নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রাজীব

মানুষ আমি আমার কেন পাখির মত মন....

রাজীব

যারে ঘর দিলা সংসার দিলা রে, তারে বৈরাগী মন কেন দিলা রে....

রাজীব › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেশের উন্নয়নের জন্য মেধাবী আমলা প্রয়োজন

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১:০৬

স্বাধীনতার ৫০ বছরে এসেও এখনো আমরা কামলা তৈরী করে যাচ্ছি। আমাদের অর্থনীতির শীর্ষ ২টি আয়ের খাত, রেডিমেড গার্মেন্টস এবং ফরেন রেমিটেন্স। যা পুরোপুরি কামলা নির্ভর। অন্যদিকে দেশের অনেক ভালো ভালো চাকরী বিদেশিদের দখলে। হতে পারে এটি দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার দুর্বলতা। কিন্তু মনে হয় এটি আমাদের সরকারের ব্যবস্থাপনার দোষ। এর মুল কারন প্রশাসনে মেধার অভাব।

আমাদের শীর্ষ মেধাবীরা বিদেশে চলে যাচ্ছে। যারা রয়ে যাচ্ছে তাদেরকে আমরা নীতি নির্ধারণী পদে আনতে পারছি না। ফলে দক্ষ আমলা পাওয়া যাচ্ছে না।

একটি দেশের প্রশাসনে ও নীতি নির্ধারণী পদে সে দেশের সবচেয়ে মেধাবী লোকদের থাকা উচিত। অথচ আমাদের দেশে বিপরীত। আমি যদি প্রশ্ন করি আমাদের দেশের সবচেয়ে মেধাবী স্টুডেন্টরা কোথায় পড়ে। তাহলে অনেকেই চোখ বন্ধ করে বলে দিবে, মেডিক্যালে ও ইন্জিনীয়ারিংএ। বুয়েট বা মেডিক্যালের স্টুডেন্টরা বিসিএস এ আগ্রহী হচ্ছে না। আমারতো মনে হয় যে, বুয়েট, কুয়েট, ঢাকা মেডিক্যাল, আইবিএ ইত্যাদির স্টুডেন্টরা সবাই যদি বিসিএস পরীক্ষা দেয় তাহলে বিসিএসের ৯০% চাকরী এরাই নিয়ে নিবে।

এভাবে পর পর ১০টা বছর যদি দেশের মেধাবীরা আমলা হতে পারে তাহলে আমরা দেশের উন্নতি করতে পারবো। তা না হলে সবকিছু থেকেও আমরা দিন দিন অন্যদের দেয়ে পিছিয়ে পরবো।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১:১৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমাদের বিসিএস'রা অনেকের মতো সাধারণ ছাত্র; এরা যখন চাকুরী পায়, তারা এটাকে সর্বাধিক উপার্জ্জনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে, এরা শুধুমাত্র নিজ পরিবারের কথা ভাবে; এরা ভুলে যায় যে, তারা কাদের জন্য কাজ করার কথা, এরা ভুলে যায় এরা কাদের টাকায় বেতন পায়; অবশ্য, এদের পুরো আয়ের তুলনায়, বেতনের অংশ এত ছোট হয়ে যায় যে, এরা বেতন যে পায়, সেটাও মনে রাখে না।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ২:৩৫

রাজীব বলেছেন: পারিবারিক শিক্ষা!
জীবনের কঠিন পথ চলতে চলতে অনেকেই নৈতিকতার শিক্ষা হারিয়ে ফেলে।

২| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১:২৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: রাজীব,




দেশের উন্নয়নের জন্য মেধাবী আমলাদের প্রয়োজন নেই - প্রয়োজন মেধাবী কামলার। একজন আমলাকেও তো কামলা খাটতে হয়, তাইনা ? তবে এখন আমলারা সেই কামলা দেন "বেগমগঞ্জে" নিজ নিজ বেগমদের রাখার উপায় বের করতে।

মেধাবী ছাত্ররা এখন আর মেডিকেল বা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়েনা বা পড়তে পারেনা, বেশির ভাগই পড়ে পয়সাওয়ালা আর ক্ষমতাধর বাপের সন্তানেরা। বিসিএস এখন আর মেধাবী আমলা তৈরী করেনা , করে মাল কামানো আমলা । এসব আর নতুন করে বলার কিছু নেই।
সিষ্টেমটা এমন করে তৈরী হয়ে গেছে যে, এ থেকে বেরুবার আর পথ নেই।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ২:৩১

