নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সিনেমাপ্রেমী । ট্র্যাভেলার । বইপোকা । রন্ধনশিল্পী

আলভী রহমান শোভন

খাই, দাই, ব্লগ লিখি ।

আলভী রহমান শোভন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বই রিভিউঃ ভেরোনিকা চেম্বারের মামা’স গার্ল (এক কৃষ্ণাঙ্গ নারীর স্বপ্ন,সংগ্রাম এবং সাফল্যের গল্প )

১২ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৫



অন্য যেকোনো সাধারণ জীবনীর চেয়ে আত্মজীবনীমূলক বই পড়তে বেশী ভালো লাগে। কারণ লেখক তাঁর নিজের জীবনের গল্পগুলো যতটা সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করতে পারেন সেটা কোন তৃতীয় ব্যক্তি ততটা সাবলীল ভাবে উপস্থাপন করতে পারেন না।

যাই হোক, বইয়ের দোকানে কিছু ইংলিশ উপন্যাস খুঁজতে গিয়েই নজরে এলো ভেরোনিকা চেম্বারের মামা’স গার্ল বইটি। বই হাতে নিয়ে কয়েকটি পৃষ্ঠা নেড়েচেড়ে দেখতেই বুঝে গেলাম এটা আত্মজীবনীমূলক বই। কোন কিছু না ভেবেই কিনে নিলাম বইটা।

ভেরোনিকা চেম্বারের ব্যাপারে আগেই টুকটাক শুনেছিলাম। বারাক ওবামার সহধর্মিনী মিশেল ওবামাকে নিয়ে লেখা ১৬ জন লেখকের প্রবন্ধের বই দ্য মিনিং অব মিশেল বইটির সম্পাদক তিনি। এছাড়াও কৃষ্ণাঙ্গদের অধিকার নিয়ে কলাম এবং বই লিখেন তিনি। তাদের নিয়ে কাজ করেন ভেরোনিকা।

১৯৯৬ সালে প্রকাশিত বেস্ট সেলারের তকমা পাওয়া বইটি ভেরোনিকার শৈশব থেকে বেড়ে ওঠা, জীবনে তাঁর সংগ্রাম এবং সাফল্য পাবার কথা বলা হয়েছে। নারী নির্যাতনের ব্যাপারটি ভেরোনিকা সেই শৈশব থেকেই দেখে এসেছে নিজের পরিবারে। অযথা নিজের স্বামীর হাতে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হতে হত ভেরোনিকার মাকে। কখনো কখনো প্রহারের ফলে রক্তাক্ত হয়ে যেতেন তিনি। কিন্তু তবুও নিজের দুই ছেলে মেয়ের ভবিষ্যৎ এর কথা চিন্তা করে সংসারেরই থিতু হতেন ভেরোনিকার মা। তবে সহ্যসীমা যখন মাত্রা ছাড়িয়ে যায় তখন স্বামীর ঘর ছাড়তে বাধ্য হন তিনি। ছেলে মেয়েকে নিয়ে নতুন সংগ্রাম শুরু হয়। আর এখান থেকেই শুরু হয়ে যায় ভেরোনিকারও সংগ্রাম। নিজের মোটামুটি এলিট জীবনযাপনের পর এই জীবন অনেকটাই অনাকাঙ্ক্ষিত ছিল তাঁর জন্য। কিন্তু তবুও ব্যাপারটি মেনে নেয় কারণ এখন থেকে তাঁর মা এবং তাকে বাবার নির্যাতনের শিকার হতে হবে না। সবকিছু মোটামুটি চললেও ঝামেলা বাঁধে ভেরোনিকার মা দ্বিতীয়বার বিয়ে করার পর। সৎবাবার কটুকথা শুনতে শুনতে কান ঝালাপালা হবার পর ভেরোনিকা সিদ্ধান্ত নেয় নিজের বাবার বাসায় থাকার। সেখানে থেকেই পড়াশোনা করবে সে। এদিকে তাঁর নিজের বাবাও দ্বিতীয় বিয়ে করে। সেই সংসারে যাবার পর সবকিছুর সাথে নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে মানিয়ে নেবার চেষ্টা করা সত্ত্বেও শান্তিতে থাকতে পারে না সে। বাবা এবং সৎমায়ের শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন কুরেকুরে খায় তাকে। সব কিছু থেকে নিজেকে বাঁচাতে এবং পরিবার থেকে দূরে থাকতে বিশেষ ব্যবস্থায় সে হাইস্কুল শেষ করার আগেই কলেজে ভর্তি হয়ে যায়। কিন্তু কয়েক মাস পর ভেরোনিকার বাবা তাঁর পড়াশোনার খরচ দেওয়া বন্ধ করে দেয়। পরিনামে তাকে বিভিন্ন শিফটে কাজ করে টাকা উপার্জন করতে হয়। ভেরনিকার জীবনের বাকি অধ্যায় আর বলছি না। পাঠক বইটি পড়ে আবিষ্কার করবেন এই সংগ্রামী নারীর স্বপ্ন এবং সাফল্যের উপাখ্যান।

জীবনের নানা সময়ে নিজের চেহারা এবং চামড়া নিয়ে কটুকথা শুনতে হয় তাকে। কিন্তু তবুও নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে অটল ছিলেন ভেরোনিকা। নিজের কাজ এবং গুনেই ১৯৯০ সালে গ্লামার ম্যাগাজিনের টপ টেন কলেজ গার্ল হিসেবে নির্বাচিত হন। নিউ ইয়র্ক টাইমস ম্যাগাজিনের এই সম্পাদকের ১৯২ পৃষ্ঠার মামা’স গার্ল বইটি যেকোন মেয়ের জীবনের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১:৩৯

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
প্রিয়তে রাখলাম ..... কাল পড়বো ।।

১৫ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:৪৯

আলভী রহমান শোভন বলেছেন: আচ্ছা। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.