নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রাজীব

মানুষ আমি আমার কেন পাখির মত মন....

রাজীব

যারে ঘর দিলা সংসার দিলা রে, তারে বৈরাগী মন কেন দিলা রে....

রাজীব › বিস্তারিত পোস্টঃ

যাকাত ও যাকাতের শাড়ি-লু্ঙ্গি

০৩ রা জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:৩১

রোজা এলেই পত্রিকায় এ্যাড দেখি- "যাকাতের শাড়ি-লু্ঙ্গি পাওয়া যায়।"
মাঝে মাঝে বিভিন্ন দোকানের সামনে লেখা দেখি "যাকাতের শাড়ি-লু্ঙ্গি পাওয়া যায়।" সেদিন পথ চলতে চলতে একটি ব্যানার দেখলাম "এখানে নরসিংদিতে তৈরী যাকাতের শাড়ি-লু্ঙ্গি পাওয়া যায়।"


ইসলাম ধর্মের পাচটি স্তম্ভের একটি যাকাত, যা শুধুমাত্র যাদের সামর্থ্য আছে তাদের জন্য ফরজ করা হয়েছে। আমাদের দেশে অনেকেই যাকাত দেন আবার সামর্থ্য থাকা স্বত্বেও অনেকে দেন না। তবে যারা যাকাত দেন তার বেশীরভাগ মানুষই যাকাত হিসেবে শাড়ি-লু্ঙ্গি দেন। তাও আবার ঘোষনা দিয়ে দেন যাতে অনেক লোক আসে এবং প্রদানকারীর নাম হয়।
এসব শাড়ি-লু্ঙ্গি নিতে এসে ভীড়ের চাপে অনেকের মৃত্যু পর্যন্ত ঘটে।

যাকাতের সাথে আমরা শাড়ি-লু্ঙ্গিকে এমনভাবে একসাথ করে ফেলেছি যেন শাড়ি-লু্ঙ্গি ছাড়া যাকাত হয় না। একটা শাড়ি বা লু্ঙ্গি একজন কয় বছর ব্যবহার করতে পারে। বড়জোর ২ বছর (যাকাতের কাপড় হিসেবে যা দেয়া হয় তা এমনই মান সম্পন্ন যে ১ বছরও টিকে না)।

কিন্তু আসলে কি তাই। যাকাত হচ্ছে ধনীর সম্পদের উপর গরীবের অধীকার। অর্থনীতিতে যাকাতের গুরুত্ব অপরীসীম । যাকাত মানেই শাড়ি-লু্ঙ্গি নয়। যাকাত এমন হওয়া উচিৎ যা যাকাত গ্রহীতার দীর্ঘদিন কাজে লাগবে। যেমনঃ একজন গরীব শিক্ষার্থীকে বই কিনে দেয়া, জাল হীন জেলেকে জাল দেয়া, গরীব কৃষককে গরু ও লাঙল দেয়া, একজন রিক্সা চালকে (যে ভাড়ায় রিক্সা চালায়) রিক্সা কিনে দেয়া, একজন ইলেক্ট্রিক মিস্ত্রী যার যন্ত্রপাতি নেই তাকে যন্ত্রপাতি (প্লায়ার্স, স্ক্রু ড্রাইভার ইত্যাদি) কিনে দেয়া অথবা এমন পরিমান নগদ টাকা দেয়া যা দিয়ে সে কিছু করে খেতে পারে। অথচ আমরা শাড়ি-লু্ঙ্গি দিয়ে মনে করি যাকাত দিচ্ছি।


আবার অনেক মনুষকে যাকাত দিতে হবে এমন কোন আইনতো নেই। আমরা ১০০০ মানুষকে শাড়ি-লু্ঙ্গি না দিয়ে ১০ জনকে এমন কিছু দিতে পারি যা প্রকৃত অর্থ তাদের ভাগ্য পরিবর্তনের হাতিয়ার হতে পারে।

আবার অনেকে যাকাত দেন না (এমনকি তার উপর যাকত দেয়া ফরজ হয়েছে তা জানেনও না)। একথা এজন্য বলছি কারন হিসেব করে দেখলাম যে আমার যাকত দেয়া প্রয়োজন। নিজেকে আমি কখনো বিত্তবানতো বলতেই পারি না বড় জোর সচ্ছল বলতেও কষ্ট হয়ে যায়। তার পরও আমার যাকাত দেয়া প্রয়োজন। তাহলে দেখা যাচ্ছে হিসেব মত যাকাত দিলে ঢাকা শহরের প্রায় ৭০% চাকুরীজীবি ও ব্যবসায়ীদের যাকাত দেয়া উচিৎ। কিন্তু আসলে তারা যাকাত দেয় কি?