রাজীব বলেছেন: আমি এখনো এতটা হতাশ নই। এখনো অখ্যাত স্কুলে পড়া ছাত্র-ছাত্রীরা বুয়েট মেডিক্যাল এ চান্স পায়।

৩| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১:৫৮

রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের আসল সমস্যা- দেশে যোগ্য দক্ষ ও পরিশ্রমী লোকের অভাব।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ২:৩৩

রাজীব বলেছেন: ঠিক। প্রথমত ব্রেইন ড্রেইন, দ্বিতীয়ত মেধাবীদেরকে সরকারি চাকরীতে আকর্ষন করতে না পারা। তৃতীয়ত সময়োপযোগী শিক্ষা ব্যবস্থা না থাকা।

৪| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ ভোর ৬:১০

সাসুম বলেছেন: আপনার জানা বা বিশ্লেষনে ভূল আছে। বিসিএস এ বেশির ভাগ আমলা অতীব মেধাবী হয়ে থাকে। আইবিএ, বুয়েট এবং বেশিরভাগ আসে ঢাবি থেকে।

দিন শেষে এরাই চোর ডাকাত হয়ে বসে।

পিকে হালদার বুয়েট প্রোডাক্ট। পরে আই বিএ প্রোডাক্ট। দেশের সব গুলা মিনিস্ট্রির প্রকৌশলী রা বুয়েট বা কুয়েট এর। তাদের হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদ। এল জি আর ডির ইঞ্জিনিয়ার রা দেশের সব চেয়ে বড় ডাকাত। সব গুলা ট্যালেন্ট। পরিকল্পনা মন্ত্রনালয় এর প্রতিটা আমলা এক একটা সোনার টুকরা। ( এটা পারসোনাল জানাশোনা ) এদের মত বড় বাটপার এই ভূমে আর নাই। তারা প্রতিটা ফাইল, প্রতিটা প্রজেক্ট , প্রতিটা কাজ, প্রতিটা একনেক এর প্রজেক্ট থেকে কোটী টাকা ঘুষ নেয়- কাজ হোক আর না হোক আর ফ্রি বিদেশ ভ্রমন তো আছেই। কথা হল, এরাও তো মেধাবী!

দেশের সবার আগে যেটা দরকার সেটা হল- একটা জবাবদিহি কমিশান। মানে পুলিশের উপর থাকবে পি আই বি। পি আই বির উপর থাকবে স্পেশাল কমিশান। সেই কমিশান এর উপর থাকবে দুদক। দুদক রিপোর্ট করবে পি এম কে বা তার স্পেশাল টিম কে। পি এম এর কাজ মনিটর করবে সংসদীয় কমিটি। সংসদীয় কমিটির কাজ মনিটর করবে হাই কোর্ট বা চিফ জাস্টিস। এখন- এই প্রতিটা সেক্টরে নন পলিটিকাল পোস্ট হিসেব করে নন পলিটিকাল লোক নিয়োগ দিতে হবে।

আর এই মেন্টালিটি গড়ে তোলার জন্য দেশের পুরা রাজনীতিক সিস্টেম চেঞ্জ করতে হবে। আর রাজনিতিক সিস্টেম এ চেঞ্জ আনার একমাত্র উপায়- শিক্ষিত, সচেতন নাগরিক গড়ে তোলা।
যেটা আমাদের বর্তমান সরকার বা দেশ করতে দিবেনা। যেটা করতে হবে আমার আপনাকে। আমার আপনার সন্তান কে সু নাগরিক, সচেতন, সৎ করে গড়ে তুলতে হবে, তারপর ২/১ টা প্রজন্ম গেলে- তারাই একটা স্টেবল সরকার বা রাজনীতিক সিস্টেম গড়ে তুলবে। এরপর আপনি আমলা, কামলা এইসব এর আর হিসাব করতে হবেনা। এগুলা এম্নিতেই হয়ে যাবে।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ২:৫১

