নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষের মন, ভাবনা, অনুভূতি ও ভালবাসা বৈচিত্র্যময় বলেই পৃথিবীটা এত সুন্দর!https://www.facebook.com/akterbanu.alpona

আলপনা তালুকদার

ড.আকতার বানু আলপনা,সহযোগী অধ্যাপক, শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউট, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী

আলপনা তালুকদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

পরাজিত মানবতা

১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৪



পরাজিত মানবতা

কখনও স্বার্থের কারণে, কখনও ধর্মের কারণে, কখনও প্রতিশোধের কারণে সারা পৃথিবীতে সব ধর্মের নিরপরাধ মানুষ নির্যাতিত ও খুন হচ্ছে। এরফলে দেশে দেশে মানবতা পরাজিত হচ্ছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ, ধর্মান্ধ বা ক্ষমতাবানদের দ্বারা ক্ষমতাহীন বা সংখ্যালঘু মানুষদের হত্যা, নির্যাতন বা বিতাড়ণ এখন স্বাভাবিক ঘটনা।

রংপুরে ফেসবুকে একটি ধর্মীয় উস্কানিমূলক স্টেটাস দেয়ার কারণে এপর্যন্ত একজন মানুষ খুন হয়েছে। চল্লিশটি পরিবার হয়েছে নিঃস্ব। আমি হলপ করে বলতে পারি, বাংলাদেশের অনেক মুসলিম এতে খুশী হয়েছে। এই বর্বরতার জন্য দায়ীদেরকে তারা মনে মনে সমর্থন করে। তার কারণ দেশে দেশে মুসলিমদের নির্যাতিত হওয়া, ভারতে হিন্দুদের দ্বারা মুসলিম নির্যাতন ও বাংলাদেশে হিন্দুদেরকে নানা সুবিধা প্রদানের ফলে তাদের প্রতি ঈর্ষা। ভারতে গোটা একটা বিশ্ববিদ্যালয় খুঁজে একজন মুসলিম অধ্যাপক পাওয়া যায়না। আর বাংলাদেশে? আমি রংপুরে হিন্দুদের উপরে নির্যাতনের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। কারণ সেখানে নিরপরাধ মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। স্টেটাস দিয়েছে একজন। আক্রান্ত হয়েছে অনেকে। রামুতেও একই ঘটনা ঘটেছিল। তবে তাই বলে ঐ উস্কানিমূলক স্টেটাসদাতাকেও আমি সমর্থন করছি না। উভয়েই আমার মতে সমান অপরাধী। আমি সব ধর্মের মানুষের ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করাকে তীব্রভাবে ঘৃণা করি। কারণ ধর্ম হলো যার যার বিশ্বাস। সেখানে মানুষের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা থাকা উচিত। সবার কাছেই তার নিজের ধর্ম শ্রেষ্ঠ। তাই কোন ধর্মকেই হেয় করে কিছু বলা বা লেখাকে আমি অনুচিত বলে মনে করি।

ইসলাম ধর্ম তথা মুসলিমদেরকে নিয়ে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে যত অশ্লীল কথা লেখা বা বলা হয়, অন্য কোন ধর্ম নিয়ে ততটা হয়না। তার কারণ, মুসলিমদের প্রতি অন্য ধর্মাবলম্বীদের বিরূপ মনোভাব ও ইসলাম ধর্মের প্রতি মানুষের শ্রদ্ধাবোধের অভাব। মুসলিমরা নির্যাতিত হলে অন্য ধর্মাবলম্বীরা অখুশী হয়না। বরং মনে মনে খুশীই হয়। তা না হলে দেশে দেশে মুসলিমরা এভাবে নির্যাতিত হতো?

বর্তমানে সারা পৃথিবীতে সবচেয়ে নির্যাতিত জাতি হচ্ছে মুসলিমরা। কেন তারা নির্যাতিত হচ্ছে? এই 'কেন'-র উত্তর জানাটা খুব জরুরী। সারাবিশ্বে মুসলিমদের ভাবমূর্তি হলো - এরা হিংস্র, বর্বর, সন্ত্রাসী জাতি। তার কারণও আছে। মুসলিমদের নানা কর্মকাণ্ড মানুষকে এরকম ধারণা দিতে ভূমিকা রেখেছে। আমেরিকা বা অন্যরা মুসলিমদের এমন ভাবমূর্তিকে প্রচার করে তাদের নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য কাজে লাগিয়েছে।

