নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে স্বপ্নে সমুদ্র পারি দেওয়া ছেলেটি জেগে উঠে দেখে সে মাত্র বিছানার এপাশ ফিরে ওপাশে শুয়েছে মাত্র

অমিত বসুনিয়া

পৃথিবীর মৃত্যু ঘটুক শূধু তৃনলতাগুলো বেড়ে উঠুক , ছুয়ে দিক নীল আকাশের ভ্রান্ত সীমানা ।

অমিত বসুনিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

পুস্টিকর ছ্যাকা ২

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩১


____________________________________________________
অদ্ভুত এক ছেলে রিমন । ক্লাস ভর্তি ছেলেপেলে হইচই করতেছে শুধু সে একা জানালার ধারে বসে আছে উদাস মনে । এক মনে তাকিয়ে রাস্তা দিয়ে যাওয়া লোকজন ও গাড়ি গুলোকে দেখছে । এতে যে সে কি মজা পাচ্ছে সে ছাড়া আর কেউ বলতে পারবে না ।এক্মাত্র মিউজিক ছাড়া কোন কিছুতেই তার ইন্টারেস্ট নাই । হঠাত তার কাজিন জেনি এসে তার এই উদাসীনতার মধ্যে ঝালমরিচ ঢেলে দিলো । এই রিমন তোর সাথে কথা আছে বাইরে আয় ।
- কি হইছে ?
- ঝালমুড়ি খাবি ।
- হইছে ম্যালা হইছে । শেষে আমারে দেখহাই দিয়া ঝালমুড়ি নিয়া পালাবি । দরকার নাই ঝালমুড়ি ।
- আরে না সত্যিই আমি খাওয়াবো ।
- ওহ । ঘটনা কি ?
- কিছু না ।
- প্যান প্যান বাদ দে খুলে বল ।
- আচ্ছা শোন , তোকে একজন পছন্দ করে ।
- যাহ ইয়ার্কি মারার টপিক খুজে পেলি না ।
- নাহ সত্যি বলছি ।
- আচ্ছা তোর ঝালমুড়ি খাওয়া লাগবে ?যা খাওয়াচ্ছি ; তারপরেও এইরকম আজাইরা প্যাচাল পারিস না ।
- তোর কসম আমি সত্যি কথা বলতেছি ।
-ধুর ।
রিমন আবার ক্লাসের দিকে হাটা শুরু করলো । হঠাত তার একটা কথা মনে পড়লো ।
এইতো সেদিনের কথা । সে তার এক বড় ভাইয়ের সাথে কথা বলছিলো
- ভাই আমার গানের মধ্যে মধ্যে ফিল আসে না । আমি ফিল আনতে চাই কি করবো ?
- একটা পুস্টিকর ছ্যাকা খা । দেখবি গান অটো বের হবে ।
ধুত ভাই কি না কি বলেন ।
আজকে সেই বড় ভাইয়ের কথাটাই বার বার মনের দেয়ালে ধাক্কা খেয়ে প্রতিধ্বনি হচ্ছে ।
সে ঠিক করলো প্রেম টা সে করবে । অন্তত পুস্টিকর ছ্যাকা খাওয়ার জন্য হলেও প্রেমটা সে করবে ।
পরদিন জেনির সাথে আবার স্কুলে দেখা ।
- এই জেনি শোন
- কি হইছে বল ।
- আচ্ছা মেয়েটা কে রে ?
- আচার কিনে দিবি ? তাহলে বলবো ।
-যা দরকার নাই ।
- আচ্ছা লাগবে না আচার । মেয়েটির নাম মৌ । সে তোর থেকে এক বছরে সিনিওর ।
- কি বলিস !
- হুম । নাম্বার লেখ ।
-এই নে ফোন সেইভ করে দে ।
- হয়ে গেছে । আমি গেলাম ।
- কই যাস আচার নিবি না ?
- আগে কথা বল । কাল্কেও নেওয়া যাবে ।
এভাবেই রিমন তার হাতে মৌ নামের এক বছরের সিনিওর মেয়ের নাম্বার পেলো । যে কি না রিমনের উপর ক্রাশ খেয়েছে । তারপর ফোন কথা প্রেম সবই হলো । যদিও রিমনের শুরু ছিলো পুস্টিকর ছ্যাকার লোভ মাত্র । কিন্তু কখন সেই পুস্টিকর ছ্যাকার লোভ টা পুস্টিকর ভালোবাসার লোভে পরিবর্তন হয়ে গেছে রিমন টেরই পেলো না ।
এখন তার মিউজিকের পাশাপাশি মৌ এর প্রতিও অন্যরকম ইন্টারেস্ট এসে গেছে ।
কি বিধির বাম !!!!
পুস্টি জিনিস্টা রিমনের সইলো না ।
মৌ কোন কারনে তার সাথে কথা বলা কমিয়ে দিলো । যেখানে আগে মৌ নিজে থেকে ফোন দিতো সেখানে এখন রিমন ফোন দেয় । আর মৌ দায়সাড়া ভাব দেখিয়ে কথা বলে ।
এভাবে কথা চলতে চলতে এক পর্যায়ে রিমন বুঝতে পারলো মৌ আর তাকে চাচ্ছে না ।
শেষ পর্যন্ত মৌ এভাবেই চালিয়ে গেলো যাকে প্রেম বলাও যায় না আবার পুরপুরি ছ্যাকাও বলা যায় না ।
রিমনের বহু দিনের সাধ পুস্টিকর ছ্যাকা তার আর খাওয়া হলো না ।
সারাজীবন পুস্টিহীনতায় ভুগেই গেলো ।
না পুস্টিকর ভালোবাসা পেলো , না পেলো পুস্টিকর ছ্যাকা ।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



সুবিধে হয়নি

২| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:০৯

জনৈক অচম ভুত বলেছেন: পুষ্টিকর ভালবাসার সৌভাগ্য না হলেও, লোকে অন্তত পুষ্টিকর ছ্যাকা খাওয়ার দুর্ভাগ্য নিয়ে জন্মায়। রিমনের দেখছি সেই দুর্ভাগ্যও নেই। মর্মান্তিক। :(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.