নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে স্বপ্নে সমুদ্র পারি দেওয়া ছেলেটি জেগে উঠে দেখে সে মাত্র বিছানার এপাশ ফিরে ওপাশে শুয়েছে মাত্র

অমিত বসুনিয়া

পৃথিবীর মৃত্যু ঘটুক শূধু তৃনলতাগুলো বেড়ে উঠুক , ছুয়ে দিক নীল আকাশের ভ্রান্ত সীমানা ।

অমিত বসুনিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

সুইসাইড পূর্ববর্তী ব্যাবস্থাপনা ( ৩ য় পর্ব )

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:১৯


পাওনাদার দেনাদারের কাছে টাকা তুলতে ধরনা দেয় , রাজন একমাত্র দেনাদার যে কিনা দোকানদারের কাছে ধরনা দিচ্ছে ।
৪৫০ টাকা কিভাবে শোধ করবে ?
অনেক ক্ষন মাথা চুলকানোর পর মনে পড়লো , দোকান দারের মোবাইল নম্বর তার কাছে আছে । দিলো এক ফোন ,
- হ্যালো
- মামা আমি রাজন ।
- হ্যা মামা কি অবস্থা , কেমন আছো ?
- হ্যা মামা ভালো আছি । আচ্ছা মামা আমি আপনার টাকাটা নিয়ে আসছিলাম ।
- মামা আজকে তো দোকান খুলব না তুমি কালকে দিও ।
- না মামা আমার হাতে আবার টাকা থাকবে না আপনি আপনার বিকাশ নম্বর টা দিন ।
- এই নাম্বার র টাই আমার বিকাশ নাম্বার ।
- আচ্ছা মামা আমি এই নম্বরে পাঠাচ্ছি টাকা ।

দোকানদার মামা কে টাকা পাঠিয়ে দিলো রাজন । যাইহোক তার সুইসাইডের পথের একটা কাটা উপড়ে গেল ।
সুপার মার্কেট থেকে নিচে এসে দেখে প্রায় সন্ধ্যা হবার উপক্রম । আকাশ অদ্ভুত লাল আভায় পূর্ণ হয়েছে । এতো সুন্দর আকাশ সে কখনো দেখে নি । মৃত্যুর আগের মুহুর্তে নাকি সবকিছুই সুন্দর লাগে ।
রাজন পার্কে বসে আছে , শেষ বারের মত পিচ্চি মাসুদের কাছে বাদাম খেতে চায় ।
সে বসে বসে সিগারেট খাচ্ছে এক চা ওয়ালা এসে বলল , মামা চা খাবেন ।
অনিচ্ছা সত্ত্বেও বলল দাও ।
চা খেতে খেতে চাওয়ালা মামা কে জিজ্ঞেস করলো ,
- মামা দিনে তোমার কতোকাপ চা বিক্রি হয় ?
- মামা আপনাদের রহমতে ৭০০/৭৫০ কাপ ।
- বাহ ভালো তো , তাইলে তো দিনে তোমার ২/৩ হাজার টাকা কামাই হয় ?
- না মামা অতো হয় না, আবার হয় । ( গোপন কথা জিজ্ঞেস করাতে চাওয়ালা বিব্রত )

চাওয়ালাকে বিদায় করে সে বসে আছে । পাশে জুগল রা পাশাপাশি বসে রোমান্টীক লুতুপুতু প্রেম করছে । রাজন তাকিয়ে আছে সামনের গাছে থাকা ছোট্ট প্রজাপতির দিকে । সে আপন মনে এক ফুল থেকে আরেক ফুল গিয়ে বসে ফুলের ঠোটে চুম্বন দিয়ে আসতেছে ।

ঘন্টা খানেক অপেক্ষা করার পরেও পিচ্চি মাসুদ আসতেছে না দেখে রাজন পার্ক থেকে বের হয়ে আসলো । ততক্ষনে সন্ধ্যা ঘনিয়েছে । আকাশে চাঁদ আলো বিলানো শুরু করেছে । রাজনের মনে আছে , সজিবের বাসা যাওয়া লাগবে ।
সেখানে গিয়ে দেখে সবকিছু নীরব , সজিব এর রুমে গেলো ।
শূনলো যে লোক গুলো দেখতে আসার কথা তারা আর আসবে না ।
সজিবের বড় বোন শায়মা আপার এবার ও বিয়ে হলো না ।
মন খারাপ হয়ে গেলো তার , সজিব কে নিয়ে বাইরে আসলো ।
দুজনে চায়ের দোকানে চা খেতে খেতে সিগারেটে টান দিচ্ছে , দুজনের দৃষ্টিই শূন্যে থাকা বিধাতার দিকে .....................
চলবে

মন্তব্য ১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:০২

বিজন রয় বলেছেন: বেশ লাগছে কিন্তু।
+++

সাথে আছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.