নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জানার অদম্য ইচ্ছেসহ আগামীর পথে

এম্বিগ্রামিষ্ট জুলিয়ান

আমি প্রতিসাম্য তৈরি করতে ভালবাসি

এম্বিগ্রামিষ্ট জুলিয়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

নাদিয়া হুসাইন, বাংলাদেশী কালচার নিয়ে কটূক্তি করার অধিকার আপনাকে কে দিল??

২৩ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১০:০৮



গতকাল রাত থেকে মেজাজ বেশ গরম হয়ে আছে। মাথা থেকে একটা ব্যাপার মোটে ঝেড়ে ফেলতে পারছি না।

আমার মনে হয় কিঞ্চিৎ শোভিনিজম আছে। বাঙালি বা বাংলাদেশ নিয়ে কেউ কিছু বললে আমার খুব গায়ে লাগে।

প্রবাসী যেসব বাঙালি বাংলাদেশের জন্য গৌরব বয়ে আনে নিজেদের মেধা আর শ্রম দিয়ে এবং দিনশেষে নিজের পরিচয় বাঙালি হিসেবেই দেয়, তাদের আমি মাথায় তুলে রাখি। লোকেদের সাথে কথা বলতে গেলে নানাছুতোয় তাদের কথা তুলে গর্ব প্রকাশ করি।

তদ্রুপ বিদেশে কেউ বাংলাদেশের দুর্নাম করলে বা বাঙ্গালি সম্পর্কে উল্টাপাল্টা কথা বললে মাথায় রক্ত চড়ে যায়।

নাদিয়া হোসাইন। বাঙালি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ। গ্রেট ব্রিটিশ বেক অফ প্রতিযোগিতার উইনার। এমনকি ব্রিটেনের রানীর জন্মদিনের কেক বেক করার সম্মানটাও পেয়েছিল। নিঃসন্দেহে আমাদের গর্ব করার মত একটা মহিলা হতে পারত।

কিন্তু তার নাক এই পরিমান উঁচু হয়ে গেছে যে, বাংলাদেশের কালচার সম্পর্কে কটূক্তি করতে ছাড়েনি ব্রিটিশ মিডিয়ার সামনে। গার্ডিয়ান কে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেছেন, “There were no chairs back in Bangladesh and Dad wanted to keep the tradition, so we never owned a dining table.”
“The concept of dessert doesn’t exist in Bangladeshi cuisine… I have a senseless love affair with cheese. My mother never bought any because there was none in Bangladeshi cuisine.”

আপু, আপনি কয়বার বাংলাদেশে এসেছেন? দূর থেকে দেখে কতটুকু বাংলাদেশকে চিনেছেন? আপনাকে এত অধিকার দিল কে বাংলাদেশকে নিয়ে কটূক্তি করার? ক্ষির, দই, পায়েশ, রসের জাও, সেমাই চিনেন; এদের ডেজার্ট বলে কিনা, তা জানেন? পনির বলে বাংলায় একটা শব্দ আছে তা জানেন এবং সেটা আমাদের কালচারে তৈরি করা হয় কিনা তা জানেন?

নাদিয়া, ব্রিটিশদের জন্য যত কিছুই করুন না কেন; দিন শেষে তাদের অধিকাংশের কাছেই আপনি তৃতীয় বিশ্ব থেকে আসা এক ‘কালা আদমি’। পরিচয়টা ভুলতে চাইলেও পারবেননা।

আর বিদেশি মিডিয়ার সামনে এসব ফালতু কথাবার্তা বলা বন্ধ করে, যেহেতু রান্নাবান্না ভাল পারেন সেদিকে মনোযোগ দিন।

মন্তব্য ৭৩ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৭৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১০:২৫

হুসাইন আহমেদ সৌরভ বলেছেন: =p~

২৩ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১০:২৭

এম্বিগ্রামিষ্ট জুলিয়ান বলেছেন: :) :) :)

২| ২৩ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১০:৪৪

বিজন রয় বলেছেন: আমার নিজস্ব সংস্কৃতি আমার আহংকার। একজন নাদিয়া এটাকে বিলীন করতে পারবে না।

২৩ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১১:০৮

এম্বিগ্রামিষ্ট জুলিয়ান বলেছেন: হুম, পারবে না।

খারাপ লাগে ভাই। কারণ এই দুই একজনই বিদেশে এদেশ কে রিপ্রেজেন্ট করার সুযোগ পেয়েছে। এরাই দেশটাকে আরও ভালভাবে উপস্থাপন করতে পারে বিদেশে। এমনিতেই দেশটাকে নিয়ে যড়যন্ত্রের শেষ নাই।
:(

৩| ২৩ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১১:১০

এম এস আরেফীন ভুঁইয়া বলেছেন: নাদিয়াকে বাঙালী বলা যায় না, আমি ঘৃণা করছি তাকে //

২৩ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১১:২২

এম্বিগ্রামিষ্ট জুলিয়ান বলেছেন: হুম

৪| ২৩ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১১:১৪

বিজন রয় বলেছেন: আমি আপনার মনকষ্ট বুঝতে পেরেছি। দেশ হলো মায়ের মতো, তাই দেশকে কেউ খারাপ বললে অনেক রাগ হয়। সংবাদটি শুনে আমারো খারাপ লেগেছে।

ওনারা বিদেশে থেকে কি আর আমার বাংলামায়ের মর্ম বুঝবে?

