নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

:):):)(:(:(:হাসু মামা

:):):)(:(:(:হাসু মামা › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলা বর্ণমালার পরিচিতি ইতিহাস...... B:-)

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৫৪


বাংলা লিপি হল একটি লিখন পদ্ধতি যেটা ব্যবহৃত করা হয় বাংলা, মণিপুরি, ককবরক, অসমীয়া ভাষায়। বাংলা লিপির গঠন তুলনামূলকভাবে কম আয়তাকার ও বেশি সর্পিল। বাংলা লিপিটি সিদ্ধং লিপি থেকে উদ্ভূত হয়েছে বলে মনে করা হয়। অনুরূপ হিসাবে অসমিয়াকে মনে করা হলেও অসমীয়া লিপির উৎপত্তি বাংলা লিপি উৎপত্তির অন্তত আড়াইশ বছর পর। যে ভিন্নতা,বাংলা র; অসমীয়া ৰ আধুনিক বাংলা এবং অসমীয়া ভাষায় দেখা সেটি মনে হয় ১৮ শতকের আগে ছিল না। পরবর্তিতে নিচে ফোঁটা দেওয়া র বাংলায় ব্যবহৃত হয়। বাংলা লিপি বিশ্বের ৫মসবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত লিখন পদ্ধতি।
বাংলা লিপি এবং তার অক্ষর-হরফের উৎস বা উৎপত্তি কীভাবে হল, তা এখনো অজানা, কিন্তু গবেষণাসহ মনে করা হয় যে বাংলা লিপির ব্যবহার খ্রিস্টাব্দ একাদশ শতক থেকে প্রচলিত। বাংলা লিপির ব্যবহার প্রায়ই মধ্যযুগীয় ভারতের পূর্বাঞ্চলে এবং তারপর পাল সাম্রাজ্যের মধ্যে ব্যবহার ছিল। পরে বিশেষভাবে বাংলার অঞ্চলে ব্যবহার করা অব্যাহত ছিল। পরে বাংলা লিপিটিকে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির রাজত্বের অধীনে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর দ্বারা আধুনিক বাংলা লিপিতে প্রমিত করা হয়েছিল। বর্তমান দিনে বাংলা লিপিটি বাংলাদেশ এবং ভারতে সরকারী লিপির পদমর্যাদা স্থানে আছে, এবং বাংলার মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে যুক্ত আছে।

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ১৮৪৭ সালে সংস্কৃত কলেজের অধ্যাপনা ছেড়ে দিয়ে জীবিকা অর্জনের জন্য একটি ছাপাখানা খোলেন। বিদ্যাসাগর বাংলা বর্ণমালা সংস্কারের জন্য অনেকগুলি প্রস্তাব উত্থাপন করেন। সেগুলি হল এরকমঃ

সংস্কৃতের "य" বর্ণটি বাংলায় "য" হরফ দিয়ে লেখা হত, কিন্তু শব্দে অবস্থানভেদে এর উচ্চারণ "জ" কিংবা "য়"-এর মতো উচ্চারিত হত। বিদ্যাসাগর "জ" উচ্চারণের ক্ষেত্রে "য" বর্ণটি ব্যবহার এবং "য়" উচ্চারণের ক্ষেত্রে "য"-এর নিচে ফুটকি দিয়ে নতুন বর্ণটি ব্যবহারের প্রস্তাব করেছিলেন।ঠিক একইভাবে "ড" ও "ঢ"এর নিচে ফুটকি দিয়ে বিদ্যাসাগর "ড়" এবং "ঢ়" হরফ দুইটির প্রচলন করেছিলেন।বিদ্যাসাগর বাংলা ভাষায় অব্যবহৃত "দীর্ঘ-ৠ" ও "দীর্ঘ-ৡ" বর্ণ দুইটি বর্জন করেছিলেন। তবে কেবল "ঌ" বর্ণটিও বাংলায় অব্যবহৃত ছিল, কিন্তু বিদ্যসাগর এ নিয়ে কিছু বলেননি।
তাছাড়া সংস্কৃত স্বরবর্ণমালার অন্তর্গত অনুঃস্বর (ং), বিসর্গ (ঃ), এবং চন্দ্রবিন্দু (ঁ) যেহেতু প্রকৃতপক্ষে ব্যঞ্জনবর্ণ সেহেতু বিদ্যাসাগর এই বর্ণগুলিকে ব্যঞ্জনবর্ণমালার অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। কিন্তু ব্যঞ্জনবর্ণ হলেও যেহেতু এগুলি স্বতন্ত্র বর্ণ নয়, অযোগবাহ বর্ণ সেহেতু কোন বাংলা অভিধানেই বিদ্যাসাগরপ্রণীত বর্ণক্রমটি গৃহীত হয়নি।বিদ্যাসাগর "ণ-ন" এবং "শ-ষ-স"-এর মধ্যে উচ্চারণের সমতা সম্ভবত লক্ষ্য করলেও এর কোন সংস্কার করেন নি।বিদ্যাসাগর বাংলা হরফের স্বচ্ছতা ও সমতা বিধানের জন্যও বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছিলেনঃ

তিনি যফলাকে ব্যাঞ্জনের সাথে যুক্ত করে কমলার কোয়ার মতো না লিখে আলাদা করে লেখার ধারা চালু করেন। ফলে সর্বত্র যফলার আকার একই রূপ পেল।বিদ্যাসাগরের আগে ঋ-কার ব্যঞ্জনের তলে বিভিন্ন রূপে বসত। বিদ্যসাগরই প্রথম ব্যঞ্জনের নিচে পরিস্কারভাবে "ৃ" চিহ্নটি বসিয়ে লেখা চালু করেন। একইভাবে হ্রস্ব-উ কারের জন্য "ু" লেখা চালু করেন।
কিন্তু বিদ্যাসাগরের সংস্কারগুলি সম্পূর্ণ সঙ্গতিপূর্ণ ছিল না। অনেকগুলি অস্বচ্ছ যুক্তব্যঞ্জনের চিহ্ন অস্বচ্ছই থেকে গিয়েছিল। যেমন - "তু" "ত"-এর নিচে উ-কার দিয়ে লেখা হলেও "ন্তু", "স্তু" যুক্তাক্ষরগুলিতে পুরনো অস্বচ্ছ রূপটিই থেকে গেল।
ইংরেজি বিচল হরফগুলি একটি ডালায় দুই খোপে নির্দিষ্ট নিয়ম অনুযায়ী সাজানো থাকত। কিন্তু বাংলায় এ নিয়ে তেমন কোন চিন্তা হয় নি। বিদ্যাসাগরই প্রথম বাংলা হরফের জন্য ডালার একটি নকশা এবং কোন হরফের পর কোন হরফ বসবে তার নিয়ম স্থির করে দেন। তাঁর এই নকশাই ক্রমে সমস্ত বিচল হরফ ব্যবহারকারী বাংলা ছাপাখানাতে গৃহীত হয়। বাংলা মুদ্রণশিল্পে প্রতিষ্ঠিত হয় সমতা। বিদ্যাসাগর বাংলা মুদ্রণশিল্পকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছিলেন। মূলত তার বেঁধে দেয়া নিয়মনীতি অনুসারেই পরবর্তী একশো বছর, বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধ পর্যন্ত বাংলা হরফ মুদ্রিত হয়।