হিটলারের নাৎসী বাহিনীর গণহত্যা, আমেরিকার আগ্রাসন, ভারতীয় হিন্দুদের দ্বারা মুসলিম নিধন, ইসরাইলী গণহত্যা বা সর্বশেষ মায়ানমারের বৌদ্ধরা গণহত্যা করলেও কেউ তাদের সন্ত্রাসী বলেনা। একটু নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে দেখলে দেখা যাবে, বিশেষ কিছু কারণে মুসলিমদের নির্যাতন করা হয় বা সন্ত্রাসী বলা হয়। যেমন -

১। শিয়া-সুন্নী বিরোধ, ইরাক কর্তৃক কুয়েত আক্রমণ, তালেবানদের ধর্ম মানতে মানুষকে বাধ্য করা, টুইন টাওয়ার আক্রমণ, ভারতের তাজ হোটেলে আক্রমণ ইত্যাদি নানা কাজের কারণে মুসলিমদের প্রতি অন্য ধর্মাবলম্বীদের বিরূপ মনোভাব তৈরী হয়েছে। তাদের প্রতি ঘৃণা বেড়েছে। এটাকে কাজে লাগিয়ে অন্যরা নিজেদের স্বার্থে মুসলিমদেরকে 'সন্ত্রাসী' উপাধি দিয়ে মুসলিমদের দেশ দখল, সম্পদ হরণসহ তাদের উপর নানা নির্যাতন করছে।

২। ইরাক, ইরান, পাকিস্তান, সিরিয়া, লিবিয়া, আফগানিস্তানে মুসলিমদের নিজেদের মধ্যে অন্তর্কলহ (শিয়া-সুন্নি বিরোধ) ও একে অন্যকে হত্যা করার কারণে মুসলিমদেরকে বর্বর, অত্যাচারী, সন্ত্রাসী বলে ঘৃণা করা হয়।

৩। আইসিস, তালেবানসহ নানা ইসলামী গোষ্ঠীগুলোর নানা ধ্বংসাত্মক ও হিংস্র কার্যকলাপের ফলে গোটা বিশ্বে এদের কারণে সব মুসলিমদের ঘৃণা করা হয়।

৪। বিভিন্ন মুসলিম দেশের লোকেদের নানা পাপাচার, অনৈসলামিক কর্মকাণ্ড, বিলাসিতা, অপরাধ মুসলিমদের সম্পর্কে খারাপ ধারণা তৈরী করেছে।

৫। ইসলাম ধর্ম নিয়ে কেউ কোন কটুক্তি, কার্টুন বা লেখা লিখলে মুসলিমরা সেটা সহ্য করেনা ( ধর্মে প্রতিবাদ করতে বলা হয়েছে বলেই মুসলিমরা সেটা করে, যা আর কোন ধর্মের লোকেরা করেনা)। তারা 'মুরতাদ' ঘোষণা দিয়ে দেশছাড়া করে, খুন করে, উগ্র আচরণ করে যার কারণে মুসলিমদেরকে অন্যরা 'বর্বর' বলার সুযোগ পায়। আমরা প্রতিবাদ করি বলেই সালমান রুশদীরা বিখ্যাত হয়ে যায়। কোন নাস্তিক বা বিধর্মী কিছু বললেই কি ইসলাম ধ্বংস হয়ে যাবে? ইসলাম কি অতই ঠুনকো? মুসলিমরা বিশ্বাস করে, ইসলামকে রক্ষা করবেন আল্লাহ স্বয়ং। যারা ইসলামের কুটসা করছে, তাদেরকে কেয়ামতের দিন আল্লাহ ঠিকই শাস্তি দেবেন। আমরা আল্লাহর উপর ভরসা করলে ধর্ম নিয়ে উগ্রতা, বাড়াবাড়ি করে আত্মতৃপ্তিতে ভুগে নিজেদের ভাবমূর্তি নষ্ট করতাম না।

৬। ভারতে সাংবাদিক গৌরী লঙ্কেশ খুন হয়েছেন। সেটা নিয়ে তেমন উচ্চবাচ্য কেউ করেনি। কারণ এগুলো গুপ্তহত্যা। কে করেছে, কেন করেছে তা নিশ্চিত করে বলা যায়না। কিন্তু মুসলিমরা খুন করে প্রকাশ্য ঘোষণা দেয় বা হত্যার পর দায় স্বীকার করে। এটি ভয়াবহ। এটি মুসলিমদের অসহিষ্ণু ও ঠান্ডা মাথার খুনী জাতি বলে আখ্যায়িত করে। আইসিসের বিভৎস হত্যাকান্ডগুলো ও নির্যাতন তার স্বীকৃতি দেয়।

৭। জোর করে কারো ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ম পালনে মুসলিমরা ছাড়া আর কোন ধর্মাবলম্বীরা বাধ্য করেনা। এটি ব্যক্তিস্বাধীনতার বিপরীত বলে এ ধর্মের লোকেদের কেউ পছন্দ করেনা।

