নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাড্ডা ঢাকা

আমার ব্লগ বাড়িতে আপনাকে স্বাগতম

বাড্ডা ঢাকা

বেশি কথা কইয়েননা আমি রাজনীতি করি না আপনার সমস্যা কি । রাজাকারের বিচার একদিন না একদিন ঠিকই শেষ হবে ।

বাড্ডা ঢাকা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আসুন জেনে নিই হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের আদর্শ সমইয়কাল

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৪৯



আসুন জেনে নিই হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের আদর্শ সমইয়কাল

নতুন এক গবেষণায় দেখা গেল মানুষের হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের আদর্শ সময় নাকি সকাল ৬.৩০ ৷ বোস্টনের ব্রিগহ্যাম অ্যান্ড ওমেনস্ হেলথ অ্যান্ড অরিগন হেলথ অ্যান্ড সায়েন্স ইউনিভার্সিটি-র গবেষকেরা জানিয়েছেন, প্লাসমিনোজেন অ্যাক্টিভেটর ইনহিবিটর-১ (পিএআই-১) সকালের দিকে কার্ডিওভাসকুলার সমস্যার জন্য দায়ী ৷

প্রধান গবেষক ডা. ফ্র্যাঙ্ক স্কিহির জানিয়েছেন, ২৪ ঘণ্টার দিনপঞ্জির মধ্যে পিএআই-১ ভোর সাড়ে ৬টার সময়ই সর্বোচ্চ মাত্রায় থাকে ৷ সহকারী গবেষক ডা. স্টিভেন সিয়া জানিয়েছেন, হিইম্যান সার্কাডিয়ান সিস্টেমের জন্য ভোরের দিকে পিএআই-১ এর সংবহন উচ্চমাত্রায় থাকে ৷ এতে আচরনগত বা পরিবেশগত প্রভাব স্বাধীন অবস্থাতেই থাকে ৷

সম্প্রতি এই গবেষণাটি ব্লাড এর একটি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে



বেশি দুধ পান অকাল মৃত্যুরও কারণ হতে পারে



আমরা সকলেই জানি যে দুধ আমাদের শরীরের পক্ষে বেশ ভাল৷ এতে আছে ভরপুর ক্যালসিয়াম এবং আরও অনেক পুষ্টিকর উপাদান৷ ডাক্তাররা সবসময় পরামর্শ দেন যে বাড়ন্ত বাচ্চাদের দুধ খাওয়ানো উচিত৷ এবং নিজেদের শরীরের সক্ষমতা এবং শক্তি বাড়াতে আমরা অনেকেই খাবারের তালিকায় দুধ যোগ করি৷



কিন্তু সম্প্রতি একটি গবেষণায় দুধের সম্পর্কে এক অজানা তথ্য উঠে এসেছে৷ যা ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে৷ এই গবেষণাটিতে বলা হয়েছে যে, অতিরিক্ত পরিমাত্রায় দুধ খাওয়াটা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর স্বরূপ হতে পারে৷ সুইডিশ গবেষকরা বলছেন যে দিনে দুই থেকে তিন গ্লাসের বেশি দুধ খাওয়াটা আমাদের অকাল মৃত্যুরও কারণ হতে পারে!



এই গবেষণার গবেষকরা জানাচ্ছেন যে, দুধের এইরকম অদ্ভুত প্রভাবের কারণ হল অতিরিক্ত দুধ খেলে আমাদের শরীরে খুব বেশি পরিমাণ ল্যাকটোজ এবং গ্যালাকটোজ জমে যায়৷ আর এই উপাদানগুলোর জন্যই আমাদের শরীরে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস এবং ক্রনিক ইনফ্ল্যামেশন খুব বাড়িয়ে তোলে যা আমাদের হঠাৎ মৃত্যু বা অকাল মৃত্যুর কারণ হয়ে থাকে৷



তবে দুধ দিয়ে তৈরি চিজ, ইয়োগহার্ট আমাদের শরীরে হাড়ের সাস্হ্যের পক্ষে ভাল বলে প্রমানিত হয়েছে৷ এর কারণ হল এই খাবারগুলোতে বা দুধের দ্বারা তৈরি খাবারগুলোয় ফ্যাটের পরিমাণ বেশি থাকলেও ল্যাকটোজ এবং গ্যালাকটোজের পরিমাণ অনেকটাই কম থাকে৷ তাই তাঁরা সবাইকে একটাই পরামর্শ দিচ্ছেন যে দুধ খেলেও তা পরিমিত খান বেশি বা রোজ রোজ একদম নয়



