নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জানার অদম্য ইচ্ছেসহ আগামীর পথে

এম্বিগ্রামিষ্ট জুলিয়ান

আমি প্রতিসাম্য তৈরি করতে ভালবাসি

এম্বিগ্রামিষ্ট জুলিয়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

কয়েকজন বাঙালি, যাদের নিয়ে বিশ্বের যে কোন প্রান্তে বসে গর্ব করা যায়

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৭

বাঙালি জাতি। খুবই পটেনশিয়াল এক জাতি আমরা। আমরা যে কি থেকে কি করে ফেলতে পারি নিজেরাই জানি না। কলোনিয়াল মনোবৃত্তি থেকে এখনো বেরুতে পারিনি বিধায় হয়ত বিজ্ঞানীদের নাম বাংলা দেখলে মনে হয়, এ আর কি!!! কত ত্যাঁদড় ত্যাঁদড় বিজ্ঞানী রয়েছে, কত ত্যাঁদড় ত্যাঁদড় আবিষ্কার করেছে, তার তুলনায় এরা আর এমনকি!!! একই মনোবৃত্তি থেকেই হয়ত কোন সাদা চামড়া দেখলেই মোমের মত গলে যাই। চারপাশ থেকে ঘিরে ধরে জটলা পাকাই। বিদেশীরা মনে করে, আহ!! বাঙালি কত আন্তরিক!!!
যাই হোক, এগুলো আমার আজকের আলোচনার বিষয়বস্তু না। আজ আমি কয়েকজন বাঙ্গালির পরিচয় তুলে ধরব, যাদের কাজ ১,৪৭,৫৭০ বর্গ কিলোমিটার এর সীমানা ছাড়িয়েছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে স্বীকৃত। মাথায় তুলে রাখার মত। কিন্তু ওই যে প্রবলেম, আমরা বাঙ্গালিরা হয়ত অনেকেই তাদের চিনিনা। তাই আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানের অতিক্ষুদ্র প্রয়াস।
আমি ধারাবাহিকভাবে তাদের বর্ননা দেব। কে আগে, কে পিছে এই হিসাব এখানে বাঞ্ছনীয় নয়। কেননা তাদের ভিতর তুলনা চলে না। যে যার নিজের জায়গায় পারফেক্ট।

১. ডঃ এফ আর খান




ফজলুর রহমান খান (ইংরেজি ভাষা: Fazlur Rahman Khan) (এপ্রিল ৩, ১৯২৯ - মার্চ ২৭, ১৯৮২)। স্থাপত্য জগতের আইনস্টাইন এই ব্যক্তি। বাংলাদেশের বিশ্ববিখ্যাত স্থপতি ও পুরকৌশলী। তিনি পৃথিবীর অন্যতম উচ্চ ভবন শিকাগোর সিয়ার্স টাওয়ার (বর্তমানে উইওলস টাওয়ার) এর নকশা প্রণয়ন করেন। তাঁকে বিংশ শতকের শ্রেষ্ঠ পুরকৌশলী বলা হয়।
ফজলুর খান ১৯২৯ সালের ৩রা এপ্রিল মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন।তিনি ১৯৪৪ সালে আরমানিটোলা স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করে কলকাতার শিবপুর বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে (বর্তমানে বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড সায়েন্স ইউনিভার্সিটি, শিবপুর) ভর্তি হন। জনাব এফ আর খান ১৯৫২ তে যুগপৎ সরকারী বৃত্তি ও ফুল ব্রাইট বৃত্তি নিয়ে পি এইচ ডি ডিগ্রি অর্জনের উদ্দেশ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গমন করেন ৷ সেখানে ইউনিভার্সিটি অফ ইলিনয় অ্যাট আরবানা শ্যাম্পেইন থেকে স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং তত্ত্বীয় ও ফলিত মেকানিক্স-এ যুগ্ম এম এস করার পর ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন ৷
ডঃ এফ আর খান নর্থ ওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়, লি হাই বিশ্ববিদ্যালয় ও সুইস ফেডারেল টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউট থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন ৷ শিকাগোর সিয়ার্স টাওয়ার তার অনন্য কীর্তি। তিনি ১৯৭২ সনে 'ইঞ্জিনিয়ারিং নিউজ রেকর্ড'-এ ম্যান অব দি ইয়ার বিবেচিত হনএবং পাঁচবার স্থাপত্য শিল্পে সবচেয়ে বেশী অবদানকারী ব্যক্তিত্ব হিসেবে অভিহিত হবার গৌরব লাভ করেন (৬৫,৬৮,৭০,৭১,৭৯ সালে)৷ ১৯৭৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল একাডেমি অফ ইঞ্জিনিয়ারিং এর সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৪ সনে আমেরিকার 'নিউজ উইক' ম্যাগাজিন শিল্প ও স্থাপত্যেরউপর প্রচ্ছদ কাহিনীতে তাঁকে মার্কিন স্থাপত্যের শীর্ষে অবস্থানকারী ব্যক্তি হিসেবে বর্ণনা করে ৷ স্থপতি ডঃ এফ, আর, খান আন্তর্জাতিক গগনচুম্বী ও নগরায়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন ৷ তাঁর অন্যান্য অবদানের মধ্যে রয়েছে শিকাগোর জন হ্যানকক সেন্টার, জেদ্দা আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের হজ্ব টার্মিনাল এবং মক্কা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য মডেল অঙ্কন ৷ ডঃ খান Tube in Tube নামে স্থাপত্য শিল্পের এক নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছিলেন যার মাধ্যমে অতি উচ্চ (কমপক্ষে একশত তলা) ভবন স্বল্প খরচে নির্মাণ সম্ভব ৷