তাই সবকিছু ধৈর্য্য ধরে মোকাবেলা করতে হবে।
ধন্যবাদ।

২৩ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১১:২৪

এম্বিগ্রামিষ্ট জুলিয়ান বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ :)

৫| ২৩ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১১:২৪

রমিত বলেছেন: বিদেশে যাদের জন্ম ও বড় হওয়া, তারা বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত কিন্তু বাংলাদেশী নন। ঐ দেশী কালচারে বড় হওয়া তারা দেশের সম্পর্কে জানেও খুব কম।

একইভাবে যাদের জন্ম ও বড় হয়ে ওঠা বাংলাদেশে কিন্তু দীর্ঘ জীবন বিদেশে তাদেরও ধার ক্ষয়ে আসে, বর্তমান বাংলাদেশ সম্পর্কে তাদের ধারনা কম।

২৩ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১১:২৮

এম্বিগ্রামিষ্ট জুলিয়ান বলেছেন: হুম, সেটা ঠিক। ধারণা কম, তাই চুপ করে থাকাই তাদের আর আমাদের দুপক্ষের জন্যই ভাল।

মুখ খুললেই উলটাপালটা কিছু বেরুবে আর সাংবাদিকরা সেটার গায়ে রঙ চড়াবে, মাঝখান দিয়ে ঘৃনাটা বাড়বে।

সেলিব্রেটিরা চায় মনোযোগ, সাংবাদিক রা চায় খবর আমাদের গেলাতে, আর আমরা হয়ে যায় ইমোশনাল। এই তিনটা জিনিস একই বিন্দুতে সমাপতিত হতে পারে না।

৬| ২৩ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ১:৫২

বিষক্ষয় বলেছেন: নাদিয়া ঠিকই বলেছে.............বাংলাদেশের সংস্কৃিতি চেয়ার-টেবিলে বসে খাওয়া নয় বরং মাটিতে মাদুর বা পাটি বিছিয়ে খাওয়া। এখনও গ্রামের বেশির ভাগ লোক (= বাংলাদেশের বেশির ভাগ লোক) মাটিতে মাদুর বা পাটি বিছিয়েই খায়।

শহরের ইংরেজি জানা লোক আর তাদের ছেলে মেয়ের কাছেই চেয়ার-টেবিলে বসে, কাজের লোাকের রান্না করা খাওয়া .বাংলাদেশের সংস্কৃিতির অংশ

২৩ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:১১

এম্বিগ্রামিষ্ট জুলিয়ান বলেছেন: ভাইজান, সুন্দর সবসময় সত্য নয় এবং সত্য সবসময় সুন্দর হয় না।
আপনি বাংলাদেশে বাস করে কথাগুলো যে সেন্সে নিয়েছেন, বিদেশীরা তা নেয়নি এটা হলফ করে বলা যায়।

বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অবস্থা অনেক ভাল হয়েছে অতীতের তুলনায়। এই ধরণের কথা তে বিদেশীরা ভুল ইঙ্গিত পেতে পারে। তারা মনে করবে বাংলাদেশ স্বাধীনতার এতগুলো বছর পরে এসেও তলা বিহীন ঝুড়ি রয়ে গেছে।

একটা মন্তব্য করতে হলে, তাহলে উনার পজিশনের লোকের বিশদ বর্ননা করে দেয়া উচিৎ। যেটা উনি করেন নি। অল্প কথাতে কখনোই এই কথাটা বোঝানো যাবে না বিদেশে। আমি সেটাই বলতে চেয়েছি।

ধন্যবাদ। পৃথিবীতে অনেক মত আছে বলেই পৃথিবীটা বৈচিত্রময়। :) :)

৭| ২৩ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ২:১৪

বিষক্ষয় বলেছেন: "I have a senseless love affair with cheese. My mother never bought any because there was none in Bangladeshi cuisine"
নাদিয়ার এই কথাটাও ঠিক। বাংলাদেশের কোনো রান্নায় চিজ ব্যাবহার করা হয় না।
বাবা প্রথম শ্রেনির সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন এবং সারা জীবন ঢাকা শহরেই থেকেছি, তারপরও একবার কি দু বার গ্রীন সুপার মার্কেটের সামনে বিক্রি হওয়া পনির বা চিজ খাবার সৌভাগ্য হয়ে ছিলো। আর এই কটেজ চিজ বা পনির বাদে আর কোনো চিজ বাংলাদেশে তৈরি হয় না।
বিদেশে হাজার রকমের চিজ, হাজার রকম ভাবে রান্নায়/ খাবারে ব্যাবহার করা হয়।

২৩ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৫০

এম্বিগ্রামিষ্ট জুলিয়ান বলেছেন: সেটা কি ওনার মিডিয়ার সামনে না বললে আর পেটের চীজ হজম হচ্ছিল না, নাকি?

৮| ২৩ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ২:১৪

অগ্নিবেশ বলেছেন: ভুল কি কইল চেয়ার টেবিল চিজ ডেজার্ট এইসব কি বাংলাদেশের কালচারে আছিল? দুই দিন বাংলাদেশে হইল দুই চাইরজন ইহা ভোগ করিতেছে।

২৩ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:২৫

এম্বিগ্রামিষ্ট জুলিয়ান বলেছেন: মন্তব্যটা উনি বাংলাদেশে বসে বাংলাদেশী মিডিয়ার সামনে করলে আমার এরকম একটা পোস্ট দেবার দরকার হত না।

এরপর যদি না বুঝে থাকেন, তাহলে কিছু বলার নেই।

ধইন্যাপাতা আপনাকে। যান, গিয়ে রেঁধে খান :)

৯| ২৩ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ২:১৮

অগ্নিবেশ বলেছেন: ইনারা একটু বেশী দেশভক্ত, কথায় কথায় ফাল পাড়ে আর মতের সাথে না মিললে ঘেন্না করা শুরু করে দেয়। ইনাদের কামের সময় দেখা পাওয়া যায় না।

২৩ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:২৩

এম্বিগ্রামিষ্ট জুলিয়ান বলেছেন: আপনি তো দেখি নাদিয়ার চেয়ে কম নন ভাই।

উনি আগেপিছে বিবেচনা না করে জেনারেলাইজ করে ফেলেছেন মন্তব্যটা, আর আপনি একটা পোস্ট দেখেই আমার ঠিকুজী বের করে ফেলেছে।

বাহ বাহ, বেশ তো!!!!!!!!!!