নারীদের গর্ভনিরোধক পিল ব্যবহারের নিয়ম কানুন



নারীর জীবনের সবচেয়ে বড় পরীক্ষা হল গর্ভধারণ৷ এক্ষেত্রে অনেক সময়েই প্রযোজন পরে গর্ভনিয়ন্ত্রণের৷ আর গর্ভনিয়ন্ত্রণের জন্য নারীর একান্ত সঙ্গী কন্ট্রাসেপটিভ পিল৷ এই ধরণের পিল হল অত্যন্ত কার্যকরী গর্ভনিরোধক যাতে ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরন নামের দুটি হরমোন উপস্থিত থাকে৷



পিল গ্রহণের পদ্ধতি:



মাসিক ঋতুচক্রের পঞ্চম দিন থেকে এই পিল খাওয়া উচিত৷ যদি কোনও কারণে পিল খেতে ভুলে যান তবে পরের দিন একসঙ্গে দুটি পিল খাওয়া উচিত৷ এই ধরণের ওষুধে প্রথম তিন সপ্তাহের ওষুধ হল হরমোন পিল এবং শেষ সপ্তাহের ওষুধে থাকে কেবল মাত্র আয়রন৷ সেকারণে চতুর্থ সপ্তাহে পিরিয়ড হওয়াটাই স্বাভাবিক৷ নতুন পিলের প্যাকেট শুরু করা উচিত প্রতি চতুর্থ সপ্তাহে৷



সাউড এফেক্ট:



গর্ভনিরোধক পিলগুলি বর্তমানে যেভাবে তৈরি হয় তাতে তীব্র পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই৷ তবে তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে যদি অতিরিক্ত ব্লিডিং হয় তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন৷তবে যদি ব্রণের সমস্যা আগে থেকেই থাকে তবে ওরাল কন্ট্রাসেপটিভ উপকারি৷ এছাড়াও স্তনের স্ফীতি বা কোমর বেড়ে যেতে পারে৷ সেক্ষেত্রে পিল চলাকালীন সময়ে ব্যায়াম, সুষম আহার ও সমসময় ফিল গুড ইমোশন বজায় রাখা উচিত৷ জরায়ু, হার্ট বা কিডনির অসুখ থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তবেই পিল ব্যবহার করুন৷



চিকিৎসকেরা পরামর্শ দেন



চোখে ঝাপসা দেখা বা দেখার অসুবিধা, মাথাব্যথা, অস্বাভাবিক পায়ে ব্যথা, বুকে ব্যথা, কাশির সঙ্গে রক্ত বের হওয়া, তলপেটে ব্যথা, এই ধরণের উপসর্গগুলি দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন৷



পিলের উপকারিতা:



নিয়মিত পিল ব্যবহার করলে নারী দেহে বিভিন্ন ঝুঁকির অবসান ঘটে৷ এই পিল ব্যবহার করলে, ওয়ারিয়ান সিস্ট, অ্যানিমিয়া, আর্থারাইটিস, একটোপিক প্রেগনেন্সি, যৌনাঙ্গে প্রদাহজনিত রোগ ইত্যাদির সম্ভাবনা কমে যায়৷ এচাড়াও পিরিয়ড চলাকালীন অস্বস্তি, খিঁচুনি, যন্ত্রণা লাঘব করে৷ পিল খাওয়া বন্ধ করে দিলেই স্বাভাবিক নিয়মে গর্ভধারণ সম্ভব৷



সুন্নতে খাতনা নারীর এইডসের ঝুঁকি কমায়



খতনা করা পুরুষসঙ্গী নারীকেও প্রাণঘাতী রোগ থেকে দূরে রাখে৷ অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে শেষ হলো আন্তর্জাতিক এইডস সম্মেলন৷ ২০ দিনের এ সম্মেলনের শেষ দিনে এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, খতনা করেছেন এমন পুরুষের সঙ্গে মিলনে নারীর এইডসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে।



