহাতে আমরা নিজেদের হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার অপরাধকে আড়াল করি। যারা এটা করে, তারা নিজেরাও জানে সেটা অন্যায়। তবু করে। কারণ ব্যক্তিস্বার্থ মানবতার চেয়ে বড় হয়ে গেছে, দূর্বলের উপর অত্যাচারের শাস্তির নিশ্চয়তা কমেছে, বেড়েছে প্রশ্রয়।

ধর্মের কারণে পৃথিবীর শুরু থেকে আজ পর্যন্ত যত রক্তপাত হয়েছে, আর কোন কারণে কি ততটা হয়েছে? তাহলে ধর্ম না থাকাই কি ভাল নয়?

একজন হিন্দু পাঁঠার মাংস খেতে পারলে একজন খ্রীষ্টান শুকরের মাংস খেতে পারলে একজন মুসলিমেরও গরুর মাংস খাবার অধিকার থাকার কথা।

একজনের ধর্ম মানার অধিকার থাকলে আরেকজনের তা না মানার অধিকারও থাকা উচিত।

নিজ ধর্মের কেউ ভিন্ন ধর্মের কাউকে মারলে যেমন পাপ হয়, তেমনি নিজ ধর্মের কেউ নিজ ধর্মের কাউকে মারলেও পাপ হবার কথা।

কোন অজুহাতেই মানুষ হয়ে মানুষকে আঘাত করা উচিত নয়। ধর্মের দোহায় দিয়ে হলেও নয়। যারা ধর্ম মানে, তারা জানে, অন্যায়ের শাস্তি থেকে স্রষ্টা কাউকে রেহায় দেবেন না। আমরা ধার্মিক হলে স্রষ্টার উপরে আমাদের ভরসা থাকা উচিত।

এখন প্রশ্ন হলোঃ ভিন্ন ধর্মের কারো দ্বারা নিজ ধর্মের কেউ নির্যাতিত হলে আমরা যতটা বিচলিত হই, নিজ ধর্মের কেউ ভিন্ন ধর্মের কাউকে নির্যাতন করলে ততটা বিচলিত হই কি????

বাংলাদেশে হিন্দুরা নির্যাতিত হলে ভারতের মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়ে। কোন ভারতীয় হিন্দু কোন ভারতীয় মুসলিমকে নির্যাতন করলে তেমন পড়ে কি?

রামুর ঘটনায় মায়ানমারের লোকেরা যতটা বিচলিত ছিল, মায়ানমারে মুসলিম হত্যায় ততটা ছিল কি?

ভারতে হিন্দুদের দ্বারা, মায়ানমারে বৌদ্ধদের দ্বারা, ফিলিস্তিনে ক্রিশ্চিয়ান ইসরাইলদের দ্বারা মুসলিমরা নির্যাতিত হলে আমরা যতটা প্রতিবাদমুখর হই, আমাদের দেশে বৌদ্ধ-হিন্দুরা মুসলিমদের দ্বারা নির্যাতিত হলে ততটা হই কি? কিংবা পাকিস্তান, ইরাক, লিবিয়া, সিরিয়ায় মুসলমানদের দ্বারা মুসলমানরা নির্যাতিত-খুন হলে ততটা হই কি????

এই প্রশ্নের জবাব বুকে হাত দিয়ে দিতে পারলেই মানবতার জয় হবে। ধর্ম নিয়ে ধর্মান্ধতা, ধর্মের নামে অধর্ম নির্বাসিত হবে।

খুব খুব ভাল থাকবেন বন্ধুরা.....

লেখকঃ ড. আকতার বানু, সহযোগী অধ্যাপক, আই. ই.আর., রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী।

(আমার এই লেখাটি আমি আমার মরহুম মামাকে উৎসর্গ করছি। মামা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞানে মাস্টার্স করে গ্রামীণ ব্যাংকের সিনিয়র প্রিন্সিপ্যাল অফিসার পদে থাকাকালীন স্বেচ্ছা অবসর নিয়েছিলেন। ওনার নাম ছিল মোঃ সানোয়ার হোসেন প্রধান। বয়স ছিল ৫৪ বছর। হার্ট এ্যাটাকে মারা গেছেন। আমি ওনার জন্য দোয়া চাচ্ছি।)

(রিপোস্ট)

মন্তব্য ৫৭ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৫৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২২

চাঁদগাজী বলেছেন:


"ভুলক্রমে মুক্তি পেলেও হিন্দুদের প্রতিবাদের কারণে ব্যান্ড হবার কথা। তা হয়নি। সম্প্রতি 'পিকে' ছবিতেও ধর্ম নিয়ে অনেক আপত্তি করার মত বিষয় উঠে এসেছে। এটিও ব্যান্ড হয়নি। "

-কোন ব্যান্ডের কথা বলছেন, আইয়ুব বাচ্চুর ব্যান্ড?

