নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

:):):)(:(:(:হাসু মামা

:):):)(:(:(:হাসু মামা › বিস্তারিত পোস্টঃ

বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণটিকে ,,ওয়ার্ল্ডস ডক্যুমেন্টরি হেরিটেজ” হিসেবে ইউনেস্কো স্বীকৃতি দিয়েছেন

০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ২:১৮


জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক সেই ভাষণটিকে বিশ্ব আন্তর্জাতিক রেজিস্টারের মেমোরিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে ৩০শে অক্টোবর সোমবার ইউনেস্কোর মহাপরিচালক ইরিনা বোকোভা এই ঘোষণা দিয়েছেন। ১৯৭০ সালে আওয়ামীলীগ পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেন। কিন্তু পাকিস্তানের সামরিক শাসকগোষ্ঠী বাংলাদেশ আওয়ামীলী দলের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে বিলম্ব করতে শুরু করে। প্রকৃতপক্ষে পাকিস্তানে উদ্দেশ্য ছিল যে কোনভাবেই ক্ষমতা পশ্চিম পাকিস্তানী রাজনীতিবিদদের হাতে ধরে রাখা। আর এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খান ৩রা মার্চ জাতীয় পরিষদ অধিবেশন আহ্বান করেন। কিন্তু অপ্রত্যাশিতভাবে মার্চের ১তারিখে সেই অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য মুলতবি ঘোষণা করা হয়। আর সেই সংবাদে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। আওয়ামীলীগের প্রধান নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মার্চের দুই তারিখে ঢাকায় এবং মার্চের তিন তারিখে সারাদেশে একযোগে হরতাল পালিত হয়।মার্চের তিন তারিখে পল্টন ময়দানে অনুষ্ঠিত এক বিশাল জনসভায় সমগ্র পূর্ব বাংলায় সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন বঙ্গবন্ধু। আর সেই পটভূমিতেই ৭ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানের জনসভায় বিপুল সংখ্যক লোক একত্রিত হয়। সেদিন যেন পুরো ময়দান পরিণত হয় এক জনসমুদ্রে। সেই জনতা এবং সার্বিকভাবে সমগ্র জাতির উদ্দেশ্যে শেখ মুজিবুর রহমান তার ঐতিহাসিক ভাষণটি প্রদান করেন।