এক দল গবেষকের তৈরি করা এই প্রতিবেদনে আরো জানানো হয়, দক্ষিণ অ্যামেরিকার কয়েকটি দেশে তথ্যানুসন্ধান করে দেখা গেছে, যেসব নারী শুধু খতনা করা পুরুষদের যৌনসংসর্গে গিয়েছেন তাঁদের এইচআইভি সংক্রমণের হার যেসব নারী খতনা না করা পুরুষদের সঙ্গেও মিলিত হয়েছেন, তাঁদের তুলনায় কম৷



খতনা না করা পুরুষদের সঙ্গে মিলিত হলে নারীর এইডসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি শতকরা ১৫ ভাগ বেড়ে যায় বলেও নিবন্ধে উল্লেখ করা হয়৷



আন্তর্জাতিক এইডস সম্মেলনে ফরাসি গবেষক কেভিন জাঁ বলেন, (খতনা করার ফলে এইডসের) ঝুঁকি হ্রাসের মাত্রা বেশ কম মনে হলেও শুরু হিসেবে এটা কিন্তু কম নয়।



বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হিউম্যান ইমিউনোডেফিসিয়েন্সি ভাইরাস বা এইচআইভি-র সংক্রমণ কমানোর লক্ষ্যে পুরুষদের খতনাকে উৎসাহিত করে আসছে৷ ইসলাম এবং ইহুদী ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে এমনিতেই খতনার চল রয়েছে।



অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের মাঝেও পুরুষদের খতনার হার বাড়ছে৷ এইডস সম্মেলনে প্রকাশ করা নিবন্ধ অনুযায়ী খতনা করলে পুরুষের এইচআইভি সংক্রমণের আশঙ্কা ৫০ থেকে ৬০ ভাগ কমে৷ অন্যদিকে নারীর কমে শতকরা ১৫ ভাগ।

কনডম আসলে-ও কি পরিবেশবান্ধব



অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ রোধ এবং সেই সাথে নানা রকম STD-এর হাত থেকে বাঁচার জন্য বর্তমানে নানা রকম পদ্ধতিই প্রচলিত আছে। কিন্তু পরিবেশের সাথে তাদের সম্পর্ক কি বন্ধুসুলভ? নাকি পরিবেশ দূষণে তাদেরও হাত আছে? আর কথা না বাড়িয়ে চলুন এক্ষেত্রে ‘কনডম’ সম্পর্কেই জেনে নেয়া যাকঃ



জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য পুরুষেরা যেসব কনডম ব্যবহার করে থাকেন জনপ্রিয়তার দৌঁড়ে এদের অবস্থান ৩য় স্থানে। প্রথম দুটি স্থানে আছে যথাক্রমে গর্ভনিরোধক পিল এবং স্টেরিলাইজেশন পদ্ধতি। HIV/AIDS প্রতিরোধের আন্তর্জাতিক সংস্থা AVERT-এর তথ্যমতে, বিশ্বজুড়ে ২০০৫ সালে কেবলমাত্র পুরুষদের কনডমই বিক্রি হয়েছে প্রায় ১০.৪ বিলিয়নের মতো।



জন্মনিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে কনডমের জনপ্রিয়তা যে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে তা এই সংখ্যাটি দেখে নিঃসন্দেহে বলা যায়। আর সঠিকভাবে ব্যবহার করা গেলে অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ রোধে এদের সফলতার হার যেমন বেশি, তেমনি নানা রকম STD (Sexually Transmitted Disease) প্রতিরোধেও এরা বেশ কার্যকরী।



কনডম সাধারণত রবার জাতীয় গাছের গা থেকে নিঃসৃত এক ধরণের সাদা ঘন তরল নির্যাস(ল্যাটেক্স) থেকে তৈরী করা হয়। তবুও এটি পুরোপুরি প্রাকৃতিক নয়। কারণ দীর্ঘস্থায়িত্ব নিশ্চিত করার জন্য কনডমের সাথে ট্যাল্ক বা ক্যাসিন(এক ধরণের প্রোটিন)-এর মতো রাসায়নিক পদার্থ মেশানো হয়ে থাকে।