ভাই, আপনি ভাল মানের দেশপ্রেমিক জেনে ভাল লাগল। সাবধান, আমার মত দেশভক্ত হইতে যাবেন না। কামের সময় কিন্তু আমাদের দেখা পাওয়া যাইবে না।

আর আপনার কথা বলব????

আপনি বলার বেলাতেও নেই, কামের বেলাতেও নেই (রাগ কইরেন না, তাইলে আপনার মন্তব্যে আমারও রাগ লাগতে পারে, সেটা ভেবে নিয়েন)।

ধন্যবাদ, অনেক ভাল দুটি মন্তব্যের জন্য।

১০| ২৩ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ২:৪৯

অর্থান্তর বলেছেন: কটূক্তি কোথায় করলো ? যেটা সত্য সেটাই বলেছে । এটা কটূক্তির পর্যায়ে কিভাবে পরে ? বাংলাদেশী কালচারে চিজের বা পনিরের ব্যবহার নেই , ওটা রেয়ারলি ব্যবহার করা হয় , তাও অকেশনালি । আর ইংলিশ ডেইলি খাবারেই চিজ ব্যবহার হয় এবং খাবার শেষে ওরা সবসময়ই মিষ্টি কিছু খায় , যেটা বাংলা খাবারের সাথে আমারা প্রতিদিন খাই না । একেবারে নির্মল সত্য কথা বলেছে , এখানে কটূক্তির কিছুই নাই । তার কথার ভুল মিনিং করেছেন আপনি ।

এই ধরেনের জ্ঞানহীন পোস্ট করা থেকে বিরত থাকুন যেটা নিজের জন্য , দশের জন্য এবং দেশের জন্য ভালো । মানুষকে বদনাম করার আগে দশবার চিন্তা করা ভালো । দেশকে নোংরা রাজনীতিবিদের মত দেখানো বা সোঅফি ভালোবাসা না বেসে সত্যিকার অর্থে ভালোবাসা উচিৎ । আপনার মঙ্গল হোক , সুস্থ চিন্তায় উজ্জীবিত হোক আপনার মন ।

২৩ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৩

এম্বিগ্রামিষ্ট জুলিয়ান বলেছেন: আপনার দোয়ার বহর আব বাহার দেখে মনে হল, আপনি আমার সাচ্চা একজন শুভাকাংখি। এই কলিযুগে আপনার মত একজন মানুষের দেখা পেয়ে আমি ধন্য হয়ে গেলাম ভাই।

সত্যিকারের ভালবাসা কিভাবে বাসা যায় ভাই, একটু শিখিয়ে দেবেন আমাকে। আমার বহুদিনের ইচ্ছা খুব ভাল ভাবে ভালবাসার। আপনার মন্তব্যে বোঝা গেল আপনি 'দেশকে নোংরা রাজনীতিবিদের মত দেখানো বা সোঅফি ভালোবাসা না বেসে সত্যিকার অর্থে ভালোবাসা কোচিং সেন্টার' এর কেরানী কাম হেডমাস্টার।

ঠিকানা টা দেন, ভর্তি হয়ে আসুম নে!!

ধন্যবাদ।

১১| ২৩ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ২:৫২

অগ্নিঝরা আগন্তুক বলেছেন: নিজের দেশকে উপস্থাপনে যতটা সতর্ক থাকা উচিত ছিল ততটা মিস ণাদিআ পারেন নি। তার কথাতে বাংলাদেশ কে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য ভাবে উপস্থাপনের প্রয়াশ ছিল। যেটা বাংলাদেশি মাত্রই বুঝ্তে পারবেন।

২৩ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:১৪

এম্বিগ্রামিষ্ট জুলিয়ান বলেছেন: হুম, ঠিক বলেছেন।

অথচ দেখেন না, কয়েক ব্লগার আমার চৌদ্দগোষ্ঠী উদ্ধারে নেমেছে। আমি নাকি বেশি ফাল পাড়ি :)

১২| ২৩ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:২১

বিষক্ষয় বলেছেন: বাংলাদেশে জিনিস পত্রের যে দাম, তাতে ডাকাত-ঘুসখোর-চোর-চোট্টা বাদে অন্যদেরত তিন বেলা ভাত যোগার করাই অস্মভব হবার মতো অবস্তা। আর শতকরা হিসাবে বেশীরভাগ লোক ভাতের সাথে ডালও খেতে পারে না।
আর রসগোল্লা, পায়েস, ফিরনি এ টাইপের মিস্টান্ন যা আমরা বাংলাদেশি মনে করি, আসলে এগুলি সমগ্র ভারতবর্ষের কমন মিস্টান্ন।

২৩ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৯

এম্বিগ্রামিষ্ট জুলিয়ান বলেছেন: ওরে বাবা, তিন নম্বর মন্তব্যও করে ফেলেছেন দেখছি (১ঃ৫২, ২ঃ১৪, ৩ঃ২১ মিনিট)। কি ভাই সারাদিন ধরে কি আমার পোস্ট টা নিয়ে ভাবছেন নাকি, কিভাবে আমার কথার এন্টি দেয়া যায়? ভাল তো, ভাল না!!!!!!
গায়ে বোধকরি ১৩০ ডিগ্রি জ্বর উঠে গেছে। তা এক কাজ করেন। বইটই ঘেঁটে সন্ধ্যায় ইফতারির পর একটা, রাতে খাবার পর একটা আর সেহরির পর একটা, মোট তিনটা মন্তব্য করে ছক্কাটা হাঁকিয়ে ফেলুন।