৮। মুসলিমরা সংগঠিত নয়। ধনী, ক্ষমতাবান মুসলিম দেশগুলো স্বার্থের কারণে ইহুদীদের সাথে হাত মেলায়। মুসলিম দেশগুলোর পাশে দাঁড়ায় না। এটিও মুসলিমদের নির্যাতিত হবার কারণ।

হযরত ইব্রাহীম (আঃ) এর অভ্যাস ছিলো কোনো না কোনো মেহমানকে সাথে নিয়ে খাওয়া। একদিন তিনি অনেকক্ষণ অপেক্ষার পরও কোন মেহমান না পেয়ে একজন বৃদ্ধ ভিক্ষুককে নিয়ে খেতে বসলেন। ইব্রাহীম (আঃ) বিসমিল্লাহ্‌ তথা আল্লাহর নামে খাবার মুখে তুললেন; কিন্তু ভিক্ষুক বিসমিল্লাহ্‌ না বলেই খাওয়া শুরু করল। ইব্রাহীম (আঃ) ভিক্ষুককে প্রশ্ন করলেন, "আপনি আল্লাহর নাম না নিয়েই খাওয়া আরম্ভ কেন করলেন?"
ভিক্ষুক বলল, "আমি বাপু আল্লাহ্‌-তে বিশ্বাসী নই। পেলে খাই, আর না পেলে না খেয়েই থাকি। কারো নাম নেওয়ার দরকার মনে করি না।" ইব্রাহীম (আঃ) খুব রাগান্বিত হয়ে বললেন, "হে অকৃতজ্ঞ বান্দা! তুমি এখান থেকে চলে যাও। আমার এই খাবার তোমার মত নাফরমান ব্যক্তির জন্য নয়।" বৃদ্ধ ভিক্ষুকটি তখন মন খারাপ করে না খেয়েই সেখান হতে চলে গেলেন। সাথে সাথে আল্লাহর পক্ষ হতে ওহী আসলো যে, "হে ইব্রাহীম! আমি এই ভিক্ষুককে দীর্ঘ ৮০ বছর যাবৎ আহার করিয়ে আসছি। আমি কখনোই অভিযোগ করি নাই, কারণ সে আমারই বান্দা। আর তুমি তাকে এক বেলা খাওয়াইতে রাজি হলে না!!!" ইব্রাহীম (আঃ) তখন তাঁর ভুল বুঝতে পারলেন, এবং ভিক্ষুককে খুঁজতে লাগলেন, কিন্তু তাকে আর পেলেন না। অতঃপর তিনি অনুতপ্ত হলেন এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইলেন।

যুগে যুগে বহু লোক ইসলামের বিরোধীতা করেছে, কেয়ামত পর্যন্ত করবে। তাই বলে একজন বা দুচারজনের বিরুদ্ধ মতামতের কারণে অনেক নিরপরাধ মানুষকে খুন বা নির্যাতন করা কতটা যৌক্তিক? ইসলাম বলছে, একজন মানুষকে, (মুসলিম বা বিধর্মী বা নাস্তিক হলেও) খুন করার অর্থ গোটা মানবজাতিকে খুন করা। ধার্মিক হলে আমাদের বিশ্বাস করা উচিত, যারা ইসলাম নিয়ে কটুক্তি করছে, তাদের এ মন্দ কাজের শাস্তি আল্লাহ পরকালে ঠিকই দেবেন।

মুসলমানদের মানসিকতার পরিবর্তন দরকার। তুচ্ছ কারণে সন্ত্রাসী আচরণ বন্ধ হওয়া দরকার। নিজেদের অন্তর্কলহ বন্ধ হওয়া দরকার। যেকোন কারণেই নিরপরাধ মানুষকে নির্যাতন বা হত্যা বন্ধ হওয়া দরকার। ইসলাম শান্তির ধর্ম হলে একজন মুসলিম কোনভাবেই অন্য ধর্মের কোন নিরপরাধ মানুষকে নির্যাতন করতে পারেনা।

মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৫২

মো চৌঃ বলেছেন: মানসিকতার পরিবর্তন দরকা

১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:১৯

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।

২| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৩

অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: এদেরকে এখনই রুখতে হবে নইলে সম্পৃতি ধ্বংস হবে।

১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:১৯

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ঠিক। ধন্যবাদ।

৩| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:০০

চাঁদগাজী বলেছেন:


" ভারতে গোটা একটা বিশ্ববিদ্যালয় খুঁজে একজন হিন্দু অধ্যাপক পাওয়া যায়না। আর বাংলাদেশে? "

-ইহা কি সঠিক, বেঠিক?