সময়ের সাথে বিদ্যাসাগরীয় হরফের সামান্য কিছু পরিমার্জনের চেষ্টাও করা হয়েছে। বিদ্যাসাগর নিজে বর্ণপরিচয়-এর ৬০তম সংস্করণ থেকে শব্দের শেষে অন্তর্নিহিত ও উচ্চারণযুক্ত ব্যঞ্জন, যেমন- "বিগত", "কত" শব্দের শেষের "ত"-টা, যেন "ৎ"-এর মত উচ্চারণ না হয়, সেজন্য এগুলির উপর তারাচিহ্ন দেয়া প্রবর্তন করেন। বিংশ শতাব্দীতে অনেক লেখক একই কাজে ঊর্ধ্বকমা (';) ব্যবহার করেছেন, যেমন- একশ', ইত্যাদি। তবে এই সংস্কারটি সর্বজনগৃহীত হয়নি।রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিদ্যাসাগরী হরফের দুই ধরনের এ-কার (মাত্রাছাড়া ও মাত্রাসহ) দুইটি ভিন্ন কাজে লাগানোর চেষ্টা করেন। তিনি শব্দের শুরুর মাত্রাযুক্র এ-কার দিয়ে "অ্যা" ধ্বনি বুঝিয়ে ছাপানো শুরু করেন। তবে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া অন্য বেশির ভাগ প্রকাশকই এই রীতিটি গ্রহণ করেনি।

বাংলা লিপিতে বর্তমানে ১১টি স্বরবর্ণ অক্ষর আছে যা ৭টি প্রধান স্বর উচ্চারণের জন্য ব্যবহৃত হয়। এই সাতটিকে মৌলিক স্বরবর্ণ বলে ৷বাংলা লিপিতে ই এবং উ উচ্চারণের জন্য ২টি করে বর্ণ ব্যবহৃত হয়। সংস্কৃত ভাষা থেকে প্রভাবিত বলে সংস্কৃত ভাষার মতনই বাংলা লিপিতে ই এবং উ উচ্চারণের জন্য উচ্চারণের তারতম্যের ভিত্তিতে হ্রস্ব (ই এবং উ) এবং দীর্ঘ (ঈ এবং ঊ) এই দুই রকম বর্ণ ব্যবহৃত হয়। কিন্তু আধুনিক বাংলা উচ্চারণে হ্রস্ব আর দীর্ঘ উচ্চারণে কোনো পার্থক্য নেই।যখন কোনো স্বরবর্ণ শব্দ বা শব্দাংশের প্রথমে বসে অথবা অন্য কোন স্বরবর্ণের পরে বসে, তখন তাকে আলাদা বর্ণ হিসেবে লেখা হয়। কিন্তু কোনো স্বরবর্ণ কোনো ব্যঞ্জনবর্ণের পরে বসলে, তখন নির্দিষ্ট চিহ্ন (বৈশিষ্ট্যসূচক চিহ্ন) দিয়ে একে প্রকাশ করা হয়। এই চিহ্নকে কার বলা হয়। যেমন, ক ব্যঞ্জনবর্ণের পরে এ স্বরবর্ণ বসলে তখন ে চিহ্ন বা এ-কার ব্যবহৃত হয়ে কে লেখা হয়।এই নিয়মের একমাত্র ব্যতিক্রম হল অ স্বরবর্ণ। এই বর্ণের কোনো চিহ্ন নেই কারণ এটি পূর্বনির্ধারিত সহজাত স্বরবর্ণ।ব্যঞ্জনবর্ণের পরে অ বা কোনো স্বরবর্ণ না থাকলে ব্যঞ্জনবর্ণটির সাথে হসন্ত চিহ্ন (্) ব্যবহার করা হয়, যেমন ক্।নিম্নে আধুনিক বাংলা স্বরবর্ণের তালিকা ও উচ্চারন প্রণালী দেখানো হল। এই ১১টি স্বরবর্ণ ছাড়াও ৠ, ঌ এবং ৡ এই তিনটি স্বরবর্ণ পূর্বে ব্যবহৃত হলেও বর্তমানে এদের ব্যবহার করা হয় না, এবং "অ" হচ্ছে সম্পূর্ণ ভাবে স্বতন্ত্র স্বরবর্ণ এবং পুরো বাংলা লিপির পূর্বনির্ধারিত সহজাত স্বরবর্ণ, তাই তার বৈশিষ্ট্যসূচক চিহ্ন নেই।

