নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জানার অদম্য ইচ্ছেসহ আগামীর পথে

এম্বিগ্রামিষ্ট জুলিয়ান

আমি প্রতিসাম্য তৈরি করতে ভালবাসি

এম্বিগ্রামিষ্ট জুলিয়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

-----মুভি রিভিউ -------

০৩ রা জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫২


ইহা আমি কি দেখিলাম!!!
কিছু কিছু মুভি দেখার পর অনুভূতি এরকমই থাকে। আমারও একটা মুভি শেষ করার পর এমনই অনুভূতি হল। কিছু মুভি থাকে যা দেখার সময় এমনই তন্ময় হয়ে যেতে হয় যে নিজেকে মনে হয় মুভিরই একটা চরিত্র। শেষ করার পর মনে হয় কিছু একটা হারিয়ে ফেললাম। একপ্রকার হাহাকার, অব্যক্ত অনুভূতি মনকে আচ্ছন্ন করে রাখে বেশ কিছু সময় ধরে।

উপরোক্ত কথাগুলো দেখে আশা করি বুঝতে পারছেন আমি এমনই অনুভূতির ভিতর দিয়ে যাচ্ছি। যে মুভির কথা বলার জন্য এমন ভুমিকা নিলাম সেটা হল “HER”। ২০১৩ সালে রিলিজ পাওয়া এক রোমান্টিক মুভি।
অন্য মুভির রোমান্টিকতা থেকে কিন্তু এটার টা ভিন্ন। একেবারে ইউনিক। প্রেম এসেছে এমন দুইজনের মধ্যে যাদের একজনের বাস্তব অস্তিত্ব আছে আর অন্যজনের নেই।

না বুঝলে বলি। একজন মানুষের সাথে একটা আর্টির্ফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (অপারেটিং সিস্টেম) এর মধ্যকার সম্পর্ক দেখানো হয়েছে। প্রথম সাক্ষাৎ, সম্পর্কের শুরুর মিষ্টি দিনগুলো, সম্পর্কের টানাপোড়ন, পরস্পরকে কাছে পাওয়ার তীব্র আকাঙ্ক্ষা, রাগ, ক্ষোভ, অভিমান, শারীরিক সম্পর্কে জড়াবার ইচ্ছা এত সুন্দর আর গভীরভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে যে, আপনার মনেই হবে না দুই চরিত্রের একজন বাস্তব মানুষ নয়।

থিওডর একজন পেশাদার চিঠিলেখক। স্ত্রীর সাথে বিচ্ছেদের পর একাকী দিনাতিপাত করছে। জীবনের প্রতি হতাশ। এর মাঝে একদিন সে এক নতুন ধরনের কম্পিউটার অপারেটিং সিস্টেম কিনে আনে যেটার নিজস্ব কনশাসনেস আছে, আছে নিজস্ব বুদ্ধিমত্তা, সিচুয়েশনের সাথে ইভলভ করার ক্ষমতা, মোটকথা শরীরবিহীন মানুষই বলা চলে। থিওডর সেটা ইনস্টল করার পর অপারেটিং সিস্টেম তাকে বলে, সে কি পুরুষ ভয়েস চায় নাকি মেয়েলি ভয়েস।

থিওডর মেয়ে ভয়েস (স্কারলেট জোহানসন) চুজ করে। নিঃসঙ্গ জীবনযাপন করার কারনেই হোক বা মেয়েলি সংস্পর্শ পাবার আকাঙ্ক্ষা থেকেই হোক, থিওডর সেই ভয়েসটাকে পছন্দ করে ফেলে। যেহেতু অপারেটিং সিস্টেমটা খুবই বুদ্ধিসম্পন্ন তাই তার সাথে কথা বলে খুব মজা পায় সে। থিওডর যখন অপারেটিং সিস্টেম কে বলে তার কি কোন নাম আছে তখন সেটা তাকে বলে তার নাম সামান্থা, কারন তার নাকি মনে হয়েছে নামটার টোনটা নাকি খুব সুন্দর। ক্রমেই উপলব্ধি করে সামান্থার প্রতি দুর্বল হয়ে পড়ছে সে। তার প্রতিদিনকার জীবনের অংশ হয়ে গেছে সামান্থা। কখন মিটিং আছে, কোন ই-মেইল এসেছে কিনা, সকালে কখন ঘুম থেকে উঠতে হবে, চিঠির গ্রামার ঠিক আছে কিনা সব সামান্থা দেখভাল করা শুরু করে।

থিওডর একসময় টের পায় মনের গহীনের কথাগুলো সে অবলীলায় সামান্থার সাথে শেয়ার করছে আর সামান্থাও ঠিক একটা ইমোশন সম্পন্ন মেয়ের মত তাকে সাপোর্ট দিচ্ছে। তার হাসিতে হাসছে, তার কষ্টে কষ্ট পাচ্ছে, তার কষ্ট লাঘব করার চেষ্টা করছে তার মত করে।
একদিন সামান্থা কে সে প্রশ্ন করে, সে কিভাবে চিন্তা করে আর কি ভাবে। সামান্থা উত্তর দেয় যে, নানারকম আজগুবি চিন্তা তার মাথায় খেলা করে। তার নাকি মনে হয় তার যদি একটা শরীর থাকত তবে সে থিওডর এর পাশে তার হাত ধরে হাঁটতে পারত, অন্ধকার ঘরে তার বাহুডোরে ঘুমাতে পারত (চিন্তা করে দেখেন ভাই-ব্রাদার রা কোন অসম্ভব সুন্দর মেয়েলি ভয়েস যদি ফোনের ওপাশ থেকে আপনার কোন প্রশ্নের জবাব এভাবে দেয় আপনার অবস্থাটা কেমন হবে!! থিওডর যে ডিভাইসটার মাধ্যমে সামান্থার সাথে কথা বলে, সামান্থা যার মাধ্যমে থিওডর এর ওয়ার্ল্ড কে দেখে তা একটা মোবাইল ফোন মত।) থিওডর এর মনে হয় চাইলেই বুঝি সামান্থাকে হাতের মাথায় পাওয়া যাবে। কিন্তু তা যে হবার নয়।

