নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জানার অদম্য ইচ্ছেসহ আগামীর পথে

এম্বিগ্রামিষ্ট জুলিয়ান

আমি প্রতিসাম্য তৈরি করতে ভালবাসি

এম্বিগ্রামিষ্ট জুলিয়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

কবি কাজী নজরুল ইসলামের ‘সংকল্প’ একটি ভবিষ্যৎমুখী কবিতা

১০ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:০০

বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত ‘সংকল্প’ একটি অসাধারণ ভবিষ্যৎমুখী কবিতা। কবি ১৯৪২ সালে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তারপর থেকে আর সাহিত্য রচনা করতে পারেননি। এই কবিতাটা লেখা হয়েছিল অসুস্থ হবার বেশ আগে।

প্রথম কথাটা কেন বললাম আসুন বিশ্লেষণ করি। একটা লাইন আছে-
‘হাউই চড়ে চায় যেতে কে চন্দ্রলোকের অচিনপুরে’
চাদে অভিযানের কথা বলা হয়েছে এখানে। হাউই মানে রকেট। রকেটে করে কারা চাঁদে যেতে চায় কবি জানতে চান। প্রথম রকেট ব্যবহার করা হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়, কবির অসুস্থ হবার পরে। মনে হয় তিনি সেটা বুঝে যেতে পারেননি। স্কুল পালানো এক ছেলে তার সমসাময়িক বিজ্ঞানের অগ্রগতির উপর ভিত্তি করে সামনের দিকে কল্পনা করে কবিতা লিখেছেন। ভাবতেই ভাল লাগে।

এর পরের লাইনঃ
‘শুনব আমি ইঙ্গিত কোন মঙ্গল হতে আসছে উড়ে’
ওয়াও!! ভাবনাকে একটু প্রসারিত করুন চিন্তা করতে যে এখানে কি বলা হয়ে থাকতে পারে। এখানে মঙ্গল মানে অবধারিতভাবেই মঙ্গল গ্রহ। তাহলে ‘ইঙ্গিত’ শব্দটা বিশ্লেষণ করলে প্রথমেই মাথায় যেটা আসে তা হল রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি। মহাকাশ অভিযানের এবং মহাকাশের খবর রাখার সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন মাধ্যম। কবি মঙ্গল গ্রহ হতে ভেসে আসা রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি শুনতে চান। কারা পাঠাতে পারে সেটা?? মঙ্গলে কি তাহলে প্রানের অস্তিত্বের ধারণা তার মাথায় এসেছিল সেই সময়ে? স্বশিক্ষিত একজন বাঙালি কবির মাথায়?? একে কি ভবিষ্যতমুখী বলবেন না?

“বিশ্ব জগত দেখব আমি আপন হাতের মুঠোয় পুরে”
এর ব্যাখ্যায় আমি নিজে কিছু বলব না। আমাদের এক প্রফেসর এর একটা উদ্বৃতি দিই। ক্লাশ নিতে এসে বলেছিলেন, ‘আমি যখন স্মার্টফোনে দুনিয়ার সব খবরাখবর রাখি। গুগল ম্যাপস, আর্থ, আরও বিভিন্ন apps ব্যবহার করি, তখন নজরুলের কথা মনে পড়ে। মনে হয় সত্যিই তো, বিশ্বজগৎ কে তো নিজের মুঠোয় পুরে নিয়েছি আমরা!’


মন্তব্য ৯ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:১০

গেম চেঞ্জার বলেছেন: আমি যখন কাউকে যোগাযোগ প্রযুক্তির কথা বলতে যাই তখন নজরুলের এই লাইনটিই মনে পড়ে যায় অবচেতন মনে-
“বিশ্ব জগত দেখব আমি আপন হাতের মুঠোয় পুরে”

এইরকম অসাধারণ প্রেরণাদায়ী বাক্য লেখার জন্যই নজরুলকে আমার জীবনের প্রিয় কবি হিসেবে মর্যাদা দিয়েছি। দিতে বাধ্য হয়েছি। যেখানে অন্যরা নজরুলকে মুসলমানের সন্তান বলে প্রিয় কবি হিসেবে মনে করেছে সেখানে আমার ব্যতিক্রমের জায়গাটা এটাই।

কবিকে নিয়ে আলোচনার জন্য কৃতজ্ঞতা রইল।

১০ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:১২

এম্বিগ্রামিষ্ট জুলিয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই :)
নজরুল আমার খুব প্রিয় একজন মানুষ :)