২. ডঃ জামাল নজরুল ইসলাম

১৯৮৪ সালে সোয়া লাখ টাকা বেতনের চাকুরী, কেমব্রিজ ভার্সিটির অধ্যাপক, সম্মানের লেভেলটা বুঝতে পারছেন তো ?এই চাকুরী অবলীলায় ছেড়ে দিয়ে এইদেশে চলে এসেছিলেন। যোগ দিয়েছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে , মাত্র সাড়ে তিন হাজার টাকার চাকুরীতে। ভাবতে পারছেন?
আপনি কিংবা আমি হলে এই লোভনীয় সুযোগ হাতছাড়া করতে পারতাম? কেন ফিরে এসেছিলেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছিলেন, আমি নিজ দেশকে ভালোবাসি , এ জন্য এখানে চলে এসেছি। আমি আমার দেশকে ভালোবাসি,আমি এখান থেকে নিতে আসিনি আমি দিতে এসেছি’।
স্টিফেন হকিং এর নাম শুনেছেন সবাই। বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে নামকরা জীবিত বিজ্ঞানী। যার চরিত্রের উপর তৈরি করা সিনেমা থিওরি অব এভ্রিথিং সমগ্র বিশ্বে সাড়া ফেলেছে। এই মানুষটা ছিলেন ছাত্রজীবনে স্টিফেন হকিং এর বন্ধু আর রুমমেট। ১৯৮৩ সালে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেস থেকে প্রকাশ করেন আল্টিমেট ফেইট অব দা ইউনিভার্স। তাবৎ দুনিয়ার রথি মহারথীদের দৃষ্টি একদিকে নিয়ে আসতে পেরেছিলেন এক বই দিয়ে। তার গবেষণার উপর ভিত্তি করেই পদার্থবিজ্ঞানের নতুন অধ্যায়ের সুচনা হয়। তার অবদানের কথা অকপটে স্বীকার করেন নোবেল বিজয়ী বিজ্ঞানী ওয়েইনবারগ।
তিনি বলেন, ‘‘we are particularly indebted to Jamal Islam, a physicist colleague now living in Bangladesh. For an early draft of his 1977 paper which started us thinking about the remote future”
ভাবতে পারছেন? কি বড় মাপের মানুষ ছিলেন তিনি? নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী আব্দুস সালাম বলেছিলেন, এশিয়ার মধ্যে আমার পরে যদি দ্বিতীয় কোনো ব্যক্তি নোবেল পুরস্কার পায়, তবে সে হবে প্রফেসর জামাল নজরুল ইসলাম’
এখন নেই তার কোন স্মরণ, নেই তার কাজের উপর আলোচনা। আমরা পারিও বটে। যে জাতি জ্ঞানীদের সম্মান দিতে জানে না, সেই জাতি খুব দ্রুতই নিশ্চিহ হয়ে যায়। ও হ্যাঁ, এই মানুষটাই কিন্তু সর্বপ্রথম ১৯৭১ সালে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি লিখে বাংলাদেশে পাকিস্তানী বাহিনীর আক্রমণ বন্ধের উদ্যোগ নিতে বলেছিলেন।