তাতে আপনার শরীরের তাপও কমবে আর আমিও বিমলানন্দ পাব।

আবারও আগাম ধন্যবাদ :)

বাই দ্য ওয়ে, নেট থেকে নাদিয়ার রেসিপি বুকটাও নামিয়ে ফেলুন। তা দিয়ে ঝটপট একটা রান্না সেরে খেয়ে নিন ইফতারি তে। জ্বরের দাওয়াই হিসেবে ভালই কাজ দেবে।

১৩| ২৩ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:০৭

ব্লগারনির্ভীক বলেছেন: বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত হলেই যে বাংলাদেশী হওয়া যায় না বা নিজের শেকড়েকে ভালবাসতে পারে না নাদিয়া তার জলজ্যান্ত প্রমান।

২৩ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৬

এম্বিগ্রামিষ্ট জুলিয়ান বলেছেন: হুম

১৪| ২৩ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: তার কথার পক্ষে বিপক্ষে অনেক কিছু বলা যায়, তবে এটা মেনে নিতেই হবে যে তার বলার ভঙ্গিটা ভালো ছিলো। "বাংলাদেশে রন্ধনে চিজ পাওয়া যায় না" এর বদলে "বাংলাদেশীরা চিজ খায় না" এভাবে বললেই ভালো হতো।

২৩ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৯

এম্বিগ্রামিষ্ট জুলিয়ান বলেছেন: ঠিক বলেছেন

১৫| ২৩ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩১

গেম চেঞ্জার বলেছেন: ব্রিটিশ গার্ডিয়ান কে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেছেন, “There were no chairs back in Bangladesh and Dad wanted to keep the tradition, so we never owned a dining table.”
“The concept of dessert doesn’t exist in Bangladeshi cuisine… I have a senseless love affair with cheese. My mother never bought any because there was none in Bangladeshi cuisine.”

১. তার বাবা হয়তো ডাইনিং টেবিল ব্যবহার করেন না। আর এটা প্রকৃতপক্ষে আমাদের কালচারও না।
২. ডেজার্ট তো ব্রিটিশ আমলেই যুক্ত হয়েছে তাও সমাজের অভিজাত অংশে। এটাও আমাদের কালচারে ছিল না। যদিও এখন আছে কমবেশি।

নাদিয়া অবশ্যই উপস্থাপনে আমাদের কিছুটা অপমান করেছে তাই বলে এটা কটুক্তি কি করে হলো? আমার বোধগম্য হলো না ভাইজান। :|| :||

২৩ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৯

এম্বিগ্রামিষ্ট জুলিয়ান বলেছেন: ওই কিছুটা অপমানকে কটূক্তি বলেছি ধরে নিন। বিদেশি মিডিয়ার সামনে বলা মানে তারা নিজ দ্বায়িত্বে এটার গায়ে রঙ চড়িয়ে মচমচে নিউজ তৈরি করবে।

উনি এমন একটা পজিশনে ছিলেন, ইচ্ছা করলে এইটুকু না বলে অনেক ভাল কিছু বলতে পারতেন।

বাংলাদেশ কে নিয়ে যদি কিছু বলতেই হয় বিদেশে, তাহলে দেশের ভালটুকুই বলুক। দুর্বলতা টা বলা ভাল দেখায় না।

১৬| ২৩ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: তবে এটা মেনে নিতেই হবে যে তার বলার ভঙ্গিটা ভালো ছিলো না হবে

২৩ শে জুন, ২০১৬ রাত ১০:১২

এম্বিগ্রামিষ্ট জুলিয়ান বলেছেন: আমি বুঝেছিলাম, ভাই :) :) :)

১৭| ২৩ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৯

মহসিন ৩১ বলেছেন: লন্ডনের বাঙ্গালিরা পয়সেওলা হতে পারে কিন্তু কালচাড না , তাদের ভীত দেশেবিদেশে খিচুরি সংস্কৃতির মেটামরফীজম চলছে।

২৩ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪০

এম্বিগ্রামিষ্ট জুলিয়ান বলেছেন: হুম

১৮| ২৩ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৩

শায়মা বলেছেন: আমার মনে হয় নাদিয়ার বাবার বাড়িতে বাংলাদেশে কোনো চেয়ার ছিলো না এবং তারা কোনো ডেজার্টও খেত না । বাংলাদেশকে তেমন না জানায় নাদিয়া বাবার বা দাদার বাড়ির সেই অবস্থা বা দশাকেই পুরা বাংলাদেশ ভেবেছে। আসলে বাংলাদেশে আমাদের সবার বাসায় চেয়ার আছে আর আমরা নিজেদের দেশীয় পনিরের পাশাপাশি ক্রাফট চিজ, বেগা চিজ, ইভেন প্রান চিজও খাই এখন সেই সম্পর্কে তাকে গিয়ান দেওয়া হোক।:) তাহলেই তো মিটে গেলো! :) :)

২৩ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৫

এম্বিগ্রামিষ্ট জুলিয়ান বলেছেন: দ্য বিগেস্ট কোশ্চেন ইজ, জ্ঞানটা দেবে কে!!!! হা হা হা :) :) :)

১৯| ২৩ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৪

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: কিছু নব্য শিক্ষিত জাতে ওঠা সিলোটি ভাইদের সমালোচনা দেখে হাসি পায়। সত্য সেটা যাই হোক এভাবে বলার জন্য ধন্যবাদ। যে জাতির পুরোটাই নৈতিক অবক্ষয়ে ভরা তাদের এই সামান্য বিষয়ে চিৎকার দেখে হাসি পায়। এখন আমি যদি বাঙ্গালীরা বেশিরভাগ পেডোফাইল এটাও কিন্তু সত্য তবে তিক্ত সত্য!!