তবে কনডম তৈরীর জন্য যে রবার গাছের নির্যাসই একমাত্র মাধ্যম তা কিন্তু নয়। যেমন- অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ এবং STD রোধের ক্ষেত্রে পলিইউরিথেন কনডমও বেশ কার্যকর, তবে এদের তৈরী করা হয় প্লাস্টিক থেকে। ফলে বাজারে প্রচলিত অন্যান্য প্লাস্টিকের ব্যাগের(!) মতো এদের পচন প্রক্রিয়াও বেশ ধীর গতিতে হয়ে থাকে।



ভেড়ার অন্ত্র থেকে তৈরি করা ল্যাম্বস্কিন কনডম যদিও ল্যাটেক্স কনডমগুলোর তুলনায় দ্রুত পচনশীল, তবে STD প্রতিরোধের ক্ষেত্রে এরা অতটা কার্যকর নয়। ফলে এখানেও একটা সমস্যা থেকেই যাচ্ছে।



এক জরিপ থেকে জানা যায়, আমেরিকার একজন নাগরিক যেখানে বছরে গড়ে ১২০০ পাউন্ড আবর্জনা সঠিক নিয়মে ডাস্টবিনে ফেলেন, সেখানে কনডমের পরিমাণ ০.০০১ ভাগ মাত্র! ফলে জনপ্রিয়তা যত বেশিই হোক না কেন, সঠিক নিয়মে সঠিক জায়গায় না ফেলায় এগুলো পরিবেশের জন্য হুমকি হয়েই থেকে যাচ্ছে।



সবার শেষে বলা লাগে, একটি কনডম আসলে কোন ধরণের পদার্থ দিয়ে তৈরি এটি বড় কথা নয়। বরং ব্যবহারের পর এটি সঠিক জায়গায় ফেলা হচ্ছে কি না এটিই সবচেয়ে বড় ব্যাপার।



আপনি যদি ব্যবহারের পর এগুলো টয়লেটে ফ্ল্যাশ করে দেন, তাহলে এর ফলে সেখানকার পানির স্বাভাবিক প্রবাহ আটকে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হতে পারে। কারণ তখন সূর্‍্য, ব্যাকটেরিয়া এবং এরকম আরো নানাবিধ পচনে সহায়তাকারী উপাদানের অনুপস্থিতিতে পচন প্রক্রিয়া স্বাভাবিকের চেয়ে বেশ ধীরগতির হয়ে যায়।



তবে কনডমের কারণে পরিবেশ দূষণ কিন্তু শুধু এখানেই থেমে নেই। এগুলো ফ্ল্যাশ করার পর যখন নর্দমায় গিয়ে পড়ে, তখন এদের শেষ গন্তব্যস্থল হয়ে ওঠে কোন সমুদ্র। আর এই ঘটনা কতটুকু ভয়ংকর হতে পারে তা বোঝা যায় ২০০৯ সালে Worldwatch Institute নামক একটি অলাভজনক পরিবেশ বিষয়ক সংগঠন থেকে প্রকাশিত এক আর্টিকেল থেকে।



ওখানে লেখা ছিল, কেবল ২০০৯ সালে সারা বিশ্বজুড়ে ভলান্টিয়াররা সমুদ্র উপকূল থেকে প্রায় ২৬,০০০ পরিত্যক্ত কনডম সংগ্রহ করেছেন। আর সামুদ্রিক প্রাণীদের জন্য এগুলো মারাত্মক হুমকিস্বরুপ, বিশেষ করে তারা যখন এগুলো গলাধঃকরণ করে ফেলে তখন।



তাহলে এগুলো সঠিকভাবে ফেলার উপায় কি হতে পারে?