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:০৯

আলপনা তালুকদার বলেছেন: আপনার যা খুশী ধরে নিন। ধন্যবাদ।

২| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৩

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: মানবতার জয় হোক।
আপনার মামার জান্নাত বাস কামনা করছি।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:১০

আলপনা তালুকদার বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।

৩| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৫

সেয়ানা পাগল বলেছেন: @ চাঁদগাজী

আপনি যে superiority complex ভোগেন, উপরের মন্তব্য তার প্রমাণ।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:১৩

আলপনা তালুকদার বলেছেন: সমস্যা নেই। পাঠক যা খুশী বলতেই পারে। ধন্যবাদ।

৪| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


@সেয়ানা পাগল,

-স্যরি, মন্তব্যটা সঠিক হয়নি

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:১৩

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ইটস্ ওকে।

৫| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫০

মোঃ তানজিল আলম বলেছেন: যা বুঝাতে চেয়েছেন সেটা বুঝেছি মনে হয়, তবে সোজা পথে গিয়ে নয়, আকাবাকা পথে।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:১৪

আলপনা তালুকদার বলেছেন: যে পথেই হোক, বুঝলেই হলো। ধন্যবাদ।

৬| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৪৪

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর মতামত তুলে ধরেছেন । ইসলাম কখন কি করতে হবে বলে দিয়েছে। মুসলিম রাষ্ট্র জানে না মানে না ।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:১৫

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ঠিক। ধন্যবাদ।

৭| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:২৬

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: "ভুলক্রমে মুক্তি পেলেও হিন্দুদের প্রতিবাদের কারণে ব্যান্ড হবার কথা। তা হয়নি। সম্প্রতি 'পিকে' ছবিতেও ধর্ম নিয়ে অনেক আপত্তি করার মত বিষয় উঠে এসেছে। এটিও ব্যান্ড হয়নি। "

এখানে অাপনার ভুলটা ধরতে পেরেছেন কি ? ব্লগে এরকম ভুল অহরহই দেখি তা চোখে লাগলেও কিছু বলি না, কিন্তু আপনার ব্যাকগ্রাউন্ড এর কারনে এটাকে এড়িয়ে যাওয়া অসম্ভব...............

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৫১

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ব্যান্ড (banned) বলতে বাতিল বা নিষিদ্ধ বোঝানো হয়েছে। ধন্যবাদ।

৮| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৩৯

সেয়ানা পাগল বলেছেন: @নীল আকাশ ২০১৬
তখন দু একটাকে না কুপিয়ে B:-) !!!!!

তাহলে এবার রোহিঙ্গা মুসলিম ভাইদের প্রতি ঈমানই দায়িত্ব পালনে বাংলাদেশে বৌদ্ধদের ধরে ধরে কুপানো কবে শুরু করছেন?

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪৯

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ।

৯| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৪

নীল আকাশ ২০১৬ বলেছেন: @সেয়ানা পাগল, বাংলাদেশের বৌদ্ধদের ধরে কুপাবেন কেন? তারা কার কি ক্ষতি করল? মায়ানমারেও তো কোপাকুপি বৌদ্ধরা করছেনা - করছে অস্ত্রধারী সামরিক গুন্ডারা।

এখানে কুপানো বলতে কোপা শামসুর কোপ বুঝানো হয়েছে। ব্লগে প্রকাশের অযোগ্য বিধায় আসল শব্দ এখানে উল্লেখ করা হয়নি।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৫৯

আলপনা তালুকদার বলেছেন: শুধু অস্ত্রধারী সামরিক গুন্ডারা কোপাকুপি করছে, মায়ানমারের ছবি ও ভিডিওগুলো দেখে কিন্তু তা মনে হয়না। ধন্যবাদ।

