নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাড্ডা ঢাকা

আমার ব্লগ বাড়িতে আপনাকে স্বাগতম

বাড্ডা ঢাকা

বেশি কথা কইয়েননা আমি রাজনীতি করি না আপনার সমস্যা কি । রাজাকারের বিচার একদিন না একদিন ঠিকই শেষ হবে ।

বাড্ডা ঢাকা › বিস্তারিত পোস্টঃ

অসুস্থ সিংহ ও খ্যাঁকশেয়াল আর হরিনের গল্পঃ

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:১০



এক অসুস্থ সিংহ অনেক দূর্বল হয়ে পড়েছে গুহা ছেড়ে নড়বার মতো ক্ষমতা বা শক্তি তার শরীলে নাই ।তাই সিংহ তার প্রিয় ও সব থেকে কাছের অনুচর শেয়ালকে বললো তুমি যদি আমাকে বাঁচিয়ে রাখতে চাও তাহলে এখনি তুমি বনে যাও আর বন থেকে বনের সবার বড় যে হরিণটা ওটাকে ভুলিয়েভালিয়ে কৌশলে আমার কাছে আনো ওর মাংস কলিজা খেতে পারলে আমি বেঁচে যেতাম ।

সিংহের কথা মতো শেয়াল হরিণের খোঁজে বনে গেল এবং বনের বড় হরিণকে পেয়ে গেল ।তখন শেয়াল হরিণকে দেখে তাকে বলতে লাগলো জানো ভাই তোমার জন্য আমি একটা সুখবর এনেছি । তুমিতো জানো আমাদের বনের মহা রাজ সিংহ অনেক অসুস্থ আর আমি তার গুহার কাছেই থাকি তা হয়ত এ যাত্রায় তিনি আর বাঁচবেন না ।

মহারাঁজ সিংহ মারা যাওয়ার পরে বনের রাজা হবে কে এ নিয়ে অনেক ভাবনায় ছিলেন মহারাজ । তিনি প্রথমে ভেবেছিলেন তিনি মারা যাওয়ার পরে শুয়োরকে দিবে রাজার পদ পরে আবার ভেবে দেখলেন না শুয়োরকে দেওয়া যাবে না ওর মাথায় গোবর ভরা ।ভেবেছিলেন ভালুককে দেবেন আবার ভেবে দেখলেন না ভালুক কুঁড়ের বাদশা আর চিতার মেজাজের কথাতো জানোই আর বাঘ হলো ভবঘুরে তাই মহারাজ সিংহ আমার সাথে অনেক সময় ধরে বুদ্ধি পরামর্শ করে শেষে এই চিন্তা করেছেন তিনি মরার পরে তুমি হবে বনের মহারাজ ।এর কারন হলো তুমি বেশ উঁচু আসো তোমার জম কালো চেহারা বাঁচবেও অনেকদিন তা ছাড়া তোমার শিং দুটো অনেক লম্বা তোমার সাপ দেখলে এমনেই পালাবে ।
সোজা কথা তিনি তোমাকেই বনের রাজা করে যাবেন ঠিক করেছেন ।

একটু বিরতি নিয়ে শেয়াল হরিণকে আবার বলা শুরু করলো শুনলে তো সব এখন এই সুখবরের জন্য আমায় কি দিবে তারাতারি দেও ।
একটু তারাতারি যা বলার বলো কারন এখনি আমায় ফিরতে হবে বলা যায় না কখনা আবার মহা রাজ পৃথিবী ছেড়ে বিদায় নিয়ে চলে যায় ।তা ছাড়া এই মুহুর্তে আমি ছাড়া মহারাজের কাছে আর কেউ নেই তাই উনি যাই করবেন আমার সাথে বুদ্ধি পরামর্শ করেই করবেন ।হরিণের সাথে শেয়াল কথা শেষ করে যখন চলে যাবেন তখন আবার শেয়াল হরিণকে বললো ও হ্যা শোন ভাই আরেকটি কথা যদি এই বুড়ো শেয়ালের যুক্তি ভাল মনে কর তাহলে আর দেরি করোনা এখনি আমার সাথে চলো ।গিয়ে মহা রাজ সিংহ না মরা পযন্ত তুমি তার পাশে থেকে সব কিছু বুঝে নেও ।

শেয়ালের মুখে সব কথা শুনে হরিণ মনে অনেক আনন্দ নিয়ে নয়া রাজার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে যেয়ে হাজির হলো সিংহের সামনে । সিংহ হরিণকে তার সামনে পাওয়ার সাথে সাথে বিশাল বড় এক থাবা দিলেন । সিংহের থাবা যেয়ে লাগলো হরিণের কানে । হরিণ ব্যচারা সিংহের থাবা খেয়ে কান ছিরে সিংহের গুহা থেকে দৌড়ে পালান ।সিংহ হরিণকে সামনে পেয়েও তাকে ধরে না খেতে পেরে অনেক রাগ করলেন।

বেশ কিছুক্ষন পরে আবার সিংহ শেয়ালকে ডেকে বললেন ওহে আরেকবার যাওনা ভাই দেখনা চেষ্টা করে আরেকবার ভুলিয়ে ভালিয়ে কোন ভাবে হরিণটাকে আমার কাছে আনতে পার কি না ।

শেয়াল সিংহকে বললো এবড় কঠিন কাজের দায়ত্ব আমায় দিচ্ছেন মহারাজ তবু এত করে বলছেন যখন দেখি চেষ্টা করে কোন ভাবে আনা যায় কি না ।