২৩ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৪

এম্বিগ্রামিষ্ট জুলিয়ান বলেছেন: আপনি হাসতে থাকুন। শুনেছি হাসলে নাকি হৃৎপিণ্ড ভাল থাকে।

আপনি দীর্ঘজীবি হবেন :)

২০| ২৩ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৭

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ডাইনিং টেবিল গ্রামে কেন আমরা জন্ম থেকে শহরে বড় হওয়া পরিবারেও প্রচলন শুরু হয়েছে ১০/১৫ বছর আগে। এখনো মধ্যবিত্ত অনেক পরিবারে এক সাথে নিচে বসে খাওয়ার রেওয়াজ আছে। সেখানে নাদিয়া তো ভুল কিছু বলেনি।

২৩ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫২

এম্বিগ্রামিষ্ট জুলিয়ান বলেছেন: বিদেশি মিডিয়ার সামনে বলা ভুল হয়েছে

২১| ২৩ শে জুন, ২০১৬ রাত ৮:২৯

অর্থান্তর বলেছেন: খুব হাসি পাচ্ছে লেখাটা পড়ে আর আপনার প্রতিমন্তব্য পড়ে । আপনি বলছেন বিদেশি মিডিয়ার সামনে বলাটা ভুল হয়েছে । তার মানে আপনি বলতে চাচ্ছেন বিদেশিদের সামনে নিজের কালচার তুলে ধরাটা ভুল হয়েছে ? আবার এই নিজের কালচার বিদেশিদের সামনে তুলে ধরাটাকে আপনি কটূক্তিও ভাবছেন - খুবই হাস্যকর ভাবনা !!!

নিজের কালচারকে লজ্জা পাবার কিছু নেই মহাশয় , এটাকে নারিশ করতে শিখুন অযথাই নাদিয়ার বদনাম না করে । তবে আপনার উদ্দেশ্য যদি ইস্যু তৈরি করা হয় তবে চালিয়ে যান - একেকটা পোস্ট অনেক অনেক বার পঠিত হবে ।

আমারা চিজ খাই না - এটা লজ্জার কিছু না । চেয়ার টেবিল আমাদের কালচার না - এটাও লজ্জার কিছু না । যদি সে বলতো বাংলাদেশীরা রাবিশ খায় , তবে তখন সেটা হতো লজ্জার ।

আর আগের ১০ নম্বরের প্রতি মন্তব্যে আপনি বলেছেন আমার কোচিং সেন্টারে আপনি ভর্তি হতে চান , ঠিকানাও চেয়েছেন । ফোন নম্বরটা দিয়েন ঠিকানা এসএমএস করে দেবো নাহয় । আর একটা কথা না বলেই পারছি না - এই সত্যিকার ভালোবাসা শিখতে আপনার কোচিং লাগবে ? ??? মনে হচ্ছে অবস্থা বেশী বেশী খারাপ । :-B

২৩ শে জুন, ২০১৬ রাত ১০:০৫

এম্বিগ্রামিষ্ট জুলিয়ান বলেছেন: আপনার হিউমারের লেভেল দেখে এবার আমার হাসি পাচ্ছে।

আমি কোন দেশের বিরোধী দল না যে ইস্যু তৈরি করে ফায়দা হাসিল করব :)
যেহেতু চেয়ার টেবিল আমাদের কালচার না, সেহেতু আজ থেকে আপনি ভাই প্রতিজ্ঞা করুন চেয়ার টেবিলে বসে খাবেন না।

আসুন আমরা চেয়ার টেবিল না থাকার কালচারকে নারিশ করি, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গিয়ে, কমিউনিটি সেন্টারে গিয়ে ফ্লোরে পাটি বিছিয়ে খেতে।

আপনার আরেকটা অগ্নিঝরা এবং আমার মন্তব্যের অর্থান্তর করা কমেন্ট এর প্রত্যাশায় রইলাম। :)

২২| ২৩ শে জুন, ২০১৬ রাত ১০:৫১

অর্থান্তর বলেছেন: ভালো বলেছেন - শুধু বিরোধী দল হলেই ইস্যু তৈরি করে , এটা এই প্রথম জানলাম । শুনুন , আপনি মূলত ইস্যু তৈরি করছেন দৃষ্টিআকর্ষণের জন্য । আর সেটা যদি না হয় , তাহলে আপনার বোঝার অনেক ভুল আছে ।

আরেকটা ব্যপার খেয়াল করার মত - সেটা হলো আপনি আপনার ২১ নম্বরের প্রতিমন্তব্যে পয়েন্টকে অন্য দিকে ঘোরানর চেষ্টায় নেমেছেন ।আমি টেবিল চেয়ার ব্যবহার করবো কি করবো না সেটা সম্পূর্ণই অপ্রাসঙ্গিক আপনার এই লেখার আঙ্গিকে । আমি কালচারকে নারিশ করতে বলেছি এই কারনে যে আমারা আমাদের অসুবিধাজনক কালচারকে ছুড়ে ফেলে না দিয়ে একে enrich করতে পারি , যেমন ধরুন - বৈশাখে আমারা পান্তা খাই শখ করে , দেশীয় শাড়ী পাঞ্জাবী পরি শখ করে , মাটির পাত্রে খাবার খাই শখ করে - এগুলো করে আমারা আমাদের কালচারকে শরণ করি , ভালোবাসি । নারিশমেন্ট বলতে এটাই বুঝিয়েছি । এই কথা গুলোকেও আবার অন্য রাস্তায় নিয়ে যাবেন না আশা করি !!! :||

আমি যেটা বলতে চাচ্ছি - নাদিয়া এখানে কিছুই ভুল বলেনি । নাদিয়ার কথা গুলোই আপনি বুঝতে ভুল করেছেন । সে তার দৃষ্টিভঙ্গিতে এবং তার নিজ অভিজ্ঞতা থেকে বাংলাদেশের কালচারে কি আছে বা নেই সেটাই ব্যক্ত করেছে - সে কোনই কটূক্তি করেনি ।হতে পারে সে বাংলা কালচার সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান রাখে না , কিন্তু তারপরও সে কোনই ভুল বলেনি এবং কটূক্তি তো করেই নি ।