৩. ড. সেলিনা আহমেদ
নভোচারীদের নিয়ে সাধারণ মানুষের কিউরিসিটি অনেক। মহাশূন্যে নভোচারীরা কী খান? পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ যে খাবার খায়, মহাশূন্যে থেকে সেসব খাবার কি নভোচারীরা খেতে পারেন? সাত দিনের একটি মহাকাশ অভিযানে পাঁচজন নভোচারী থাকলে তাঁদের জন্য কী পরিমাণ খাদ্যসামগ্রী ও পানীয়ের প্রয়োজন হয়? একই দলের ফরাসি ও জাপানি নভোচারীর জন্য কি পৃথক খাদ্য ও পানীয় নভোযানে নেওয়া সাশ্রয়ী?
যদি বলি নভোচারীদের খাবার সমস্যা আর তার সমাধানে প্রথমদিককার একজন সফল গবেষক হলেন বাংলাদেশের মেয়ে ডঃ সেলিনা আহমদ, তবে কি অবাক হবেন? হলে হোন। এটাই সত্য। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের নভোচারীরা এখন একটি কমিউনিটির সদস্য। সেলিমা আহমেদের তৈরি ফরমুলার খাবারই এখন এই কমিউনিটির সদস্যরা ব্যবহার করছেন।
সেলিনা আহমেদ বাঙালি, বাংলাদেশি। জন্ম নোয়াখালী। এখন মার্কিন নাগরিক। থাকেন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের হিউসটন শহরে। মহাকাশবিজ্ঞানী ও নভোচারীদের কাছে এবং হিউসটনের নাগরিক সমাজে তিনি ‘স্পেস নিউট্রিশনিস্ট’ নামে পরিচিত। বাংলায় তরজমা করলে দাঁড়ায় ‘মহাকাশ পুষ্টিবিদ’। সব মহাদেশের বিভিন্ন দেশের খাবার নিয়ে তিনি ও তাঁর দুই সহযোগী দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা ছাড়াও এর মধ্যে সুইডেন, পশ্চিম জার্মানি, ইতালি, পোল্যান্ড, সোভিয়েত ইউনিয়ন, ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, জাপান, ফিলিপাইন ও থাইল্যান্ড অন্যতম।
স্নায়ুযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে সোভিয়েত ইউনিয়নের সাথে নাসার কলাবরেশনে যে গবেষণা হয়েছিল, সেখানে তিনিও ছিলেন। শুধু সোভিয়েত ইউনিয়নেরই ৩৮ ধরনের খাদ্য ফ্রিজ ও প্যাকেজ করা নিয়ে গবেষণা করেছিলেন। তিনি সিদ্দিকা কবির ম্যাডামের ছাত্রী। বর্তমানে সেবাধর্মী একাধিক প্রতিষ্ঠান ও কাজের সঙ্গে জড়িত। ক্যানসারে আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবা ও জীবনমান উন্নত করার কাজেও যুক্ত হয়েছেন।