ঐতিহাসিক সেই ভাষণটি পূর্ণাঙ্গ তুলে ধরা হলঃ
ভায়েরা আমার, আজ দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। আপনারা সবই জানেন এবং বোঝেন। আমরা আমাদের জীবন দিয়ে চেষ্টা করেছি। কিন্তু দুঃখের বিষয়, আজ ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, রংপুরে আমার ভাইয়ের রক্তে রাজপথ রঞ্জিত হয়েছে। আজ বাংলার মানুষ মুক্তি চায়, বাংলার মানুষ বাঁচতে চায়, বাংলার মানুষ তার অধিকার চায়। কী অন্যায় করেছিলাম? নির্বাচনের পরে বাংলাদেশের মানুষ সম্পূর্ণভাবে আমাকে, আওয়ামী লীগকে ভোট দেন। আমাদের ন্যাশনাল এসেম্বলি বসবে, আমরা সেখানে শাসনতন্ত্র তৈরি করবো এবং এদেশকে আমরা গড়ে তুলবো। এদেশের মানুষ অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক মুক্তি পাবে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, আজ দুঃখের সঙ্গে বলতে হয় ২৩ বৎসরের করুণ ইতিহাস, বাংলার অত্যাচারের, বাংলার মানুষের রক্তের ইতিহাস। ২৩ বৎসরের ইতিহাস মুমূর্ষু নর-নারীর আর্তনাদের ইতিহাস। বাংলার ইতিহাস-এদেশের মানুষের রক্ত দিয়ে রাজপথ রঞ্জিত করার ইতিহাস। ১৯৫২ সালে রক্ত দিয়েছি। ১৯৫৪ সালে নির্বাচনে জয়লাভ করেও আমরা গদিতে বসতে পারি নাই। ১৯৫৮ সালে আয়ুব খান মার্শাল ল’ জারি করে ১০ বছর পর্যন্ত আমাদের গোলাম করে রেখেছে। ১৯৬৬ সালে ৬দফা আন্দোলনে ৭ই জুনে আমার ছেলেদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। ১৯৬৯ এর আন্দোলনে আয়ুব খানের পতন হওয়ার পরে যখন ইয়াহিয়া খান সাহেব সরকার নিলেন, তিনি বললেন, দেশে শাসনতন্ত্র দেবেন, গনতন্ত্র দেবেন - আমরা মেনে নিলাম। তারপরে অনেক ইতিহাস হয়ে গেলো, নির্বাচন হলো। আমি প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান সাহেবের সঙ্গে দেখা করেছি। আমি, শুধু বাংলা নয়, পাকিস্তানের মেজরিটি পার্টির নেতা হিসাবে তাকে অনুরোধ করলাম, ১৫ই ফেব্রুয়ারি তারিখে আপনি জাতীয় পরিষদের অধিবেশন দেন। তিনি আমার কথা রাখলেন না, তিনি রাখলেন ভুট্টো সাহেবের কথা। তিনি বললেন, প্রথম সপ্তাহে মার্চ মাসে হবে। আমরা বললাম, ঠিক আছে, আমরা এসেম্বলিতে বসবো। আমি বললাম, এসেম্বলির মধ্যে আলোচনা করবো- এমনকি আমি এ পর্যন্তও বললাম, যদি কেউ ন্যায্য কথা বলে, আমরা সংখ্যায় বেশি হলেও একজনও যদি সে হয় তার ন্যায্য কথা আমরা মেনে নেব। জনাব ভুট্টো সাহেব এখানে এসেছিলেন, আলোচনা করলেন। বলে গেলেন, আলোচনার দরজা বন্ধ না, আরো আলোচনা হবে। তারপরে অন্যান্য নেতৃবৃন্দ, তাদের সঙ্গে আলাপ করলাম- আপনারা আসুন, বসুন, আমরা আলাপ করে শাসনতন্ত্র তৈরি করবো।
তিনি বললেন, পশ্চিম পাকিস্তানের মেম্বাররা যদি এখানে আসে তাহলে কসাইখানা হবে এসেম্বলি। তিনি বললেন, যে যাবে তাকে মেরে ফেলা দেয়া হবে। যদি কেউ এসেম্বলিতে আসে তাহলে পেশোয়ার থেকে করাচি পর্যন্ত জোর করে বন্ধ করা হবে। আমি বললাম, এসেম্বলি চলবে। তারপরে হঠাৎ ১ তারিখে এসেম্বলি বন্ধ করে দেওয়া হলো। ইয়াহিয়া খান সাহেব প্রেসিডেন্ট হিসেবে এসেম্বলি ডেকেছিলেন। আমি বললাম যে, আমি যাবো। ভুট্টো সাহেব বললেন, তিনি যাবেন না। ৩৫ জন সদস্য পশ্চিম পাকিস্তান থেকে এখানে আসলেন। তারপর হঠাৎ বন্ধ করে দেওয়া হলো, দোষ দেওয়া হলো বাংলার মানুষকে, দোষ দেওয়া হলো আমাকে। বন্ধ করে দেয়ার পরে এদেশের মানুষ প্রতিবাদমুখর হয়ে উঠল।
আমি বললাম, শান্তিপূর্ণভাবে আপনারা হরতাল পালন করেন। আমি বললাম, আপনারা কলকারখানা সব কিছু বন্ধ করে দেন। জনগণ সাড়া দিলো। আপন ইচ্ছায় জনগণ রাস্তায় বেরিয়ে পড়লো, তারা শান্তিপূর্ণভাবে সংগ্রাম চালিয়ে যাবার জন্য স্থির প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হলো।
কী পেলাম আমরা? আমার পয়সা দিয়ে অস্ত্র কিনেছি বহিঃশত্র“র আক্রমণ থেকে দেশকে রক্ষা করার জন্য, আজ সেই অস্ত্র ব্যবহার হচ্ছে আমার দেশের গরীব-দুঃখী নিরস্ত্র মানুষের বিরুদ্ধে- তার বুকের ওপরে হচ্ছে গুলি। আমরা পাকিস্তানের সংখ্যাগুরু- আমরা বাঙালীরা যখনই ক্ষমতায় যাবার চেষ্টা করেছি তখনই তারা আমাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে।
