নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষের মন, ভাবনা, অনুভূতি ও ভালবাসা বৈচিত্র্যময় বলেই পৃথিবীটা এত সুন্দর!https://www.facebook.com/akterbanu.alpona

আলপনা তালুকদার

ড.আকতার বানু আলপনা,সহযোগী অধ্যাপক, শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউট, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী

আলপনা তালুকদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

নাস্তিক বনাম আস্তিক

২২ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৫৫



নাস্তিক বনাম আস্তিক

তিনটা প্রশ্ন সবসময় আমার মাথার মধ্যে ঘুরপাক খায় যার সঠিক উত্তর আমি কখনোই পাইনা।

প্রথম প্রশ্ন : কেন কিছু মানুষ ধর্ম নিয়ে কটুক্তি করে?

আমি সব ধর্মের মানুষের ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করাকে তীব্রভাবে ঘৃণা করি। কারণ ধর্ম হলো যার যার বিশ্বাস। সেখানে মানুষের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা থাকা উচিত। সবার কাছেই তার নিজের ধর্ম শ্রেষ্ঠ। তাই কোন ধর্মকেই হেয় করে কিছু বলা, করা বা লেখাকে আমি অনুচিত বলে মনে করি। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি, ইসলাম ধর্ম নিয়ে ও মহানবী (সাঃ) - কে নিয়ে নানা অবমাননাকর লেখা প্রায়ই অনেক মানুষ লেখেন, সব ধর্ম নিয়ে নানা কটুক্তি করেন। কেন তারা এটা করেন? যদি কেউ চান তিনি ধর্ম মানবেন না, সেটা তিনি করতেই পারেন। বা কোন ধর্মের কোনকিছু কারো কাছে যৌক্তিক বা ভাল কিছু মনে না হলে তিনি সে ধর্ম ত্যাগ করতে পারেন। কিন্তু তা না করে অনেকে ধর্ম নিয়ে আপত্তিকর কথা লেখেন, বলেন। এটি ধার্মিকদের মধ্যে আরো বেশী প্রতিক্রিয়া তৈরী করে তথন, যখন কেউ মুসলিম হয়ে ইসলাম ধর্মের, হিন্দু হয়ে হিন্দু ধর্মের ... সমালোচনা করে।

আমি একজন নাস্তিকের কাছে জানতে চেয়েছিলাম, কেন সে ধর্মের বিরুদ্ধে লেখে। তার বক্তব্য হলো:

১। আমি সব ধর্মের বিরুদ্ধে লিখি কারণ আল্লাহ, ঈশ্বর, ভগবান বলে কিছু নেই। থাকলে পৃথিবীতে এত অনাচার ঘটতে দেখেও তাদের বসে থাকার কথা না।

২। ধর্ম মানুষে মানুষে ভেদাভেদ, রেশারেশি, যুদ্ধ, খুন, মানুষের সীমাহীন কষ্ট,.... এসবের জন্য দায়ী। আজ পর্যন্ত ধর্মের কারণে পৃথিবীতে যত মানুষ আক্রান্ত-ক্ষতিগ্রস্ত ও খুন হয়েছে, আর কোন কারণে এতটা হয়নি। ধর্ম না থাকলে প্রতিদিন পৃথিবীজুড়ে মানুষের এত ভোগান্তি হবেনা।

৩। হিন্দু ধর্মে জাতিভেদ আছে। ভগবান থাকলে মানুষে মানুষে ভেদাভেদ করার কথা না। কারণ সব মানুষই তার সৃষ্টি।

৪। ইসলাম শান্তির ধর্ম হলে বহুবিবাহ সমর্থন করার কথা না। কারণ এটি নারীর প্রতি চরম বৈষম্য ও নির্যাতন। মহানবী (স) সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ হলে ৫২ বছর বয়সে ১১ বছরের আয়েশাকে বিয়ে, জয়নবকে বিয়ে বা ১৪ টা বিয়ে করতেন না। বেহেশতে ৭০ হুর, সুরা এসবের লোভ দেখানো হতোনা। সব ধর্মে বহুবিবাহ জায়েজ। এটি ধর্মের নামে ধর্মপ্রচারক পুরুষদের যৌন লালসা পরিতৃপ্তির কৌশল যা কোন সৃষ্টিকর্তার বিধান হতে পারেনা।

৫। সব ধর্মের প্রবর্তক পুরুষ। এটি কোন সৃষ্টিকর্তার কাজ হতে পারেনা। নারী ও পুরুষকে একই সৃষ্টিকর্তা বানিয়ে থাকলে দু'একজন নারী ধর্ম প্রচারকও পাঠাতেন।

৬। সব নবী-রাসুলদের আগমণ ঘটেছে আরব বিশ্বে। হিন্দুধর্মের প্রসার ঘটেছে ভারতবর্ষে। এভাবে সব ধর্মের আদি ব্যাপ্তি ঘটেছে মধ্যপ্রাচ্য ও ভারতবর্ষে। বিশ্বের অন্য দেশ বা এলাকাগুলোতে কেন নয়?