আপনাকে আর বোঝাতে আসবো না । সম্ভবত এটাই শেষ মন্তব্য । একটা অনুরধ রইল - অপ্রশংগিক উত্তর দিবেন না প্লিজ , এতে বক্তব্য অকারণে বর্ধিত হয় , মূল বিষয় পরিষ্কার হয় না । ভালো থাকবেন , সুস্থ সুন্দর হোক আপনার জীবন ।

২৪ শে জুন, ২০১৬ রাত ১২:০৩

এম্বিগ্রামিষ্ট জুলিয়ান বলেছেন: ঠিক, আপনার আর মন্তব্য না করাই ভাল। আমিও ক্লান্ত। আর পারলে আমার ব্লগের দিকে খেয়াল রাখবেন, দৃষ্টি আকর্ষনের জন্য এইসব ফালতু বিষয় লাগে না আমার, আরও বহু কিছু আল্লাহ্‌ আমাকে জানার সুযোগ দিয়েছেন, চাইলে দিনে চারটা পাঁচটা করে সেসব নিয়ে পোস্ট করতে পারি আর জানি সেগুলো অনেকবার পঠিত হবে।

আমার খারাপ লেগেছে বিষয়টা, তাই পোস্ট টা দেওয়া। আপনার ভাল লাগেনি, বলেছেন, আমিও উত্তর করেছি।
নাদিয়ার দৃষ্টি আঙ্গিক আমাদের বাঙালি সত্তার সাথে সাঙ্ঘর্ষিক। আমার মনে হয়েছে, আমি দিয়েছি। যেহেতু সে কালচার সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান রাখে না, সেহেতু কালচার নিয়ে কিছু বলার আগে দশবার ভাবা উচিৎ তার।

আপনার প্রতি অনুরোধ, আমার মত সস্তা দৃষ্টি আকর্ষনের পোস্ট না দিয়ে কেমন পোস্ট দিলে ভাল হয়, সেই বিষয়ে নিজে অন্তত একখানা পোস্ট করুন।

http://www.somewhereinblog.net/blog/OrbachinShohor/30141551 এই পোস্ট টা পড়ুন। লেখক কিছু বিষয় ক্লিয়ার করেছেন। আশা করি এটা ভাল লাগবে আপনার। :)

আপনার সর্বাঙ্গিন মঙ্গল কামনায়, জুলিয়ান।

২৩| ২৪ শে জুন, ২০১৬ রাত ১:২৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



নাদিয়া গাধিয়া।
নাদিয়ার কেক খেয়ে রাণীর নাকি ডায়েরিয়া হয়েছে?

২৪ শে জুন, ২০১৬ রাত ১:৩৩

এম্বিগ্রামিষ্ট জুলিয়ান বলেছেন: হা হা হা হা হা :)

২৪| ২৪ শে জুন, ২০১৬ রাত ২:২৭

কালনী নদী বলেছেন: দেশকে নিয়ে কেউ কঠুক্তি করলে খারাপ লাগারই কথা।

কারও দেশকে নিয়ে এভাবে বলাটা কখনও যুক্তিযুক্ত নয়।

২৪ শে জুন, ২০১৬ সকাল ৯:৩৪

এম্বিগ্রামিষ্ট জুলিয়ান বলেছেন: ঠিক বলেছেন :)

২৫| ২৪ শে জুন, ২০১৬ রাত ২:৩৪

লিংকন১১৫ বলেছেন: ভাই যা কইলেন , আর কিছুই বলার নাই
ব্রিটিশদের জন্য যত কিছুই করুন না কেন; দিন শেষে তাদের অধিকাংশের কাছেই আপনি তৃতীয় বিশ্ব থেকে আসা এক ‘কালা আদমি’। পরিচয়টা ভুলতে চাইলেও পারবেননা।

২৪ শে জুন, ২০১৬ সকাল ৯:৩৫

এম্বিগ্রামিষ্ট জুলিয়ান বলেছেন: :)

২৬| ২৪ শে জুন, ২০১৬ রাত ২:৪৩

ছাসা ডোনার বলেছেন: উনি ঠিকই একদিন বুঝবেন, রাস্তাদিয়ে যাওয়ার সময় কোন এক সাদাচামড়ার লোক বলবে "Black busturd, go back to your country"। বন্যরা বনে সুন্দর, শিশুরা মাতৃকোলে।

২৪ শে জুন, ২০১৬ সকাল ৯:৩৬

এম্বিগ্রামিষ্ট জুলিয়ান বলেছেন: :)

২৭| ২৪ শে জুন, ২০১৬ ভোর ৬:১৫

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: চাঁদগাজী বলেছেন:
নাদিয়া গাধিয়া।
নাদিয়ার কেক খেয়ে রাণীর নাকি ডায়েরিয়া হয়েছে?


