নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জানার অদম্য ইচ্ছেসহ আগামীর পথে

এম্বিগ্রামিষ্ট জুলিয়ান

আমি প্রতিসাম্য তৈরি করতে ভালবাসি

এম্বিগ্রামিষ্ট জুলিয়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ বঙ্গবন্ধু-১ এর আগেই মহাকাশে যাচ্ছে বাংলাদেশের ন্যানো স্যাটেলাইট!!!

১৫ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:১২



যারা প্রযুক্তি সম্পর্কে খোঁজ খবর রাখেন, তারা প্রায় প্রত্যেকেই জানেন যে ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ মহাকাশে কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠাতে যাচ্ছে।

কিন্তু অনেকের কাছেই এটা অজানা যে, বাংলাদেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ বঙ্গবন্ধু-১ এর আগেই মহাকাশে যাচ্ছে বাংলাদেশের ন্যানো স্যাটেলাইট। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি এর সহযোগিতায় বাংলাদেশের প্রথম পদচিহ্ন অঙ্কিত হতে যাচ্ছে মহাকাশে আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ে, লো আর্থ অরবিটে ছোট স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের মাধ্যমে।

ছোট আকৃতির কম ব্যয়ে নির্মিত স্যাটেলাইট কে ন্যানোস্যাট বলে, যা কিনা বিভিন্ন গবেষণা আর একাডেমিক কাজে গুরুত্বপুর্ন অবদান রাখে। ব্যয়বহুল কনভেনশনাল স্যাটেলাইটের তুলনায় ন্যানোস্যাট বেশ ছোট, ওজন হয় ১-১০ কেজি এবং একে বিষুবরেখার ৫০০-১৫০০ কিলোমিটার এর ভিতর স্থাপন করা যায়; যেখানে জিওস্টেশনারি স্যাটেলাইটগুলো (যেমন, বঙ্গবন্ধু-১) ৩৬০০০ কিলোমিটার দূরে স্থাপন করা হয় এবং এদের উৎক্ষেপণ ও উৎপাদন ব্যয় অত্যন্ত বেশি।

ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি এবং জাপানের কাইউশু ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (KIT) এর একটা দল ন্যানোস্যাট টি আগামী বছরের মে মাসে উৎক্ষেপণ করবে বলে জানা গেছে। Japan Aerospace Exploration Agency (JAXA) and the International Space Station (ISS) এর সহযোগিতায় কাইউশু ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (KIT) ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি এর সাথে উৎক্ষেপণের ব্যাপারে একটা চুক্তিসই করেছে।

ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে ন্যানোস্যাট টার গ্রাউন্ড স্টেশন স্থাপনের কাজ চলছে আর অন্যদিকে কাইউশু ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (KIT) এর ল্যাবরেটরি অফ স্পেসক্রাফট এনভায়রনমেন্ট ইন্টারেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং এ বাংলাদেশী শিক্ষার্থিদের দ্বারা ন্যানোস্যাট এর নির্মানকাজ শেষের পর্যায়ে রয়েছে। আশা করা হচ্ছে আগামী মার্চের মধ্যে জাক্সা (JAXA) থেকে ISS এ ন্যানোস্যাটটি পাঠানো হবে এবং সেখান থেকে কয়েকমাসের মধ্যে সেটি LEO [low earth orbit] এ স্থাপন করা হবে।

Bangladesh space research and remote sensing organization (SPARRSO) এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন উদ্যোগ কে স্বাগত জানিয়েছেন।

এই ন্যানোস্যাটের পিছনের সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ণ অবদান হচ্ছে একজন মানুষের। তার নাম আরিফুর রহমান খান। তিনি তার পোস্ট ডক্টরাল রিসার্চের পর কাইউশু ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (KIT) এর ল্যাবরেটরি অফ স্পেসক্রাফট এনভায়রনমেন্ট ইন্টারেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং এর এসিস্টেন্ট প্রফেসর পদে নিয়োগ পান এবং ২০১৩ সালে কাইউশু ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (KIT) কে তাদের ন্যানোস্যাট প্রজেক্ট এ সাহায্য করেন। তিনিই ব্র্যাক এর এই উদ্যোগের পিছে ইনফ্লুয়েনশিয়াল ভূমিকা পালন করেন।

চলতি বছরের এপ্রিল মাসে আরিফুর রহমান খান আমেরিকার এল পাসো তে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সাসে ছোট স্যাটেলাইট ফ্যাসিলিটি উন্নয়নের জন্য এসিস্টেন্ট প্রফেসর হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন (সহজ কথায় তারা তাকে মহাসমাদরে আমন্ত্রন জানায় দ্বায়িত্ব টা নিয়ে তাদের ধন্য করার জন্য, যেমন টা তিনি কাইউশু ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি কে ধন্য করেছিলেন)। আর ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সাসের এই প্রজেক্ট এ ফান্ডিং করছে স্বয়ং National Aeronautics and Space Administration (NASA).