৭। একজন ধার্মিক নির্দিধায় ধর্মের অজুহাতে আরেকজন মানুষকে (ধার্মিক বা নাস্তিক) আক্রমণ করে। একজন নাস্তিক কখনও তা করেনা। তার কাছে সব মানুষ সমান। তাই ধর্ম না থাকা ভাল।

৮। যুগে যুগে ধর্মকে পুঁজি করে নানা কৌশলে কিছু সুযোগসন্ধানী মানুষ নিরীহ মানুষকে ঠকিয়েছে, নির্যাতন করেছে, লোভ দেখিয়ে বিপথগামী করেছে। ধর্ম না থাকলে এসব হবেনা।

৯। কিছু মানুষের ধর্ম পালন অন্য মানুষদের কষ্টের কারণ। যেমন - উচ্চশব্দে ঢোলের বাজনা, গীর্জার ঘন্টা, আজানের শব্দ বা মাইকে ধর্মীয় প্রচারণা ইত্যাদি। আগে মানুষের কাছে ঘড়ি ছিলনা। তাই আজান দেয়া জরুরী ছিল। এখন মানুষ জানে কখন নামাজের সময় বা গীর্জায় প্রার্থনার সময়। ঢোলের বাজনা, মন্দিরের ঘন্টা সবাই পছন্দ করবে না। তাই এগুলো বন্ধ হওয়া ভাল। সারাবিশ্বের মুসলিমের হজ্জ্বের টাকায় সৌদি আরবের লোকেরা বিলাসিতা করে, গরীব দেশের নারী এনে যৌন নির্যাতন করে, শিশু এনে উটের জকি বানায়, অন্য মুসলিম ও অমুসলিম দেশের মানুষকে কষ্ট দেয় (যেমন -ইয়েমেন)। বিভিন্ন দেশের হাজীরা হজ্জ্ব করতে গিয়ে টাকা দিয়ে সৌদিদের পাপ কাজে পরোক্ষভাবে ইন্ধন যোগাচ্ছে। ফলে পুণ্যর চেয়ে পাপ হবার সম্ভাবনা আছে। ধর্ম না থাকলে এসব হবেনা। তাই ধর্ম না থাকা ভাল। ইত্যাদি।

আমি মনে করি, ধর্ম পালন করা বা না করা একজন মানুষের ইচ্ছাধীন একটি বিষয়। তেমনি কোন ধর্ম পছন্দ না হলে তার বিরুদ্ধে বলাটাও তার ইচ্ছাধীন একটি বিষয়। ধর্ম ভাল - এটিও একটি বিশ্বাস। ধর্ম মন্দ - এটিও একটি বিশ্বাস। আমি মানুষের উভয় বিশ্বাসকে সম্মান করি। তাই ধর্ম মানার জন্য কাউকে আক্রমণ করাকে আমি যেমন সমর্থন করিনা, তেমনি ধর্ম না মানা বা ধর্ম বিশ্বাস না করার জন্যও কাউকে আক্রমণ করাকে আমি সমর্থন করিনা।

ধর্ম অবমাননার (ব্লাসফেমি) কারণে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে প্রায়ই সহিংসতা ঘটে। পৃথিবীর আর কোন দেশে এমন ঘটেনা। এর কারণ কি? কোন দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী, সুষ্ঠু সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিবেশ, আইনের সুশাসন, সংস্কৃতি উন্নত ও শিক্ষার মান উন্নত হলে মানুষের মানসিকতা উদার হয়, সহনশীলতা বাড়ে, ধর্মান্ধতা কমে, অপরাধ কমে যায়।

দ্বিতীয় প্রশ্ন : কিছু মানুষ কেন ধর্মের বিরুদ্ধে কেউ কিছু বললেই, করলেই তাকে নির্যাতন বা খুন করা জরুরী বা পূণ্যের কাজ মনে করে?

এর কারণ ধর্ম রক্ষা করা বা জেহাদ করা। সম্প্রতি 'পিকে' ছবিতে ধর্ম রক্ষার নেতিবাচক প্রভাব ও ধর্মকে পুঁজি করে মানুষের ভন্ডামি দেখানো হয়েছে।

আমি মনে করি, এজন্য দায়ী আমাদের ভুল বিশ্বাস, ধর্মের ভুল ব্যাখ্যা বা ধর্মের আদেশকে ঠিকমত বুঝতে না পারা। সব ধর্মে সব মানুষের (অন্য ধর্মের বা নাস্তিকদের) প্রতি সহনশীল আচরণ করতে বলা হয়েছে যা কোন ধর্মের লোকই মানেনা। সব ধর্মে সব মানুষের দুনিয়ার কৃতকর্মের পুরষ্কার বা শাস্তির কথা বলা আছে যা সৃষ্টিকর্তা মৃত্যুর পর দেবেন। মানুষ একথা বিশ্বাস করেনা (তাই তারা আসলে ধার্মিক নয়)। করলে নাস্তিককে বা বিধর্মীকে তার কাজের জন্য সৃষ্টিকর্তা শাস্তি দেবেন - এটা ভেবে আমরা নাস্তিক বা বিধর্মীদের প্রতি সদয় হতাম, তাদেরকে নির্যাতন বা খুন করতাম না। ধর্ম রক্ষা বা জেহাদের নামে মানুষ খুন করে পাপী হতাম না।