১০| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১৯

সেয়ানা পাগল বলেছেন: ইসলামী চরমপন্থী সংগঠন আনসারুল্লা বাংলা টিম (এবিটি)-র সঙ্গে যোগ থাকার সন্দেহে তিন বাংলাদেশি যুবককে গ্রেফতার করল উত্তরপ্রদেশ পুলিশের অ্যান্টি-টেররিস্ট স্কোয়াড (এটিএস)।

এদিন আইজি (এটিএস) অসীম অরুণ জানান, ধৃতরা হল মহম্মদ ইমরান। রাজিউদ্দিন এবং মহম্মদ ফিরদৌস। সম্পর্কে তিনজনই ভাই। গতকাল হাওড়া-অমৃতসর এক্সপ্রেসে চড়ার সময় তিনজনকে ধরা হয়।

অসীমের দাবি, জেরায় তিনজনই স্বীকার করেছে তারা বাংলাদেশের বাসিন্দা। ধৃতদের হেফাজত থেকে তিনটি ভুয়ো আধার কার্ড বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পরে, তিনজনকেই গ্রেফতার করা হয়।

গত ৬ অগাস্ট, মুজাফ্ফরানগর থেকে সন্দেহভাজন এবিটি জঙ্গি আবদুল্লা ওরফে আল মামুনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে জেরা করে তিন ব্যক্তির খোঁজ পান গোয়েন্দারা।

এদিন অসীম জানান, আবদুল্লার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দেওবন্দের মাদ্রাসাগুলিতে তদন্ত করে এটিএস। জানা যায়, এক শিক্ষক ও তার দুই ভাই নিখোঁজ হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে তল্লাশি শুরু করে এটিএস। অবশেষে বুধবার, তিনজনকেই পাকড়াও করা হয়।

বাংলাদেশে আনসর বাংলা নামেও পরিচিত এবিটি। সম্প্রতি, বাংলাদেশে বেশ কয়েকজন মুক্তচিন্তাধারা ব্লগারের ওপর হামলা ও হত্যার অভিযোগ রয়েছে এই গোষ্ঠীর ওপর।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:০৯

আলপনা তালুকদার বলেছেন: মুশকিল হল, কিছু মানুষ ধর্মের ভুল ব্যাখ্যা করে ধর্মের নামেই পাপ করে না বুঝে। ধন্যবাদ।

১১| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৩৮

স্বতু সাঁই বলেছেন: ধর্মটা আসলে কি?

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:২০

আলপনা তালুকদার বলেছেন: বিশ্বাস।

১২| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৩২

স্বতু সাঁই বলেছেন: বিশ্বাস কোন জ্ঞান না। তার মানে যারা ধার্মিক তারা জ্ঞানী না, মূর্খ?!!

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫২

আলপনা তালুকদার বলেছেন: কখনও কখনও জ্ঞানীরাও মূর্খ। তারাও ধার্মিকদের মত পরখ না করেই (করা সম্ভব নয় বলে) অনেককিছু বিশ্বাস করে। আল্লাহ, ঈশ্বর, ভগবানকে কেউ দেখেনি। তবু ধার্মিকেরা তাদের অস্তিত্ত্বে বিশ্বাস করে। পৃথিবী কমলালেবুর মত, পৃথিবীর তিনভাগ জল, একভাগ স্থল,, সৌরজগত, বানর থেকে মানুষের জন্ম,...... এমন অনেককিছু আমরা পরখ না করেই বিশ্বাস করি জ্ঞান হিসেবে। জ্ঞানীরা একবার বলে - পৃথিবী স্থির, সূর্য ঘুরছে। আমরা তাই বিশ্বাস করি। তারা আবার বলে  - সূর্য স্থির, পৃথিবী ঘুরছে। আমরা সেটাও বিশ্বাস করি। সুতরাং কে জ্ঞানী, কে মূর্খ বলা কঠিণ। ধন্যবাদ।

