নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মনে ও মননে রবীন্দ্রনাথ ও লালনকে ধারন করেছি তাই মানুষেই পরম ভক্তি।
সম্বোধনহীন এই চিঠিটা যখন লিখছি
তখন তোমাতে আর আমাতে
দূরত্বটা গ্রহগুলোর কক্ষপথের মত
সমান্তরাল।
আমার চলার পথটা এক রকম,
তোমারটা ঠিক তার উল্টো।
আমার স্বপ্নগুলো হতচ্ছাড়াদের দলে,
আর তোমার স্বপ্নগুলো পরিপাটি।
কি ! ভুল বললাম ?
তুমি...
নিত্য অভ্যাস বশে
সাঁতার দিলাম জলে
জল বলে ছল করে
ছয়টি স্বরেই ভাজো।
জলকে ছলকে দিয়ে
মনকে ভাসিয়ে নিয়ে
মেতেছি যখন সুরে
অসুর তাল কি খোঁজো?
অঙ্গ ভঙ্গে তার
সাঁতারেই একাকার
রসাবেশি এই আমি
রসসিঞ্চনে মাতি।
জল তুমি অভিমানী
বিদ্রুপ বাণ হানো
কটাক্ষে জর্জরিত
বিকলাঙ্গ...
এই শুরু
এই শেষ
ভালোবাসা
দুর ছাই
ছাপোষার
ছাইপাশ
ভাবনার
সময়টা
মিছেমিছি
বহমান।
ফাগুন এলো আগুন নিয়ে
রক্ত ঝরা চেতনায়
ভাই হারানোর ব্যাথা প্রাণে
মুহ্য তো নই বেদনায়।
ফাগুন দিলো শক্তি সাহস
উচ্চকিত অধিকার
মায়ের চোখের অশ্রুধারা
জানায় দাবী দুর্ণিবার।
মায়ের ভাষার শ্লোগান, দাবী
মানল না আর দুঃশাসন।
মায়ের ভাষা কণ্ঠে নিয়ে
কথা সুরে...
কোন এক শঙ্খিনী নারীর হৃদয়ের স্পর্শ পাবো বলে
আমি এই পৃথিবীর পথে হেঁটে ছিলাম একদিন।
সমুদ্র মন্থনে মন্থনে চেয়েছিলাম আত্মশুদ্ধি
থেকেছি তপস্যায় মগ্ন অশ্বথের মত
তবুও মেলেনি বুদ্ধের বোধি লাভ
কিংবা শঙ্খিনীর হৃদয়ের সন্ধান।
একদিন...
আমি প্রতিটি দিনই তোমাকে ভালবাসতে চাই
সদ্য স্নাতা তুমি আটপৌরে শাড়িতে,
সকাল বেলা পর্দা গলে তোমার গালে পড়া
এক চিলতে আলোয়,
কিংবা অফিস শেষের ক্লান্ত চাহুনীতে।
প্রতিটি মুহূর্তেই আমি ভালবাসতে চাই তোমাকে
কোমড়ে আঁচল...
তুমি আসবে বলে
প্রতিটি সন্ধ্যা আমি সাজিয়ে নেই
নিজের মতো করে।
ভায়োলিনের মৃদু সুর
কিংবা চৌরাশিয়ার বাঁশি,
ঘরময় বিমূর্ত আবেগের ছোঁয়া,
শূন্য গ্লাসে জলের শব্দ
বিবর্ণ মনের রাগিনীতে বাজে।
প্রতিটি সন্ধ্যাকে আমি
তোমার জন্যই সাজিয়ে রাখি।
কুয়াশার চাদর টেনে...
দ্বিতীয় জীবনে হরিপদ কেরাণী
হয়েছিল স্কুল মাস্টার।
আপন শিশুর হাত ধরে
হাঁটা হয় নি তার সবুজ ঘাসের উপর।
দারিদ্র কষাঘাত ভুলে গিয়ে তবুও
শিশুমুখগুলোতে খুঁজে ফেরে আপন সন্তান।
ঘরেতে আসে নি তবু,
মনে তার নিত্য আসা যাওয়া,
বাঁশপাতা...
ও চাঁদ তুমি একলা জাগো
সারা রাত ধরে একলাই থাকো
আমার বড্ড ঘুম পেয়েছে
ঘুমোবো আমি ভীষণ রকম।
ঘুম না ভাঙা ভোরের আলো
দুষলে তোমায় নীরব থেকো
তুমি তো জানো ঘুমটা আমার
বড্ড বেশী ছিলো প্রয়োজন।
আমার ভেতরে...
পর্ব ১
আমার জন্য আনবি নতুন ভোর
তাই ছুটি নেই তোর।
আমার জন্য আনবি আলোর হাসি
তাই ছুটি নেই তোর।
আমার জন্য বর্ষায় ঝরাস ধারা
তাই ছুটি নেই তোর।
আমার জন্য ছোটাস পাগলা ঘোড়া
তাই ছুটি নেই তোর।
পর্ব...
১.
কী এক মাদকতা নিয়ে আসো
কী এক আকর্ষণে আমাকে নাও টেনে
তোমার হাতে সর্বস্ব শপে দিয়ে
নির্ভার হয়ে যাই আমি।
কী এক আশ্চর্য নৈপূন্যে
কী এক অনবদ্য মোহাচ্ছন্নতায়
আমাকে করে তোলো তোমারই কবি
হে মধ্য রাত্রির...
১.
দুর্মূল্যের বাজারে নিঃসঙ্গতা আমার
দরকষাকষি করে কেনা সস্তা মেকাপের মত
পলেস্তারা সেটে দেয় মনের উপর।
২.
শেষ যা্ত্রীর প্রস্থানের পর
প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকা রাত্রির ট্রেনের মত
নিঃসঙ্গতা জেগে ওঠে অতলান্ত আঁধারের বুকে।
৩.
হাত ছুঁয়ে রেখেছো ঠিকই
নিঃসঙ্গতা...
অনিন্দিতা, এসো একবার নতুন করে বাঁচি
একবার নতুন করে করি সুর রচনা
নতুন রাগিনী বাজুক অনুভূতির অনুরণনে।
সংক্রান্তির রাতে যে সূর্যকে জানিয়েছো বিদায়
নতুন রূপে তারই কি নয় প্রত্যাবর্তন বারেবারে ?
নিজেকে পাল্টে নিয়েছি আমি...
প্রভাতে আদিগন্ত আলোক উদ্ভাস
কিংবা গোধুলীর মায়বী পরশ
বসন্ত কিংবা বর্ষার আগমনে
প্রেয়সীর আলিঙ্গনে সুতীব্র বাসনা
আমার জন্য নয়।
নিষিদ্ধ পল্লীর ভাগাড়ে পড়ে থাকা
ত্যাগের তৃপ্তিটুকুর মত
নিঃসঙ্গতা আমার।
মানুষের কিংবা প্রকৃতির সাথে
চলতে চলতেই প্রত্যাবর্তিত আমি
নিজের কাছেই...
১.
সন্ধ্যায় হঠাৎ বর্ষণ,
চারিদিকে নর্দমার প্লাবন
রিকশার গদির উপরে পা
তবুও বর্ষা জুড়িয়ে দিচ্ছে গা।
২.
বর্ষার মত এমন কোন শিল্পী আছে কি আর
ভাস্কর্যের প্রতিটি ভাঁজই নিখুঁত, ছোঁয়ায় তার
প্রকৃতি তার তুলির ছোঁয়ায় ফিরে পায়...
©somewhere in net ltd.