নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে স্বপ্নে সমুদ্র পারি দেওয়া ছেলেটি জেগে উঠে দেখে সে মাত্র বিছানার এপাশ ফিরে ওপাশে শুয়েছে মাত্র

অমিত বসুনিয়া

পৃথিবীর মৃত্যু ঘটুক শূধু তৃনলতাগুলো বেড়ে উঠুক , ছুয়ে দিক নীল আকাশের ভ্রান্ত সীমানা ।

অমিত বসুনিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

অস্পষ্ট ভালোবাসা – ৪

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৫৫


দুই বন্ধু দ্বাড়িয়ে আছি বটগাছের নিচে । বটগাছের ঘনপাতা ফাক দিয়ে সুর্যের রশ্নি এসে গায়ে লাগছে , আর আমরা সিগারেট খাচ্ছি । আচ্ছা সিগারেট কি কেউ খায় ? সবাইতো সিগারেটের ধোয়া ফুস্ফুসে নেয় । তারপরেও আমরা বলি সিগারেট খাচ্ছি । কেন ? অবশ্য আমি একজনকে দেখেছি যিনি সিগারেট পানিতে ভিজিয়ে খায় । একটা সিগারেট ভিজিয়ে তাতে সামান্য বিট লবন মেখে নিয়ে খাওয়ার চেস্টা করা লাগবে । হঠাৎ সাদিকের কথায় আমি সম্বিৎ হলাম ।
- দোস্ত চল কিছু খাই । পেট টা ক্ষিদায় চো চো করছে ?
- আচ্ছা দোস্ত চো চো করছে , মানে কি ?
- মানে খুব ক্ষিদা লাগছে ।
- ওহ তাই বল , আমি ভাবলাম তোর পেট থেকে চো চো আওয়াজ বের হচ্ছে । কই যাবি ?
- চল মোকসেদ মিয়ার স্পেশাল পুরি খেয়ে আসি ।
মোকসেদ মিয়া হচ্ছে আমাদের এলাকার একমাত্র ভি আই পি হোটেলের মালিক । এনার দোকানের পুরি হচ্ছে আমাদের এলাকা বিখ্যাত । সবাই পুরির সাথে ডাল দিয়ে ডালপুরি বানায় , আর ইনি বানায় ডিম পুরি । প্রত্যেকটা পুরির ভেতরে সেদ্ধ ডিমের কুসুম দিয়ে দেয় ।
দুজনে খেতে বসলাম । আমি পুরিতে একটা কামড় দিলাম । কেমন যেন চুন চুন স্বাদ পেলাম । পুরিতে ভালো করে তাকিয়ে দেখি ডিমের খোসা !
ধুর ...... এমনিতেই ডিম ভাল্লাগে না, তার উপর ডিমের খোসা । আমি বসে বসে সাদিকের খাওয়া দেখছি । আচ্ছা ওর পুরির মধ্যে ডিমের খোসা বের হয় না ?
সে বলল ,
- কিরে খাচ্ছিস না কেন ?
- এমনি মামা , ক্ষিদা নাই । তুই খা ।
সাদিক খাওয়া শেষ করলো , আমরা দুইজনেই বের হইলাম । ততক্ষনে বেলা দুপুর হয়েছে , আমরা যে যার আবাসে চলে গেলাম । বাসায় এসে খেয়ে দেয়ে দিলাম ঘুম । এভাবেই রেগুলার রুটিনে চলছিলো জীবন । আমি প্রতিদিন এর মতো সেই বটগাছের নিচে এসে কিছুক্ষন দ্বাড়াই , চড়ুই পাখি দেখি আবার চলে আসি । একদিন দেখলাম চড়ুই পাখির বাসায় কিচির মিচির বাচ্চা পাখির শব্দ ! বাহহ ! তাহলে ডিম গুলো বাজ পাখির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে । আমি খুশি মনে বাসায় এসে দেখি সাদিক বসে আছে আমার ঘরে । সে বলল ,
- মামা চল আমাদের গ্রামের বাড়ি থেকে ঘুরে আসি ।

ভার্সিটিতে শীতকালীন ছুটি, তাই কোন কাজ কর্ম ও নাই আমিও রাজি হইলাম । সাদিকের বাসা গাইবান্ধা শহর থেকে কিছুদূরে ব্রহ্মপুত্র নদীর কাছে । ওর বাড়ি থেকে নদী নাকি ৮ মিনিট হাটার পথ । আর ওর গ্রামে নাকি মাছ পৃথিবীর সবচেয়ে সস্তা আর সুস্বাদু । এইসব গল্প সাদিক ভার্সিটির ফার্স্ট ইয়ারে ভর্তি পর পর ই আমাকে বলেছিলো । ভার্সিটিতে আমার সাথে সবার আগে পরিচয় হয় এই সাদিকের ।
ঠিক করলাম পরশু দিন শনিবার বের হবো । পকেটে টাকার কমতি ছিলো , আম্মুর কাছে কিছু টাকা নিলাম । শনিবার সকালে বের হলাম । কেবল আমার বাসার মেইন গেটে পা দিয়েছি , দেখি রিফাত ।
- দোস্ত কই জাস ?
- এই সাদিকের বাড়ি ।
রিফাত হচ্ছে আমাদের ব্যাচের সবচেয়ে ছ্যাছড়া পোলা গুলার একটা । ভার্সিটির প্রায় ১০০ টা মেয়েকে প্রোপোজ করেছে । এর পর্যন্ত ৮ বার মেয়ের হাতে জুতাপেটার , তিন বার বড় ভাইয়ের হাতে মার , অগনিত থাপ্পড় খেয়েছে । এই ছ্যাছড়া কে সাথে নিলে কেমন হয় ?
- আচ্ছা দোস্ত তুই আমাদের সাথে যাবি ।
- ওর এলাকায় মাইয়া কেমন মামা ?
- যাহ ব্যাটা তোর খালি ঐ এক প্যাচাল ।
রিফাত হাসতে হাসতে বলল ,
- আচ্ছা ঠিক আছে তুই ৩০ মিনিট ওয়েট কর আমি জাস্ট ব্যাগ টা গুছিয়ে নিয়ে আসছি ।
ও হ্যা রিফাতের বাসা আমার বাসা থেকে উত্তরে ৫ টা বাসা পরে । ওর বাবা রাজউক এর ইঞ্জিনিয়ার , তাই পকেটে সবসময় ভালোই পয়সা কড়ি থাকে । তাকে সাথে নেওয়ার পরোক্ষ কারন এই অর্থই হতে পারে ।
বাসার গেটে আমি দ্বাড়িয়ে দ্বাড়িয়ে আমি মোবাইলে ফেসবুক গুতাচ্ছি , দেখি সেই মেয়েটা যাকে আমি সেদিন নক করেছিলাম সে রিপ্লাই দিয়েছে ।
“ কে আপনি ? ”
আমি মেসেজ দিলাম , “আমি রুপক ”
আপনি কেমন আছেন .........
মেয়েটার সাথে চ্যাটিং করতেছি , ঠিক ১৩ মিনিটের মাথায় আসলো সাদিক , আর ৪৯ মিনিটে রিফাত । তিন জনে রওনা হলাম কমলাপুর রেল স্টেশন । ( ভাবছি আর দু তিন টা পার্ট লিখে গল্পটা সমাপ্ত করে দিবো )

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৫৯

আলো হীন চাঁদ বলেছেন: চলছে চলুক না++++

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:১৫

অমিত বসুনিয়া বলেছেন: সেটাও ঠিক

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.