এ ব্যাপারে বলা হচ্ছে, সবচেয়ে ভালো হয় আপনি যদি ব্যবহারের এটি একটি কাগজে মুড়িয়ে ডাস্টবিনে ফেলে দেন। তাহলে বাকি কাজটুকু চলে যায় আবর্জনা পরিষ্কারের সাথে যুক্ত সরকারী সংস্থার হাতে, যার ফলে এদের সঠিক পচনের বিষয়েও মোটামুটি নিশ্চিত থাকা যায়।



এতক্ষণ আমরা যেসব কনডম নিয়ে আলোচনা করলাম সেগুলোকে তাদের পচনশীলতার উপর ভিত্তি করে নিম্নলিখিত গ্রেডে বিন্যস্ত করা হয়েছেঃ



ল্যাম্বস্কিন কনডমঃ B



ল্যাটেক্স কনডমঃ B



পলিইউরিথেন কনডমঃ C



কিন্তু অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারন রোধের জন্য তো আরো অনেক পদ্ধতিই আছে। পরিবেশের দূষণের ক্ষেত্রে তাদের প্রভাবই বা কতটুকু

পর্ণোগ্রাফী ধ্বংস করে আপনার সক্ষমতা





ইন্টারনেট পর্ণোগ্রাফি নিয়ে সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে যে; এটা দর্শকদের মাঝে এমন একটা অনূভবের সৃষ্টি করছে যে যথার্থ যৌন জীবনে উপযুক্ত সঙ্গীর সাথে তা উপভোগের ফল একেবারেই হতাশাব্যাঞ্জক । ইন্টারনেট পর্ণোগ্রাফ বিনোদনের মাধ্যমে এর দর্শক এবং তরুণ সমাজ এতটাই প্রভাবিত হচ্ছে যে, তারা প্রকৃত সঙ্গীর কাছাকাছি আসলে আর তেমন আকর্ষণ অনুভব করে না ।তাই যৌন অক্ষমতা এখন আর কেবল শেষ বয়েসী প্রৌঢ়দের মাঝেই সীমাবদ্ধ নেই, তরুণ প্রজন্মের ভেতরও প্রকট হতে শুরু করেছে – যার পরিণতি কখনোই শুভ হতে পারে না ।



সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা জার্নাল, ‘সাইকোলজি টুডে’তে একটি গবেষণাপত্রে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়; ইন্টারনেট পর্ণগ্রাফি এখন এতটাই স্বাভাবিক হয়ে গেছে যে, মাত্র বিশ বছরের তরুণ যুবকও প্রকৃত অর্থে স্বাভাবিক রকম যৌনাচরণ করতে পারছে না ।এর মূল কারণ কী ? -যারা পর্ণো দেখে তাদের যৌন উত্তেজনা তৈরিতে মস্তিষ্কে অস্বাভাবিক উত্তেজনার প্রয়োজন হয় যৌনবিজ্ঞানের ভাষায় একে বলা হয় “ডোপামাইন স্পাইক” ।কোন ব্যক্তি কোনোভাবে একবার এই উত্তেজনায় অভ্যস্ত হয়ে গেলে সাধারণ নারীতে সে আর তেমন উত্তেজনা বোধ করে না । অর্থাৎ মস্তিষ্ক আর আগের মত কাজ করে না ।ফলে তারা একধরণের নঃপুংশক পুরুষে পরিণত হতে থাকে ।



‘ন্যশনাল জিওগ্রাফি’তে তেমন কিছু ছবি দেখানো হয় যে; উন্নত বিশ্বের কিছু দেশে রুচি পরিবর্তিত (এখানে বিকৃত শব্দটা ইচ্ছা করেই ব্যবহার করলাম না)পুরুষরা বাস্তব নারীর সান্নিধ্যের পরিবর্তে কৃত্রিম ডলের সান্নিধ্যেই ঘর সংসার করছে । স্বাভাবিক বিবেচনায় উদ্ভট মনে হলেও এটা সত্য যে তারা বাজারে পাওয়া যায় এমন হরেক রকম কৃত্রিম নারী (ডল) কিনে এনে মানের মাধুরী মিশিয়ে প্রিয়তমার মতই তাদের সাজাচ্ছেন সেগুলোর সাথে বন্ধুত্ব করছেন, প্রেম করছেন, জীবন কাটাচ্ছেন । এটা কেবল রুচি বিকৃতির জন্যই নয় বরং ব্যক্তির চেতনার স্বরূপ, আর্থিক, মনঃস্তাত্বিক ও পেশাগত কারণেই ঘটছে।