টেলিফোনে আমার সঙ্গে তার কথা হয়। তাঁকে আমি বলেছিলাম, জেনারেল ইয়াহিয়া খান সাহেব, আপনি পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট, দেখে যান কিভাবে আমার গরীবের ওপরে, আমার বাংলার মানুষের বুকের ওপর গুলি করা হয়েছে। কী করে আমার মায়ের কোল খালি করা হয়েছে, কী করে মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, আপনি আসুন, দেখুন, বিচার করুন। তিনি বললেন, আমি নাকি স্বীকার করেছি যে, ১০ই তারিখে রাউন্ড টেবিল কনফারেন্স হবে। আমি তো অনেক আগেই বলে দিয়েছি, কিসের রাউন্ড টেবিল, কার সঙ্গে বসবো? যারা আমার মানুষের বুকের রক্ত নিয়েছে, তাদের সঙ্গে বসবো? হঠাৎ আমার সঙ্গে পরামর্শ না করে পাঁচ ঘণ্টা গোপনে বৈঠক করে যে বক্তৃতা তিনি করেছেন, সমস্ত দোষ তিনি আমার ওপরে দিয়েছেন, বাংলার মানুষের ওপরে দিয়েছেন।
ভায়েরা আমার, ২৫ তারিখে এসেম্বলি কল করেছে। রক্তের দাগ শুকায় নাই। আমি ১০ তারিখে বলে দিয়েছি, ওই শহীদের রক্তের ওপর পাড়া দিয়ে আরটিসিতে মুজিবুর রহমান যোগদান করতে পারেনা। এসেম্বলি কল করেছেন, আমার দাবী মানতে হবে। প্রথম, সামরিক আইন- মার্শাল ল’ উইথড্র করতে হবে। সমস্ত সামরিক বাহিনীর লোকদের ব্যারাকে ফেরত নিতে হবে। যেভাবে হত্যা করা হয়েছে তার তদন্ত করতে হবে। আর জনগণের প্রতিনিধির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। তারপর বিবেচনা করে দেখবো, আমরা এসেম্বলিতে বসতে পারবো কি পারবো না। এর পূর্বে এসেম্বলিতে বসতে আমরা পারি না। আমি, আমি প্রধানমন্ত্রীত্ব চাই না। আমরা এদেশের মানুষের অধিকার চাই। আমি পরিষ্কার অক্ষরে বলে দেবার চাই, আজ থেকে এই বাংলাদেশে কোর্ট-কাঁচারী, আদালত-ফৌজদারী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে।
গরীবের যাতে কষ্ট না হয়, যাতে আমার মানুষ কষ্ট না করে সেইজন্য যে সমস্ত অন্যান্য জিনিসগুলো আছে সেগুলোর হরতাল কাল থেকে চলবে না। রিকশা, ঘোড়ারগাড়ি, রেল চলবে, লঞ্চ চলবে- শুধু... সেক্রেটারিয়েট, সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট, জজকোর্ট, সেমি গভর্নমেন্ট দপ্তরগুলো, ওয়াপদা কোন কিছু চলবে না। ২৮ তারিখে কর্মচারীরা যেয়ে বেতন নিয়ে আসবেন। এরপরে যদি বেতন দেওয়া না হয়, আর যদি একটা গুলি চলে, আর যদি আমার লোককে হত্যা করা হয় - তোমাদের কাছে আমার অনুরোধ রইল, প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোল। তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করতে হবে এবং জীবনের তরে রাস্তাঘাট যা যা আছে সবকিছু - আমি যদি হুকুম দেবার নাও পারি, তোমরা বন্ধ করে দেবে। আমরা ভাতে মারবো, আমরা পানিতে মারবো। তোমরা আমার ভাই, তোমরা ব্যারাকে থাকো, কেউ তোমাদের কিছু বলবে না। কিন্তু আর আমার বুকের ওপর গুলি চালাবার চেষ্টা করো না। সাত কোটি মানুষকে দাবায়া রাখতে পারবা না। আমরা যখন মরতে শিখেছি তখন কেউ আমাদের দাবাতে পারবেনা। আর যে সমস্ত লোক শহীদ হয়েছে, আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে, আমরা আওয়ামী লীগের থেকে যদ্দুর পারি তাদের সাহায্য করতে চেষ্টা করবো। যারা পারেন আমাদের রিলিফ কমিটিতে সামান্য টাকা-পয়সা পৌঁছে দেবেন। আর এই সাত দিন হরতালে যে সমস্ত শ্রমিক ভাইয়েরা যোগদান করেছে, প্রত্যেকটা শিল্পের মালিক তাদের বেতন পৌঁছে দেবেন। সরকারি কর্মচারীদের বলি, আমি যা বলি তা মানতে হবে। যে পর্যন্ত আমার এই দেশের মুক্তি না হবে, খাজনা ট্যাক্স বন্ধ করে দেওয়া হলো- কেউ দেবে না। মনে রাখবেন, শত্রুবাহিনী ঢুকেছে, নিজেদের মধ্যে আত্মকলহ সৃষ্টি করবে, লুটতরাজ করবে। এই বাংলায় হিন্দুমুসলমান, বাঙালী-ননবাঙালী যারা আছে তারা আমাদের ভাই। তাদের রক্ষা করার দায়িত্ব আপনাদের ওপর, আমাদের যেন বদনাম না হয়। মনে রাখবেন, রেডিও-টেলিভিশনের কর্মচারীরা, যদি রেডিওতে আমাদের কথা না শোনে তাহলে কোন বাঙালী রেডিও স্টেশনে যাবে না। যদি টেলিভিশন আমাদের নিউজ না দেয়, কোন বাঙালি টেলিভিশনে যাবেন না। ২ ঘণ্টা ব্যাংক খোলা থাকবে, যাতে মানুষ তাদের মায়না-পত্র নেবার পারে। পূর্ব বাংলা থেকে পশ্চিম পাকিস্তানে এক পয়সাও চালান হতে পারবে না। টেলিফোন, টেলিগ্রাম আমাদের এই পূর্ব বাংলায় চলবে এবং বিদেশের সংগে নিউজ পাঠাতে হলে আপনারা চালাবেন। কিন্তু যদি এ দেশের মানুষকে খতম করার চেষ্টা করা হয়, বাঙালীরা বুঝেসুঝে কাজ করবেন। প্রত্যেক গ্রামে, প্রত্যেক মহল্লায় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সংগ্রাম পরিষদ গড়ে তোল। এবং তোমাদের যা কিছু আছে, তাই নিয়ে প্রস্তুত থাকো। রক্ত যখন দিয়েছি, আরো রক্ত দেবো। এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাল্লাহ।
এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম জয় বাংলা ।