থিওডর সামান্থাকে ভালবেসে ফেলে। যাকে বলে একেবারে রিয়েল লাভ। ১০০% লাভ। সামান্থার ও একই অবস্থা হয়।
থিওডর কোন মেয়ের কথা বললেই সামান্থা জেলাস ফিল করে, অন্যদিকে সামান্থাও একদিন কোন এক পুরুষ অপারেটিং সিস্টেম এর কথা বললে থিওডর এর খারাপ লাগে। এভাবেই নানা ঘটনার ভিতর দিয়ে এগিয়ে চলে তাদের ভিতরকার এর ভার্চুয়াল কিন্তু সত্য ইমোশন এর ভালবাসা।

একসময় জটিল থেকে আরও জটিলতার দিকে যেতে থাকে সম্পর্কটা। থিওডর এর অতীত জীবনের কিছু ভুল ধরতে পারে সামান্থার সাথে কথা বলে। একধরনের ইমোশনাল এস্কেপ খুঁজতে গিয়ে যেটার জন্ম তা পরিনতি পায় প্রায় সত্যিকার এক ভালবাসায়।
থিওডর সামান্থাকে বিচার করেছিল একজন মানবী হিসেবে, কিন্তু আসলে তা তো সে নয়। তাই কিছু বিষয় তার মেনে নিতে কষ্ট হয় কিন্তু সামান্থাকে কিছু বলে না পাছে সে কষ্ট পেতে পারে এই ভেবে (বোঝেন অবস্থাটা!!)

আর বলব না। অলরেডি যারা পড়েছেন তারা বোর ফিল করছেন মনে হয়। কি করব বলেন, ভাল লেগেছে তো তাই বেশি লিখে ফেললাম। কিন্তু মনে হচ্ছে মনের কথার ৫০ ভাগও ফুটিয়ে তুলতে পারিনি। আসলে শব্দগুলো মাঝে মাঝে প্রতারণা করে আমার সাথে।
যাই হোক, যদি মন চায় দেখে ফেলতে পারেন। আশা করি নিরাশ হবেননা।


মন্তব্য ১২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৭

চাঁপাডাঙার চান্দু বলেছেন: কেন জানি এই ধরণের মুভিগুলোতে থিতু হতে পারি না :(

২| ০৩ রা জুন, ২০১৫ রাত ৮:৩৬

একলা চলো রে বলেছেন: জীভে জল চলে এসেছে, প্রথম সুযোগেই ডাউনলোড করে নেব।

৩| ১০ ই জুন, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: মাথা নষ্ট থিম। এটা দেখতেই হবে।

৪| ১০ ই জুন, ২০১৫ বিকাল ৪:৪০

শান্তির বার্তা বলেছেন: পোস্টের অর্ধেক পড়েই youtube থেকে খুঁজে বের করলাম।

৫| ১০ ই জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৬

তূর্য হাসান বলেছেন: অনেক আগেই দেখা।
অ-সা-ধা-র-ণ মুভি।
অ্যাডান্ট কনটেন্ট রয়েছে সাবধান।

৬| ১০ ই জুন, ২০১৫ রাত ১০:১৪

খায়রুল ইসলাম নাদিম বলেছেন: রোমান্টিক মুভির নাম শুনলে গা জ্বলে । সব রোমান্টিক মুভির বিরুদ্ধে এক প্রশ্ন, বৌ থুইয়া আরেক বেটি নিয়া ঢলাঢলি করমু কেন?? :-P :-P ওভারঅল রিভিউটা ভাল :-P

৭| ১০ ই জুন, ২০১৫ রাত ১০:৩৩

ভয়ংকর বিশু বলেছেন: আমার মতো বাংলা মুভিখোর দের জন্য বাংলা মুভি রিভিয়ের অপেক্ষায় রইলাম।

৮| ১১ ই জুন, ২০১৫ রাত ১২:১৯

সুমন কর বলেছেন: রিভিউ ভাল হয়েছে। Joaquin Phoenix এর অভিনয় একটু ভিন্ন রকমের, ভালো লাগে। মুভিটি দেখবো।


৯| ১১ ই জুন, ২০১৫ রাত ১:৪২

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: চমৎকার একটি মুভি। রোম্যান্টিক সাই ফাই। কিছু কিছু জায়গায় ভলিউম বন্ধ করে দেখতে হবে ( ধুর ইমো বাঁটন নাই কেন? )

১০| ১২ ই জুন, ২০১৫ ভোর ৪:২৮

ওয়াহিদ সাইম বলেছেন: থিওডর ভুলেই গিয়েছিলো যে সামান্থা একটা অপারেটিং সিস্টেম মাত্র যে কিনা একই সময়ে একি সাথে হাজার হাজর গ্রাহককে রোমান্স দিয়ে যাচ্ছিলো যেটা থিওডরকে ভীষন কষ্ট দেয়।। সুন্দর একটা মুভি।আমার খুবই ভালো লেগেছিল।

১১| ১২ ই জুন, ২০১৫ সকাল ১০:৩৬

শহুরে আগন্তুক বলেছেন: দেখতে হবে !

১২| ১৩ ই জুন, ২০১৫ সকাল ১১:০৯

রাবেয়া রব্বানি বলেছেন: ডাঊনলোড দিচ্ছি এখনই ।ধন্যবাদ আপনাকে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.