হযরত ইব্রাহীম (আঃ) এর অভ্যাস ছিলো কোনো না কোনো মেহমানকে সাথে নিয়ে খাওয়া। একদিন তিনি অনেকক্ষণ অপেক্ষার পরও কোন মেহমান না পেয়ে একজন বৃদ্ধ ভিক্ষুককে নিয়ে খেতে বসলেন। ইব্রাহীম (আঃ) বিসমিল্লাহ্‌ তথা আল্লাহর নামে খাবার মুখে তুললেন; কিন্তু ভিক্ষুক বিসমিল্লাহ্‌ না বলেই খাওয়া শুরু করল। ইব্রাহীম (আঃ) ভিক্ষুককে প্রশ্ন করলেন, "আপনি আল্লাহর নাম না নিয়েই খাওয়া আরম্ভ কেন করলেন?"
ভিক্ষুক বলল, "আমি বাপু আল্লাহ্‌-তে বিশ্বাসী নই। পেলে খাই, আর না পেলে না খেয়েই থাকি। কারো নাম নেওয়ার দরকার মনে করি না।" ইব্রাহীম (আঃ) খুব রাগান্বিত হয়ে বললেন, "হে অকৃতজ্ঞ বান্দা! তুমি এখান থেকে চলে যাও। আমার এই খাবার তোমার মত নাফরমান ব্যক্তির জন্য নয়।" বৃদ্ধ ভিক্ষুকটি তখন মন খারাপ করে না খেয়েই সেখান হতে চলে গেলেন। সাথে সাথে আল্লাহর পক্ষ হতে ওহী আসলো যে, "হে ইব্রাহীম! আমি এই ভিক্ষুককে দীর্ঘ ৮০ বছর যাবৎ আহার করিয়ে আসছি। আমি কখনোই অভিযোগ করি নাই, কারণ সে আমারই বান্দা। আর তুমি তাকে এক বেলা খাওয়াইতে রাজি হলে না!!!" ইব্রাহীম (আঃ) তখন তাঁর ভুল বুঝতে পারলেন, এবং ভিক্ষুককে খুঁজতে লাগলেন, কিন্তু তাকে আর পেলেন না। অতঃপর তিনি অনুতপ্ত হলেন এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইলেন।

এরকম উদারতার গল্প সব ধর্মে আছে। কিন্তু সব ধর্মের কিছু ধর্মান্ধ মানুষ সেটা মানেনা। সমস্যাটা এখানে।

তৃতীয় প্রশ্ন : কেন ধর্মান্ধরা ধর্মের উর্ধে উঠে নিজেদেরকে, অন্য ধর্মাবলম্বীদেরকে ও নাস্তিকদেরকে 'মানুষ' ভাবতে পারেনা?

আমি মনে করি, এর কারণ হলো - ধর্ম না মানার অপরাধে পরকালের শাস্তির ভয়। মানুষ ধর্ম মানে পরকালে শাস্তির ভয়ে। সব ধর্মে মানুষকে মৃত্যুর পরে পাপের জন্য শাস্তির ভয় দেখানো হয়েছে যাতে সমাজে বিশৃংখলা না হয়। শাস্তির ভয় না থাকলে কেউ ধর্ম মানতো না। যার মধ্যে ভয় যত বেশী, সে তত ধার্মিক। যার ভয় নেই, সে ধর্ম মানতে চায়না। সব ধর্মের মানুষ পরকালের শাস্তির কথা বিশ্বাস করে ভয় পায়। কারণ মানুষ জানেনা, মৃত্যুর পরে কি হবে বা মৃত্যুর পরের জীবনটা কেমন। এই প্রশ্নের যৌক্তিক বা বৈজ্ঞানিক কোন উত্তর মানুষের কাছে নেই। তাই ধর্মের ব্যাখ্যা মেনে নেওয়া ছাড়া মানুষের আর কোন উপায় নেই।

মানুষ নিজ নিজ ধর্মকে রক্ষা করতে খুব তৎপর। কারণ ধর্মের ভয় না থাকলে মানুষ যা খুশী তাই করবে। মানুষ স্বভাবগতভাবে বহুগামী। মানুষের মধ্যে সুপ্রবৃত্তির চেয়ে কুপ্রবৃত্তির (লোভ, হিংসা, ক্রোধ ইত্যাদি) প্রভাব বেশী। মানুষের কুপ্রবৃত্তিকে দাবিয়ে রাখার জন্য ধর্মের সৃষ্টি। একই কারণে বিবাহ, পরিবারপ্রথা, সম্পত্তিতে উত্তরাধিকার ইত্যাদি নিয়ম তৈরী হয়েছে।

কোন ধর্মকে হেয় করে কেউ কিছু বললে, লিখলে বা করলে সে ধর্মের প্রতি ঐ ধর্মের এবং অন্য ধর্মের মানুষের সমর্থন, শ্রদ্ধা কমে যাবে বা সে ধর্ম কেউ মানবে না। এটা কেউ হতে দিতে চায়না। কারণ সব মানুষের কাছে তার নিজের ধর্ম তার ও তার পরিবার, গোত্রের লোকেদের জন্য পরকালের শান্তির নিশ্চয়তা। এই নিশ্চয়তা সে কিছুতেই নষ্ট হতে দিতে চায়না। তাই প্রয়োজনে খুন করাকেও সে পাপ মনে করেনা।

