নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জানার অদম্য ইচ্ছেসহ আগামীর পথে

এম্বিগ্রামিষ্ট জুলিয়ান

আমি প্রতিসাম্য তৈরি করতে ভালবাসি

এম্বিগ্রামিষ্ট জুলিয়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমরা জন ক্যালহুনের ইঁদুর হয়ে গেছি!!!

০১ লা জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:১৬

আমাদের দেশের প্রধান সমস্যা কি জানেন?

আমি, আপনি। মানে জনসংখ্যা। আরেকটু ক্লিয়ার করে বললে, মাত্রাতিরিক্ত জনসংখ্যা। এটা হল Cause, আর effect গুলো এখন দৃশ্যমান।

Everything is connected!!

বেশি জনসংখ্যার কারনে in the first place মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ হচ্ছে না। দিনের পর দিন সেটা পূরণ না হওয়াতে হতাশা বাড়ছে মানুষের ভিতর আর সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে কমেছে নৈতিকতা, বেড়েছে আত্মকেন্দ্রিকতা- অরাজকতা। অভাব যেখানে সীমাহীন, নৈতিকতা সেখানে পরাজিত সৈনিক।

এর সাথে সাথেই চলে এসেছে দুর্নীতি। নিজে একটু ভাল থাকার জন্য যে যেভাবে পারছে সেভাবেই আখের গোছাতে চাচ্ছে। নিজের ভবিষ্যৎ এর জন্য অন্যের পা চাটতে হবে, আচ্ছা চাটলাম। যার পা চাটছি সে বলছে অমুককে মারতে হবে, আমার সাথে তার শত্রুতা না থাকলেও চ্যালাকাঠ দিয়ে ক্যামেরার সামনে হলেও তারে পিটালাম। কারন ওই ভবিষ্যৎ এর নিরাপত্তা। এত এত মানুষের ভীড়ে নিজেরটা গুছিয়ে নেয়া, by hook or by crook.

আর এই দাপুটে অত্যাচারী মানুষের কারণে অপেক্ষাকৃত দুর্বল লোকেরা মানসিকভাবে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছে সমাজ থেকে। কিন্তু কিসের বিনিময়ে!? Immense psychological cost এর বিনিময়ে। শারীরিকভাবে এরা বেচে থাকে বটে, কিন্তু মানসিকভাবে এতই বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে যে কিছুতেই আর কিছু আসে কিংবা যায় না। মনোভাব হয়ে যায়, যা ইচ্ছা ঘটুক আমার কি!! এ অবস্থা আর বদলাবে না!!

আরও একটা ব্যাপার আছে এখানে। সেটা হল Pathological togetherness!! একটা নির্দিষ্ট জায়গার আশেপাশে গুটিসুটি মেরে হলেও একসাথে থাকার একটা অসুস্থ মানসিকতা আছে আমাদের। এই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে শাসকেরা সেই নির্দিষ্ট জায়গাকে ঘিরে একটা কুৎসিত রাজত্ব কায়েম করেছে দুর্নীতি আর অরাজকতার। আর আপনি আমিও ঘুটি হয়ে গেছি এখন। বেরুনোর রাস্তা পাচ্ছি না। ক্রমান্বয়ে সব পথ বন্ধ হয়ে দুটি রাস্তাই থাকছে আমাদের সামনে। হয় সবকিছু মেনে নিয়ে মানসিকভাবে মারা যাও, অথবা নিজেই খারাপ হয়ে আখের গোছানো শুরু কর।

মানুষ মরলেও কারও গায়ে লাগে না এখন। কারণ লোকের জীবনের দাম এখন আর কারও কাছে নেই। এত এত মানুষ চারিদিকে। মানতে না চাইলেও এটাই ব্রুটাল ট্রুথ। শান্তিপূর্ণ বসবাস ও বিচরণের জন্য প্রয়োজনীয় জায়গার তুলনায় জনসংখ্যা অত্যধিক বেশি হয়ে গেলে মানুষের সামগ্রিক আচরণগত বিপর্যয় ঘটে। সাইকোলজির ভাষায় যাকে বলে Behavioral sink. জনঘনত্ব বাড়ার একটা পর্যায়ে মানুষের আচরণগত বিপর্যয় এমন মারাত্মকভাবে পাকাপোক্ত হয়ে যায় যে তারা শান্তিপূর্ণভাবে মিলেমিশে বাস করার সামর্থ্য স্থায়ীভাবে হারিয়ে ফেলে।

আমরা ক্রমান্বয়ে সেদিকে অগ্রসর হচ্ছি। সরকারও জানে যে একমাত্র ভোটের সময় হেড কাউন্ট ছাড়া বাকিটা সময় দেশের জনসংখ্যা তাদের জন্য বোঝা। তাই সড়ক দুর্ঘটনায় হাজার হাজার লোক মরলেও টনক নড়ে না, লঞ্চ ডুবলেও না, বিল্ডিং ধ্বসলেও না, গাড়ি চাপায় হাত হারালেও না, ধর্ষণ হলেও না, রাজনৈতিক দলের নেতারা সাধারণদের মারলেও না!!