বিত্তবানদের প্রতি আমি আহবান করব, আসুন আমরা শাড়ি-লু্ঙ্গি না দিয়ে যাকাত হিসেবে এমন কিছু দেই যা একজন বেকার বা সল্প আয়ের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে সাহায্য করতে পারে। আমরা প্রত্যেকে যদি অন্তত একটি মানুষের দিন বদলের চেষ্টা চালাই তাহলেই একসময় দেখা যাবে যে আমরা সবাই মিলে আমাদের দেশের অনেক দরিদ্র লোকের ভাগ্য পরিবর্তনে সচেষ্ট হতে পেরেছি।

(এটি রিপোস্ট)

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:০৭

শাহাদাত হোসেন বলেছেন: আজকালকার মানুষ যাকাত কে প্রচারণা হিসাবে নিচ্ছে ।

২| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:১৩

রাজ হাসান বলেছেন: আসলে আমাদের স্বভাব ভাল না যেই কারনে শাড়ি আর লুঙ্গি যাকাত হিসেবে দেয়া হয়।আমাদের বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে যদি বলি ছোট্ট একটা ঘটনা।আজ থেকে ১৫ বছর আগের কথা ভাল বুঝে একটা শ্যালো ইঞ্জিন কিনে দিলাম যাতে করে তার দিন ফিরে,ঐ সময়ে ঐ এলাকায় আর কোনো শ্যালো ইঞ্জিন ছিল বলে জানা ছিল না আর সে কি করল ভাইয়ের বউ এর জন্য সেই শ্যালো ইঞ্জিন বিক্রি করে দিল নির্বাচন করবে বলে।আর এক জন কে গরু কিনে দেয়া হল সে পরের বছর আবার এসে হাজির গরু কিনে দেব বলে।এরকম আরও অনেক ঘটনা আছে।তবে হ্যা এইভাবে শাড়ী লুঙ্গির মাধ্যমে কিন্তু যাকাত এর সুফল থেকে আমরা কিন্তু বঞ্চিত হচ্ছি এতে কোনো দ্বিমত করার কারন নেই।

০৬ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:০০

রাজীব বলেছেন: আসলে শিক্ষার অভাবে এদের বুদ্ধি বেড়ে উঠে না। আর হাত পাততে পাততে এদের হাত পাতার অভ্যেস হয়ে যায়।
তবে কাউকে মাছ দেয়ার চেয়ে মাছ ধরার পদ্ধতি শিখিয়ে দেয়া অনেক ভালো।

৩| ৩১ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১:৪৮

প্রামানিক বলেছেন: বিত্তবানদের যাকাত দেয়া উচিৎ।

৩১ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:০৭

রাজীব বলেছেন: সবাই নিয়ম মেনে যাকাত দিলে দেশের অনেক উন্নতি হতো।

৪| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৯

Abir.AxJ বলেছেন: ডিজিটাল ভারসন ওফ যাকাত...
গরিব যাকাত নিতে এলে...

হাতে বিশ টাকা গুজে দিয়ে গুড বাই জানিয়ে দেওয়া...


( প্রত্যক্ষদর্শী আমি নিজে )

১৮ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:৫৭

রাজীব বলেছেন: আমাদের ধর্ম সম্পর্কে আরো বেশী জ্ঞান প্রয়োজন।

৫| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


যাকাত নেয়ার জন্য ও বিলি করার জন্য ধর্ম মন্ত্রনালয়কে ব্যবস্হা নিতে হবে।

১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২৯

রাজীব বলেছেন: ঠিক বলেছেন। কিন্তু সমস্যা হলো সরকারী লোকদেরকে দায়িত্ব দিলে যেই জিনিস যে কোথায় যাবে???!!

কারন প্রতি বছরই নাকি আরব থেকে কুরবানীর গোসত আসে কিন্তু আমলাদের বাসায় ছাড়া অন্য কোথাও যেগুলো যায় না।

৬| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৮

মন মোর মেঘের সঙ্গী বলেছেন: রাজীব ভাই, আপনার ফেসবুক আইডিটি কি পেতে পারি?