এক আস্তিককে এক নাস্তিক বলল, "কাল সকাল দশটায় রাজসভায় তুমি যদি প্রমাণ করতে পার আল্লাহ, ভগবান বা ঈশ্বর আছেন, তাহলে আমি আস্তিক হয়ে যাব। আর না পারলে তুমি নাস্তিক হয়ে যাবে।" আস্তিক রাজী হল। পরের দিন যথাসময়ে নাস্তিক রাজসভায় উপস্থিত হল। কিন্তু আস্তিক এলোনা। রাজা পেয়াদা পাঠালেন তাকে ধরে আনতে। আস্তিকের বাড়ীর কাছে একটা নদী আছে, যেটা পার হয়ে তাকে রাজবাড়ীতে আসতে হবে। দেখা গেল, আস্তিক সেই নদীর পাড়ে বসে আছে। পেয়াদা তাকে রাজসভায় যেতে বলল। আস্তিক বলল, "রাজামশায়কে গিয়ে বল, আমি অপেক্ষা করছি। নদীর পাড়ের একটা গাছ থেকে নিজে নিজে আমার জন্য নদীর উপর একটা সেতু তৈরী হবে। তারপর আমি সেতুর উপর দিয়ে হেঁটে নদী পার হয়ে রাজসভায় য়াব।" রাজা শুনে বিরক্ত হয়ে পেয়াদা পাঠিয়ে আস্তিককে ধরে নিয়ে গেলেন রাজসভায়। তারপর বললেন, "তুমি ফাজলামো কর? গাছ দিয়ে নিজে নিজে সেতু তৈরী হবে কি করে?" আস্তিক বলল, "একটা সেতু যদি নিজে নিজে তৈরী হতে না পারে, তাহলে এতবড় পৃথিবী নিজে নিজে তৈরী হবে কি করে, যদি কোন সৃষ্টিকর্তা না থাকে?" এবার নাস্তিক বলল, "বেশ। তোমার কথা মেনে নিলাম। সারা দুনিয়া কোন না কোন সৃষ্টিকর্তাই বানিয়েছেন। তাহলে তুমি বল, এত বিশাল আকাশ-পাতাল-পৃথিবী যিনি সৃষ্টি করলেন, তাঁকে কে সৃষ্টি করেছে?"

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৪৮

দীপঙ্কর বেরা বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ পোষ্ট। সঠিক বিশ্লেষণ।

২২ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৩৯

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।

২| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৫১

কামরুননাহার কলি বলেছেন: আপনি কোরআন পরেন তাহলেই সব প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন আপুন।

আর এখানে আপনি অনেক প্রশ্ন করেছেন যা একেবারেই উচিত হয়নি। যেমন- শেষ লাইনে একটি প্রশ্ন, উপরের থেকে চার নাম্বর, আমাদের নবী ৪টি বিয়ে করেছেন, ১৪টি নয়। বেহেস্তের পরুষদের জন্য ৭০টি হুর এবং মেয়েদের জন্য ৭০টি নাভা তৈরি করে রেখেন আল্লাহ। যারা সব সময় তাদের সেবায় মসগুল থাকবে। ধর্ম নারীদের সবথেকে বেশি সম্মানিত করেছেন আল্লাহ এবং তার রাসুল (সাঃ)। একজন আল্লাহর রাসুলকে নিয়ে কখনো এধরনের প্রশ্নে করা উচিত না। ধর্মে নারীদের সবথেকে বেশি অধিকার দিয়েছেন আল্লাহ।
ধর্ম নিয়ে এখন আর কেউ টানাটানি করেনা । রাসুল (সাঃ) তার শেষ ভাষণে বলে গিয়েছেন “তোমরা যার যার ধর্ম সে সে পালন করো, কারো ধর্ম নিয়ে বারাবারি করো না।” আপনি ধর্মকে নয় পৃথীবির মানুষ, পৃথিবীর সমাজ ব্যবস্থাকে বলতে পারতেন। কারন আজকে এই সব অপকর্মের দায় একমাত্র পৃথিবীর মানুষ আর সমাজ।

কোরআনে র্স্পশ ভাষায় লেখা আছে নারী পুরষ উভয় সমান এখন যদি পৃথিবীর মানুষেরা সেটা না মানে তাহলে সেটার দায়ী ধর্ম না সেটার দায় মানুষ।
আপনি বলেছেন পুরুষদের কেনো রাসুল রুপেই পাঠিয়েছেন আল্লাহ এই প্রশ্ন করার আগে আর একটু ভাবতে হতো আপনাকে। কারণ পৃথিবীতে নারীদেরকে আল্লাহ রাসুল বানিয়ে পাঠিয়েছেন যেমন- হযরত হাওয়া (রাঃ), হযরত আয়েশা (রাঃ) , হযরত খাদিজা (রাঃ) হযরত ফাতিমা (রা) এছাড়াও অনের নারী নবীর অনুসরণ করে পাঠিয়েছেন।
যেখানে হযরত ফাতিমা (রা) কে বেহেস্তের নারী নেত্রী বানিয়েছেন যেখানে কোন পুষের কথা বলা হয়নি। যেখানে কোরআনে র্স্পশ ভাষায় বলা হয়ছে মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেস্ত। সেখানে কোন পুরুষদের কে বলা হয়নি। এর পরও কেনো আপনি নারীদের ছোট করে দেখলেন এটাই আমি বুজতে পারলাম না আপু।
তাই আমি আপনাকে কোরআন পড়তে বলবে কোরআন পরে দেখেন। সেখানে কি লেখা আছে।
“আল্লাহ বলেছেন আমি যা জানি তোমরা তা জানোনা” এবং আল্লাহ বলেছেন আমার সর্বশেষ কিতাব কোরআর পড়ো, আমার সর্বশেষ রাসুল তাকে অনুসর করো। আল্লাহ এটাও বলেছন ধর্ম নিয়ে যে বারাবারি করবে আমি তাকে আমার কিয়মতের দিন শাস্তি দিবো। যারা আমার কথা অমান্য করবে কিয়ামতের দিন তার সাথে আমার বোজাপড়া হবে।
রাসুল (সাঃ) পৃথিবীর সব নারী-পুরুষের জন্য কেদেছেন। শুধু পুরুষদের জন্য কাদেননি। এবং কিয়ামতে দিনও তিনি আমাদের জন্যই কাদবেন নিজের জন্য নয়। তাই তাকে অপমান করা একেবারে আপনার উচিত হয়নি। আপনি যা বলেছেন সেটা একটা নাস্তিকের ভাষা। তবে আমি জানি না আপনি কোন ধর্মের ।