কমেন্ট যা পেনু হেথা
এই খানা খাস;
ছন্দেতে বেশ দিলো
নাদিয়ারে বাঁশ।

রাণীমার কেক রেঁধে
মাটিতে পা পড়েনা;
ভীনদেশী কুক হয়ে
দেশে তারা ফিরেনা।

বিলাতি কুকুর সেজে
আহা কত গর্ব;
নিজ দেশী কালচারে
মান যেনো খর্ব।

নিজ খাই,নিজ পড়ি
নিজ ভুমে মোরা রাজা;
ভীনদেশে আজীবনি
কাম হ্যাগো কেক ভাজা।

২৪ শে জুন, ২০১৬ সকাল ৯:৩৭

এম্বিগ্রামিষ্ট জুলিয়ান বলেছেন: হা হা হা :)

২৮| ২৪ শে জুন, ২০১৬ সকাল ৮:৪৭

রিফাত_হাসান বলেছেন: প্রথমেই বলে রাখি একজন ব্রিটিশ আমার দেশ নিয়ে কি বলল তাতে আমার কিছু যায় আসে না। ( Nadiya Jamir Begum
25 December 1984 (age 31), Luton, Bedfordshire, England, Wiki)

অনেক বিদেশীরাই আমাদের দেশ সম্পর্কে ভাল মত জানেন না, তাই নাদিয়ারও বাংলাদেশ সম্পর্কে ভাল জ্ঞান নেই।

আমি যদিও ইংরেজী খুব ভাল পারি না কিন্তু “There were no chairs back in Bangladesh and Dad wanted to keep the tradition, so we never owned a dining table.” কথাটি পড়ে আমার দুর্বল ইংলিশ জ্ঞানে যা বুঝি তা হল তিনি বলতে চেয়েছেন তার বাবা যখন বাংলাদেশে ছিল তখন কোন চেয়ার ছিল না এবং তাঁর বাবা এই ঐতিহ্যটা ধরে রাখার জন্য ইংল্যান্ডে তাঁদের বাসায় কোন ডাইনিং টেবিল কিনেন নাই। এখানে দেখা যাচ্ছে যে তাঁর বাবা একজন বাংলাদেশি যিনি বিদেশে গিয়েও বাংলাদেশকে ভুলতে পারেননি। এটা ১৯৮৪ সালের আগের ঘটনা। তখন বাংলাদেশের কত % লোক চেয়ার টেবিল ব্যবহার করত ঠিক জানি না,কিন্তু তাঁর বাবার পরিবার চেয়ার টেবিল ব্যবহার করতেন না- এটা নিশ্চিত ভাবে বলা যায়।

“The concept of dessert doesn’t exist in Bangladeshi cuisine…

পড়ে মনে হল- বাংলাদেশে খাওয়ার পরে ডেসার্ট খাওয়ার প্রচলন নেই।

কথাটি কতটুকু ঠিক তা জানি না, কিন্তু আমি সকালে নাস্তা, দুপূরে এবং রাতে ভাত খাওয়ার পর কখনোই ডেসার্ট খাই না। বিয়ে বাড়িতে গেলে জর্দা, ফিন্নি, পায়েস খেয়েছি। এবং প্রায় সব বিয়ে বাড়িতেই এই ব্যবস্থা আছে। মেহমান ঘরে এলেও আম্মা মিষ্টির কিছু আইটেম বানায়। যেহেতু আমি কখনো ইংল্যান্ডে যাইনি, তাই জানি না ওদেশের লোকেরা তিনবেলা খাবারের পরই কি মিষ্টি খায়? ডেসার্টের সঠিক মানে কি সব সময় খাওয়ার পর মিষ্টি খাওয়া? ব্যাপারটা আমার কাছে পরিষ্কার না।

I have a senseless love affair with cheese. My mother never bought any because there was none in Bangladeshi cuisine.”

এর মানে হল নাদিয়ার পনিরের প্রতি জ্ঞানহীন ভালবাসা আছে। তাঁর মা কখনোই তাকে পনির কিনে দেয়নি কারণ বাংলাদেশের খাবারে পনির বলে কিছু নেই।

সে কি বলল আমি ক্লিয়ার না। সে কি বাংলাদেশে বেড়াতে এসেছিল? তখন তাঁর মা কিনে দেননি? নাকি ইংল্যান্ডে বসেই বাংলাদেশের খাবারের পনির খেতে চেয়েছিলেন কিন্তু তার মা কিনে দেননি কারণ সেখানকার বাংলাদেশি খাবারের ম্যানুতে পনির ছিলা না?

আমার মনে হচ্ছে সে পরেরটা বলেছিল। ওখানকার বাংলাদেশি ম্যনুতে পনির নেই। যাই হোক, আমার ইংরেজী জ্ঞান আসলেও ভালনা। টাইনা টুইনা পাশ করতাম ছোট কালে।

আবারো বলি, একজন ব্রিটিশ আমার দেশ নিয়ে কি বলল তাতে আমার কিছুই আসে যায় না। /:)

২৯| ২৪ শে জুন, ২০১৬ সকাল ৯:১৫

মাহিরাহি বলেছেন: বিনীত প্রশ্ন,

দেশকে নিয়ে সামান্য কটুত্তিও আপনার গায়ে লাগছে,

কেউ যদি আমাদের ধর্ম নিয়ে কটুত্তি করে, তখন কেমন লাগে!


২৪ শে জুন, ২০১৬ সকাল ৯:৩৩

এম্বিগ্রামিষ্ট জুলিয়ান বলেছেন: আরও বেশি খারাপ লাগে

৩০| ২৪ শে জুন, ২০১৬ সকাল ৯:২৫

শায়মা বলেছেন: ২৭. ২৪ শে জুন, ২০১৬ ভোর ৬:১৫ ১
কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: চাঁদগাজী বলেছেন:
নাদিয়া গাধিয়া।
নাদিয়ার কেক খেয়ে রাণীর নাকি ডায়েরিয়া হয়েছে?