৪. ডঃ আতাউল করিম



ট্রেন চলবে কিন্তু ট্রেনের চাকা লাইন বা ট্রাক স্পর্শ করবে না। চুম্বকের সাহায্যে এটি এগিয়ে চলবে এবং গন্তব্যে পৌঁছবে চোখের পলকে। বিশ্বের পরিবহন সেক্টরে অবিশ্বাস্য হলেও সত্য এবং বাস্তব এটি। আর এর পুরো কৃতিত্ব একজন বাংলাদেশী বিজ্ঞানী। তিনি হলেন ডঃ আতাউল করিম।
বিশ্বের সেরা ১০০জন বিজ্ঞানীর একজন। আমেরিকার ওয়াশিংটন ডিসি সংলগ্ন ভার্জিনিয়ার নরফোকে অবস্থিত ওল্ড ডোমিনিয়ন ইউনিভার্সিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট (গবেষণা) ডঃ আতাউল করিমের এ সাফল্যের কাহিনি মার্কিন মিডিয়াতেও ফলাও করে প্রকাশিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টির গবেষকেরা ৭ বছর ধরে এ ধরনের একটি ট্রেন তৈরীর গবেষণায় ফেডারেল প্রশাসনের বিপুল অর্থ ব্যয় করেন। কিন্তু তা সাফল্যের আশপাশেও যেতে পারেনি। অবশেষে ২০০৪ সালে এই গবেষণা প্রকল্পের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন ডঃ আতাউল করিম এবং দেড় বছরের ভিতরে ট্রেনটি নির্মাণে সক্ষম হন। পরীক্ষা সফল হয়েছে। এখন শুধু বানিজ্যিকভিত্তিতে চালু করার কাজটি বাকি।
জার্মানী, চীন ও জাপানে ১৫০ মাইলের বেশী বেগে চলমান ট্রেন আবিস্কৃত হলেও তাতে প্রতি মাইল ট্রাক বা লাইনের জন্য গড়ে খরচ ১১০ মিলিয়ন ডলার, কিন্তু ডঃ করিমের এ ট্রেনে খরচ হবে মাত্র ১২/১৩ মিলিয়ন ডলার। দেখতেও আকর্ষণীয় এ ট্রেনের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তা স্টার্ট নেয়ার পর লাইনকে স্পর্শ করবে না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিজ্ঞানে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে ৩৩ বছর আগে আমেরিকায় এসেছেন ডঃ করিম। এরপর পদার্থ বিজ্ঞানে এম.এস, ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে এম.এস এবং ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পি.এইচ.ডি করেন আলাবামা ইউনিভার্সিটি থেকে যথাক্রমে ১৯৭৮, ১৯৭৯ এবং ১৯৮১ সালে। প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রি নেয়ার পর শুরু পেশাগত জীবন এবং মেধা ও যোগ্যতার মাধ্যমে তিনি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র তথা বিশ্বের মেধাসম্পন্ন ৫০০০ গবেষক-ছাত্রের নেতৃত্ব দিচ্ছেন অন্ততঃ ৬০০ ফ্যাকাল্টিতে। ডঃ করিমের নেতৃত্বে পরিচালিত হচ্ছে ৬টি কলেজ, কমপক্ষে ২০টি গবেষণাকেন্দ্র, ৬শত শিক্ষক এবং ৫ হাজারের উপরে গ্রাজুয়েট ও আন্ডার-গ্রাজুয়েট ছাত্র-ছাত্রী।

৫. সাইফুল আজম



ইসরাইলের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক যুদ্ধ বিমানকে ভুপাতিত করার রেকর্ডটা একজন বাঙ্গালির দখলে! ভদ্রলোক চারটি পৃথক দেশের বিমান বাহিনীকে সার্ভিস দিয়েছেন, তিনটি ভিন্ন দেশের হয়ে যুদ্ধ করে শত্রুপক্ষের বিমান ধ্বংশ করেছেন এবং তিনটি দেশ থেকেই বীরত্বসূচক খেতাব পেয়েছেন! এটা একটা বিশ্ব রেকর্ড! যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে উনাকে পৃথিবীর জীবিত ২২ জন 'লিভিং ঈগল' হিসেবে তালিকাভূক্ত করা হয়েছে!
আমরা কয়জন চিনি তাকে?
সাইফুল আজম ১৯৪১ সালে পাবনা জেলার খগড়বাড়িয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের পর ১৯৫৬ সালে তিনি পশ্চিম পাকিস্তান যান। ১৯৬০ সালে তিনি জিডি পাইলট ব্রাঞ্চের একজন পাইলট হন। জুন ৬ , ১৯৬৭। আরব-ইসরায়েল যুদ্ধ চলছে। তৎকালীন পাকিস্তান এয়ারফোর্স থেকে ডেপুটেশনে আসা গ্রুপ ক্যাপ্টেন সাইফুল আজম পশ্চিম ইরাকের এক বিমান ঘাটিতে অবস্থান করছে। অনেকটা ভোজবাজির মতোই আকাশে চারটা ইজ্রায়েলি বিমানের ( যাদের কে এস্কোর্ট করছিলো দুইটা ইস্রায়েলি মিরেজ ফাইটার ) উদয় হয়। আকস্মিক আক্রমণে ইরাকি এয়ারফোর্স বিপর্জস্ত । ইসারায়েলি ক্যাপ্টেন ড্রোর একের পর এক ইরাকি বিমানের ভবলীলা সাংগ করে চলেছে। তার সাথে সঙ্গী হিসাবে আছে আরেক ইজ্রায়েলি ক্যাপ্টেন গোলান।
এই অবস্থায় আকাশে উড়াল দেয় সাইফুল আজম। উড়াল দেবার কিছুক্ষণের মাঝেই তার উইংম্যান কেও ফেলে দেয় ইজ্রায়েলি ক্যাপ্টেন ড্রোর। কিন্তু সাইফুল আজম অন্য ধাতুতে গড়া। একে একে গোলান, ড্রোর সবার প্লেন ফেলে দেয় সে। মোটামুটি একা লড়াই করে ইজ্রায়েলি বিমান গুলোকে ইরাকের আকাশ ছাড়তে বাধ্য করে সে। ক্যাপ্টেন ড্রোর এবং গোলান কে পরে যুদ্ধবন্দী হিসাবে আটক রাখা হয়। এখন পর্যন্ত আধুনিক যুদ্ধের ইতিহাসে ইসরায়েলের সর্বোচ্চ সংখ্যক বিমান ঘায়েল করার রেকর্ড ক্যাপ্টেন সাইফুল আজমের। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছিল যে, ইসরায়েলি পাইলটরা যদি টের পেত সাইফুল আজম আকাশে আছে, তো তারা পালিয়ে ভাগত আগে থেকে। ডগফাইট তো দূরের কথা।
প্রথম বিশবযুদ্ধ থেকে শুরু করে এপর্যন্ত সর্বোচ্চ সংখ্যক শত্রুপক্ষের বিমান ঘায়েল করার রেকর্ড এর তালিকায় ও তিনি উপরের দিকে আছেন। আরব-ইস্রায়েল যুদ্ধে অসাধারণ অবদান রাখার স্বীকৃতি স্বরূপ জর্দান-ইরাক-পাকিস্তান তাকে বীরত্ব সূচক পদকে ভূষিত করে। তিনটি দেশের সম্মান সূচক সামরিক পদক অর্জনের ঘটনা সামরিক ইতিহাসে বিরল। একই সাথে তিনটি দেশের হয়ে যুদ্ধ করা এবং একই ব্যাক্তির দ্বারা একের অধিক শ্ত্রু রাষ্ট্রের (ভারত এবং ইসরায়েল) বিমান ভূপাতিত করার বিরল রেকর্ডের অধিকারীও এই একই ব্যাক্তি।