কি যে গর্ব লাগে এরকম এক একটা খবরে, কি বলব!!

তথ্যসুত্রঃ ডেইলি স্টার

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:৩২

সৈয়দ আবুল ফারাহ্‌ বলেছেন: খবরটি ভালো। কিন্তু এই তুলনা কেনো ? দুটোর মধ্যে তুলনায় সাধারণ পাঠক হিসাবে আমরা কি বুঝব ? এতে কি বানিজ্য আছে ? না কি রাজনীতি আছে ? না কি উভয়ই ?

ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি এর সক্ষমতা কি অন্য কারো সাথে তুলনা করা যায় ?

বাংলাদেশ থেকে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় - ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি কর্তৃক ছোট আকৃতির কম ব্যয়ে নির্মিত স্যাটেলাইট - ন্যানোস্যাট স্থাপন আমাদের কাছে মর্যাদা, উৎসাহ ও প্রেরণার উৎস।

ধন্যবাদ এই খবর দেওয়ার জন্য।

১৫ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:৪৪

এম্বিগ্রামিষ্ট জুলিয়ান বলেছেন: কি যে বলেন ভাই? তুলনা দিলাম কই?

আমি দুইটার পার্থক্য বুঝাতে উদাহরণ টেনেছি। ন্যানো স্যাট যদি ২০১৮ সালে যেত তাহলে লিখতাম, বঙ্গবন্ধু-১ এর পর দ্বিতীয় তে মহাকাশে গেল ন্যানো স্যাট :)

আশা করি বুঝতে পেরেছেন :)

বানিজ্য, রাজনীতি, কূটনীতি, অর্থনীতি----- কিছুই নেই এই পোষ্টের পিছে।

আছে কিউরিসিটি :)

আমি ভাই ম্যাঙ্গো পিপল। আদার ব্যাপারী। তবে মাঝে মাঝে জাহাজের খবরাখবর নিই।

২| ১৫ ই জুন, ২০১৬ রাত ৯:১০

খন্দকার আঃ মোমিন বলেছেন: আমি ভাই ম্যাঙ্গো পিপল। আদার ব্যাপারী। তবে মাঝে মাঝে জাহাজের খবরাখবর নিই।

আদার বেপারি জাহাজের খবর নেয়াটা বে মানান মনে হলেও আমার কাছে এই মানুষ গুলার মর্যাদা অন্যরকম , যদি ও একটা ভিডিও তে দেখালাম কলা বেপারি এই বিষয় টা মানতে নারাজ জাহাজ থেকে নেমে কি কেউ আদা কিনে ? কিনেনা বরং কলা কিনে। তাই আদার বেপারির জাহাজের খবরের কি দরকার ।

১৫ ই জুন, ২০১৬ রাত ৯:৪৬

এম্বিগ্রামিষ্ট জুলিয়ান বলেছেন: :)

৩| ১৬ ই জুন, ২০১৬ রাত ১:০৬

অশ্রুকারিগর বলেছেন: ভালো খবর। শিক্ষা, গবেষণা সংক্রান্ত যেকোন ভালো খবরই একটা এচিভমেন্ট। কিন্তু এই ব্যাপারটা নিয়ে তো পত্র-পত্রিকায় কিছুই দেখলাম না, এমনকি শিক্ষা বা বিজ্ঞান পাতায়। হয়তো ছাপা হয়েছে , হাইলাইটেড হয়নি। এমনিতেই আমরা গবেষণাভিত্তিক পড়াশোনায় অনেক পিছিয়ে আছি, এর মধ্যে প্রাইভেট ইউনিভার্সিট হয়েও এরকম উদ্যোগ নেওয়ায় ব্র্যাককে আন্তরিক অভিনন্দন আর আরিফুর রহমান খান স্যারকে অনেক শুভকামনা এই প্রজেক্ট এবং ভবিষ্যতের আরো কল্যানকর প্রজেক্টের জন্য।