শেয়াল এই বলে লেজ নেড়ে শিকারী কুকুরের মতো হরিণকে খোঁজার জন্য বনে গেলেন । অনেক খোঁজার পরে হরিণকে তার
সামনে পেয়ে গেলেন । হরিণ ব্যচারা সে কি সিংহের থাবার কথা ভুলতে পারে । না পারেনা তাই হরিণ শেয়ালকে তার সামনে দেখে অনেক রাগ করলেন।বর্জ্জাত শেয়াল তুই আমাকে মিছে কথা বলে নিয়ে গেছিলি সিংহের কাছে মারার জন্য অনেক কষ্টে সেখান থেকে জীবন পালিয়ে এসেছি আবার তুই এসেছির । সাবধান বলে দিচ্ছি আর এক পাও সামনে এগুবি না এগুলে আমার লম্বা শিং দিয়ে গুটা দিয়ে তোর পেট ফুটা করে দিব ।

রাজা হওয়ার লোভ দেখাবি তো অন্য কাওকে দেখা । এখান থেকে দূর হ শয়তান ।

শেয়াল বললো ভাই তুমি এত ভিতূ এমন কাপুরুষ তা আমি আগে জানতাম না ।তা ছাড়া আমরা যারা তোমর কাছের বন্ধু তাদেরকে তুমি এত অবিশ্বাস ও সন্দেহ কর তাও আমার আগে জানা ছিল না ভাই ।

শোন ভাই হরিণ তোমায় আসল কথা বলি মহারাজ সিংহ তোমার কানে ধরছিল কেন জানো মহারাজ সিংহ চেয়েছিল সে মরার আগে তোমায় কিছু উপদেশ দেওয়ার জন্য ।
কি ভাবে রাজ্য চালানো শুরু করতে হবে এবং কিভাবে রাজ্য চালাতে হবে।

তাই সিংহ তোমার কান ধরেছিল আর তুমি ভিতুর মতো একটি রুগ্ন সিংহের নখের আঁচড় লাগতেই সেখান থেকে পালিয়ে এলে ।
তোমার দেখছি রাগ হয়েছে তোমার আর কতটুক রাগ হয়েছে তার থেকে বেশি রাগ হয়েছে মহারাজের তোমার উপরে তাই তিনি বলেছেন তোমায় আর রাজা বানাবেন না ।নেকড়েকেই নাকি রাজা করবেন ।শেয়াল একথা বলে কিছুক্ষন থেমে রইলেন ।

বেশ কিছুক্ষন পরে আবার শেয়াল বলতে লাগলো এবার বুঝে দেখ ভাই নেকড়ে বনের রাজা হলে আমাদের কি অবস্থা হবে ।
তাই বলছিলাম তুমি আর বেশি দেরি ও ভয় না পেয়ে এখনই চল তারাতারি আমি তোমাকে কথা দিচ্ছি কি বিশ্বাস হচ্ছে না এই নেও বনের যত তরু লতা গাছ পাতা ও পশু পাখি আছে তাদের সকলের নামে শপথ করে বলছি সিংহ তোমার বিন্দু মাত্র ক্ষতি করবে না ।

শেয়ালে মুখে এসব রামসামের কথা শুনে হরিণ ব্যাচারা সে আবারো রাজা হওয়ার স্বপ্ন ও মনে বাসনা নিয়ে সিংহের গুহায়
প্রবেশ করলেন । এবার সিংহ তৈরি হয়ে ছিল তাই এবার হরিণ যেই তার সামনে গেল ওমনেই তাকে ধরে মেরে ফেললো আর তার হাড় ও মাসগুলো মজা করে খেয়ে নিল ।

আর হরিণের দেহ থেকে কলিজাটা ছিটকে অন্য জায়গায় পড়লো শেয়াল এক ফাঁকে সেটাকে কুড়িয়ে নিজেই খেয়ে নিল আর মনে করলো ওটা শেয়ালের পাওনা ন্যায্য হক তার বোনাস ।

সব খাওয়া শেষে সিংহ হরিণের কলিজা খোঁজ করতে লাগলো পাগলের মতো । তখন শেয়াল সিংহকে বললো হুজুর শুধু ওটাকে খুজে মরছেন ওর কোন কলিজা ছিল না যে হরিণ একবার নয় দু দুইবার সিংহের থাবায় পড়ে তার কোন কলিজা থাকতে পারে ।

বিদ্রঃ লোভে পাপ আর বেশি পাপে মিত্যু অনির্বাজ।


মন্তব্য ১০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৩৬

তুষার কাব্য বলেছেন: লোভে পাপ আর বেশি পাপে মৃত্যু । ভালো লাগলো শিয়াল পণ্ডিতের গল্প।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৭:৩৭

বাড্ডা ঢাকা বলেছেন: কষ্ট করে পড়ার জন্য এবং মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

২| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৩০

নিলু বলেছেন: ভালো

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৭:৩৭

বাড্ডা ঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ

৩| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৬

এমএম মিন্টু বলেছেন: ওহ কি সুন্দর আপনার গল্প ।

লেখে চলুন গল্পে পিলাচ

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৭:৩৮

বাড্ডা ঢাকা বলেছেন: পিলাচের জন্য ধন্যবাদ ভাই এম এম মিন্টু

৪| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৩১

মামুন ইসলাম বলেছেন: ভাল গল্প ২য় ভাললাগা B-)

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৭:৩৮

বাড্ডা ঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ নিবেন

৫| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৬

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: দারুণ গল্প++++

ছোট বেলা খুব পড়তাম এ রকম গল্প গুলো।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৭:৪০

বাড্ডা ঢাকা বলেছেন: তাইতো আমাদের আবার ছোট বেলার কিছু স্মৃতি তুলে ধরা ধন্যবাদ ভাল থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.