বাংলায় কিছু ব্যঞ্জনবর্ণের মধ্যে পূর্বে উচ্চারণে পার্থক্য থাকলেও এখন আর নেই, যেমন "ন" (দন্ত্য ন) ও "ণ" (মূর্ধন্য ণ)।
(তালব্য শ) আর "ষ" (মূর্ধন্য ষ)-কে আধুনিক বাংলায় একই রকম উচ্চারণ করা হয়। "স" (দন্ত্য স) -র উচ্চারণ শব্দের উপর নির্ভর করে।
"য" (অন্তঃস্থ য) আর "জ" (বর্গীয় জ)-র উচ্চারণও একই, তবে ফারসি-আরবি শব্দে এই ধ্বনির যে দন্ত্য উচ্চারণটি আছে, সেটি বুঝাতেও "য" ব্যবহৃত হয়, যেমন "দোযখ", "যাকাত"। এই দন্ত্য উচ্চারণটি বিভিন্ন আঞ্চলিক উচ্চারণেও শোনা যায়।
নাসিক্য বর্ণ "ঙ" (উঙ/উম/উঁঅ) ও "ঞ" (ইঞ/নীয়/ইঙ) এবং অর্ধস্বর বর্ণ "য়" (অন্তঃস্থ অ) শব্দের প্রথমে আসতে পারে না।
চলিত উচ্চারণে "ড়" (ড-এ শূন্য ড়) আর "ঢ়" (ঢ-এ শূন্য ঢ়)-এর উচ্চারণ "র" (ব-এ শূন্য র)-এর মতই। দুটোই শব্দের প্রথমে আসে না কারণ বিদ্যাসাগর এদের প্রবর্তন করেন শব্দের (শুধু) মাঝে বা শেষে "ড" এবং "ঢ"-এর তাড়নযাত উচ্চারণ ইঙ্গিত করতে।

কোনো স্বরবর্ণ দ্বারা পৃথক না থাকলে সর্বাধিক চারটি ব্যঞ্জনবর্ণ পরস্পর যুক্ত হয়ে যুক্তাক্ষর তৈরী করতে পারে। সাধারণতঃ প্রথম ব্যঞ্জনবর্ণ যুক্তাক্ষরের ওপরের দিকে বা বাম দিকে দেখা যায়। যুক্তাক্ষরে অনেক ক্ষেত্রে অংশগ্রহণকারী ব্যঞ্জনবর্ণ সংক্ষিপ্ত আকারে লেখা হয়, আবার অনেক ক্ষেত্রে মূল ব্যঞ্জনবর্ণের সঙ্গে তার কোনো সাদৃশ্য থাকে না। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সাধারণ অবস্থায় ব্যঞ্জনবর্ণের যা উচ্চারণ, যুক্তাক্ষরে ব্যবহৃত হলে তার উচ্চারণের পরিবর্তন হয়ে যায়। যেমন "জ" এবং "ঞ" এর মিলনের ফলে তৈরী "জ্ঞ" যুক্তাক্ষরের উচ্চারণ "জ্ন" না হয়ে হয় "গ্গ"।ব্যবহৃত ফন্টের কারণে কিছু অক্ষর উল্লেখিত রূপে প্রতীয়মান না হয়ে অন্য রূপে হতে পারে)