২২ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:০৫

আলপনা তালুকদার বলেছেন: আপনাকে বোঝানো কঠিণ। কারণ আপনার জানায় ঘাটতি আছে। তবু শেষবার বলি। নাভা আর হুর এক না। চাকর আর স্বামী এক না। নারীদের জন্য শুধু একজন স্বামীর কথা বলা আছে। একই কথা পুরুষদের জন্য বলা থাকলে উভয়ে সমান সম্মান পেত।

"ধর্ম নিয়ে এখন আর কেউ টানাটানি করেনা "- আপনি বোকার স্বর্গে বাস করছেন। বিংশ শতাব্দীতেও ধর্মের কারণে লোকের ঘরবাড়ি পোড়ে, জীবন্ত মানুষ পোড়ায়, প্রকাশ্যে খুন হয়, দেশছাড়া হয়.....।

"কারণ পৃথিবীতে নারীদেরকে আল্লাহ রাসুল বানিয়ে পাঠিয়েছেন যেমন- হযরত হাওয়া (রাঃ), হযরত আয়েশা (রাঃ) , হযরত খাদিজা (রাঃ) হযরত ফাতিমা (রা)"  এঁরা রাসুল???? আপনি নিজে আগে কোরাণ পড়ুন। আপনি নিজে হাদিস-কোরান বিকৃত করছেন।

এছাড়াও অনের নারী নবীর অনুসরণ করে পাঠিয়েছেন। অনুসরণ আর নবী এক?????

"মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেস্ত"- এটি প্রতিষ্ঠিত হতো যদি ছেলে ও মেয়ে সমান সম্পত্তি পেত। তাহলে দায়িত্ব ও সমান নিত। মেয়েরা বাবা ও স্বামীর সম্পদ পায়। তাই বলা হয় এজন্য বাবার সম্পদ পুরুষ বেশী পাবে। পুরুষও বউয়ের সম্পদ (শ্বশুরের থেকে পাওয়া) পায়। ফলে সমান দিলে পুরুষের লস হতোনা। সম্পদ কম পাবার কারণে বাবার বাড়ীতে মেয়েদের অধিকার কম। স্বামী মারা গেলে বা তালাক হলে বাবার বাড়ীতে মেয়েদের অবস্থা হয় পরগাছার মত। এটি ভীষণ রকম অনুচিত।

"কিয়মতের দিন শাস্তি দিবো" - একথা মানলে ব্লগার বা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক খুন হতোনা। তাদের সাথে আল্লাহ বোঝাপড়া করতেন, ধর্মান্ধরা নয়।
কারো সম্পর্কে সত্যি কথা বলা অপমান নয়। রাসুল (সঃ) বা গীতা সম্পর্কে কিছু বলা মুসলিম ও হিন্দুদের জন্য অনুচিত, নাস্তিকদের জন্য নয়। তারা বলতেই পারে। বলে দোজখে যেতে চাইলে কার কি? সেটা আল্লাহ বুঝবেন, আপনি আমি না।

৩| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:১৪

আবু তালেব শেখ বলেছেন: সঠিক আলোচনা করেছেন। নাস্তিক দের মাথায় ঢোকেনা এই সৃষ্টি এমনি এমনি হতে পারে না। বিজ্ঞানের অল্প জ্ঞান ইশ্বরে অবিশ্বাস জন্মায় কিন্তু গভীর জ্ঞানে ঈশ্বরের অস্বিত্ব প্রমান করে। এবং এই উক্তি একজন নাম করা বৈজ্ঞানিকের