১৩| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:০৫

মহসিন ৩১ বলেছেন: বিজ্ঞানীরাই বলেন যে পৃথিবী ধ্বংস হবে ! কিন্তু মানুষ আমরা, যাদের এখানে বসবাস তারা কি এটা মেনে নিতে পারছি? না পারছি না । সেই নস্ত্রাদামাস এর কাল থেকে আজ তক মানুষ সুধু কারণটাই দেখতে চাইছে --- আর সেটা খুঁজে ফিরছে ধর্ম-ভবিষ্যৎবক্তা-এবং বিজ্ঞান এসব মাদ্ধমে। অর্থাৎ মানুষ স্বস্তিতে নাই,এটা কোনও কোনও সময়ে ইতিহাসে খুব ভাল ভাবেই ' 'রিভিল' হয়েছিল ।---- এইসব কারণগুলিই সুধু জানা গেছে , যা অতীব সামান্য ; হোয়াইট কালচার এটার উত্তর খুঁজেছে ধম্মে। অন্তত ইতিহাসের পাটা তাই বলছে। হিন্দদু প্রাচীন যুগে তাঁরা জৈন আর জয়াস্থ্রুস্ত ধর্মে খুঁজেছে । আজ আমরা জানি। মুসলমানেরা তথাকথিত ধর্মের মাপে সেসবের ব্যাখ্যা দিলেও মানবতা বোধহয় এ ব্যাখ্যা মেনে নিচ্ছে না আর । মানুষ ধম্ম এবং চর্চার চেয়েও কারণ খুঁজে বের করতে কর্মতৎপর; বেশী।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৯

আলপনা তালুকদার বলেছেন: মানুষ আসলে মরতে চায়না। তাই তার সব চেষ্টা মৃত্যুকে জয় করা, তা সে বিজ্ঞান, ধর্ম যা দিয়েই সম্ভব হোক না কেন। কেয়ামত পর্যন্ত এ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। মানুষ মৃত্যুকে ভয় পায়। কারণ সে জানেনা, মৃত্যুর পরের জীবনটা আসলে কেমন? ধন্যবাদ।

১৪| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:১৩

মহসিন ৩১ বলেছেন: বিজ্ঞানীরাই বলেন যে পৃথিবী ধ্বংস হবে ! কিন্তু মানুষ আমরা যাদের এখানে বসবাস তারা কি এটা মেনে নিতে পারছি? না পারছি না । সেই নস্ত্রাদামাস এর কাল থেকে আজ তক মানুষ সুধু কারণটাই দেখতে চাইছে --- আর সেটা খুঁজে ফিরছে ধর্ম-ভবিষ্যৎবক্তা-এবং বিজ্ঞান এসব মাদ্ধমে। অর্থাৎ মানুষ স্বস্তিতে নাই,এটা কোনও কোনও সময়ে ইতিহাসে খুব ভাল ভাবেই রিভিল হয়েছিল ।---- এইসব কারণগুলিই সুধু জানা গেছে , যা অতীব সামান্য ; হোয়াইট কালচার এটার উত্তর খুঁজেছে ধম্মে। অন্তত ইতিহাসের পাটা তাই বলছে। হিন্দু প্রাচীন যুগে তাঁরা জৈন আর জয়াস্থ্রুস্ত ধর্মে খুঁজেছে । আজ আমরা জানি। মুসলমানেরা তথাকথিত ধর্মের মাপে সেসবের ব্যাখ্যা দিলেও মানবতা বোধহয় এ ব্যাখ্যা মেনে নিচ্ছে না আর । মানুষ ধম্ম এবং চর্চার চেয়েও কারণ খুঁজে বের করতে কর্মতৎপর; বেশী।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৯

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ

১৫| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:২৪

মহসিন ৩১ বলেছেন: বিজ্ঞানীরাই বলেন যে পৃথিবী ধ্বংস হবে ! কিন্তু মানুষ আমরা যাদের এখানে বসবাস তারা কি এটা মেনে নিতে পারছি? না পারছি না । সেই নস্ত্রাদামাস এর কাল থেকে আজ তক মানুষ সুধু কারণটাই দেখতে চাইছে --- আর সেটা খুঁজে ফিরছে ধর্ম-ভবিষ্যৎবক্তা-এবং বিজ্ঞান এসব মাদ্ধমে। অর্থাৎ মানুষ স্বস্তিতে নাই,এটা কোনও কোনও সময়ে ইতিহাসে খুব ভাল ভাবেই রিভিল হয়েছিল ।---- এইসব কারণগুলিই সুধু জানা গেছে , যা অতীব সামান্য ; হোয়াইট কালচার এটার উত্তর খুঁজেছে ধম্মে। অন্তত ইতিহাসের পাটা তাই বলছে। হিন্দু প্রাচীন যুগে তাঁরা জৈন আর জরাস্থ্রুস্ত ধর্মে খুঁজেছে । আজ আমরা জানি। মুসলমানেরা তথাকথিত ধর্মের মাপে সেসবের ব্যাখ্যা দিলেও মানবতা বোধহয় এ ব্যাখ্যা মেনে নিচ্ছে না আর । মানুষ ধম্ম এবং চর্চার চেয়েও কারণ খুঁজে বের করতে কর্মতৎপর; বেশী।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৯