গবেষণাপত্রের লেখিকা 'মারনিয়া রবিনসন' বলেন, যৌন উত্তেজক গল্প, ছবি কিংবা মুভি আগেও ছিল । কিন্তু হালে ইন্টারনেটে পর্ণগ্রফির সহজলভ্যতার কারণে এই ‘ডোপামাইন স্পাইক’ সীমাহীন পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। ফলে এর প্রভাব হবে আরো বেশি ভয়াবহ ও ক্ষতিকর। সম্প্রতি অনেক যুবকের ওপর গবেষণা করে প্রমাণ পাওয়া গেছে যে, তাদের উপর এই ‘ডোপামাইন স্পাইকে’র প্রভাব এতটাই বেশি যে, ইন্টারনেটের মাধ্যমে ক্রমাগত পর্ণ না দেখলে তারা কোনোরকম যৌন উত্তেজনাই অনুভব করতে পারেন না। কেউ যখন দেখতে পান তাদের স্বাভাবিক যৌন জীবন আর আগের মত স্বাভাবিক নেই তখন তারা হতাশ হয়ে পড়েন। পাশাপাশি অনেকেই জানেন না, ইন্টারনেট পর্ণোগ্রাফি এভাবে যৌন উত্তেজনাকে কমিয়ে ফেলতে পারে কিন্তু একবার তা জানার পর তারা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। তখন তা পূণঃরোদ্ধার করা খুবই কঠিন হয়ে পড়েন।



এই সমস্যা থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে লেখিকা ‘ব্রেনকে রিবুট’ করতে বলেছেন অর্থাৎ - পর্ণোগ্রাফি দেখা একদম বন্ধ করে দিয়ে কয়েক মাস পুরোপুরি বিশ্রাম নিতে হবে । তাহলে ব্রেন থেকে সেই অতি উত্তেজনাকর সিগনালগুলো দুর্বল হয়ে অপসৃত হতে হতে এক সময় সেই মানুষটিই আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতেও পারে । উঠতি বয়সী তরুণদের হাতে এখন কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট রয়েছে। অর্থাৎ পর্ণোগ্রাফি এখন ২৪ ঘণ্টাই তাদের হাতের নাগালে। আর ওই বয়সে একবার তাতে অভ্যস্ত হয়ে পড়লে পুরো জীবনের ওপর তার প্রভাব পড়তে বাধ্য

সব তথ্য এখানে পাবেন।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৫৮

হামিদ আহসান বলেছেন: হার্ট এটাকের অাদর্শ সময় ...........!!!!!!
:-P :-P

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:০৯

বাড্ডা ঢাকা বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আমার মনে হয় এখানে ভুল কিছু লেখা হয়নাই।

২| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:০৭

ভূতের কেচ্ছা বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম..........

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:১১

বাড্ডা ঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ ভূতের কিচ্ছা । আপনি ভালো আছেন । আর হ্যা জানার শেষ নেই ।আপনার কিছু জানা থাকলে তা শেয়ার করুন।

৩| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৫১

নিলু বলেছেন: সব ভালো তার , শেষ ভালো যার , লিখে যান

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:১৬

বাড্ডা ঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ।ভালো আছেন।

৪| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:২৩

এমএম মিন্টু বলেছেন: ভাল একটি তথ্যমূলক পোষ্ট দৃত্বীয় ভালো লাগা।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:১৭

বাড্ডা ঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ মিন্টু ভাই ।ভালো আছেন।

৫| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৫

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন:
যদি কোন সাইট বা বইয়ের তথ্যের ভিত্তিতে আপনি এই ফিচারটি লিখে থাকেন, তাহলে সেই নামগুলো সংযুক্তি যুক্ত করার ব্যাপারে অনুরোধ রইল।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:২৮

বাড্ডা ঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ কাবা ভাই আপনার কথা মত লিং দিয়ে দিলাম ।
তবে আমার মনে হয় এই পোষ্টটি নির্বাচিত পাতায় যাওয়ার উপযুক্ত পোষ্ট ।
আবারো ধন্যবাদ ভালো থাকবেন।

৬| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৩১

তুষার কাব্য বলেছেন: তথ্যমূলক পোষ্ট এ ভালো লাগা...

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:৫১

বাড্ডা ঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ ভালো থাকবেন।

৭| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৪:১৯

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: ভালো পোস্ট। অনেকগুলো বিষয় উঠে এসেছে আপনার পোস্টে।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:৫১

বাড্ডা ঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ ভালো থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.