২২ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:০৮

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।

৪| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৩

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: মোহাম্মদের চরিত্রে এমন কিছু খুঁজে পাওয়া যায়, যাগুলো যেকোন স্থীর মস্তিষ্কের মানুষের কাছেই বাজে মনে হবে। যুদ্ধ, নিজের পালিত ছেলের স্ত্রীকে বিয়ে, একটা বাচ্চাকে মেয়েকে বিয়ে সহ অনেক কাজ করেছেন, যা সভ্য সমাজে কেউ কল্পনাও করতে পারে না।
এসব তো ফ্যাক্ট, কেউ তো আর এসব বানিয়ে বলছে না।
এসব বললেও কটূক্তি মনে করে অনেকে। সত্যি কথাটাও কটূক্তি মনে হয়, যখন সেটাকে অন্ধভাবেই মানা হয়। ইসলাম,মহাম্মদ এদের নয়ে কটূক্তি করতে হয় না- এদের কাজনিয়ে আলোচনা করলেই সেটা কটূক্তিই হয়ে যায়। এটা আলোচনাককারীর সমস্যা নয়। যা নিয়ে বা যাকে নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে তার সমস্যা

২২ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:১২

আলপনা তালুকদার বলেছেন: আমার পোস্টের উদ্দেশ্য ও তাই। পরমতসহিষ্ণুতা বাড়ানো। মানুষ নিজের বিবেচনা থেকে কোন কিছুকে বিচার করার স্বাধীনতা পাক। কিন্তু সেকারণে তাকে আক্রমণ করা অনুচিত।

৫| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৩৮

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: কবি নজরুল ইসলাম "বিদ্রোহী" কবিতায় লিখেছিলেন
"...আমি বিদ্রোহী ভৃগু, ভগবান বুকে এঁকে দিই পদ-চিহ্ন"
এখানে কি তিনি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অপমান করেছিলেন ?

যদি ভগবানের বদলে লিখতেন ".... আল্লাহ বুকে এঁকে দিই পদ-চিহ্ন" তাহলে কি তিনি মুসলমানদের অপমান করতেন ?
বাংলাদেশ কী তাঁকে জাতীয় কবি বানাতো ?

২২ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:১৪

আলপনা তালুকদার বলেছেন: মুসলিমদের তো বটেই, সব ধর্মের মানুষের "ধার্মিক" পরিচয়ের উর্ধে উঠে নিজেদের "মানুষ" ভাবা উচিত। ধন্যবাদ।

৬| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৫২

কাউয়ার জাত বলেছেন: @ আরণ্যক রাখাল,
মুহাম্মাদ (সা) এর ব্যাপারে আপনার আলোচিত বিষয়াবলী তৎকালীন তার জীবনের শত্রুদের নিকটও বাজে মনে হয়নি। সমসাময়িক কেউ এসব নিয়ে প্রশ্ন তোলেনি। বরং তারাও স্বীকার করত, ধর্মীয় বিশ্বাস ব্যতীত অন্য কোন প্রশ্নে মুহাম্মাদ (সা) এর সাথে তাদের কোন বিরোধ নেই। তারা তাকে আদর্শ মানুষ হিসেবেই জানত। এমনকি তৎকালীন বাইজান্টাইন সম্রাটের নিকট মক্কার পৌত্তলিকদের প্রধান নেতা আবু সুফিয়ানও নবীর উন্নত চরিত্রের কথা স্বীকার করেছিল। যে ইতিহাস থেকে আপনারা এত এত দোষ খুঁজে পান সে ইতিহাসে কি এসব ঘটনা খুজে পান না?

আপনাদেরকেই যদি চোখে আঙুল দিয়ে দেখানো হয় রবীন্দ্রনাথের বিবাহকালীন স্ত্রীর বয়স ছিলো ৮-১০ বছর। বঙ্গবন্ধুর বিবাহকালীন স্ত্রীর বয়স ছিলো ৮-১০ বছর তখন আপনারা চুপসে যান।

পালিত পুত্র কি পুত্র? ইসলাম কি এই সম্পর্ক স্বীকার করে? আসলে এগুলো স্থির মস্তিষ্কের নিকট বাজে মনে হয় না। বাজে মনে হয় বাজে মস্তিষ্কওয়ালা লোকদের নিকট। কারণ প্রত্যেকটা প্রামাণ্য ইসলামের ইতিহাসের গ্রন্থে পুরো ঘটনা বিস্তারিত উল্লেখ আছে। মুসলিম ইতিহাসবিদরা এর কিছুই লুকাননি অথবা এই ভয় পান নি যে মানুষ খারাপ মনে করবে।

আপনারা মানবতার বুলি আওড়ালেও মানুষের প্রতি সামান্য সুধারণা পোষণ করতে পারেন না। ইতিহাস থেকে সামান্য নিয়ে বাকিটুকু নিজেদের প্রবৃত্তি অনুযায়ী কুধারণা এবং মিথ্যার রঙ মিশিয়ে উপস্থাপন করে নিজেদের অনুসিদ্ধান্তকে অলঙ্ঘনীয় সত্য বলে দাড় করাতে চান। অথচ পৃথিবীর কোন সাধারণ আদালতও উভয় পক্ষের কথা না শুনে, উভয় পক্ষের ডকুমেন্ট যাচাই না করে কাউকে দোষারোপ করার বৈধতা দেয়না। এরপরও বড় বিবেকওয়ালা সাজেন এবং দাবী করেন যে, এগুলো স্থির মস্তিস্কের নিকট বাজে মনে হয়।