৬. ড. মাকসুদুল আলম



ড. মাকসুদুল আলম (জন্মঃ ১৪ই ডিসেম্বর, ১৯৫৪ - মৃত্যু: ২০ ডিসেম্বর, ২০১৪) একজন বাংলাদেশী জিনতত্ত্ববিদ। তার নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ডাটাসফটের একদল উদ্যমী গবেষকের যৌথ প্রচেষ্টায় ২০১০ সালের মাঝামাঝি সময়ে সফলভাবে উন্মোচিত হয় পাটের জিন নকশা । ২০১০ সালের ১৬ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে পাটের জিনোম সিকোয়েন্স আবিষ্কারের ঘোষণা দেন।
মাকসুদুল আলম ফরিদপুরে ১৯৫৪ সালের ১৪ ডিসেম্বর জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতা "দলিলউদ্দিন আহমেদ" ছিলেন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলসের (ইপিআর) একজন কর্মকর্তা এবং তার মা ছিলেন লিরিয়ান আহমেদ একজন সমাজকর্মী ও শিক্ষিকা। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে তার পিতা শহীদ হন। গবর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুল থেকে মাধ্যমিক এবং ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে স্বাধীনতার পর মাকসুদুল আলম চলে যান রাশিয়ায়। সেখানে মস্কো রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অণুপ্রাণবিজ্ঞানে স্নাতক, স্নাতকোত্তর (১৯৭৯) ও পিএইচডি (১৯৮২) সম্পন্ন করেন। পরে জার্মানিতে বিখ্যাত ম্যাক্স প্ল্যাংক ইনস্টিটিউট থেকে ১৯৮৭ সালে প্রাণরসায়নে পুনরায় পিএইচডি করেন। মস্কোতে মাকসুদ ভ্লাদিমির পেত্রোভিচ মুলাচেভের সংস্পর্শে আসেন।
২০০০ সালে তিনি ও তাঁর সহকর্মী "রেন্ডি লারসেন" প্রাচীন জীবাণুতে মায়োগ্লোবিনের মতো এক নতুন ধরনের প্রোটিন আবিষ্কার করেন। এ আবিষ্কারের সুবাদে মাকসুদের খ্যাতি ও দক্ষতা সবার নজরে আসে। হাওয়াইয়ান পেঁপের জিন নকশা উন্মোচনের জন্য ডাক পড়ে তাঁর। এ কাজ সম্পন্ন করার পর বিজ্ঞান সাময়িকী নেচারের প্রচ্ছদে স্থান পান তিনি। পেঁপের জিন নকশা উন্মোচনের পর তিনি পাটের জিন নকশা উন্মোচনের কথা ভেবেছিলেন। সে সময় কয়েকবার বাংলাদেশেও এসেছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁর ডাক পড়ে মালয়েশিয়ায় রাবারের জিন নকশা উন্মোচনের জন্য, ওই কাজেও তিনি সফল হন। পরে তিনি মনোনিবেশ করেন পাটের জিন নকশা উন্মোচনে।