১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:২৪

আলপনা তালুকদার বলেছেন: সত্যিই তাই। ওখানকার মুসলিমদের তুলনায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো সহ সবখানে হিন্দুদের অন্তর্ভুক্তি তুলনা করলে পার্থক্যটা স্পষ্ট বোঝা যায়। আলীগড়ে আরবী, ইসলামের ইতিহাস, ইসলামিক স্টাডিজ,.. এসব পড়ান হিন্দু শিক্ষকরা। ভারতের সবগুলো চ্যানেল বাংলাদেশে চলে, ভারতে আমাদের একটা চ্যানেলও চলেনা। ভারতে কোন কোন রাজ্যে গরু জবাই নিষিদ্ধ, গরুর মাংস খাওয়ার অপরাধে প্রকাশ্যে মুসলিম হত্যা, মসজিদে বোরখা পরে ঢুকে হিন্দু ছেলেরা গরুর মাংস রেখে মুসলিমদের দোষ দেয়া, মুসলিমদের ঘরবাড়ি পোড়ানো,.... এগুলো হচ্ছে। ধন্যবাদ।

৪| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:০১

এম আর তালুকদার বলেছেন: হায়রে ফেসবুক আর কত সহিংসতার কালিমায় কলংকিত হবি!!!
“ক্রোধ দমাও”

১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:২০

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ভালো বলেছেন। ধন্যবাদ।

৫| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:২৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


" ভারতে গোটা একটা বিশ্ববিদ্যালয় খুঁজে একজন হিন্দু অধ্যাপক পাওয়া যায়না। আর বাংলাদেশে? "

-ইহা কি সঠিক, বেঠিক?

১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০২

আলপনা তালুকদার বলেছেন: সরি, মুসলিম অধ্যাপক হবে।

৬| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:২৯

রিএ্যাক্ট বিডি বলেছেন: ধন্যবাদ খুব সুনডোর পোসট

১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৫০

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।

৭| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:২১

অর্ক বলেছেন: প্রিয় আপা, আপনার তিন নাম্বার প্রতিমন্তব্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, আমি নিজে ২০১২ সালে নিজে কোলকাতার হোটেলে এন টিভি ও আরেকটা বোধহয় আর বা ই টিভি দেখেছি। দুটো চ্যানেল। আমার মনে হয় না, পশ্চিম বাংলার মানুষ বাংলাদেশী চ্যানেল দেখতে অতো আগ্রহী।

আসলে ব্যাপারটা কি, আপনার ও আরও অনেক বাংলাদেশির হয়তো ভারত নিয়ে মেলা আগ্রহ থাকতে পারে। কিন্তু ভারতীয়দের অতো নেই। মুম্বাই টুম্বাই ঘুরে বেড়িয়ে দেখেছি, ওরা শুধু জানে জানে, পৃথিবীতে বাংলাদেশ একটি দেশের নাম, যেমন তাজিকিস্তান একটি দেশের নাম।

১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৫৩

আলপনা তালুকদার বলেছেন: আমি গতবছর ভারত ঘুরে এসেছি। বিশ দিন ছিলাম। কোন চ্যানেল দেখতে পাইনি। ওদের আগ্রহ নেই, একথাও মানতে পারছিনা। ওরা আমাদের শাড়ী, করমেটিকস নাটক দেখতে খুবই আগ্রহী। আর বাংলাদেশে হিন্দুরা কেমন আছে তা জানার জন্য খুবই উৎসাহী।
ওরা বাংলাদেশীদের সম্মান করে। কারণ বেড়াতে, চিকিৎসা করতে, যে কারণেই যাই না কেন, ওদের তাতে লাভ। আর ওদের জিনিস বিক্রির জন্য বাংলাদেশ একটি বড় বাজার, এটা সবাই জানে। ওরা নিজের দেশের স্বার্থ নিয়ে সবাই সচেতন। ধন্যবাদ।

৮| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৫৮

নতুন বলেছেন: মসজিদে ৫ ওয়াক্ত নামাজে ১০-২০ জন লোক হয় নিয়মিত কিন্তু এই রকমের হামলায় শত থেকে হাজার খানেক মানুষ হয়।

মানুষের শিক্ষার অভাবই এর জন্য মুল দায়ী। মানবতা থাকলে কেউ ফেসবুকের স্টেটাসের জন্য বাড়ীতে আগুন দেয়না...হত্যা করেনা।

দেশে সাটিফিকেট ইসু হয় লাখ লাখ.... আসল শিক্ষা পাচ্ছে কত জন??