মুহাম্মাদ (সা) এর সারাজীবনে যত যুদ্ধ করেছেন। সব মিলিয়ে পক্ষে বিপক্ষে তাতে দশ হাজার মানুষও মারা যায়নি। অথচ আজকার পৃথিবীর মানবতাবাদী রাষ্ট্রগুলোর একটি বোমা এর চেয়ে অসংখ্য বেশি মানুষের প্রাণ হরণ করে। কেউ একটা প্রমাণ দিতে পারবে না যে মুহাম্মদ (সা) নেতৃত্বাধীন কোন যুদ্ধে কোন একজন নারী-শিশু বা বেসামরিক মানুষকে ইচ্ছাকৃত হত্যা করা হয়েছে।

২২ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:২১

আলপনা তালুকদার বলেছেন: যেকোন মানুষের (ধার্মিক বা নাস্তিক) বাক স্বাধীনতা থাকবে। ইসলামও এটা মানে। সমস্যা হয় তখন, যখন মুসলিম বা ধার্মিকরা এটা মানেনা। ধর্মের কারণে যত অনিয়ম হচ্ছে, তার মূলে এই পরমত অসহিষ্ণুতা বা অন্যের ধর্মকে স্বীকৃতি না দেওয়া। এটি অনুচিত। আমাদের মানসিকতা আরো উদার হওয়া দরকার। ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।

৭| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৪৬

প্রামানিক বলেছেন: ধর্ম বিশ্বাসের উপর নির্ভর। বিশ্বাস আছে ধর্ম আছে বিশ্বাস নাই ধর্ম নাই। কেউ যদি তার ধর্মকে পুরোপুরি পালন করে তবে তার দ্বারা মানুষের কোন ক্ষতি হবে না। যেমন ইসলাম ধর্মে প্রতিবেশির খোঁজ খবর নেয়ার বিধান আছে, হোক সে মুসলিম, হিন্দু, খ্রীষ্টান, বৌদ্ধ বা অন্য কোন ধর্মের লোক। নিজে খাওয়ার আগে প্রতিবেশি খেয়েছে কিনা সেটা দেখা দরকার। প্রতিবেশি না খেয়ে থাকলে খোঁজ খবর নিয়ে তার খাবারের ব্যবস্থা করা প্রত্যেক মুসলমানের দায়িত্ব। আমরা কি তাই করি? করি না। তাহলে এখানে ইসলাম ধর্মের দোষ কোথায়? দোষ তো আমাদের, আমরা ধর্ম সঠিক ভাবে পালন করি না। যদি ধর্ম সঠিকভাবে পালন করি তবে একটা মানুষও না খেয়ে থাকবে না এবং একটা মানুষও মানুষ দ্বারা কোন রকম ক্ষতিগ্রস্থ হবে না।

হযরম ওমর (রাঃ) একদিন গভীর রাতে ঘোড়া নিয়ে পুরো এলাকা ঘুরে ঘুরে দেখছেন, কেউ কোন কষ্টে আছে কিনা। হঠাৎ একটি ইহুদী লোকের ঘরের কাছে যেতেই ঘরের ভিতর থেকে মহিলা কণ্ঠে কান্নার আওয়াজ তার কানে ভেসে আসল। হযরত ওমর কান পেতে বোঝার চেষ্টা করলেন এবং বুঝতে পারলেন মহিলা প্রসব বেদনায় কষ্ট পাচ্ছে এবং তাকে সাহয্য করার মত কেউ নেই। তিনি ঘোড়া নিয়ে দৌড়ে বাড়ি গেলেন। বাড়ি গিয়ে ঘুমন্ত স্ত্রীকে ডেকে তুলে বললেন-- স্ত্রী গো, আমার এলাকায় একজন ইহুদী মহিলা প্রসব বেদনায় খুব কষ্ট পাচ্ছে। যদি এই মহিলা কষ্ট পেয়ে মারা যায়, তাহলে কেয়ামতের দিন আমি আল্লার কাছে কি জবাব দিব? স্ত্রী গো, তুমি তাড়াতাড়ি আমার ঘোড়ায় উঠ বস, যেমন করেই হোক ঐ মহিলার সেবা করে সুস্থ্য করতে হবে। ইহুদী মহিলার এই দুর্দিনে সেবার বিনিময়ে তুমি পাবে জান্নাত আর আমি দোজখের আগুন থেকে রেহাই পাবো।

একেই বলে ইসলাম, একই কাজের পরিনামে একজন পাবে জান্নাত আরেকজন রেহাই পাবে দোজখের আগুন থেকে।
এখানে উল্ল্যেখ করার মত যে, হযরত ওমর (রাঃ) তো বলতে পারতেন-- ইহুদী মহিলা মরে মরুক তাতে মুসলমানের কি? কিন্তু তিনি তা না করে একই আল্লাহর সৃষ্টি সব মানুষকে যে রক্ষা করতে হবে এবং এর জবাব যে কেয়ামতের দিন আল্লাহর নিকট দিতে হবে, সেই চিন্তায় তিনি নিজের স্ত্রীকে ঘুম থেকে তুলে নিয়ে ছুটলেন ইহুদীর বাড়ি। ইহুদীর বাড়ি গিয়ে সেই মহিলার সেবা করে সন্তান হওয়ার পর তাদেরকে সুস্থ্য অবস্থায় রেখে তারা আবার রাতেই নিজের বাড়ি ফিরে এলেন।
আপনি যদি ধর্ম সঠিকভাবে পালন করেন তাহলে নাস্তিক হওয়ার তো দরকার নেই। ধর্মেই সব সমস্যার সমাধান আছে। ধর্ম তো মানুষ মারতে বলে নাই, ধর্ম তো কোন অন্যায় কাজ করতে বলে নাই। বরঞ্চ যত রকম অন্যায় কাজ করা হচ্ছে তার বিপক্ষে ধর্ম। ধর্ম সব সময় ন্যায় এবং শান্তির পক্ষে।
আস্তিক নাস্তিক নিয়ে লিখতে গেলে অনেক লিখতে হয় মন্তব্যে এত লেখা সম্ভব হলো না।

