নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে স্বপ্নে সমুদ্র পারি দেওয়া ছেলেটি জেগে উঠে দেখে সে মাত্র বিছানার এপাশ ফিরে ওপাশে শুয়েছে মাত্র

অমিত বসুনিয়া

পৃথিবীর মৃত্যু ঘটুক শূধু তৃনলতাগুলো বেড়ে উঠুক , ছুয়ে দিক নীল আকাশের ভ্রান্ত সীমানা ।

অমিত বসুনিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

সুইসাইড পূর্ববর্তী ব্যাবস্থাপনা ( ২য় পর্ব )

২২ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৩

সিগারেট একটা করে টান দিচ্ছে আর ধোয়া শুন্যে ছেড়ে দিচ্ছে । ধোয়া গুলা কেমন পাক খেয়ে খেয়ে উপরে উঠে যাচ্ছে । যদি ক্যামেরা বন্দী করা যেত তাহলে বেস্ট এবস্ট্রাক্ট ফটোগ্রাফী গুলার একটা হতে পারতো । রাজন হাতের কাছে থাকা স্যামস্যাং টা দিয়া ট্রাই করবে ভাবতেছে হঠাৎ কে যেন পেছন থেকে পিঠে চাপড়ে দিলো । চাপড়ের চাপে হাতে থাকা মোবাইল ছিটকে পাকা রাস্তায় পিং পং বলের মত একবার লাফ দিলো। ডিস্প্লে টা কি ঠিক আছে ?
যাইহোক সে পেছনে ঘুরে দেখে সাজিদ ! তার ধার্মিক বন্ধু । তার দিকে একবার তাকিয়ে আবার মোবাইলের দিকে তাকালো । মোবাইল টা রাস্তায় শুয়ে মনের সুখে গান গাচ্ছে ,
ইয়ে মেরা দিল পেয়ার কা দিওয়ানা .....................
রাজন মোবাইল টা কুড়িয়ে আনতে গেলো এমন সময় পাশে থেকে একটা বাইক এসে ঠিক মোবাইলের বুকের উপর ল্যান্ড করলো !
মোবাইল টা গোঙ্গাতে গোঙ্গাতে বন্ধ হয়ে গেলো ............
রাজন সেদিকে তাকিয়ে আবার সিগারেটে একটা টান দিয়ে উপরের দিকে ধোয়া ছাড়ল । চায়ের দোকানদার , সাজিদ দুজনেই তার দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে । তাদের রাজন বলতেও পারছে না , যে ছেলেটা রাত্রে সুইসাইড করবে তার আর মোবাইলের কি দরকার ?
প্রথম শব্দ করলো চা ওয়ালা
- ইশশ মামা দিলেন তো মোবাইল টা ভেঙ্গে । ( বাইক চালকের উদ্দেশে )
বাইক চালক তখনো কিছুই টের পায় নাই । মনে হয় এই মাত্র গার্লফ্রেন্ডের সাথে ডেট করে আসলো যার রেশ এখনো কাটে নাই । মুখে হাসি হাসি ভাব টা লেগেই আছে ।
চা ওয়ালার কথায় সে অবাক হয়ে সাম্নের চাকার দিকে তাকিয়ে দেখে একটা মোবাইল এর চুর্ন সেখানে পড়ে আছে ।
সেখানে কিছুক্ষন বাক বিতন্ডা হবার পর রাজন সাজিদ কে নিয়ে সেখান থেকে চলে আসল যদিও সেখানে বাক বিতন্ডার পুরোটা হয়েছে সাজিদ , বাইক চালক আর চা ওয়ালার মধ্যে ।
কিছুদুর হেটে আসার পর দেখে রাজন দের পুরো ফ্রেন্ড দল সামনে দ্বাড়িয়ে ।
রাজন জিজ্ঞেস করলো
- কিরে তোরা কি করিস এইখানে ?
ওপাশ থেকে সজিব উত্তর দিল
- মাম্মা তোর মামীর অপেক্ষায় ?
- কোথাকার রে ? ( সাজিদ জিজ্ঞেস করলো )
- বলতে পারি যদি তুই আজকে আমাদের সবাইকে মুভি দেখাস
সাজিদ বললো ,
- ব্যাটা গার্লফ্রেন্ড হবে তোর আর মুভি দেখাবো আমি ?
ওইখানে কিছুক্ষন আড্ডার পর রাজন একাই যাচ্ছিলো সুপার মার্কেট এর দিকে ।
ঐখানে এক দোকান দার ৪৫০ টাকা পাবে , মরার আগে সেটা শোধ করে যাওয়া উচিত। এমনসময় সজিব দৌড়ে এসে বললো দোস্ত সন্ধায় এক্টূ আসিস তো আমার বাসা ।
-= ক্যান ?
বড় আপুকে দেখতে আসবে তো , আমি একা সবকিছু সামলাতে পারবো না ।
- আচ্ছা
রাজন সুপার মার্কেট এর ৪ তলায় ঊঠে মোবাইলের দোকান টায় গেলো গিয়ে দেখে দোকান বন্ধ ..................
চলবে

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.