১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:২১

আলপনা তালুকদার বলেছেন: এর জন্য দায়ী কমিউনিটি ফিলিং। কোন অঘটন ঘটার পর দ্রুত তার প্রতিকার না হলে মানুষের ক্ষোভ বাড়তে থাকে। কোন এলাকার সব মানুষের মধ্য (ধর্ম, বর্ণ আলাদা হলেও) সে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। দুই গ্রাম বা এলাকায় বিবাদ বাধলে, ডাকাত হামলা করলে, কেউ জবরদখল বা হামলা করলে অনেক মানুষ তাতে অংশ নেয়। ধন্যবাদ।

৯| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:১৬

আমার আব্বা বলেছেন: বাংলাদেশে হিন্দুরা রাজার মত থাকে, ভারতে মুসলিমরা দলিত,বাংলাদেশের হিন্দুরা ভারতের কাছে সেমি-মুসলিম/সেকুলার। দেশের প্রতিটা প্রতিষ্ঠানে হিন্দু কর্তাবাবু । প্রত্রিকায় পড়েছি আপনার রা:বিতে বাবু প্র-ভি.সি। আপনি কী প্র-ভি.সির যোগ্য নন ? আপনি কী হতে পারতেন না । বৌমা

১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৯

আলপনা তালুকদার বলেছেন: আপনার মত ক্ষোভ অনেকের মনেই আছে। সেটা মাঝে মাঝে বেরিয়ে আসে বলেই এমন ঘটনাগুলো ঘটে। তবে কাউকে সুবিধা দেয়া বা না দেয়া নির্ভর করে রাজনীতির ভিত্তিতে, যোগ্যতার ভিত্তিতে নয়। আর মানুষের মনে ক্ষোভ তখনই জমা হয় যখন যোগ্য কাউকে বাদ দিয়ে অযোগ্য কাউকে অনৈতিক সুবিধা দেয়া হয় রাজনৈতিক বিবেচনায়। ধন্যবাদ।

১০| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৬

আল ইফরান বলেছেন: অশিক্ষিতের দেশে এত প্রযুক্তির দরকার নাই।
ম্যাডামের পদাংক অনুসরণ করে সাবমেরিন কেবল কেটে দেয়া হোক অথবা শেখ হাসিনার মত ব্যান্ডউইডথ বিক্রি করে দেয়া হোক।
এই দেশের মানুষের (?) জন্য সোস্যাল নেটওয়ার্কিং না, তারা এইটা করবে চায়ের দোকানে গিয়ে।

১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৫২

আলপনা তালুকদার বলেছেন: হা হা হা!!! ভালো বলেছেন। মাথা না থাকলে মাথা ব্যথাও হহবেনা, তাইনা? ন্যবাদ।

১১| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:২১

মো: নিজাম গাজী বলেছেন: আসলেই এখন পুরো পৃথিবীতেই অত্যাচারীদের পিষ্ট কলে মানবতা পরাজিত হচ্ছে। বাস্তব ও সময়োপযোগী একটি লেখা। ধন্যবাদ প্রিয় লেখিকা।

১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৩

আলপনা তালুকদার বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।

১২| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৪

কানিজ রিনা বলেছেন: আলপনা এখানে সরযন্ত্রর গন্ধ নাকে আসে
সুযোগে থাকা সার্থন্বেশীরা যুযোগ পেয়েছে
একটা ওছিলা মাত্র ভাব খানা এমন যে
বাংদেশে কোনও হিন্দু থাকবেনা। তারপর
হিন্দুরা সব চলে গেলে ওরা পাকরাও করবে
শিয়া সুন্নির উপড়। ধর্মখানা মনে হয় এদের
বাপদাদার একার তালুক।
আরে জানোয়ারের দল ইসলাম কি এত
ঠুনকো ধর্ম যে কে কি বলল বলে ইসলাম
রসা তলে গেল। এরা নিজের ধর্মে বিশ্বাসী
না। ভারতের উগ্রবাদী হিন্দু আর এদেশের
উগ্র মুসলিমদের কোনও পার্থক্য নাই।
যেমন মায়ানমার উগ্রবাদী বৌদ্ধ গোষ্ঠিরা
সামরীক বাহিনী। এইসব উগ্রবাদীরা পৃথিবীর
অসান্তির হাতিয়ার। ধন্যবাদ আলপনা সুন্দর
পোষ্টের জন্য।

১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৫

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ঠিক বলেছেন আপা। অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।

১৩| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৯

এ আর ১৫ বলেছেন: ভারতে গোটা একটা বিশ্ববিদ্যালয় খুঁজে একজন হিন্দু অধ্যাপক পাওয়া যায়না। আর বাংলাদেশে?

কিছুই বুঝলাম না এমন বাক্যে !!!