আর আমরা বোধহয় অলরেডি মানসিকভাবে মৃত!! সকালে উঠছি, রাতে ঘুমাচ্ছি। পৃথিবী ঘুরছে। সুর্য উঠছে, অস্তও যাচ্ছে। জন্ম নিয়েছি, মারাও যাব।

মার্কিন সমাজবিজ্ঞানী জন ক্যালহুন ইঁদুর নিয়ে একটা গবেষণা করেছিলেন। তার রেজাল্ট এর সাথে আমাদের দেশের বর্তমান অবস্থার বিস্ময়কর মিল রয়েছে!!

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:৩৪

গরল বলেছেন: বাংলাদেশে জনবিস্ফরণ ঘটেছে, একসময় জন্মনিয়ন্ত্রণ নিয়ে টিভি ও রেডিওতে অনেক প্রচার হত এখন সেটা পুরোপুরি বন্ধ। জন্মনিয়ন্ত্রণ নিয়ে এখন আর সরকারের কোন মাথাব্যাথা আছে বলে মনে হয় না। আর এখনও যেহেতু শিক্ষিত লোকজনও বিশ্বাস করে যে হায়াত দিছে সেই রিযিক দিবে তাহলেতো জনসংখ্যা কোনভাবেই কমানো যাবে না।

২| ০১ লা জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:৫০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: Optimum মাত্রার জনসংখ্যা বাংলা‌দে‌শে ছিল ১৯৪৭ সাল বা তারও আ‌গে। এখন জনসংখ্যা অ‌তিক্রম করার পরও বিপদজনক ম‌নে কর‌ছেন না কেউই। মাল‌য়ে‌শিয়া বাংলা‌দে‌শের প্রায় তিনগুণ বড়। অথচ এর জনসংখ্যা মাত্র তিন কো‌টির একটু বেশী। তারা বি‌দেশ থে‌কে কামলা এ‌নে কষ্টদায়ক কাজগু‌লো ক‌রিয়ে নেয়। আর আমরা বাংলা‌দে‌শের মানুষ সেখা‌নে কাজ কর‌তে যে‌তে ভি‌টেমা‌টি সব বে‌চে দি‌চ্ছি।

৩| ০১ লা জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:৫২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: জনসংখ্যা নি‌য়ে বেতার টি‌ভি নীরব। এই বিষ‌য়ে ব্ল‌গে পোস্ট দি‌লেও কেউ পড়তে চায় না। আ‌মি অ‌নেকবার পোস্ট দি‌য়ে হতাশ হ‌য়ে‌ছি।

৪| ০১ লা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:০০

জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: চমৎকার একটা লেখা। ধন্যবাদ এম্বিগ্রামিষ্ট জুলিয়ান ভাই।
সরকারের এদিকটা নিয়ে কোন মাথাব্যাথা নেই। আর ভয় পায় হুজুররা যদি কিছু বলেন।
শেখ হাসিনার আকাশ পাতাল সাগর জয়ের উদগ্র কামনার কাছে, অতি জরুরী বাস্তব প্রয়োজনটা গৌণ মনে হচ্ছে। চাঁদগাজী ভাই হয়তো ভাল বলতে পারবেন।

৫| ০১ লা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: অর্থনীতির জনক এডাম স্মিথ বলেছেন জনসংখ্যা সমস্যা নয় আশীর্বাদ। কিন্তু দরিদ্র দেশ গুলো জনসংখ্যা সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। আমাদের দেশে যদি দুর্নীতি না হতো। তাহলে বেকারের সংখ্যা অনেক কমে যেত।

৬| ০১ লা জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৬

নতুন বলেছেন: জনসংখ্যা অবশ্যই আমাদের সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে।

কিন্তু চীন তার জনসংখ্যাকেই কাজে লাগিয়েছে এবং বিশ্বশক্তি হিসেবে ১ নং ।

আমাদের যে কি হবে সেটা ভেবে কোন কুল পাইনা। :(

৭| ০১ লা জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:৪৭

শৈবাল আহম্মেদ বলেছেন: অসংখ্যা ধন্যবাদ আপনাকে, এবং (জড়) সফটওয়্যার এর মাধ্যমে বিষয়টি প্রথম পেজে আসার ফলে আমি খুশি হয়েছি। পুকুরে মাছের সংখ্যা প্রচুর বৃদ্ধি পাওয়াতে-পুকুরের অজ্ঞ মালিক চরম খুশি হয়। কেননা অজ্ঞ সবসময় পেতেই চায়। আর সেক্ষেত্রে জ্ঞানী মালিক অখুশি হয়-কেননা সে জানে এর চরম প্রতিক্রিয়ার ফলে মাছগুলো বাড়ত্ত হারাবে,কুরুচি মেরে যাবে ও মারা যাবে। কানাডার আয়তন ৯৯ লক্ষের উপরে-জনসংখ্যা ৩ কোটি আর আমাদের আয়তন ১ লক্ষের উপরে জনসংখ্যা প্রায় ২০ কোটি। এর পরও আমরা কিন্তু সবার উপরে থাকি-কেননা আমরা মনে করি বা বলে থাকি(বিদেশীরা মলত্যাগ করে পানি খরচ করেনা)।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.