নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

:):):)(:(:(:হাসু মামা

:):):)(:(:(:হাসু মামা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলামি বর্ষপঞ্জি অথবা মুসলিম বর্ষপঞ্জির ইতিহাস

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৬

ইসলামি বর্ষপঞ্জি অথবা মুসলিম বর্ষপঞ্জি বলতে এখানে হিজরী বর্ষপঞ্জি হিসাবেও যা পরিচিত তাকে বোঝানো হয়েছে।আর এই বর্ষপঞ্জি বিশেষ করে চাঁদের উপর নির্ভরশীল। বিভিন্ন মুসলিম দেশগুলোতে এই বর্ষপঞ্জি অনুসরণ করে, আর আমরা মুসলমানগণও পৃথিবীব্যাপী অনুসরণ করে থাকি ইসলামের পবিত্র দিনসমূহ উদযাপনের জন্য।
ইসলামি বর্ষপঞ্জির ১২ মাসের নামঃ
১। মুহররম ।
২। সফর ।
৩। রবিউল আউয়াল ।
৪। রবিউস সানি ।
৫। জমাদিউল আউয়াল ।
৬।জমাদিউস সানি ।
৭। রজব ।
৮। শা'বান ।
৯। রমজান ।
১০। শাওয়াল ।
১১। জ্বিলকদ ।
১২। জ্বিলহজ্জ ।

প্রতিদিন সূর্যাস্তের মাধ্যমে দিন গণনার শুরু হয়। তবে মাস গণনার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট ভূখন্ডে খালি চোখে অথবা খালি চোখানুগ যন্ত্রপাতির যেমন: দূরবীন, এর সহায়তায় চাঁদদেখার উপর নির্ভর করে। মাসগুলো চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে ২৯ অথবা ৩০ দিনের হয়। যে মাস ২৯ দিন শেষ হলে নতুন মাসের চাঁদ দেখা যায় না, সে মাসে ৩০ দিন পূর্ণ করে মাস শেষ করা হয়।ইসলাম ধর্মের শেষ বাণীবাহক মুহাম্মদ (সাঃ) মক্কার কুরায়েশদের দ্বারা নির্যাতিত হয়ে মক্কা থেকে মদীনায় চলে যান। তার জন্মভূমি ত্যাগ করার সেই ঘটনাকেই ইসলামে হিজরত বলে আখ্যা দেওয়া হয়। রাসুল মুহাম্মদ (সাঃ)-এর মক্কা থেকে মদীনায় চলে যাওয়া ও হিজরতের ঘটনাকে চিরস্মরণীয় করে রাখার উদ্দেশ্যেই হিজরী সাল গণনার সূচনা। ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হযরত ওমর (রাঃ) এর শাসনামলে ১৭ই হিজরী অর্থাৎ রাসুল মুহাম্মদ (সাঃ) এর মৃত্যুর সাত বছর পর চন্দ্র মাসের হিসাবে এই পঞ্জিকা প্রবর্তন করা হয়। হিজরতের এই ঐতিহাসিক তাৎপর্যের ফলেই হযরত ওমর (রাঃ) এর শাসনামলে যখন মুসলমানদের জন্য পৃথক এবং স্বতন্ত্র পঞ্জিকা প্রণয়নের কথা উঠে আসে তখন তারা সর্বসম্মতভাবে হিজরত থেকেই এই পঞ্জিকার গণনা শুরু করেন। যার ফলে চন্দ্রমাসের এই পঞ্জিকাকে বলা হয় হিজরী সন।

মুহররম মাসের দশম দিন ইসলামে বিশেষ মর্যাদাসম্পন্ন একটি দিন, কারণ এই দিনে ইসলাম ধর্মমতে অনেক ঘটনার অবতারণা হয়েছে। বিভিন্ন ঘটনাবলীর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ঘটনা হলোঃ
এই দিনে প্রথম মানব আদি পিতা আদম-কে সৃষ্টি করেন ঈশ্বর (আল্লাহ)।
আদম-কে এদিনেই স্বর্গ বা বেহেশতে স্থান দেয়া হয়, এবং পরবর্তীতে এই দিনেই পৃথিবীতে পাঠিয়ে আল্লাহ তাকে প্রতিনিধি মনোনীত করেছেন।
নূহ-এর সময়কালে এই দিনে মহাপ্লাবন হয়।
ইব্রাহীম আঃ জন্ম নেন এই দিনে, এবং হযরত মুসা আঃ ও তার বাহিনী ফেরাউনের কবল থেকে উদ্ধার পানও এই দিনে
মুসা সমসাময়িক ফেরাউনকে আল্লাহ এই দিনে নীল নদের পানিতে ডুবিয়ে মারেন।
ইউনুছ মাছের পেট থেকে মুক্তি পান এই দিনে।
আইয়ূব রোগ মুক্তি পান এই দিনে।
ঈসা (খ্রিস্টধর্মমতে যিশু) এই দিনে জন্ম নেন এবং পরবর্তিতে তাকে সশরীরে ঊর্ধ্বাকাশে উঠিয়ে নেয়া হয় এই দিনে।
নবী মুহাম্মদ-এর দৌহিত্র ইমাম হুসাইন এই দিন কারবালার ময়দানে ইয়েজিদের সৈন্যদের হাতে মৃত্যুবরণ করেন।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:৫২

নাঈমুর রহমান আকাশ বলেছেন:

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৩:০৩

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: =p~

২| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: যেদিন শিশু খ্রিষ্টের জন্ম হলো- সেদিন থেকেই সাল গননা শুরু হলো।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৩:০৩

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: ধন্যবাদ =p~

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.