৭. পার্থ প্রতিম মজুমদার



পার্থ প্রতিম মজুমদার (জন্ম: ১৮ জানুয়ারি,১৯৫৪) জনপ্রিয় একজন মূকাভিনয় বা মাইম শিল্পী। ২৬ বছরের ফ্রান্স প্রবাসী এই মাইম শিল্পী মাইমের বিচারে বিশ্বে দ্বিতীয়৷ সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ফ্রান্স সরকারের শেভালিয়র উপাধি পেয়েছেন তিনি। তিনিই প্রথমবাংলাদেশী হিসেবে এ পদক পেলেন।
তিনি মঞ্চের পাশাপাশি ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও কানাডার বিভিন্ন চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন। তাঁর অভিনীত একটি ফরাসি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ২৬টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার পায়। প্যারিস, ফ্রাঙ্কফুর্ট, নিউ ইয়র্কসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তাঁর মূকাভিনয়ের প্রদর্শনী হয়েছে। প্রসঙ্গত, ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন, নাইকি, আইবিএম ও ম্যাকডোনাল্ডের মতো বিশ্বখ্যাত কোম্পানির পণ্যের প্রচারে মডেল হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। তাঁর মাধ্যমেই বাংলাদেশে মূকাভিনয় পরিচিতি লাভ করে।
পার্থ প্রতিম মজুমদারের জন্ম ১৯৫৪ সালের ১৮ জানুয়ারি পাবনা জেলার কালাচাঁদপাড়ায়। তিনি ছিলেন বাবা মায়ের দ্বিতীয় সন্তান৷ তাঁর বাবার নাম হিমাংশু কুমার বিশ্বাস এবং মায়ের নাম সুশ্রিকা বিশ্বাস৷ পার্থ প্রতিম মজুমদার পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন সময়ে মূকাভিনয় নিয়ে গৌরবমন্ডিত করেছেন বাংলাদেশের পতাকাকে। ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) দুটি অনুষ্ঠানে প্রথমবারের মতো মূকাভিনয় প্রদর্শন করেন তিনি৷ পরবর্তীতে ১৯৭৫ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে প্রায় ৪৮ বার মাইম প্রদর্শন করেন৷
১৯৮২ থেকে ১৯৮৫ সালগুলোতে তিনি প্যারিসের বিভিন্ন থিয়েটারে মোট ২৬টি শো করেন। এছাড়া লন্ডনে ২টি, গ্রীসে ২টি এবং স্পেনে মাইমের ২টি শো করেন। ১৯৮৪ সালের জুলাই মাসে মারসেল মার্সোর সাথে আমেরিকা যান এবং সেখানে মার্সোর নির্দেশনায় " ইকোল ইন্টারন্যাশনাল ডি মাইমোড্রামা ডি প্যারিস-মারসেল মার্সো" নামে একটি শো করেন৷ ১৯৮৫ সালের জুলাই মাসে পার্থ প্রতিম মজুমদার মারসেল মার্সোর কোম্পানি এবং "থিয়েটার দ্য লা স্পেহয়ার" এর সাথে যৌথ উদ্যোগে সারা ইতালিতে মাসব্যাপী "লে কারগো দ্য ক্রেপুসকুল" এবং " আবিম" নামে দুটি মাইমোড্রামা প্রদর্শন করেন৷ লন্ডনে একটি ছোট ভিডিও ধারণসহ 'বিবিসিতে' তাঁর একটি কাজ প্রদর্শন করা হয়।