ভাষণের মূল যে দিকগুলো ছিলঃ
১। সামগ্রিক পরিস্থিতির পর্যালোচনা ।
২। নিজ ভূমিকা এবং অবস্থান ব্যাখ্যা ।
৩। পশ্চিম পাকিস্তানী রাজনীতিকদের ভূমিকার ওপর আলোকপাত।
৪। সামরিক আইন প্রত্যাহারের আহ‌্বান ।
৫। অত্যাচার এবং সামরিক আগ্রসন মোকাবিলার হুমকি।
৬। দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত পূর্ব পাকিস্তানে সার্বিক হরতাল চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত ।
৭। নিগ্রহ এবং আক্রমণ প্রতিরোধের আহ্বান।

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ২:৪৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ , এটা দেশের জন্য অনেক গর্ব বয়ে এনেছে ।
নীজ কানে যারা সে সময়ে রেসকোর্স মাঠে
এই ঐতিহাসিক ভাষন শুনেছে
আমি তাদের মধ্যে একজন ।

শুভেচ্ছা রইল ।

০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ২:৫৪

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আলী ভাই । আরো শুভেচ্ছা রইল এবং জেনে গর্বিত বোধ করছি আপনাদের সাথে একই ব্লগ ফরমে
লেখছি বলে। শুভরাত্রী ডঃ এম আলী ভাই।

২| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ২:৫১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
দাবী আদায় না হলে প্রতিটি এলাকাভিত্তিক দুর্গ বানিয়ে অস্ত্র হাতে তুলে নেয়ার নির্দেশ ছিল।

এটা কি ইচ্ছা করেই এড়িয়ে গেলেন?