২২ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩১

আলপনা তালুকদার বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ। আমি এই কথাটাই বার বার বলি। কেউ নাস্তিক হয়ে যা খুশী বললেও প্রকৃত ধার্মিক তাকে মারতে পারেনা। কোন ধর্মই কারো ক্ষতি করার অনুমতি দেয়না। লোকে কেন এই সহজ কথাটা বোঝেনা? আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগের শিক্ষক রেজাউল করিম সিদ্দিকী স্যার খুন হয়েছেন। কারণ তিনি তাঁর এলাকায় একটা গানের স্কুল খুলেছিলেন।

৮| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: ধর্ম নিয়ে হানাহানি প্রচুর হয়েছে। আজও হচ্ছে। কাজেই ধর্ম নিয়ে আমি আশাবাদী খুব কম।
ধর্ম হলো আফিম। এই ধর্মই দেশটাকে শেষ করে দিচ্ছে।

অবশ্যই আপনি এখন আমাকে নাস্তিক বলবেন?

২২ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:২০

আলপনা তালুকদার বলেছেন: না, বলবনা। আমিও আশাবাদী কম। মানুষের বিবেকবোধ সবার সমান নয়। আমারা ধর্মের এসেন্স না বুঝলেও ধর্মের কারণে হানাহানি খুব ভাল বুঝি। ধন্যবাদ।

৯| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪১

জনদরদী বলেছেন: ২২ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:২১
লেখক বলেছেন: যেকোন মানুষের (ধার্মিক বা নাস্তিক) বাক স্বাধীনতা থাকবে।


বাক স্বাধীনতা কি?

২২ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৭

আলপনা তালুকদার বলেছেন: আমার কাছে বাকস্বাধীনতা মানে অন্যের ক্ষতি না করে নিজের বিশ্বাস, মত বা যুক্তি উপস্থাপন। একজন ধার্মিক বলতে পারে - ধর্ম ভাল। এটা তার বাক স্বাধীনতা। একজন নাস্তিক বলতে পারে - ধর্ম মন্দ। এটা তার বাক স্বাধীনতা। এতে কারো কোন ক্ষতি হবার কথা নয়। ধন্যবাদ।

১০| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৫২

জনদরদী বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমার কাছে বাকস্বাধীনতা মানে অন্যের ক্ষতি না করে নিজের বিশ্বাস, মত বা যুক্তি উপস্থাপন।

মনে করেন, একজন মেয়েকে রাস্তায় কয়েকজন ছেলে টিজ করেছে । এটা কি ছেলেগুলোর বাক স্বাধীনতা । এখানে মেয়েটার কোন ক্ষতি হচ্ছে কি ?

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:০২

আলপনা তালুকদার বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জবাব দেইনি। কারণ আমার আগের কমেন্টে উত্তর দেয়া আছে। অন্যের ক্ষতি না করে...

১১| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৪

শামচুল হক বলেছেন: ধর্মের ভয় দেখিয়ে খারাপ মানুষকে ভালো করা যায় কিন্তু নাস্তিকের ভয় দেখিয়ে কি এটা করা সম্ভব?

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:০৪

আলপনা তালুকদার বলেছেন: আপনার প্রশ্ন বুঝি নাই।

১২| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:০৮

জনদরদী বলেছেন: ম্যাম, আমি জানতাম আপনি উত্তর দিবেন না ।
স্বাধীনতা, বাক-স্বাধীনতা, সমঅধিকার, মুক্তচিন্তা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে যারা কথা বলে তাদের ৯৯% ই দ্বৈত-নীতি অধিকারী হয় ।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:০১

আলপনা তালুকদার বলেছেন: আপনার আগের মন্তব্যের জবাব দেইনি। কারণ আমার আগের কমেন্টে উত্তর দেয়া আছে।

১৩| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৫৮

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: @কাউয়ার জাত,
আমি নিজেই ব্যাপারটা নিয়ে ইস্টিশনে লিখেছি। পড়ে দেখতে পারেন।
কেন রবি ঠাকুরের বিয়েটা ফ্যাক্ট না, আর মহাম্মদেটা ফ্যাক্ট

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:০২

আলপনা তালুকদার বলেছেন: সহজ জবাব। রবি ঠাকুর সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ, নবী, রাসুল বা ধর্মপ্রচারক ছিলেন না যে তিনি কোন ভুল কাজ করতে পারবেন না। সাধারণ মানুষ দোষ করলে তাকে যতটা খারাপ বলা হয়, তারচেয়ে অনেক বেশী খারাপ বলা হয় পুলিশ, হুজুর বা শিক্ষক করলে। ধর্ম প্রচারকের কাছে আমাদের প্রত্যাশা বেশী না হলে আমরা তাকে রাসুল বলে মানব কেন? তার কথা মেনে চলব কেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.