নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জানার অদম্য ইচ্ছেসহ আগামীর পথে

এম্বিগ্রামিষ্ট জুলিয়ান

আমি প্রতিসাম্য তৈরি করতে ভালবাসি

এম্বিগ্রামিষ্ট জুলিয়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

নাস্তিকতাঃ বুঝি না ভিত্তি টা কি!!!

২১ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:১০



কিছু কিছু মানুষ উচ্চশিক্ষিত হলে নাকি সৃষ্টিকর্তার উপর বিশ্বাস হারিয়ে ফেলে। বিশাল বিশাল সব বইয়ের লাইনের ফাকে ফাকে কি এমন তথ্য, যুক্তি পায় যে এক তুড়িতে বলে বসে যে, সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব নেই!!! আমার বুঝে আসে না। ভাগ্যিস তাদের মত তথাকথিত উচ্চশিক্ষিত হয়ে যাই নি।

একবার আচার্য্য জগদীশ চন্দ্র বসু ভারতের কোন এক কলেজের ল্যাবে হাইড্রোজেন আর অক্সিজেন সহযোগে পানি বানিয়ে দেখান। তারপর বলেন যে, এই সামান্য পানি বানাতে দশ টাকা খরচ হয়ে গেল!! এমনকি এই পানি বিশুদ্ধ ও না, বিষ। অথচ দেখ ছাত্রেরা, তোমাদের আশে পাশে রাশি রাশি বিশুদ্ধ পানির অফুরন্ত যোগান। নিশ্চয়ই কেউ একজন আছেন মহাবিজ্ঞানী যিনি এসব সৃষ্টি করেছেন!

ওই ক্লাশে উপস্থিত ছিলেন শামসুল হক নামের এক ছাত্র। তিনি ক্লাশ শেষে সিদ্ধান্ত নিয়ে বসেন কলেজ শেষে তিনি বিখ্যাত দেওবন্দ মাদ্রাসায় পড়তে যাবেন। যেই ভাবা, সেই কাজ। চলে গেলেন। তারপর পড়া শেষে আবার চলে আসলেন বাংলাদেশে। তার ওস্তাদ বিখ্যাত পীর আশরাফ আলী থানভী (রহঃ) বলেছিলেন, “বাংলাদেশে এক জ্ঞানের জাহাজ পাঠিয়ে দিলাম।”

তিনি হলেন গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা শামসুল হক সাহেব ফরিদপুরী (রহঃ), যাকে লোকজন “সদর সাহেব হুজুর” নামে চেনে।
ভাই, মোদ্দা কথা হল ডিরেকশন বুঝতে হবে। একই তথ্য কাউকে ইমানদার বানিয়ে দেয় আবার ভুল ডিরেকশনে সেই তথ্যই কাউকে নাস্তিক বানাবার জন্য যথেষ্ট।

আইস্টাইন এর E=mc2 আবিষ্কার এর আগে, নিউটন এর সূত্রগুলো আবিষ্কারের আগে, কাটিং এজ জেনেটিক্স এর সূত্রগুলো আবিষ্কারের আগে প্রকৃতিতে কি এগুলোর অস্তিত্ব ছিল না!! সবাই জানি, ছিল। এখনো অনেক কিছু আছে যা মানুষের বোধের, জ্ঞানের বাইরে।

ধুম করে একটা আবিষ্কার করে আপনি বলে বসতে পারেন না, সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসের দরকার নেই। এটা সংকীর্ন মনের পরিচয়, মুক্তমনের নয়।
বিজ্ঞানের যে পরিমান শাখা প্রশাখা আছে, তার ক্ষুদ্র একটা অংশ নিয়ে স্টাডি করতে গেলেই যুগ যুগ পার হয়ে যাবে। আর কেউ সেই ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অংশের সামান্য কিছু অধ্যয়ন করে এমনই পন্ডিত হয়ে গেল যে, যুক্তির ধাক্কায় সৃষ্টিকর্তাকেই নাই করে দিল!!!

ওরে আবালের বাচ্চা আবাল! এত নাক উঁচু কেন তোদের! নিজেদের চেয়ে সুপিরিয়র কারও অস্তিত্ব আছে ভাবতে বুঝি কষ্ট হয় বেকুবের দল!! কোন মরনব্যাধি শরীরে বাসা বাঁধুক, আল্লাহ্‌ আল্লাহ্‌ বলে দৌড় শুরু করে দেবে এরা, পীর-ফকির-দরবেশ কিছুই বাদ দেবেনা!! নাস্তিকতা বুঝি ফ্যাশন!!
নাস্তিকতা আসলে একটা পথ। ধর্মের কঠিন নিয়মের বেড়াজাল ভেঙ্গে নিজের মন মত জীবনযাপন করার একটা পথ। বিবেককে পাশ কাটানোর একটা শর্টকাট রাস্তা এইটা। আর কিছু না।

আইনস্টাইন এর কথা দিয়ে শেষ করি, “The more I study science, the more I believe in God”
“I want to know God's thoughts; the rest is not important”

নে খা!! নবীদের না মানতে পারিস, এই পেজাতুলো চুলওয়ালা লোকটা কে তো ভক্তি করিস। নাকি বলবি, বুড়োর মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছিল!!