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৬| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৫

পান-সুপারি বলেছেন: সতের নাম্বার কমেন্টের গাধাটা ব্লগের সবার সাথেই বাজে ব্যবহারে করে। নিজেরে ব্লগের হরিদাস পাল মনে করে গাধাটা।

০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:১৬

আলপনা তালুকদার বলেছেন: এটা কোন কথা????

১৭| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৭

অগ্রহায়ণ বলেছেন: জ্ঞানীরা একবার বলে - পৃথিবী স্থির, সূর্য ঘুরছে। আমরা তাই বিশ্বাস করি। তারা আবার বলে - সূর্য স্থির, পৃথিবী ঘুরছে।

এসব কথা কোন জ্ঞানীরা কখন বলেছে আমার জানা নাই। তবে ধর্মীয় ওয়াজ মহফিলে এসব কথা বলতে শুনি। আপনি যদি ওয়াজকারী জ্ঞানীদের সংস্পর্শে থেকে থাকেন তাহলে এসব বক্তব্য হয়তো শুনেছেন গণ্ডমূর্খদের কাছ থেকে।

স্বতু সাঁই যে কতটা সবজান্তা তা, তার এই মন্তব্যাংশটুকু থেকে অনুমান করা যায়।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০২

আলপনা তালুকদার বলেছেন: জ্বি, বুঝতে পারছি। আমার আপত্তির কারণ হলো, কেউ কিছু নাই জানতে পারে। কিন্তু অকারণে অন্যকে আক্রমণ ও চরম বেয়াদবি করবে কেন?????

১৮| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০৯

পান-সুপারি বলেছেন: মডারেটররা কি কাটে এই ধরণের প্রশ্ন করলে কাটাকারি বন্ধ করে আপনাকে ব্যান করবে। কিন্তু চাঁদগাজী বা এই ধরণের সাইকোগুলোকে কিছু করবেনা।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২৩

আলপনা তালুকদার বলেছেন: বেশ। তাহলে ব্লগ ছেড়ে দেব। ধন্যবাদ।

১৯| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩১

ফয়েজ উল্লাহ রবি বলেছেন: মানবতার জয় হউক।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩৪

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।

২০| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৪২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধর্ম এবং মানবিকতা নিয়ে দারুন পোষ্ট!

ভাল লাগল।

কেউ কিছু বললেই কি আপনি তাই? শান্ত হোন।
যতটুকু জানি উনি খারাপ নন। ভাবনায় গভীরতা ভিন্নতা আছে বটে।

তবে মন্তব্যে শালীনতার বাইরে যাওয়া ঠিক নয় কারোই।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৫৯

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ। আমিও ঠিক তাই বলছি। সীমা লংঘন করা অনুচিত। বিশেষ করে যেখানে সবাই শিক্ষিত।

পোস্ট ভাল লাগার জন্য। কৃতজ্ঞতা। ভাল থাকুন।

২১| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১৫

আরিফ রুবেল বলেছেন: গ্যালারিতে বসলাম পপকর্ণ সহযোগে B-)

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৫৬

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ব্লগ সম্পর্কে ধারণা খুবই বাজে হচ্ছে। ছিঃ!!!!

২২| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:১০

আল ইফরান বলেছেন: আপা, ইগনোর করে যান।
সবসময় সবকিছুর জবাব দিতে হয় না।
আর ভালো লিখছেন, যদিও কিছু কিছু যায়গায় আমার রিজার্ভেশান আছে (যেমন, রক্তপাতের জন্য আপনি ধর্মকে দায়ী করেছেন)
সমস্যা কিন্তু আমাদের সহিঞ্ছুতার জায়গায়, ধর্মের মধ্যে না।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৫৫

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ। রক্তপাতের জন্য কখনও কখনও ধর্মই দায়ী। কারণ কিছু কিছু জায়গায় ধর্ম রক্তপাত করতে বলেছে। যাইহোক, সে আলোচনা ভিন্ন। আপনার পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ।