০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ২:৫৬

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: এটা কেমন কথা হাসান ভাই এড়িয়ে যাবো কেন ? হয়ত ভুল হয়েছে সংযোগ করে দিচ্ছি।

৩| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ২:৫২

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: যতই বিরোধী হোক, এ ভাষনটিকে মানতেই হবে।।

০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ২:৫৮

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: সত্য কথা বলেছেন প্রিয় সচেতনহ্যাপী ভাই।শুভরাত্রী।

৪| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:২৫

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আসলেই ভাষণটা খুবই উদ্দীপনামূলক ও স্বাধীনতা সম্পর্কিত বার্তা ছিল এবং এই ভাষণের পর স্বাধীনতার জন্য আর কোন ভাষণের দরকার হয়নি। ইউনেস্কো আরো উদ্যোগ নিলে ভালো করত। যাক, তবুও ধন্যবাদ...

০২ রা নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:১৫

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: আমি এখনও মাঝে মাঝে এভাষণটি একা একা শুনি আর শুনলেই রক্ত কেমন জানি লারাচারা দিয়ে ওঠে ভাই।

৫| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ ভোর ৫:৫৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


এই ভাষণটি সম্পর্কে আমি কোনদিন কোন মন্তব্য করিনি।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:১৬

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: ভাষণটি নিয়ে অন্তত কিছু একটা লেখুন ।

৬| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ ভোর ৬:৩৬

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: প্রিয়তে নিলাম।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:২৩

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: কৃতজ্ঞতা এবং শুভেচছা থাকল ভাই।

৭| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:৪০

এভো বলেছেন: জয় বাংলা বনাম জয় পাকিস্থান বিতর্ক

আমাদের দেশে বেশ কিছু বুদ্ধিজীবি যারা মুলত সবাই ঐ বক্তিতার সময় মাঠে উপস্থিত ছিল না তারা দাবি করে বঙ্গবন্ধু নাকি বক্তিতার শেষে জয় বাংলা বলার পর বলেছিলেন জয় পাকিস্থান !!! এমন কি সেক্টর কমান্ডার এ কে খন্দকারের বইতে তিনি এ দাবি করেন যদিও তিনি মাঠে উপস্থিত ছিলেন না । এর তীব্র প্রতিবাদ করেন কট্টোর আওয়ামী লীগ বিরোধী আ স ম আব্দুর রব যিনি ঐ সময়ে মন্চের পাশে ছিলেন ।
মূল সত্য হোল পাকিস্থান আমলে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা বক্তিতা শেষ করতেন এই দুটো স্লোগান দিয়ে --- জয় বাংলা এবং জয় পাকিস্থান ( পাকিস্থান জিন্দাবাদ কখনো বলতেন না ) । এমন কি ১৯৭০ এর নির্বাচন বা ১৯৭১ এর ৭ ই মার্চের আগে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা বক্তিতার শেষে ঐ দুটি শ্লোগান দিতেন । এই রীতির প্রথম অবসান ঘটান বঙ্গবন্ধু ৭ ই মার্চের বক্তিতায় । তিনি সব সময়ে বক্তিতার শেষে ঐ দুটি শ্লোগান দিতেন কিন্তু ঐ দিন ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ বক্তিতার শেষে তিনি জয় পাকিস্থান বাক্যটি উচ্চারন করেন নি ।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:২৪

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: জী তাইতো দেখলাম।

৮| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৪৪

নতুন বিচারক বলেছেন: ভালো লাগল জেনে ।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:২৪

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

৯| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:১৯

রানার ব্লগ বলেছেন: বঙ্গবন্ধুর ১৯৭২ সালের ১০ই জানুয়ারির ভাষণ। এটাও ছিল যুগান্তকারী এক ভাষণ।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ২:৩৯

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। দেখেছি ।

১০| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৮

মামুন ইসলাম বলেছেন: জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু ।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ২:৪০

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: ধন্যবাদ মামুন ভাই। নতুন করে আবার লেখা শুরু করুন ।

১১| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: আমার জীবনের সেরা ভাষন।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ২:৪১

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: আমারও ভাই। ধন্যবাদ রাজীব ভাই।

১২| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৯

ইফতেখারুল মবিন বলেছেন: এমন ভাষণ পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল!শুনলেই গায়ের লোম খাঁড়া হয়ে যায়!মনে হয় আন্দোলন-সংগ্রামে ঝাপিয়ে পড়ি!

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ২:৪২

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: ঠিক বলেছন ভাই।

১৩| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২৬

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: এটা আমাদের জন্য অবশ্যই অনেক সম্মানের খবর।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ২:৪৩

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সাদা মনের মানুষ ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.