নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি অতি সাধারণ একজন মানুষ আমি আমার আশে পাশে যা দেখি তা নিয়ে লেখার চেষ্টা করি । কাউকে খোঁচানো পছন্দ করি না এবং আমি কাউকে খোঁচাই না । বলতে পারেন অনেকটা আত্মকেন্দ্রিক। মাঝে মধ্যে লেখার চেষ্টা করে যাচ্ছি জানিনা যা লিখতেছি তা আদৌ হচ্ছে কিনা ?

নুরুল আমিন মুরাদ

নুরুল আমিন মুরাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

রংধনু কি, কেন ইহা সৃষ্টি হয় এই নিয়ে আমার লেখা সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদনে কিছু মাজার তথ্য শেয়ার করলাম !

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৫



প্রথমে জেনে নিই, রংধনু কাকে বলে? মেঘ করে বৃষ্টির পর আকাশ হয়ে যায় ঝকঝকে। আকাশে তখন আবার সূর্য ওঠে। মাঝে মাঝে বৃষ্টির পর আকাশে নানা রঙের ঝিলিক দেখা যায়। মনে হয়, নানা রঙের ধনুক আকাশ জুড়ে আছে। নানা রঙের এই ধনুককে বলে রংধনু। আরও স্পষ্ট করে বলতে গেলে, রংধনু বা রামধনু বা ইন্দ্রধনু হল একটি দৃশ্যমান ধনুরাকৃতি আলোর রেখা যা বায়ুমণ্ডলে অবস্থিত জলকণায় সূর্যালোকের প্রতিফলন এবং প্রতিসরণের ফলে ঘটিত হয়। সাধারণত বৃষ্টির পর আকাশে সূর্যের বিপরীত দিকে রংধনু দেখা যায়। রংধনুতে সাতটি রঙের সমাহার দেখা যায়। দেখতে ধনুকের মতো বাঁকা হওয়ায় এটির নাম রংধনু। আপনাদের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, আকাশে কেন রংধনু দেখা যায়? উত্তর হচ্ছে… বৃষ্টির পর আকাশ পরিষ্কার মনে হয়। কিন্তূ কিছু কিছু পানির কণা তখনও বাতাসে ভাসতে থাকে। সূর্যের আলো এ পানির কণা ভেদ করে পৃথিবীতে আসে। পানির কণা ভেদ করার সময় সূর্যের আলো বেঁকে যায়। আর সূর্যের সাদা রং সাতটি রঙে ভাগ হয়ে যায়। এ রঙগুলো হলো-বেগুনি নীল, আসমানি, সবুজ, হলুদ, কমলা ও লাল। এ সাতটি রঙকে আমরা রংধনুর আকারে আকাশে দেখি। আকাশে রংধনু সব সময় সূর্যের উল্টো পাশে দেখা যায়। রংধনু উঠলেই বোঝা যায় বৃষ্টি আর হবে না। রংধনু ওঠে দু’টি করে!! আসল যে রংধনু, তার একটু উপরে আরেকটি রংধনু ওঠে। সেটা অবশ্য আসল রংধনুর চেয়ে কম উজ্জ্বল, আর রংগুলোও থাকে বিপরীতক্রমে। আর এই দুই রংধনুর মাঝখানের অংশে আকাশের অন্যান্য অংশের চেয়ে আলো একটু কম থাকে। এগুলো অবশ্য খুব স্পষ্টভাবে দেখা যায় না, দ্বিতীয় রংধনু আর মাঝের কম আলোকিত। অংশ দেখতে হলে একটু মনোযোগ দিয়ে খেয়াল করতে হবে। রংধনুর আলো বেঁকে গেলে সাতটি রং আলাদা করে কেন দেখা যায়? সাতটি রঙের আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যও আলাদা আলাদা; তরঙ্গদৈর্ঘ্য আলাদা বলেই আলোগুলোর আলাদা আলাদা রং হয়। এখন, এই আলাদা তরঙ্গদৈর্ঘ্যরে জন্য প্রতিটি আলোর বেঁকে যাওয়ার পরিমাণও আলাদা হয়। এই যেমন লাল রঙের আলো ৪২ ডিগ্রি কোণে বাঁকে। আবার বেগুনি রঙের আলো বাঁকে ৪০ ডিগ্রি কোণে। অন্য রঙের আলোগুলো ৪০ ডিগ্রি থেকে ৪২ ডিগ্রির মধ্যে বাঁকে। এই কারণে রংধনুতে রঙগুলোকে একটি নির্দিষ্ট সারিতে সবসময় দেখা যায়।