কমেন্ট যা পেনু হেথা
এই খানা খাস;
ছন্দেতে বেশ দিলো
নাদিয়ারে বাঁশ।

রাণীমার কেক রেঁধে
মাটিতে পা পড়েনা;
ভীনদেশী কুক হয়ে
দেশে তারা ফিরেনা।

বিলাতি কুকুর সেজে
আহা কত গর্ব;
নিজ দেশী কালচারে
মান যেনো খর্ব।

নিজ খাই,নিজ পড়ি
নিজ ভুমে মোরা রাজা;
ভীনদেশে আজীবনি
কাম হ্যাগো কেক ভাজা।




দ্যা বেস্ট কমেন্টো( কমেন্টার)
ভাইজান কি যে করি
তার কথা পড়ে আমি
এই বেলা হেসে মরি। =p~

চাঁদগাজী কম নয়
আরও এক বাড়িয়া,
নাদিয়ার কেকে নাকি
রানীর হলো ডায়েরিয়া! =p~

ভীনদেশে কেক ভেজে
মাথা হলো নয় ছয়
জানে না সে সব কথা
মনে যাহা আসে কয়।

তাই নিয়ে ঝগড়া
মিছে কেনো করছো?
নিজেরাই মারামারি
করে কেনো মরছো!:(


২৪ শে জুন, ২০১৬ সকাল ৯:৩৯

এম্বিগ্রামিষ্ট জুলিয়ান বলেছেন: অনুকাব্যে তো দেখছি অনেক ওস্তাদ আছে :) :)

এত সুন্দর করে কিভাবে লেখেন!!! :) :)

৩১| ২৪ শে জুন, ২০১৬ সকাল ৯:৪৭

শায়মা বলেছেন:


ওমা ওমা একি কথা
এতদিনে জানলে!
অল রাউন্ডার আমি যে তা
এতদিনে মানলে!!!!

শুধু কি আর অনু মনু
লিখি মহা কাব্য
উড়াধুড়া স্থিতিশীলা
কিবা ছড়া নাব্য!!!!






২৪ শে জুন, ২০১৬ সকাল ৯:৫১

এম্বিগ্রামিষ্ট জুলিয়ান বলেছেন: :) :) দারুন!

৩২| ২৪ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১১:২৫

আরইউ বলেছেন: নাদিয়া ভুল কিছু বলেননি!

২৪ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১১:৩৯

এম্বিগ্রামিষ্ট জুলিয়ান বলেছেন: মানুষের দেখার বা বোঝার পারস্পেকটিভ ম্যান টু ম্যান ভেরি করে। সো, আপনার মনে হতে পারে ভুল কিছু বলে নি। ইট'স ওকে। :)

কিন্তু আমার মনে হয়েছে। ইট'স অলসো ওকে :) :)

৩৩| ২৪ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১১:২৬

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: কটূক্তি তো মনে হলো না!!
কেউ যদি বলে, বাংলাদেশে কোন জিরাফ নেই, আমি অনেক খুঁজেও পাইনি- এটা তবে কটূক্তি হবে?
দেশপ্রেম তো দেখি যখন তখন মাথায় উঠে যায়

২৪ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১১:৩৭

এম্বিগ্রামিষ্ট জুলিয়ান বলেছেন: হুম, দেশপ্রেমের মাথায় একটু ছিট আছে। যখন তখন মাথায় উঠে যায় :)

কি করব বলেন!!!!!
আর উত্তর দিতে ইচ্ছা হচ্ছে না। উপরে আমার মোট ডিফেন্স করেছি, পারলে নিজ দ্বায়িত্বে দেখে নিন।

সন্তুষ্ট না হলে 'শিটহেডেড' বলে মনে মনে আমাকে একটু বকে দিয়েন।

ধন্যবাদ, আরন্যক ভাই। অনেকদিন পর আমার লেখায় আপনাকে পেলাম :) :)

৩৪| ২৪ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:০৯

সুবল চন্দ্র বর্মন বলেছেন: যে স্বদেশী ঐতিহ্য, কৃষ্টি,সংস্কৃতি কে অস্বীকার করে সে স্বয়ং নিজের মাকে অপমান করার মত অপরাধ করে। একটা পশু পক্ষীও তার আবাস স্থল সম্পর্কে সহৃদয় হয়। আর মানুষ এরূপ হীনকার্য করে। এদিক থেকে মানুষ সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব। কথাটা স্পষ্টতই। কারন মানুষই একমাত্র জীব যার মধ্যে সর্ব উৎকৃষ্ট হতে সর্ব নিকৃষ্ট গুণ গুলো ধারন করে। যা অন্যান্য প্রানীকুলে নেই।

২৪ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ১:১১

এম্বিগ্রামিষ্ট জুলিয়ান বলেছেন: ঠিক বলেছেন
:)

৩৫| ২৫ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ১:১৯

টু-স্টেপ বলেছেন: Hey dude, where is your brain? On shoulder or knee? Do you know what cheese? Do you always take deserts after meal? She said what's true for her. What's the point of being hypocrite? And, how said Nadia represents Bangladesh!! She is a British citizen now. And after all before losing your temper just think who fucking cares whether we have deserts or not!

২৫ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ২:১৩

এম্বিগ্রামিষ্ট জুলিয়ান বলেছেন: মাই ব্রেইন ইস ইন ইউর হেড নাউ :)
কষ্ট লাগে, তাই না?

৩৬| ২৫ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ২:৩৪

আব্দুল্লাহ্ আল আসিফ বলেছেন: বাঙালিরর নিজস্ব সংস্কৃতি বলতে কিছু ছিলো কোনো কালে? সবিতো ধার করারে ভাই...হিন্দু হয়ে ইদানীং চলছে আরোবী।।।। কিচ্ছুই ছিল না, নাই... অকৃতজ্ঞ বাঙালির শুধু আছে ঘনঘন হাগা পাওয়ার ব্যারাম...ভালো ইশু, চালায়া যান ভাই।।।

২৫ শে জুন, ২০১৬ রাত ৯:০০

এম্বিগ্রামিষ্ট জুলিয়ান বলেছেন: চালিয়ে যাব। আপনি মাঝে মাঝে এসে আগুনে ঘি ঢেলে দিয়ে যাবেন, নিজ দ্বায়িত্বে। :)

ধন্যবাদ :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.