১৬ ই জুন, ২০১৬ রাত ২:৩১

এম্বিগ্রামিষ্ট জুলিয়ান বলেছেন: :) আসলেই এচিভমেন্ট :)

৪| ১৬ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:১৭

রমিত বলেছেন: এত ভালো একটি উদ্যোগ নেওয়ায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়-কে আন্তরিক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ।
এরকম গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ে লেখা দেয়ার জন্য আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।

১৬ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ২:১১

এম্বিগ্রামিষ্ট জুলিয়ান বলেছেন: :)

৫| ১৬ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:১৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বাংলাদেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ বঙ্গবন্ধু-১ উৎক্ষেপন হবে ২০১৮তে।
এর আগেই মহাকাশে যাচ্ছে বাংলাদেশের ন্যানো স্যাটেলাইট। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি এর সহযোগিতায় বাংলাদেশের প্রথম পদচিহ্ন অঙ্কিত হতে যাচ্ছে মহাকাশে আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ে, লো আর্থ অরবিটে ছোট স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের মাধ্যমে।

৭১ এ বিজয়ের পর পরই নব্য স্বাধীন দেশটি টেলি সম্প্রচার ও গ্লোবাল টেলি কানেকটিভিটির জন্য উচ্চাভিলাসি পরিকল্পনা গ্রহন করেছিল, ৭২এর সুরুতেই। গরিবের ঘোড়ারোগ বলে অপবাদ দেয়া হয়েছিল তখনো।
এরপরও শক্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। তালিবাবাদ ও বেতবুনিয়া দুটি ভু উপগ্রহ কেন্দ্র। তৈরি সম্পন্ন হয়েছিল দ্রুতই। বেতবুনিয়া ভু-উপগ্রহ কেন্দ্র চালু হয়ে যায় ১৯৭৪এই, সুরুহয় গ্লোবাল টেলি কানেক্টিভিটি ও ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রাথমিক সুচনা।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপনও একটি উচ্চাভিলাসি পরিকল্পনা।
বঙ্গবন্ধু ১ ও ন্যানোস্যাট সেই আগের বারের মত সফল হবে আশাকরি।

১৬ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ২:১২

এম্বিগ্রামিষ্ট জুলিয়ান বলেছেন: ইনশাল্লাহ সফল হবে :)

৬| ১৬ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: খুব ভালো খবর।

লেখাটায় টেকনিক্যাল ডিটেইলস এত না লিখে সহজ করে এর কর্ম তরিকা নিয়ে কিছু লেখা যেতো।

১৬ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ২:১৪

এম্বিগ্রামিষ্ট জুলিয়ান বলেছেন: :)

৭| ১৬ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১:১০

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
ভাল খবর।

এভাবে বেসরকারী ভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা গবেষন প্রতিষ্ঠানের উচিত উপগ্রহ পাঠানো।

১৬ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ২:১৫

এম্বিগ্রামিষ্ট জুলিয়ান বলেছেন: মেধা আমাদের আছে কিন্তু উদ্যোগ বা আগ্রহ নেই :(

৮| ১৬ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৫

পুলহ বলেছেন: সূচনা হিসেবে নিঃসন্দেহে খুশি হয়ে যাবার মতই উদ্যোগ। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ খবরটা পাঠকের দৃষ্টিগোচর করাবার জন্য।
সম্মান ও শ্রদ্ধা এ উদ্যোগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি

১৬ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৯

এম্বিগ্রামিষ্ট জুলিয়ান বলেছেন: ঠিক, শ্রদ্ধা তাদের প্রতি :)

৯| ১৬ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৪১

কল্লোল পথিক বলেছেন:


খুব ভালো খবর।

১৬ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৯

এম্বিগ্রামিষ্ট জুলিয়ান বলেছেন: :)

১০| ১৬ ই জুন, ২০১৬ রাত ৯:৪৪

মারুফ তারেক বলেছেন: আমারো গর্ব লাগতেছে;
:)

ধন্যবাদ

১১| ১৭ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৫

নতুন বলেছেন: ভালো খবর...

১২| ১৭ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ভাল খবর! ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্যে।

১৩| ১৭ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:৫৭

সায়েম মুন বলেছেন: দারুন খবর। শুনে ভাল লাগলো। ন্যানো আর প্রকৃত/ বড় স্যাটেলাইটের কর্ম পরিধি জানালে উপকৃত হতাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.