হিটলারের নাৎসী বাহিনীর গণহত্যা, আমেরিকার আগ্রাসন, ভারতীয় হিন্দুদের দ্বারা মুসলিম নিধন, ইসরাইলী গণহত্যা বা সর্বশেষ মায়ানমারের বৌদ্ধরা গণহত্যা করলেও কেউ তাদের সন্ত্রাসী বলেনা। একটু নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে দেখলে দেখা যাবে, বিশেষ কিছু কারণে মুসলিমদের নির্যাতন করা হয় বা সন্ত্রাসী বলা হয়।
✔ ইয়াহিয়া খান একজন মুসলিম , তিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে ৩০ লক্ষ মানুষ হত্যা করেছিল. মিডিয়া তাকে কখনো জংগি বলেনি বলেনি মুসলিম টেররিস্ট :) :) :)
✔ জুলফিকার আলী ভুট্টো একজন মুসলিম , তিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে ৩০ লক্ষ মানুষ হত্যা করেছিল. মিডিয়া তাকে কখনো জংগি বলেনি বলেনি মুসলিম টেররিস্ট :) :) :)
✔ জেনারেল নিয়াজী একজন মুসলিম , তিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে ৩০ লক্ষ মানুষ হত্যা করেছিল. মিডিয়া তাকে কখনো জংগি বলেনি বলেনি মুসলিম টেররিস্ট :) :) :)
✔ সাদ্দাম হোসেন একজন মুসলিম , তিনি ইরাকে কয়েক লক্ষ মানুষ হত্যা করেছিল. মিডিয়া তাকে কখনো জংগি বলেনি বলেনি মুসলিম টেররিস্ট :) :) :)
✔ তৈমুর লং একজন মুসলিম , তিনি সেই আমলে ১৫ লক্ষ মানুষ হত্যা করেছিল যা ছিল পৃথিবীর মোট জনসংখার ৫ %. মিডিয়া তাকে কখনো জংগি বলেনি বলেনি মুসলিম টেররিস্ট :) :) :)
✔ সাদ্দাম হোসেন মুসলিম এবং ইরাণের খোমিনী মুসলিম, তারা পরস্পরের সাথে যুদ্ধ করে কয়েক লক্ষ মানুষ হত্যা করেছিল , মিডিয়া তাদের কে কখনো জংগি বলেনি, বলেনি মুসলিম টেররিস্ট :) :) :)
✔ সৌদী আরব মুসলিম দেশ এবং ইয়েমেন মুসলিম দেশ, তারা পরস্পরের সাথে যুদ্ধ করে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ হত্যা করেছে , মিডিয়া তাদেরকে কখনো জংগি বোলছে না , বোলছে না মুসলিম টেররিস্ট :) :) :)
✔ নাইজেরিয়ার সেনাবাহিণী ও সরকার যারা মুসলিম তারা হাজার হাজার বোকাহারমকে হত্যা করেছে , মিডিয়া তাদের কখনো জংগি বা ইসলামী টেররিস্ট বলেনি ।
✔ সিরিয়া এবং ইরাকী সেনাবাহিণী ও সরকার যারা মুসলিম তারা হাজার হাজার আই এস আই কে হত্যা করেছে , মিডিয়া তাদের কখনো জংগি বা ইসলামী টেররিস্ট বলেনি ।

তাহা হোলে
১ ) জামাতীরা মুসলমান এবং ১৯৭১ সালে ৩০ লক্ষ মানুষ হত্যার সহযোগি -- তাহা হইলে তাহাদের কেন মুসলিম জংগী বা টেররিস্ট বলা হয় ?
২) তালেবানরা মুসলমান এবং তারা কয়েক লক্ষ মানুষ হত্যা করেছে কিন্তু কেন তাদের কে মুসলিম জংগী বলা হয় ।
৩) আই এস আই রা মুসলমান এবং তারা কয়েক লক্ষ মানুষ হত্যা করেছে কিন্তু কেন তাদের কে মুসলিম জংগী বলা হয় ।
৫) হরকাতুল জেহাদ , তেহেরিক ইসলাম , জেএনবি ইত্যাদি মুসলমান কিন্তু কেন তাদের কে মুসলিম জংগী বলা হয় ।
৬) বোকা হারাম এরা মুসলমান, তারা কয়েক লক্ষ মানুষ হত্যা করেছে কিন্তু কেন তাদেরকে জংগী বলা হয় ????