রাজীব বলেছেন: পিকে হালদার ব্যতিক্রম, এটি উদাহরন হতে পারে না। আর স্থানীয় সরকারের যেসম প্রকৌশলীদের কথা বলছেন তাদের উপজেলা পর্যায়ে কাজ করতে হয়। সেখানে ঘুষ খাক বা নাখাক কাজ ভালো করার কোন উপায় নাই। কারন কাজ করে মাস্তান বাহিনী যাদেরকে সাপোর্ট দেয় নেতারা। নিয়ম মানতে গিয়ে অনেক প্রকৌশলীদের মাইর খেতে হয়েছে গাজীপুরে একজনকে জীবন দিতে হয়েছে। অথচ প্রশাসন ক্যাডারের কারো কিছু হলে সব আমলারাৎঝাপিয়ে পরে।

৫| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ ভোর ৬:৪৯

স্থিতধী বলেছেন: ৪ নং মন্তব্যের সাথে বহুলাংশে একমত । মেধাহীনতা এই জাতীর প্রধান সমস্যা নয় । নীতিহীনতা এ জাতির প্রধানতম সংকট। এ দেশে উচ্চ পর্যায়ে বহু মেধাবী নীতিহীন লোকেরা আছে। তাই দেশের পাওয়ার ব্যালান্স আর সচ্ছতা ঠিক রাখার জন্য যে সকল প্রতিষ্ঠান থাকে, সেগুলোকে যোগ্য, দক্ষ, নীতিবান লোক দিয়ে কার্যকর করাটা হচ্ছে আসল । সচ্ছতা ও জবাবাদিহিতার সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠিত করতে পারতে হবে যেকোন মূল্যে। তাহলেই কেবল যাবতীয় উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ফসল দেশের আপামরের কাজে আসবে।

৬| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৭:১০

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: ৪ নং মন্তব্যের সাথে অনেকাংশ এবং ৫ নং মন্তব্যের সাথে সম্পূর্ণ একমত। মেধাহীনতা প্রধান সমস্যা নয় - নীতিহীনতা এ জাতির প্রধানতম সংকট |

৭| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৭:৪৯

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: তাদেরকে হতে হবে মানবিক।অমানুষ যতবড় মেধাবীই হোক সে জাতীর কোন কল্যানেই আসবে না।নীতিবান লোকের বড় অভাব।

৮| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৩৩

পদ্মপুকুর বলেছেন: ৪ নং মন্তব্যের সাথে অনেকাংশ এবং ৫ নং মন্তব্যের সাথে সম্পূর্ণ একমত। মেধাহীনতা প্রধান সমস্যা নয় - নীতিহীনতা এ জাতির প্রধানতম সংকট | (২)

৯| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৩৭

পদ্মপুকুর বলেছেন: মালয়েশিয়ায় মাহাথির মোহাম্মদ শাসনভার হাতে নিয়েই বিভিন্ন দেশে যেসব মালয়েশিয়ান ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, মেধাবী উদ্ভাবক কাজ করতেন, সবাইকে ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করে দেশে নিয়ে এসেছিলেন বলে কোথাও পড়েছিলাম। আমাদের এখানে উল্টোটা হয়।

প্রথমত মেধাবী স্টুডেন্ট হওয়ার চেয়ে রেজাল্ট ওরিয়েন্টেড স্টুডেন্ট হওয়াকে উৎসাহিত করা হয়। দ্বিতীয়ত, তারপর তার সামনে চাকুরির জৌলুসের মুলো ঝুলিয়ে দেয় এই সমাজ। এরপর তার পক্ষে আর বেশিদুর এগোনো সম্ভব হয় না।

১০| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:১০

নতুন বলেছেন: দেশে দূনিতি করা সহজ। জবাবদিহিতা নাই। দূনিতি এখন সিসটেম। তাই দুনিতি করা সহজ এবং অনেকেই সততার সাথে কাজ করতে চাইলেও পারেনা।

বিদেশে জবাবদিহিতা আছে, দূনিতি করে পার পাওয়া কস্ট তাই অনেকেই সেখানে নিয়ম মেনেই কাজ করে।

আমাদের দেশেও যদি দূনিতি বন্ধ করা যায় তবে মানুষ নিয়ম মেনেই কাজ করতে অভ্যাস হয়ে যাবে।

বাংলাদেশীরাও বিদেশে গিয়ে সততার সাথে নিয়ম মেনে কাজ করছে বিদেশীদের সাথে পাল্লা দিয়ে তাহলে দেশের সবাই নিয়ম মেনে সততার সাথে কাজ করতে পারে কিন্তু তার জন্য বিদেশে যেমন জবাব দিহিতা এবং নিয়ম মানার পদ্বতীগুলি আছে সেগুলি দেশে করতে হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.