২| ১০ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:১৮

প্রন্তিক বাঙ্গালী বলেছেন: কাজী নজরুল এমনেতেই আসার প্রিয় কবি। বিদ্রোহী কবিতাটা পড়লে আমার দেহের রক্ত টগবগ করে উঠে। কবিকে নিয়ে বিশ্লষন ভালই লাগল। ধন্যবাদ।

৩| ১০ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৮

কবি হাফেজ আহমেদ বলেছেন: “বিশ্ব জগত দেখব আমি আপন হাতের মুঠোয় পুরে



নজরুলতো শুধুই নজরুল।

৪| ১০ ই জুন, ২০১৬ রাত ১০:০৩

আসিফ বলেছেন:
স্বাধীনতার সুখ

রজনীকান্ত সেন

বাবুই পাখিরে ডাকি, বলিছে চড়াই-
“কুঁড়ে ঘরে থেকে কর শিল্পের বড়াই;

আমি থাকি মহাসুখে অট্টালিকা 'পরে,
তুমি কত কষ্ট পাও রোদ, বৃষ্টি, ঝড়ে।''

বাবুই হাসিয়া কহে- “সন্দেহ কি তায়?
কষ্ট পাই, তবু থাকি নিজের বাসায়;

পাকা হোক, তবু ভাই, পরের ও বাসা,
নিজ হাতে গড়া মোর কাঁচা ঘর, খাসা।''

৫| ১০ ই জুন, ২০১৬ রাত ১০:০৫

আসিফ বলেছেন: দুঃখিত একটার জায়গায় আরেকটা কবিতে দিয়ে ফেলেছি।

৬| ১০ ই জুন, ২০১৬ রাত ১০:০৬

আসিফ বলেছেন: সংকল্প


- কাজী নজরুল ইসলাম
-
থাকব না কো বদ্ধ ঘরে, দেখব এবার জগৎটাকে,-
কেমন করে ঘুরছে মানুষ যুগান্তরের ঘুর্ণিপাকে।
দেশ হতে দেশ দেশান্তরে
ছুটছে তারা কেমন করে,
কিসের নেশায় কেমন করে মরছে যে বীর লাখে লাখে,
কিসের আশায় করছে তারা বরণ মরণ-যন্ত্রণারে।।

কেমন করে বীর ডুবুরী সিন্ধু সেঁচে মুক্তা আনে,
কেমন করে দুঃসাহসী চলছে উড়ে স্বরগ পানে।
জাপটে ধরে ঢেউয়ের ঝুঁটি
যুদ্ধ-জাহাজ চলছে ছুটি,
কেমন করে আঞ্ছে মানিক বোঝাই করে সিন্ধু-যানে,
কেমন জোরে টানলেসাগর উথলে ওঠে জোয়ার বানে।

কেমন করে মথলে পাথার লক্ষী ওঠেন পাতাল ফুঁড়ে,
কিসের অভিযানে মানুষ চলছে হিমালয় চুড়ে।
তুহিন মেরু পার হয়ে যায়
সন্ধানীরা কিসের আশায়;
হাউই চড়ে চায় যেতে কে চন্দ্রলোকের অচিন পুরেঃ
শুনবো আমি, ইঙ্গিত কোন 'মঙ্গল' হতে আসছে উড়ে।।

কোন বেদনার টিকিট কেটে চন্ডু-খোর এ চীনের জাতি
এমন করে উদয়-বেলায় মরণ-খেলায় ওঠল মাতি।
আয়ার্ল্যান্ড আজ কেমন করে
স্বাধীন হতে চলছে ওরেঃ
তুরষ্ক ভাই কেমন করে কাঁটল শিকল রাতারাতি!
কেমন করে মাঝ গগনে নিবল গ্রীসের সূর্য-বাতি।।

রইব না কো বদ্ধ খাঁচায়, দেখব এ-সব ভুবন ঘুরে-
আকাশ বাতাস চন্দ্র-তারায় সাগর-জলে পাহাড়-চুঁড়ে।
আমার সীমার বাঁধন টুটে
দশ দিকেতে পড়ব লুটেঃ
পাতাল ফেড়ে নামব নীচে, ওঠব আবার আকাশ ফুঁড়েঃ
বিশ্ব-জগৎ দেখব আমি আপন হাতের মুঠোয় পুরে।।

৭| ১১ ই জুন, ২০১৬ সকাল ৯:১৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: হাহা! ভালই বিশ্লেষণ করছেন।

১১ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১০:০৭

এম্বিগ্রামিষ্ট জুলিয়ান বলেছেন: :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.