নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সিনেমাপ্রেমী । ট্র্যাভেলার । বইপোকা । রন্ধনশিল্পী

আলভী রহমান শোভন

খাই, দাই, ব্লগ লিখি ।

আলভী রহমান শোভন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বই রিভিউ – শামসুর রাহমানের উপন্যাস ‘অদ্ভুত আঁধার এক’

২৪ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:০১



জীবনে নানান লেখকের নানান ধরণের বই পড়া হলেও স্কুলের বাংলা পাঠ্যপুস্তক ছাড়া শামসুর রাহমানের লেখা আর পড়া হয়নি কেন জানি। এমনিও সব ধরনের বই পড়লেও কবিতার বই খুব একটা পড়া হয় না। বাসায় ‘শামসুর রাহমান রচনাবলী – ৩’ বইটা বুক শেলফে পড়ে ছিল প্রায় আট বছরের মত। কোন এক প্রতিযোগিতায় পুরস্কার হিসেবে পাওয়া বইটা। কখনো উল্টে পাল্টেও দেখা হয়নি বইটা। এবারের ঈদে (অথবা ইদে) বাসায় আসার পর কি মনে করে যেন শেলফ থেকে বইটা বের করে হাতে নিলাম। নেড়েচেড়ে দুই চারটা কবিতা পড়লাম। এরপর পড়তে থাকলাম তাঁর লেখা প্রবন্ধগুলো। তাঁর একমাত্র প্রবন্ধের বইয়ের রসালো রচনাগুলো বিভিন্ন সাহিত্যিক, লেখক সমাজ এবং নিজের সাহিত্যজীবনের কথাই তুলে ধরেছেন বেশ সাবলীল মুগ্ধকর ভাষায়।

বইটিতে ‘অদ্ভুত আঁধার এক’ নামের একটি উপন্যাসও আছে। এক পাতা দুই পাতা পড়তে পড়তে পুরো উপন্যাসে মজে গেলাম। গোগ্রাসে গিলতে থাকলাম উপন্যাসখানা। মুক্তিযুদ্ধের সময়টাকে ধারণ করে অসাধারণ লেখনী। কবি শামসুর রাহমান যে তাঁর কবিতার সাথে উপন্যাস রচনায়ও পরিপূর্ণ রূপে পারদর্শী ছিলেন সেটা এই উপন্যাস না পড়লে বুঝতাম না।

২০০০ সালে বই আকারে প্রকাশিত ‘অদ্ভুত আঁধার এক’ উপন্যাসের কাহিনী আবর্তিত হয়েছে সাংবাদিক নাদিম ইউসুফকে ঘিরে। পঁচিশে মার্চ রাতে পাকসেনাদের অতর্কিত আক্রমণে যখন ঢাকা আক্রান্ত নাদিম তখন তার স্ত্রী এবং তিন সন্তানকে নিয়ে ঢাকা থেকে পালিয়ে নিজ গ্রামে আসেন। পাকিস্তানের সংবাদপত্রে কাজ করা নাদিম গ্রামে আসার পর পড়ে যায় দোটানায়। নাদিম কি ঢাকায় ফিরে গিয়ে আবার সেই পাকিস্তানি সংবাদপত্রে যোগদান করবে ? নাকি বোনের কথা মত মুক্তিযুদ্ধের ট্রেইনিং এ ভারতে গমন করবে? একদিকে পরিবারের ভাত কাপড়ের যোগানের দায় অন্যদিকে দেশকে শত্রুমুক্ত করার আকাঙ্ক্ষা।

মুক্তিযুদ্ধের সময়কে উপজীব্য করে রচিত হলেও একে পরিপূর্ণ মুক্তিযুদ্ধের উপন্যাস বলা যাবে না। কারণ যুদ্ধের চেয়ে নাদিমের ব্যাক্তিগত জীবন এবং তার অতীতের ফ্ল্যাশব্যাককে বেশী ফোকাস করা হয়েছে। একে একাধারে আত্মজীবনীমূলক উপন্যাস বললেও ভুল হবে না। কারণ নাদিমের চরিত্রের সাথে শামসুর রাহমানের একাত্তরের সময়কার মিল লক্ষণীয়। শুধু তাই নয়, মিল পাওয়া যায় নাদিমের শিক্ষাজীবন, কর্মজীবন এমন কি সাংসারিক জীবনের সাথেও।

নেটে ঘেঁটে দেখলাম শামসুর রাহমানের লেখা উপন্যাসের সংখ্যা মাত্র চারটি। ‘অদ্ভুত আঁধার এক’ পড়ার পর এখন বাকি তিনটি উপন্যাসও পড়ার তীব্র লোভ হচ্ছে।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১:১৬

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: কবিতা ছাড়া উনার আর কিছু পড়া হয় নি । রিভিউ ভালো লাগলো ।

২৪ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১:২৪

আলভী রহমান শোভন বলেছেন: সময় করে পড়ে দেখবেন উনার অন্যান্য লেখাগুলো। আশা করি ভালো লাগবে। ধন্যবাদ আপনাকে।

২| ২৪ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ২:০৯

ধীবর চন্দন বলেছেন: শামসুর রাহমানের কোন উপন্যাস পড়া হয় নি। আপনার পাঠ-প্রতিক্রিয়া পড়ে ভালো লাগলো।

২৪ শে জুন, ২০১৭ রাত ৯:৫৭

আলভী রহমান শোভন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.