২৩| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:২১

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: লেখক বলেছেন: কাউকে মূর্খ বলার আগে নিজের জ্ঞানের দৌড় মাপতে ও বুঝতে হয়। মূর্খরা তা পারেনা বলেই খুব সহজে অন্যকে অকারণে আক্রমণ করে বসে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সরবচ্চ ডিগ্রী নিয়ে আমেরিকা এসে এখানেও বেশ কিছু ডিগ্রি নিয়েছি , কিন্তু নিজেকে এখনো গণ্ডমূর্খের পর্যায়ের মনে হয়। চাকরির সুবাদে প্রতিদিন কত কত একাডেমিক সরবচ্চ ডিগ্রী ধারিদের সাথে দেখা হয় তাদের ভেতরেও দেখেছি আরও জানার কি ভীষণ আগ্রহ।

হজরত মুসা (আঃ) আর হজরত খিজির (আ:) এর ঘটনাটা এই মুহূর্তে মনে পড়ছে ।

শুধু বলি জানার শেষ নেই। কার ভেতর কি লুকিয়ে আছে যার হদিস হয়ত আমাদের অজানা। তাই কাউকেই ছোট করে ভাবা উচিত নয় ।

স্বত্ত সাঁই যে জ্ঞাণের সন্ধাণ দিতে চাইছেন হয়ত সেই জ্ঞাণ নেওয়ার ক্ষমতা আপনার নেই বা আপনি এখনো নিজেকে ওই পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারেনি।

তবে এতটা রিএক্ট করা ঠিক হয়নি তার কথায়। আপনার কাছ থেকে আরও সংযত আচরণ আশা করবো ।

স্বত্ত সাঁই কে বলছি --সাইজী উলু বনে মুক্তো ছড়ানো কথাটির মানে হয়ত আপনার জানা আছে।

দুজনার জন্য শুভ কামনা।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:০৯

আলপনা তালুকদার বলেছেন: আমিও নিজেকে জ্ঞানী বা অন্যকে মূর্খ কখনোই বলিনা। কিন্তু এটাও ঠিক, কারো অকারণ অপমান হজম করাটাকে উচিত বলেও মনে করিনা। বিশেষ করে তেমন কারো, যিনি নিজেই স্বীকার করেন যে তিনি সে বিষয়ে কিছু জানেন না। না জানলে সে বিষয়ে কথা বলেন কেন? নিজে না জেনে অন্যকে গণ্ডমূর্খ বলাকে আপনি মেনে নিতে পারেন, আমি পারিনা। আর কে উলু, কে মুক্তা, সেটা পাঠকরা বিচার করুক।

আপনার জন্যও শুভকামনা।

২৪| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৪৬

নতুন বলেছেন: সাঁইজী কাউকে মূখ` বললে নিজের জ্ঞান বাড়ে না। আর কারুর একটা দুইটা লাইন পড়েই কারুর জ্ঞানের গভীরতা মাপা যায়না।

আর কেউ বিশ্বাস করলেই মূখ` হয় না আর আপনি কিভাবে সৃস্টিকতায় বিশ্বাসকরাকে মূখতা বলেন বুঝলাম না।

ধম`র ভীত বিশ্বাস... প্রমান/যুক্তি কখনোই ধমের সাথে যায়না। এটা পুরোটাই বিশ্বাস...

আশা করি আপনি সরি বলবেন.... এটা নিয়ে বিবাদের করা ঠিক না।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:১০

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ।

২৫| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:২৭

NurunNabi বলেছেন: আপু আপনার লেখাটি আমার খুব ভাল লেগেছে। যদিও আপনার কোনো শব্দচয়নে আমার যথেষ্ট দ্বিমত আছে। আসলে যারা অন্ধ বধির তাদের যতই বুঝাবেন সবই বেকার। আল্লাহ আমাদের সবাইকে অহমিকা ছেড়ে বুঝার তাওফিক দিন।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:২২

আলপনা তালুকদার বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।

২৬| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:০৬

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: চমৎকার লেখা। তবে খুবই আশ্চর্য হচ্ছি সোকলড জ্ঞানী (@স্বতু সাঁই পোস্ট করেছি: ১০৭টি, মন্তব্য করেছি: ১১৪৪টি, মন্তব্য পেয়েছি: ১০৫৬টি, ব্লগ লিখেছি: ৩ মাস ২ সপ্তাহ, অনুসরণ করছি: ০ জন, অনুসরণ করছে: ১১ জন) দের কথা বার্তায়! এইসব সোকলড জ্ঞানীদের সংগে কারো মতের মিল নাহলেই তুচ্ছতাচ্ছিল্য করাটা একটা ফ্যাশনে পরিনত হয়েছে!