নিলীন রূপ
উচুনিচু: ক্ক, গ্ন, গ্ল, ন্ন, প্ন, প্প, ল্ল, ইত্যাদি...
ব-কারান্ত (বফলা এর অন্তর্ভুক্ত): গ্ব, ণ্ব, দ্ব, ল্ব, শ্ব ইত্যাদি...
পাশাপাশি: দ্দ, ন্দ, ব্দ, ব্জ, প্ট, শ্চ, শ্ছ, ইত্যাদি...
আনুমানিক রূপ
পাশাপাশি: দ্গ, দ্ঘ, ড্ড
ব-কারান্ত (বফলা এর অন্তর্ভুক্ত): ধ্ব, ব্ব, হ্ব
সঙ্কুচিত রূপ
পাশাপাশি: ঙ্ক্ষ, ঙ্খ, ঙ্ঘ, ঙ্ম, চ্চ, চ্ছ, চ্ঞ, ড্ঢ, ব্‍ব
"ত", উচুনিচু: ত্ন, ত্ম, ত্ব
"ম", উচুনিচু এবং পাশাপাশি: ম্ন, ম্প, ম্ফ, ম্ব, ম্ভ, ম্ম, ম্ল
"ষ", উচুনিচু এবং পাশাপাশি: ষ্ক, ষ্ট, ষ্ঠ, ষ্প, ষ্ফ, ষ্ম
"স", উচুনিচু এবং পাশাপাশি: স্ক, স্খ, স্ট, স্ত, স্থ, স্ন, স্প, স্ফ, স্ব, স্ম, স্ল
সংক্ষিপ্ত রূপ
"জ", উচুনিচু এবং পাশাপাশি: জ্জ, জ্ঞ, জ্ব
"ঞ", উচুনিচু এবং পাশাপাশি: ঞ্চ, ঞ্ছ, ঞ্জ, ঞ্ঝ
"ণ" ও "প", উচুনিচু এবং পাশাপাশি: ণ্ঠ, ণ্ড, প্ত, প্স, প্ট, ণ্ট, ণ্ঢ
"ত" ও "ভ", আকৃতি পরিবর্তন: ত্ত, ত্থ, ত্র, ভ্র
"থ", উচুনিচু এবং পাশাপাশি: ন্থ, স্থ, ম্থ
"ম", উচুনিচুতে নিচে (নিজের উপরের আকার প্রায় হারিয়ে দেয়): ক্ম, গ্ম, ঙ্ম, ট্ম, ণ্ম, ত্ম, দ্ম, ন্ম, ম্ম, শ্ম, ষ্ম, স্ম
"স", উচুনিচুতে নিচে (নিজের উপরের আকার হারিয়ে দেয়): ক্স
বৈকল্পিক রূপ
"ঙ", আকৃতি পরিবর্তন: ঙ্ক, ঙ্গ
"ধ", আকৃতি পরিবর্তন করে আর "ঝ"-র মতন রূপ নেয়: গ্ধ, দ্ধ, ন্ধ, ব্ধ
রেফ: র্ক, র্খ, র্গ, র্ঘ, ইত্যাদি...
রফলা: খ্র, গ্র, ঘ্র, ব্র, জ্র, ট্র, ঠ্র, ড্র, ম্র, স্র, ইত্যাদি...
রফলা যুক্ত হলে আকৃতি পরিবর্তন হয়: ক্র, ত্র, ভ্র
যফলা: ক্য, খ্য, গ্য, ঘ্য, দ্য, ন্য, শ্য, ষ্য, স্য, হ্য, ইত্যাদি...
ব্যতিক্রমসমূহ
"ক", "ত"-র মতন রূপ নেয়: ক্র, ক্ত
"চ", "ব"-র মতন রূপ নেয়: ঞ্চ
"ট"+"ট" (নিজের নিচে একটি বক্ররেখা তৈরি করে): ট্ট
"ষ"+"ণ" -তে "ণ" নিজেকে ২বার বক্র করে: ষ্ণ
"হ"+"ন" -তে "ন" নিজেকে বক্রের মতন করে নেয়: হ্ন
"হ"+"ম" (আকৃতি পরিবর্তন): হ্ম
ব্যতিক্রমী ব্যঞ্জনবর্ণ-স্বরবর্ণ সমন্বয়

"গ" আর "শ" -র সঙ্গে "উ" যুক্ত হলে "ও"- র মতন নিচে বক্র তৈরি করে: গু, শু
"ত"-তে "উ-কার" -র সঙ্গে যুক্তাক্ষর "প", "ন" বা "স"। তখন "তু", "ও"- র মতন নিচে বক্র তৈরি করে: ন্তু, স্তু, প্তু
ব্যঞ্জনের ডানে বক্র তৈরি করে: রু, গ্রু, ত্রু, থ্রু, দ্রু, ধ্রু, ব্রু, ভ্রু, শ্রু
"হ"-র সঙ্গে উপরে বক্র তৈরি করে: হু