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:২০

মাসূদ রানা বলেছেন: ঈশ্বরকে নিয়ে আইনস্টাইনের কথাটা ভাল লাগলো ।
অনেক ধন্যবাদ জুলিয়ান ভায়া :)

২২ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:২২

এম্বিগ্রামিষ্ট জুলিয়ান বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ

২| ২১ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:২৯

কলাবাগান১ বলেছেন: বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় নাস্তিক ছিলেন শফিক রেহমানের বাবা যিনি জগন্নাথ কলেজের প্রিন্সিপাল ছিলেন। তার মনের সংশয়ের জন্য নিজের বাড়ীর নাম ও রেখেছিলেন সংশয়। শফিক রেহমান নিজেই সেই ঘরানার লোক কিন্তু জামাতিদের সাপোর্ট পাওয়ার জন্য দ্বিচারিতা করে বেড়ান।

উনার বাবা আজ বেচে থাকলে জংগিদের নাংগা তলোয়ারের ঘাড় হারাতেন...... মানুষ অনেক সহনশীল ছিল।

৩| ২১ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:১০

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: যারা আস্তিক তারা সব বিদ্যাসাগর এবং আইনেস্টাইন

২২ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ২:৩৩

এম্বিগ্রামিষ্ট জুলিয়ান বলেছেন: আমি আস্তিক। আমি কিন্তু ওই দুজনের কোনজনই না

৪| ২২ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১:৩০

নতুন বলেছেন: উনি আস্তিক বা নাস্তিক কোনটাই ছিলেন না... উনি agnostic ছিলেন...

উনি সৃস্টিকতা আছে কি নাই তার যেহেতু প্রমান নাই... তাই তিনি সৃস্টিকতায় বিশ্বাস বা অবিস্বাস কিছুই করেননাই...

>> উইকি:- Click This Link

২২ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ২:৩২

এম্বিগ্রামিষ্ট জুলিয়ান বলেছেন: আমার নিজের কথার সাথে একটা নগন্য উদাহরন হিসেবে আইন্সটাইন এর কথা টেনেছি। উদাহরণ না দিলেও ক্ষতি বৃদ্ধি হত না।

সুতরাং এ ব্যাপারে কথা না বাড়ানোই ভাল। উদাহরন না পড়ে কথা গুলো মন দিয়ে পড়ুন।

ধন্যবাদ

৫| ২২ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:২৩

সবুজ২০১২ বলেছেন: নাস্তিকতার পরিণাম কি হতে পারে তা কুত্তার বাচ্চা হকিংকে দেখলেই বোঝা যায়?শুয়রেরে বাচ্চার দলেরা ইসলাম নিয়ে কিছু বলার আগে অন্যান্য ধর্ম নিয়ে পড়াশেুনা কর,ত্‌ও না পারলে অন্তঃত জাকর নায়েকের তুলনামূলক ধর্ম নিয়ে আলোচনাগুলা শুন মন দিয়ে?

৬| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:৩৫

আমি তুমি আমরা বলেছেন: ওরে আবালের বাচ্চা আবাল! এত নাক উঁচু কেন তোদের! নিজেদের চেয়ে সুপিরিয়র কারও অস্তিত্ব আছে ভাবতে বুঝি কষ্ট হয় বেকুবের দল!! কোন মরনব্যাধি শরীরে বাসা বাঁধুক, আল্লাহ্‌ আল্লাহ্‌ বলে দৌড় শুরু করে দেবে এরা, পীর-ফকির-দরবেশ কিছুই বাদ দেবেনা!! নাস্তিকতা বুঝি ফ্যাশন!! [/si

এরা জাস্ট কতগুলা ভন্ড।

৭| ১২ ই জুন, ২০১৫ রাত ১১:৪৬

ওয়াহিদ সাইম বলেছেন: Extremism অবশ্যই বর্জনীয়।এটা সব কিছুতেই থাকতে পারে। ধর্মে,অধর্মে,নাস্তিকতায়,সামাজিকতায়,রাজনীতিতে, অর্থনীতিতে, দৈনন্দিন জীবনে, সব কিছুতেই।এ্যক্সট্রিমিস্ট ধার্মিক,এ্যক্সট্রিমিস্ট নাস্তিক,এ্যক্সট্রিমিস্ট রাজনীতিবিদ,এ্যক্সট্রিমিস্ট মানুষ ইত্যাদি। নিজ বিশ্বাসে এদের অগাধ আস্থা হিমালয়ের মত অটল।অন্যমত এদের অসহ্য।ভিন্ন মত বা ভিন্ন মতের মানুষের প্রতি এরা সদা খড়গ হাতে উদ্যত। কখনো কখনো এরা একে অপরকে নিচিহ্ন করে দিতে চায়।
মুখে শুনা বা কখনো ছাপানো কাগজ-বুকলেটে পড়া টুকরো-খন্ডিত তথ্য ভিত্তিক এই বিশ্বাস এতই প্রকট যে তার দূর্ভেদ্য প্রচীর ভেদ করে নিরপেক্ষ যাচাই-বাচাই এর সাহস অথবা ইচ্ছা বা সময় কোনটাই তাদের নেই।এই অসম্পূর্ণ তথ্যের উপর অন্ধ বিশ্বাসই এদের অতি সহজেই এ্যক্সট্রিমিস্ট তথা যুক্তিহীন অতি উগ্র গোঁড়া ব্যক্তিতে পরিনত করে।
জীব-জড়ের এই জগত কিংবা বিশাল আসীম ইউনিভার্সের ব্যাপারে মানুষের জ্ঞান যেখানে অতি নগন্য সেখানে ত্রিমাত্রিক উপলব্ধির সীমাবদ্ধতা নিয়ে মানুষ কি করে এতো গোঁড়া হয় অবাক লাগে। রাস্ট্রে,সমাজে Theistic বা Atheistic সব ধরনে উগ্র গোঁড়ামিরই নিরাময় দরকার।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:২২

এম্বিগ্রামিষ্ট জুলিয়ান বলেছেন: ঠিক বলেছেন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.