ইয়াহিয়া ভুট্টো ৩০ লক্ষ মারলো তারা জংগী উপাধী পাইলো না তাহোলে কেন জামাতিরা পাইলো । সাদ্দাম তৈমুর লং রা লক্ষ লক্ষ মানুষ মারলো তারা জংগী উপাধী পাইলোনা পাইলো শুধু মোমিন মুসলমান তালেবান , রাজাকার , বোকাহারাম, আই এস আই রা !!!!!!!!! ইহা মোমিন মুসলমানদের বিরুদ্ধে ইহুদী নাসার স্বরযন্ত্র !!!!!

১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৮

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ঠিক বলেছেন। ধন্যবাদ।

১৪| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৪

এ আর ১৫ বলেছেন: হিটলারের নাৎসী বাহিনীর গণহত্যা, আমেরিকার আগ্রাসন, ভারতীয় হিন্দুদের দ্বারা মুসলিম নিধন, ইসরাইলী গণহত্যা বা সর্বশেষ মায়ানমারের বৌদ্ধরা গণহত্যা করলেও কেউ তাদের সন্ত্রাসী বলেনা। একটু নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে দেখলে দেখা যাবে, বিশেষ কিছু কারণে মুসলিমদের নির্যাতন করা হয় বা সন্ত্রাসী বলা হয়।
✔ হিটলার, একজন অমুসলিম । ৬০ লক্ষ ইহুদি হত্যা করেছিলো। মিডিয়া একবারও তাকে জঙ্গি বলেনি সে খৃষ্টান টেররিস্ট !!!
--- উত্তর ::::: তিনি ধর্মের নামে খুন করেনি তাই তিনি খৃষ্টান টেররিস্ট নহেন , ওনাকে বলা হয় ফ্যাসিস্ট কারন ফ্যাসি বাদের নামে খুন করেছিলেন তাই
✔ জোসেফ স্ট্যালিন, একজন অমুসলিম । সে ২০ মিলিয়ন মানুষ হত্যা করেছে, এবং ১৪. ৫ মিলিয়ন মানুষ অসুস্থ হয়ে ধুকে ধুকে মারা গেছে। মিডিয়া একবারও তাকে বলেনি সে খৃষ্টান টেররিস্ট !!!
উত্তর ++ তিনি ও ধর্মের নামে খুন করেন নি করেছিলেন কমুনিজমের নামে তাই তাকে কমুনিস্ট টেররিস্ট বলা যেতে পারে , খৃস্টান ধর্মের নামে খুন করলে হতেন খৃস্টান টেররিস্ট যেমন টি বর্তমানে মুসলমান জংগিরা ধর্মের নামে করে

✔ মাও সেতুং একজন অমুসলিম। ১৪ থেকে ২০ মিলিয়ন মানুষ হত্যা করেছে ! মিডিয়া একবারও তাকে বলেনি সে বৌদ্ধ টেররিস্ট !!!
উত্তর ++্ তিনি ও ধর্মের নামে খুন করেন নি করেছিলেন কমুনিজমের নামে তাই তাকে কমুনিস্ট টেররিস্ট বলা যেতে পারে , বুদ্ধ ধর্মের নামে খুন করলে হতেন বুদ্ধ টেররিস্ট যেমন টি বর্তমানে মুসলমান জংগিরা ধর্মের নামে করে

✔ মুসলিনী (ইটালী) ৪ লাখ মানুষ হত্যা করেছে ! সে কি মুসলিম ছিল ? অন্ধ মিডিয়া একবারো বলে নাই খৃষ্টান টেররিস্ট !!!

উত্তর ====== তিনি ধর্মের নামে খুন করেনি তাই তিনি খৃষ্টান টেররিস্ট নহেন , ওনাকে বলা হয় ফ্যাসিস্ট কারন ফ্যাসি বাদের নামে খুন করেছিলেন তাই
✔ অশোকা (কালিঙ্গা বেটল) ১ লাখ মানুষ হত্যা করেছে ! মিডিয়া একবারও তাকে বলেনি সে হিন্দু টেররিস্ট !!!

উত্তর ====== উনি ধর্মের নামে খুন করলে ওনাকে অবশ্য হিন্দু টেররিস্ট বলা হোত কিন্তু তিনি করেছেন রাজনৈতিক স্বার্থে

✔ আর জজ বুশ ইরাকে, আফগানিস্থানে প্রায় ১.৫ মিলিয়ন মানুষ হত্যা করেছে ! মিডিয়া তো বলে নাই, খৃষ্টান টেররিস্ট !!!
উ্ত্তর _____ উনি ধর্মের নামে খুন করলে ওনাকে অবশ্য খৃস্টান টেররিস্ট বলা হোত কিন্তু তিনি করেছেন রাজনৈতিক স্বার্থে

✔ এখনো মায়ানমারে প্রতিদিন মুসলিম রোহিঙ্গাদের খুন, ধর্ষণ, লুটপাট, উচ্ছেদ করছে ! তবুও কোনো মিডিয়া বলে না বৌদ্ধরা টেরোরিস্ট !!!
উত্তর ===== এটাও ধর্মের নামে নহে