৮. সালমান খান



নাইট উপাধি পাননি, কিন্তু তামাম দুনিয়ায় তার একটাই পরিচয়। এই বাঙালি বিল গেটসের প্রিয় শিক্ষক। যদি বলি এই সালমান খানের বাবার বাড়ি বরিশালে, অবাক হবেন তো? যদি বলি বিল গেটস বলেছেন উনি সালমান খানকে হিংসে করেন, তাহলে নির্ঘাত মনে মনে প্রশ্ন করবেন, আমেরিকার এই শিল্পপতি আবার কবে থেকে হিন্দি সিনেমা দেখতে শুরু করল?
যদি বলি টাইম ম্যাগাজিন পৃথিবীর একশ জন ক্ষমতাবান মানুষের তালিকায় সালমান খানকে রেখেছেন, তা হলে ভাববেন, কি করে এই খবরটা ফিল্ম জার্নালিস্টদের চোখ এড়িয়ে গেল? একটা খবরেও কিন্তু ভেজাল নেই।
কারণ এ সালমান খান বলিউড হিরো না। বরিশালের পোলা। বয়স ৩৬। বোনকে গনিত শেখাতে গিয়ে এখন উইকিপিডিয়া স্বীকৃত এডুকেটর। বাংলা হয়ত বেশি ভাল করে বলতে পারেন না, তাই বলে বাঙ্গালিয়ানা যে তার মধ্যে পুরোদস্তুর উপস্থিত। কাটা বেঁছে ইলিশ কিন্তু ঠিকই খান!!
বোনকে ভিডিও টিউটোরিয়াল বানিয়ে গনিত শেখাতে শুরু করেন। এরপর বোনের সাথে আরও অনেকে পড়তে আগ্রহী হয়। শেষে উনি চাকুরি ছেড়ে দিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন খান একাডেমী। এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয় নি।
পৃথিবীর অন্যতম সফল ভেঞ্চার ক্যাপিটালিস্ট জন ডয়্যার এর স্ত্রী অ্যান দশ হাজার ডলার এর এক চেক ধরিয়ে দিয়ে বলেন, তিনি সালমানের ভক্ত। তার ভক্তের তালিকাটা বেশ ভারী কিন্তু। কেননা সেখানে স্বয়ং আছেন বিল গেটস সাহেব। অ্যাসপেন আইডিয়াজ উৎসবে গেটস বলেন, তার বাচ্চাদের গনিত আর বিজ্ঞান শেখাতে তিনি সালমানের ভিডিও ব্যবহার করেন। এমনকি তিনি সালমানকে হিংসেও করেন!!! তিনি সালমানকে আর্থিক সাহায্য করেন।
২০১২ সালের জুনে অনুষ্ঠিত এম আই টি এর ১৪৬ তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানের সমাবর্তন বক্তা ছিলেন বাঙালি সালমান খান। ৩৫ বছর বয়সী সালমান খানই এম আই টি এর ইতিহাসে সর্ব কনিষ্ঠ সমাবর্তন বক্তা।

লিখতে গেলে আসলে অনেক লেখা হয়ে যায়। তালিকাটা বেশ লম্বা। যত লম্বা হবে আমাদের গর্বের পরিমান ততই বাড়বে। মানুষের অর্জনকে স্বীকৃতি না দিলে উদ্যম পাবে কিভাবে মানুষ? বিদেশীরা পেট্রোনাইজ করে, তারা জ্ঞানের মূল্যটা বোঝে। আমাদের এই বাঙ্গালিরা অনেক সম্মাননা পেয়েছেন বিদেশে, কিন্তু বিদেশীরা তো পর। আমরা বাঙ্গালিরা তাদের বেশি আপন। আমাদেরই তো বেশি চ্যারিশ করা উচিৎ।

তথ্যসুত্রঃ উইকিপিডিয়া, বিভিন্ন নিউজ পোর্টাল, সাইবার-৭১, গুগল।

মন্তব্য ৩১ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (৩১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৮

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: এই লিস্ট আমার নাম নাই কেন? আফসোস হয়, বাঙালি আমার মত একটা ট্যালেন্টকে বাদ দিয়ে লিস্ট করে! এই প্রযন্মের ভবিষ্যত অন্ধকার, কোন আশা নাই :) :)

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫২

এম্বিগ্রামিষ্ট জুলিয়ান বলেছেন: দাঁড়ান। পরে এডিট করে দেব :)

২| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৩

স্বপ্নাতুর পুরব বলেছেন: এককথায় অসাধারণ ! প্রিয়তে রেখে দিলাম । +লাইক । অাপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ । :)

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৫৭

এম্বিগ্রামিষ্ট জুলিয়ান বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ

৩| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৫৮

আবদুল্লাহ িশবলী বলেছেন: প্রিয়তে

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৫৬

এম্বিগ্রামিষ্ট জুলিয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ

৪| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৫৬

ইছামতির তী্রে বলেছেন: ডক্টর ইউনুস সাহেবের নাম আসল না কেন?

