নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জানার অদম্য ইচ্ছেসহ আগামীর পথে

এম্বিগ্রামিষ্ট জুলিয়ান

আমি প্রতিসাম্য তৈরি করতে ভালবাসি

এম্বিগ্রামিষ্ট জুলিয়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

উদযাপনঃ একটা লিমিট থাকা দরকার!!

১৩ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:৫৮

সেলিব্রেশন............উদযাপন..................

খুব মজার একটা শব্দ। এই শব্দ উচ্চারন করলেই যেন চোখের সামনে সবার ভেসে ওঠে আনন্দ-উল্লাস, হাসি-তামাশা, রং ছুড়াছুড়ি, গিফট এর সমাহার, হ্যাং আউট, লং রাইড, ডেটিং সহ আরও অনেক কিছু!! অনুষ্ঠান আছে, উৎসবের দিন আছে, বিভিন্ন বিশেষ দিন আছে; সুতরাং উদযাপনের দিনের ও অভাব নাই। আনন্দ আর আনন্দ, তাই না?

নিজের সংস্কৃতির অনুষ্ঠান তো আছেই (অবশ্য উদযাপন টা কোন রীতিতে হয়, মন থেকে সেটা একান্ত নিজেদের বলে ফিল করা হয় কিনা; এগুলো বড় প্রশ্ন বটে!!!), বহির্বিশ্ব থেকে আসা অনুষ্ঠানেরও কমতি নেই। অবস্থা এমন যে, বছরের ৩৬৫ দিনও উদযাপন করা যায় ইচ্ছে করলে, নানা ছুতোয়!!

এই উদযাপনের তীব্র ইচ্ছা থেকেই আজ আমরা গুলিয়ে ফেলছি সব কিছু। তাই তো ফেব্রুয়ারির একুশ, মার্চের ছাব্বিশ, অগাস্টের পনের, ডিসেম্বরের ষোল এর সাথে এক কাতারে এসে যায় ফেব্রুয়ারির চৌদ্দ, চৈত্রের শেষ, কিংবা বৈশাখের শুরু......!! আমরা এগুলোর মধ্যে বিভাজন রেখা টানতে পারিনা। আবেগ-গর্ব-ঐতিহ্য দ্রবীভূত হয়ে যায় আনন্দ-উদযাপনের মাঝে। ভেঙ্গে ফেলি নৈতিকতা-ধর্মীয় অনুশাসনের বেড়াজাল। উদাহরনস্বরুপঃ একুশের ভোরে সেজে গুজে আমরা ফুল দিতে যাই, ফেসবুক সয়লাব করে ফেলি ভণ্ডামি মাল্যদানের ছবি দিয়ে, শহীদ দের সামনে রেখে পিছে চলে বেহায়াপনা।

আবার আমরা মুসলমানেরা (সবাই না অবশ্যই) এপ্রিলের এক তারিখে অন্যকে বোকা বানিয়ে আনন্দ লাভ করে স্পেনে মসজিদে-জাহাজে-ঘরে জীবন্ত দগ্ধ হওয়া মুসলমান ভাইবোনদের মৃত্যুর প্রতিদান দেই। যেন ফার্দিনান্দের সেই তাচ্ছিল্যের স্বর আমাদের আজও ব্যঙ্গ করে বলে, “muslims, how fool you are!!!”

আমেরিকার এক সাংবাদিক লেখিকা জোয়ানা ফ্রান্সিস এক খোলা চিঠি লিখেছেন মুসলিম মহিলাদের উদ্দেশ্য করে। তার কিছু অংশ আমার আলোচ্য বিষয়ের সাথে মেশে। উনি বলেছেন, “শত শত বোমা তোমাদের ভূমি (ফিলিস্তিন, লেবানন) ক্ষত বিক্ষত করেছে, কিন্তু সংসার ভাঙ্গতে পারেনি। আর আমরা অর্থ, বিত্ত, বৈভব আর প্রাচুর্যে থেকেও আমাদের সংসার বিলীন হয়ে যাচ্ছে। স্নেহ, মায়া, মমতা, পারষ্পরিক সৌহার্দ্য, বড়দের ভক্তি, ছোটদের স্নেহ, ভাইবোনের নিবিঢ় সম্পর্ক নেই বলেই আজ কৌশলে আমরা বিভিন্ন দিবস বানিয়ে মার্কেটে ছেড়ে দিয়েছি। নাম দিয়েছি ভালোবাসা দিবস, মা-বাবা, বোন, চকলেট, গোলাপ, টেডি বিয়ার, বন্ধু দিবস।

দিবসগুলো আমাদের কিছু কার্ড, ফুল আর চকোলেট দিয়েছে। কিন্তু সেই স্বর্গীয় ভালোবাসা, মাতা-পিতার অকৃত্তিম মায়ার বন্ধন ফিরিয়ে দিতে পারেনি।”

কালে কালে দেখবেন, এই সেলিব্রেশন নামক আনন্দের জিনিসই একদিন আমাদের চেনাজানা সবকিছুকেই উল্টে দেবে।

দেখুন, আমি কাউকেই কোন কিছু সেলিব্রেট করতে ডিসকারেজ করছি না। আমার কথাতে কারও কিছু আসবে বা যাবে না, আমি জানি। জিনিসগুলো আসলে ফিল করতে হবে মন দিয়ে। আসলেই কি আমরা ঠিক পথে আছি, নাকি ধুর্ত কিছু লোকদের ধুর্ত কোন প্লান এর ঘুটি হিসেবে কেবলই ঘুরছি............

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৫:০৯

তার ছিড়া আমি বলেছেন: আমরা স্লোপয়জনে আছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.