★ রংধনুর প্রকারবেদঃ
আপনারা জানেন তো, যাহা রংধনু, তাহাই রেইনবো। এদের নামগুলোই এমন কি-না, তাই এভাবেই চেনা ভালো। প্রাইমারি রেইনবো এ রংধনুর সঙ্গে আমরা সবাই পরিচিত। ঝুমবৃষ্টির পরপরই এর দেখা মেলে। যখন জলের উপর আলোর বিচ্ছুরণ ঘটে ঠিক তখনই প্রাইমারি রেইনবো দেখা যায়। রংধনুর রঙের তীব্রতা কতটা হবে, তা নির্ভর করে জলবিন্দু আকারে কতটা বড় তার উপর। সেকেন্ডারি রেইনবো যদি আকাশে প্রাইমারি রেইনবো দেখে থাকেন, তাহলে অপেক্ষা করুন। কিছুক্ষণের মধ্যেই পাবেন সেকেন্ডারি রেইনবোর দেখা। এ রংধনুর রেখা থাকে দু’টি। এটি প্রাইমারি রেইনবোর পেছনে থাকে। প্রাইমারি রেইনবোর আলো বিচ্ছুরিত হয়ে যখন পেছনে পড়ে, তখন সেটাকে সেকেন্ডারি রেইনবো বলে। আলেকজান্ডার’স ডার্ক ব্যান্ড এটি প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি রেইনবোর সমন্বয়ে গঠিত হয়। আকাশে এ দুই রংধনুর মধ্যবর্তী অংশকে আলেকজান্ডার’স ডার্ক ব্যান্ড বলে। এ অংশটি আকাশের অন্য অংশের তুলনায় বেশি কালো হয়। এসময় প্রাইমারি রেইনবোর আলো আলেক্সান্ডার’স ডার্ক ব্যান্ডের ভেতর ও সেকেন্ডারি রেইনবো বাইরের অংশে আলো ফেলে। সুপার নিউমারারি রেইনবো যখন প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি রেইনবোর মাঝে অনেকগুলো রংধনুর জন্ম হয়, তখন তাকে সুপার নিউমারারি রেইনবো বলে। রেড রেইনবো আমরা তো জানি, রংধনু হয় সাতরঙা। শুধুমাত্র লাল রঙের রংধনু হয় নাকি! সূর্যোদয় বা অস্তের সময় যদি বৃষ্টি হয়, তাহলে রেড রেইনবো দেখা যায়। ক্লাউড রেইনবো মেঘের ক্ষুদ্র জলকণা থেকে সৃষ্টি হয় ক্লাউড রেইনবোর। এ রংধনু অন্যান্য বাকিগুলোর চেয়ে অনেক বড় হয়। লুনার রেইনবো চাঁদের আলোতে দেখা যায় এ রংধনু। তবে এর দেখা খুব কম পাওয়া যায়। পূর্ণিমা রাতে কখনো কখনো লুনার রেইনবোর দেখা মেলে। এই হলো রংধনুর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি এবং প্রকারভেদ।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৭

রাবার বলেছেন: জানলাম

২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩৯

এহসান সাবির বলেছেন: ভালো শেয়ার।

ধন্যবাদ।

৩| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:২৫

নুরুল আমিন মুরাদ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাদের কে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.