✒ ইতিহাস সাক্ষী পৃথিবীর বুকে সবচেয়ে বড় বড় গনহত্যা করেছে নন মুসলিমরা আর এরাই দিন রাত গণতন্ত্র জপে মুখে ফেনা তুলে ! অথচ এদের দ্বারাই মানবতা লুন্ঠিত ! বুদ্ধিজীবীদের কাছে আমার প্রশ্নঃ....☟☟☟☟
উত্তর ===== এনারা কেউ ধর্মের নামে গনহত্যা করে নি করেছে রাজনৈতিক স্বার্থ , তৈমুর লং ছিলেন মুসলমান তার হাতে দেড় মিলিয়নের মত মানুষ খুন হয় তাকে কিন্তু মুসলিম টেররিস্ট বলা হয় না বলা হয় টেররিস্ট কারন তিনি ধর্মের নামে খুন করেন নি করেছিলেন রাজনীতির নামে , সাদ্দাম হোসেন হাতে ইরাকে লক্ষ লক্ষ মানুষ খুন হয়েছিল কিন্তু মুসলিম টেররিস্ট বলা হয় নি কারন তিনি রাজনৈতিক কারনে খুন করেছিলেন ।

☞ যারা প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু করেছিল, তারা কি মুসলিম ছিল ?
উত্তর ==== তারা ধর্মের নামে যুদ্ধ করেন নি রাজনৈতিক স্বার্থে করেছিল

☞ যারা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু করেছিল, তারা কি মুসলিম ছিল?
উত্তর ====== তারা ধর্মের নামে যুদ্ধ করেন নি রাজনৈতিক স্বার্থে করেছিল

☞ যারা হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে পরমাণু বোমা নিক্ষেপ করেছিল, তারা কি মুসলিম ছিল ?
উত্তর ===== তারা ধর্মের নামে যুদ্ধ করেন নি রাজনৈতিক স্বার্থে করেছিল

☞ যারা অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কারের পর নিজেদের আধিপত্য বিস্তারের জন্য ২০ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান আদিবাসীকে হত্যা করেছিল, তারা কি মুসলিম ছিল?
উত্তর ===== তারা ধর্মের নামে হত্যা করেন নি রাজনৈতিক স্বার্থে করেছিল

☞ যারা আমেরিকা আবিষ্কারের পর নিজেদের প্রভাব বিস্তারের জন্য উত্তর আমেরিকাতে ১০০ মিলিয়ন এবং দক্ষিন আমেরিকাতে ৫০ মিলিয়ন রেড-ইন্ডিয়ানকে হত্যা করেছিল, তারা কি মুসলিম ছিল ?
উত্তর ===== তারা ধর্মের নামে হত্যা করেন নি রাজনৈতিক স্বার্থে করেছিল

১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৯

আলপনা তালুকদার বলেছেন: সত্যি কথা। আপনি নিজেই তো আলাদা একটা পোস্ট লিখতে পারতেন। ধন্যবাদ।

১৫| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪১

প্রামানিক বলেছেন: " ভারতে গোটা একটা বিশ্ববিদ্যালয় খুঁজে একজন হিন্দু অধ্যাপক পাওয়া যায়না। আর বাংলাদেশে? "

বাক্যটিতে ভুল আছে, এখানে হিন্দুর জায়গায় মুসলিম হবে। কারণ ভারতে সরকারী চাকরীতে মুসলিমের সংখ্যা নগন্য। বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে মুসলিম অধ্যাপক নাই বললেই চলে।

১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৩

আলপনা তালুকদার বলেছেন: সরি, খেয়াল করিনি। জ্বি, মুসলিম হবে। অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।

১৬| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৫

আমার আব্বা বলেছেন: মাননীয়, আমি মন্তব্যের মনপত উত্তর পাইনি। হিন্দু ছাড়া আমাদের সভার আসন অলংকৃত হয়না কেন? কেন রাজাকার মুক্তিযোদ্ধা ? কেন মুক্তিযোদ্ধা জামাতি ইসলামের সদস্য ? তাহলে কি আমরা বাংঙ্গালী জাতী, না বাংঙ্গালী জাতী হয়ে যাচ্ছি ভাংরী জাতী ।

১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২২

আলপনা তালুকদার বলেছেন: এককথায় উত্তর - স্বার্থ। যখন ব্যক্তিস্বার্থ দেশের ও দলের স্বার্থের চেয়ে বড় হয়ে যায়, তখন এমন বৈপরীত্য ঘটে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.