যুক্ত হলে ডানে ঘাই তৈরি করে: রূ, গ্রূ, থ্রূ, দ্রূ, ধ্রূ, ভ্রূ, শ্রূ

"হ" -র সঙ্গে যুক্ত হলে ডানে ঘাই তৈরি করে: হৃ
কিছু উদাহরণ: স+ত +র=স্ত্র, ম+প+র=ম্প্র, জ+জ+ব=জ্জ্ব, ক্ষ+ম=ক্ষ্ম

চারবর্ণের যুক্তাক্ষর হতে পারে যেমন ন+ত+র+য= ন্ত্র্য, স্বাতন্ত্র্য শব্দে এটি দেখা যায়
বাংলার রোমানীকরণ বা বাংলা ভাষার রোমানীকরণ হচ্ছে, বাংলা লিপিকে রোমান লিপিতে রূপান্তর এবং উপস্থাপন করা। বাংলা ভাষাররোমানীকরণ অবাঙালি পাঠকদেরকে বাংলা ভাষার উচ্চারণগুলি বুঝতে সাহায্য করে।
স্বরবর্ণ বাংলা অক্ষর রোমানী অক্ষর
(বাংলার রোমানীকরণ অক্ষর)
অ ô (o)
আ a
ই i
ঈ i (ee)
উ u
ঊ u (oo)
ঋ ri (rri)
এ e এবং ê
ঐ oi
ও o
ঔ ou


বাংলা অক্ষর রোমানী অক্ষর
(বাংলার রোমানীকরণ অক্ষর)
ক kô
খ khô
গ gô
ঘ ghô
ঙ ngô
চ chô
ছ chhô
জ jô
ঝ jhô
ঞ nô
ট tô
ঠ thô
ড dô
ঢ dhô
ণ nô
ব্যঞ্জনবর্ণ
বাংলা অক্ষর রোমানী অক্ষর
(বাংলার রোমানীকরণ অক্ষর)
ত tô
থ thô
দ dô
ধ dhô
ন nô
প pô
ফ fô
ব bô
ভ bhô
ম mô
য jô
র rô
ল lô
শ shô
ষ shô
স sô
হ hô
য় yô
ড় rô
ঢ় rhô
সংশোধক এবং অন্যান্য অক্ষরগুলি
বাংলা অক্ষর রোমানী অক্ষর
(বাংলার রোমানীকরণ অক্ষর)
্ _
ৎ t
ং ng
ঃ (h)
ঁ (n/ñ)
্য yô এবং ê
্ব wô (bô)
। .
ক্ষ kkhô
জ্ঞ ggô
তবে মূল কথা হল বাংলা ভাষার জন্য অনেক রকম রোমানীকরণ পদ্ধতি প্রস্তাবিত করা আছে, কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনোটাই সরকারি ভাবে স্বীকৃত নয় বা ব্যবহারে কোনো প্রস্তুও নেই।

সূত্রঃ http://www.ancientscripts.com/bengali.html

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:১৯

নূর আলম হিরণ বলেছেন: শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:৪৮

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ।

২| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: এই পোষ্টটি পড়ে মাথা ঘুরছে।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:৪৯

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: আপনারত ঘুরছে আমারত ঘুরপাক খেয়েই চলছে ;)

৩| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৫২

আহমেদ জী এস বলেছেন: :):):)(:(:(:হাসু মামা ,




জ্ঞানগর্ভ পোস্ট । অনেক কিছু জানতে পারার আছে, আছে শেখার অনেক ।
এ জাতীয় লেখা ব্লগকে সমৃদ্ধ করে ।

ধন্যবাদ সবটার জন্যে ।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:৫৩

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় আহমেদ জী এস ভাই। তবে ভাই এত পেচগগুছ আমার মাথা ঘুরপাক খাচ্ছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.