ধন্যবাদ রইলো।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১৯

রাজীব বলেছেন: আমি ফেসবুক পছন্দ করি না।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
প্রয়োজন হলে মেইল এড্রেস দিতে পারি।

৭| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:২৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


যাকাত হাজার বছর চলে আসছে, মানুষ হাজার বছর ভিক্ষুক রয়ে গেছে।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৫

রাজীব বলেছেন: আপনার লিখাগুলো আমার খুব ভালো লাগে। অনেক কিছু জানা যায়।
তবে ধর্মের ব্যাপারে আমি এখনো কিছুটা গোড়া।
আমি মনে করি মানুষের চেতনা থেকে ভিক্ষা দুর না হলে সমাজ থেকেও দুর হবে না।
তবে যাকাত প্রয়োজনীয়।

৮| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৯

[email protected] বলেছেন: ভালো লাগলো.

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৮

রাজীব বলেছেন: ধন্যবাদ

৯| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৩২

আলম 1 বলেছেন: এইসকল দোকানের সামনে দেখবেন নমুনা হিসেবে কিছু শাড়ী বা লুংগী রেখে দেওয়া হয় যা সচরাচর অন্য কোন
সময়েপাওয়া যায় না। নিম্নমানের সুতা, রং ব্যবহার করে প্রস্তুতকৃত এসব পোশাকের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ থাকে ছোট।
হয়ত মনে করা হয় যে অপুষ্টিতে ভোগা জনগনের শুধুমাত্র একবার ব্যবহার করার জন্য এদের প্রস্তুত করা হয়েছে।
যাকাতের কাপড় বলেই হ্য়ত মান যাচায়ের দরকার নাই।

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৯

রাজীব বলেছেন: ঠিক বলেছেন।
ইদানিং আরেকটি জিনিস শুরু হয়েছে। কাপ-পিরিচ বা প্লেট-বাটি বা কোন কাচের জিনিস কিনতে গেলেই দোকানি জিজ্ঞেস করে নিজের জন্য নাকি উপহার??
আর উপহার হলে চেস্টা করে বাজে জিনিস ধরিয়ে দিতে।

১০| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৭:১৮

আলম 1 বলেছেন: দোকানির জিজ্ঞেেসে আামার বউ উত্তর দিয়েছিল নিজের জন্য খারাপ হলে অসুবিধা ছিল না - উপহার বলেই ভাল জিনিস দিবেন , যাকে দিব সে যেন ব্যবহার করতে পারে। উপহারটা আপনি দিচ্ছেন পরিচিত কাউকে।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৩৭

রাজীব বলেছেন: উনি ঠিকই বলেছেন। নিজের জিনিস খারাপ হলেও চলে কিন্তু উপহার সেরাটাই হওয়া উচিৎ।

১১| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৪

নকীব কম্পিউটার বলেছেন: ‘আমরা প্রত্যেকে যদি অন্তত একটি মানুষের দিন বদলের চেষ্টা চালাই
তাহলেই একসময় দেখা যাবে যে আমরা সবাই মিলে আমাদের দেশের অনেক দরিদ্র লোকের
ভাগ্য পরিবর্তনে সচেষ্ট হতে পেরেছি।’

-
-
-
কিন্তু মানুষ তো নিজের ভাগ্য বদল করতে ব্যস্ত।

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:১৯

রাজীব বলেছেন: শুধু নিজের ভাগ্য বদলালে হবে??
আমরা যদি নিজেদের সাথে সাথে অন্যর ভাগ্য বদলাতে চেস্টা করি তাহলেই একদিন পৃথিবীটা সুখের হবে।

১২| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৪:৪৬

কালনী নদী বলেছেন: স্বর্থপর মানুষ ধর্মকেও ব্যবহার করতে ছাড় দেয় না। সবকিছুতেই সুবিধাবাদী, তাই যথাযতভাবে যাকাত দেওয়া হচ্ছে না আর সে ব্যপারে আসলেই ধর্ম মন্ত্রনালয়ের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। সহমত!

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৩২

রাজীব বলেছেন: ঠিক বলেছেন। তবে মন্ত্রনালয়ের লোকগুলোই বা কতটুকু সৎ?

১৩| ০৬ ই মে, ২০১৬ রাত ১০:৩৯

ফকির ভাই বলেছেন: এককেবারে দারুন লিকচেন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.