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:০৪

এম্বিগ্রামিষ্ট জুলিয়ান বলেছেন: ওনাকে তো বলতে গেলে সবাই চেনেন। খুবই পরিচিত ব্যক্তি। আমি তুলনামূলক অপরিচিত দের নিয়ে পোষ্ট টা তৈরি করেছি। তাই দেই নি।

ভাবছিলাম, এই প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে আমাকে। হয়ে গেলাম।

আশা করি উত্তরটা পেয়েছেন। ধন্যবাদ :)

৫| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:০৮

গোধুলী রঙ বলেছেন: @ইছামতির তীরে, এই নোবেল লরিয়েটকে নিয়ে আপনি সারা দুনিয়ায় বসে বুক চিতিয়ে নাম নিবেন সমস্যা নাই কিন্তু এই কোনায় বসে নাম নিলেই আপনাকে সামাজিক ভাবে, রাজনৈতিক ভাবে হেয় করা হতে পারে।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৫৫

এম্বিগ্রামিষ্ট জুলিয়ান বলেছেন: :)

৬| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:০৯

গোধুলী রঙ বলেছেন: চমতকার পোস্ট, প্রিয়তে নিলাম।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৫৬

এম্বিগ্রামিষ্ট জুলিয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ

৭| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৫৯

লেখোয়াড়. বলেছেন:
বেশতো!!

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:০৫

এম্বিগ্রামিষ্ট জুলিয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ তো :) :) :)

৮| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:১০

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: +

গর্বিত।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:০৭

এম্বিগ্রামিষ্ট জুলিয়ান বলেছেন: আমিও

৯| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:০৯

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:


গর্ব করার মতো বিষয় নিয়ে গুরুত্বপুর্ণ পোস্ট...

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৬

এম্বিগ্রামিষ্ট জুলিয়ান বলেছেন: :)

১০| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৪

সুমন কর বলেছেন: অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছিল যে, ইসরায়েলি পাইলটরা যদি টের পেত সাইফুল আজম আকাশে আছে, তো তারা পালিয়ে ভাগত আগে থেকে। ডগফাইট তো দূরের কথা। -- পড়ে গর্বে বুক ভরে উঠল।।

শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৮

এম্বিগ্রামিষ্ট জুলিয়ান বলেছেন: আমার বুকও দেড় হাত হয়ে গিয়েছিল ফুলে।
:)

১১| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৬

আমি উম্মাদ বলেছেন: প্রিয়তে নিলাম।

আর লেখা সম্পর্কে এতাও টুকুই বলব দাতেঁ দাতঁ চেপে পড়লাম।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৮

এম্বিগ্রামিষ্ট জুলিয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ :)

১২| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:০৫

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
grandeur!
SabiruL isLam missing।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:২৩

এম্বিগ্রামিষ্ট জুলিয়ান বলেছেন: আমার জ্ঞানের সল্পতা আছে ভাই। যাদের চিনি তাদের দিয়েছি। অনেকেই বাদ পড়ে গেছেন :(
পরে আবার পোষ্ট দেব, ইনশাআল্লাহ্‌ :)

১৩| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: বেশ কয়েকজনের কথা জানা ছিলো না। সাইফুল আজমের বীরত্বগাঁথা পড়ে গায়ে কাঁটা দিলো। অন্য সবার জন্যেও অনেক ভালোবাসা, দেশের রত্নসন্তান তারা। ব্লগার গিয়াস উদ্দিন লিটন এ নিয়ে একটি সিরিজ লিখছেন। পড়ে দেখতে পারেন।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৩৬

এম্বিগ্রামিষ্ট জুলিয়ান বলেছেন: :)

১৪| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:২২

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:


গর্ব করার মতো বিষয় নিয়ে গুরুত্বপুর্ণ পোস্ট...

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫০

এম্বিগ্রামিষ্ট জুলিয়ান বলেছেন: :)

১৫| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:১৭

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: সাবাশ বাংলাদেশ , এ পৃথিবী অবাক তাকিয়ে রয় ,
জ্বলে - পুড়ে - মরে ছারখার , তবু মাথা নোয়াবার নয়।

চমৎকার পোস্ট ! নতুন প্রজন্মকে উৎসাহিত , অনুপ্রাণিত করতে আমাদের বিশ্বসেরা গুণীদের নিয়ে বেশি বেশি আলোচনা হওয়া উচিৎ ।

১৬| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৫৭

আমি তুমি আমরা বলেছেন: ত্রয়োদশ ভাল লাগা রইল :)

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১৩

এম্বিগ্রামিষ্ট জুলিয়ান বলেছেন: :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.