নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জানার অদম্য ইচ্ছেসহ আগামীর পথে

এম্বিগ্রামিষ্ট জুলিয়ান

আমি প্রতিসাম্য তৈরি করতে ভালবাসি

এম্বিগ্রামিষ্ট জুলিয়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

সুর্য মামার সহিত আমার দ্বিপাক্ষিক বৈঠক

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:৩৬


-মামা,ভাল আছেন?
-ওহে,ডেঁপো ছোকরা আমি তোমার মামা হতে যাব কোন দু:খে? আমার কোন বোন নাই এমনকি কোন আত্মীয়ই নাই। এই বিশাল মহাবিশ্বে আমি একাই। the boss. (তারপর কন্ঠ একটু নিচু করে) অবশ্য প্রক্সিমাকে (প্রক্সিমা সেঞ্চুরি) একবার অফার দিয়েছিলাম, কিন্তু ও নাকি লং ডিসট্যান্ট রিলেশনে ততটা আগ্রহী না, তাই ডিনাই করল (দীর্ঘশ্বাস)

-মেয়েরা এমনই হয়। আসলে জনাব (মামা আর বললাম না আর), আপনার সাথে কিছু কথা ছিল। যদি একটু সময় দিতেন।

- দেখ ছোকরা, আমি খুব ব্যস্ত। মটকা ইদানীং সবসময় গরম থাকে। যা বলার তাড়াতাড়ি বল।

বলতে চাইলাম, আপনি তো আগাগোড়া পুরাই অগ্নিগোলক। আপনার মটকা জিনিসটা কি আর আপনি ঠান্ডা থাকবেনই বা ক্যামনে? কিন্তু বলার সাহস হল না। বললাম,
- জনাব ইদানীং আপনার রেডিয়েশন আমাদের প্রান ওষ্ঠাগত করে দিচ্ছে। আমাদের সাধের ষড় ঋতুর দেশ নাতিশীতোষ্ণ বাংলাদেশকে নিরক্ষীয় অঞ্চলের দেশ বানিয়ে দিয়েছে। এমনকি তাপমাত্রা তাদেরও ছাড়িয়ে যাচ্ছে। এটা রোধে কোন ব্যবস্থা নিতে পারবেন না??

-কেন আগে কি রেডিয়েশন যেত না ?? নাকি বাংলার বায়ুমণ্ডল এতদিন ছাঁকনি দিয়ে ঢাকা ছিল, হে ছোকরা??

-না, ঠিক তা নয়। ঘরের শত্রু কার্বনডাই অক্সাইড তো ঝামেলা বাধাচ্ছে আগে থেকেই, তার উপর মৌসুমি বায়ুও আমাদের সাথে লুকোচুরি খেলা শুরু করছে।

-মৌসুমি? (কন্ঠে আগ্রহ নিয়ে) মেয়েলি মেয়েলি শোনাচ্ছে নামটা।

-সে যাই হোক জনাব (প্রসংগটা তাড়াতাড়ি এড়িয়ে যাই), বলছিলাম তাপ একটু কমানো যায় না? হাপ ছেড়ে বাঁচতাম একটু।

-না, কোন অপশন নেই। তারচেয়ে মৌসুমি কে রিকোয়েস্ট কর গিয়ে, মেয়ে মানুষ, সহানুভূতি দেখাতেও পারে।

-আপনি কেন কমাবেন না জানতে পারি কি (এবার আমি একটু রেগে যাই)

-আসলে তোমরা মানুষ জাতটাই খারাপ। গাছপালা কেটে পৃথিবি টা ন্যাড়া করেছ তো বুহুত আগেই আবার আমার কাছে কৈফিয়ত চাচ্ছ তাপের জন্য। কি বলব আর দু:খের কথা, আমার রেডিয়েশন কে পর্যন্ত তোমরা ব্যবচ্ছেদ করে ফেলেছ, আবার গালভরা নামও দিয়েছ, সোলার স্পেকট্রাম!! আবার তিনকোণা কি এক কাচখন্ড দিয়ে এক আলোরে সাতভাগ করে ফেলেছ, আবার "মেয়েদের বেনি আর কলা " না কিসব নাম দিছ। কতবড় আস্পর্ধা!!!!
- (মামা খালি মেয়ে মেয়ে করে ক্যান?) বেনিআসহকলা, জনাব।

-ওই, হল আর কি। তো, এবার আমিও কাজ শুরু করেছি। নতুন একপ্রকার রশ্মি উতপাদনের জন্য আমার কোরে extensive research চলছে। মানবজাতি এবার বুঝবে boss এর সাথে লাগতে আসার মজা।
-তা জনাব, এই বছরের জন্য গবেষনা মুলতবি রাখা যায় না। যদি এইটুকু করতেন আমাদের জন্য -----
-দেখ ছোকরা, অনেক কথা বলে ফেলেছ এখন ভালয় ভালয় বিদায় হও। না হলে আবার কি করতে কি করে ফেলব -----
মামার প্রচ্ছন্ন হুমকি শুনে আর দাঁড়ালাম না, সোজা পৃথিবির দিকে রওয়ানা দিলাম। কে বলতে পারে, দেখা গেল নতুন রশ্মির নাম "ভস্মরশ্মি"। ভস্ম হওয়ার আগে ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে একগ্লাস ঠান্ডা জুস খাই গিয়ে। পরে মামার কথা মত মৌসুমির সাথে দেখা করতে যাব সময় করে।
------ জুলিয়ান কতৃক গৃহীত সুর্যসাক্ষাতকার।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:৪৬

আমিনুর রহমান বলেছেন:




সাক্ষাৎকার ভালোই হয়েছে ...

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:০২

এম্বিগ্রামিষ্ট জুলিয়ান বলেছেন: চাদ আর পৃথিবীর সাথেও দুইটা সাক্ষাতকার আছে। পড়তে পারেন। ব্লগে আছে ।

ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.