আপনি আপনার মতো লিখতে থাকুন।


ভালো থাকুন নিরন্তর। ধন্যবাদ।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:২৫

আলপনা তালুকদার বলেছেন: জ্বি, ঠিক বলেছেন। ফাটা কলসী বেশী বাজে। চোরের মায়ের গলাই বেশী বড়। আপনার পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ। জ্বি, লিখব। আর এমন কলসীদের মন্তব্য ডিলিট করব বা এদেরকে ব্লক করব। ভাল থাকুন।

২৭| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:১৯

এ আর ১৫ বলেছেন: অন্য ধর্মের লোকেরা প্রতিবাদ করেনা বলেই তাদের ধর্ম নিয়ে কেউ কিছু বলেনা বা আমাদের ধর্ম নিয়ে বলে। পশ্চিমা দেশগুলোতে কেউ যদি যীশু বা বাইবেল সম্পর্কে আজেবাজে কথা বলে, তাহলে লোকে দেখে মুচকি হেসে চলে যাবে। কিছুই বলবে না। নিষেধ ও করবেনা। কি বলছে, কেন বলছে জানার চেষ্টাও করবেনা।

কাউকে জব্দ করার সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র হল, তাকে এড়িয়ে যাওয়া, তার কথায় কান না দেয়া। আমরা কান দেই বলেই সালমান রুশদীরা বিখ্যাত হয়ে যায়, একের পর এক সালমান রুশদী জন্ম নেয়, ইসলাম নিয়ে কটুক্তি বাড়ে, মুসলিমরা কট্টর-উগ্রপন্থী-ধর্মান্ধ হিসেবে কুখ্যাতি কুড়ায়, মুসলিমদের প্রতি ঘৃণা-বিদ্বেষ-নির্যাতন বাড়ে।

এই উপদেশ কোরানে দেওয়া হয়েছে কিন্তু অন্য ধর্মের মানুষ কোরানের উপদেশ ফলো করে কিন্তু মুসলমানরা বর্জন করে -----
সুরা হিজরে আয়াত ৯৫ তে আল্লাহ কি বোলছেন -- বিদ্রুপকারীদের জন্য আমিই আপনার পক্ষ থেকে যথেষ্ট"----- সুতরাং এই আয়াত স্পষ্ঠ করে বলেছে বিদ্রুপকারীদের আল্লাহ নিজে শাস্তি দিবেন ।
তাহোলে ঐ হাদিস গুলো যদি সত্য হয় তাহোলে সেটা সরাসরি কোরান লংঘন হয়ে যাবে এবং এটা কখনোই সম্ভব নয় । আরো তিনটি কোরানের আয়াত দেখুন ---
সুরা মোজ্জামেল ( ৭৩--১0 ) কাফেররা যা বলে, তজ্জন্যে আপনি সবর করুন এবং সুন্দরভাবে তাদেরকে পরিহার করে চলুন।

সুরা নিসা আয়াত ১৪0- আর কোরআনের মাধ্যমে তোমাদের প্রতি এই হুকুম জারি করে দিয়েছেন যে, যখন আল্লাহ তা’ আলার আয়াতসমূহের প্রতি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন ও বিদ্রুপ হতে শুনবে, তখন তোমরা তাদের সাথে বসবে না, যতক্ষণ না তারা প্রসঙ্গান্তরে চলে যায়। তা না হলে তোমরাও তাদেরই মত হয়ে যাবে। আল্লাহ দোযখের মাঝে মুনাফেক ও কাফেরদেরকে একই জায়গায় সমবেত করবেন।

সুরা ক্কাফ (৫০-- ৩৯) অতএব, তারা যা কিছু বলে, তজ্জন্যে আপনি ছবর করুন এবং, সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের পূর্বে আপনার পালনকর্তার সপ্রশংস পবিত্রতা ঘোষণা করুন। --
বিদ্রুপকারীদের হত্যার পক্ষে ও বিপক্ষে !!!!
ইসলাম অবমাননার ক্ষেত্রে কোরানের উপদেশ !!

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:২৭

আলপনা তালুকদার বলেছেন: খুব ভাল বলেছেন। অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.