নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

:):):)(:(:(:হাসু মামা

:):):)(:(:(:হাসু মামা › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্প একটি বিড়াল মিশন

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:৪৪

তখন রাত বারোটার মতো বাজে কফিল সাহেবের চোখে কেবল ঘুম লেগে এসেছে
এর আগেও কফিল সাহেবের শব্দটি বেশ কয়েক বার শুনেছিলো কিন্তু অতটা আন্দাজ
করতে পারেননি তিনি আসলে শব্দটি কোথায় থেকে হচ্ছে ? নাহ! শব্দটি বেড়েই চলছে
আর শব্দটি এখন মনে হচ্ছে স্পষ্ট বাড়ির ভিতর কোথাও থেকেই হচ্ছে'
কফিল সাহেব একটু একটু ভয় পাচ্ছিলেন এই ভেবে যে বাড়িতে চোর ডুকেছে কিনা"
আর এর কারণ হলো সেদিন কফিল সাহেব তার অফিস ফ্রান্ট প্রায় সাত লাখ টাকা পেয়েছেন
আর সব গুলো টাকা তিনি বাড়িতেই এনে রেখেছেন" সে কারণেই তিনি ভেবেছিলেন হয়তো
সে টাকার গন্ধে বাড়িতে চোর এসেছে আর সে চোর হয়ত বাড়ির কোন ঘরের বেড়া কাটছে ।
সেদিন অন্যদিকে মেয়ের শশুর কফিল সাহেবের বিযাই হাওলাদার সাহেবও বেড়াতে এসেছিল
এভাবে বেশ কিছুক্ষণ শব্দটি শোনার পর কফিল সাহেব ও তার বিয়াই দুজন মিলে বিছানা থেকে
উঠে বসলেন"কফিল সাহেব হাতে বড় ওমোটা একটি লাঠি নিলেন অন্যদিকে বিয়াই হাওলাদার
সাহেবকে দিলেন একটি বড় দা । দুজনেই নেমে গেলেন কোথাই থেকে শব্দটি আসছে টা অনুসন্ধানের
মিশনে ।পাজি চোর কোথায় থেকে শব্দ করছে একবার শুধু ওকে পেয়েনি দেখাবো মজা ।
সারা বাড়ি দুই বিয়াই মিলে চোর খুঁজতে খুঁজতে অস্থির কিন্তু কোথাও চোরের দেখা পেলো না ।
আর সব থেকে মজার বেপার হলো তারা দুজন মিলে যখন চোরকে খুঁজতে লাগলো
হঠাৎ সেই শব্দটি বন্ধ গেলো তারা ভাবলেন হয়তোবা চোর বেটায় তাদেরকে দেখে চলে গেছে"
তাই কফিল সাহেব হাওলাদার সাহেবকে বললেন নাহ! বিয়াই চোর বেটায় আপনারে আর আমারে দেখে পলায়ছে"
চলেন এবার আর সমস্যা নাই আমরাও একটু ঘুমিয়ে নিই রাত অনেক হয়েছে ।
দুই বিয়াই মিলে বিছানায় গেলেন ঘুমনোর জন্য ফের শুরু হলো শব্দ ।
আবারো দুজন মিলে পুরো বাড়ি খুঁজেলেন শেষ পযন্ত কফিল সাহেব বুঝতে পারলেন তার যে পুরনো আলমাড়িটি ছিল সেটা থেকে
সেটা থেকেই শব্দটি হচ্ছে" তার মানে নিশ্চিত তারা ধরে নিলেন এবার চোর বেটায় এখানেই লুকিয়ে আছে'
আর এ জন্য কফিল সাহেব হাওলাদার সাহেবের হাত থেকে দা নিয়ে তার হাতে একটি মোটা চাদর দিলেন আর হাওলাদার সাহেবকে
কফিল সাহেব বলে দিলেন বিয়াই আমি যখন এই আলমাড়ি খুলবো তখন কিন্তু চোর বেটায় পলায়নের চেষ্ঠা করিবে;কিন্তু তাকে সে
সুযোগ দেয়া যাবেনা তাই আমি এর দরজা খোলার সাথে সাথেই আপনি তার ওপরে ঝাপিয়ে পড়বেন এবং তাকে এই চাদর দিয়ে
ঢেকে ফেলবেন ।
কথা শেষ করে যখনই কফিল সাহেব আলমাড়ির দরজা খুললেন তখন কে যেনো আলমাড়ি থেকে লাফিয়ে ঘরের মেঝেতে পড়লো
হাওলাদার সাহেব অতটা দেখতে পারেননি কিন্তু তিনি তার কাজটি ঠিকমত করলেন তিনি চাদর দিয়ে ওটাকে খুব শক্ত ভাবে আটকালে
ন ।
এবার আস্তে আস্তে কফিল সাহেব ওটার কাছে যেয়ে ওটার
সাইজ দেখে ভাবতে লাগলেন বেটায় পিচ্চি চোর হলে হবে কি
বেটার সাহস আছে বলতে হবে না হলে আমার বাড়িতে চুরি করতে
আসে ।
এক দুই ভাবতে ভাবতে কফিল সাহেব ওটার কাছে বসলেন আর ভাবলেন
বেটায় অনেক খাটিয়েছে আমাদের দুই বিয়াইকে বেটার মুখ খানা একবার না দেখলে
শান্তি পাচ্ছি না ।
যখন কফিল সাহেব ওটার মুখ দেখার জন্য চাদরটি একটু ফাঁকা করলো
চাদরের ভিতর থেকে মেও মেও করতে করতে একটি বিড়াল লাফ দিয়ে
কফিল সাহেবের কুলে এসে পড়লেন ।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ ভোর ৫:০৭

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: হাসু ভাই মনে হয় আপনি চাইলে গল্পটি আরও একটু ভালো করতে পারতেন ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.