নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নির্লিপ্ত সাদামাটা হাসোজ্জ্বল তবে দুটা জিনিসকে খুব খুব ঘৃণা করি। এক- নাস্তিক নামক যু্ক্তির অযৌ্ক্তিক বাক্স (প্রাণি)। দুই- রাজাকার নামক ছদ্মবেশি জানোয়ার

‍সাদ্দাম

আমরা রোবট না। আমরা কোন প্রোগামে বন্দি না, আমাদের আছে চিন্তার স্বাধীনতা। আমরা ২+২=১০০০ ও বলতে পারি। কে বাঁধা দিবে। তবে বিষয় টা হাস্যকর। রোবট এটা করবে না যতক্ষন না তাকে এই প্রোগ্রামে বন্দি করা না হবে। রোবটের জন্য চাই সুনির্দিষ্ট প্রোগ্রাম, সে অসাড়, যত পাওয়ার ফুলই হোক। মানুষ যত সিম্পল হোক সে অনেক শক্তিশালী। কারণ মানুষের স্রষ্টা আল্লাহ। তাই রোবটের মত কথা বা লেখালেখি করা ঠিক না। চিন্তার প্রসারণ ঘটান। যুক্তি দিয়ে চলা রোবটের কাজ মানুষের না। এখানেই মানুষের আর রোবটের পার্থক্য। যেমন যুক্তি দিয়ে ভালবাসা যায় না। যুক্তি দিয়ে কান্না করা যায় না। তেমনি যুুক্তি দিয়ে স্রষ্টা মানা যায় না।

‍সাদ্দাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

মঙ্গল নামা : ‘মঙ্গলীদের জন্য সুসংবাদ ‘!

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:২৬

প্রিয় মঙ্গলী ভাই ও বোনেরা, আপনাদের জন্য ভারী সুসংবাদ। আপনারা নিশ্চিন্তে থাকতে পারেন ! আপনাদের কাছে আর কখনোই ‘অমঙ্গল’ আসবেনা ! কারণ আপনারা মহান (!) 'মঙ্গল শোভাযাত্রা'য় শরীক হয়েছেন ! এই যাত্রায় শরীক হওয়ার পরও আপনাদেরকে অমঙ্গল ধরার আর কোন সাহসই ‘অমঙ্গলের’ নেই।

এখন থেকে চাইলে নাকে তেল দিয়ে ঘুমাতে পারেন, চাইলে আটলান্টিকের উত্তাল ঢেউয়ে ঝাপিয়ে পড়তে পারেন, চাইলে ‘আইফেল টাওয়ার’ কিংবা ‘কুতুব মিনারের’ উপর থেকে লাফিয়ে নিচে পড়তে পারেন ! আপনাদের ধারে কাছেও ‘অমঙ্গল’ আসতে পারবে না !। কারণ আপনারা মহান (!) এই 'মঙ্গল শোভাযাত্রার' বরযাত্রী হয়েছেন !

পেট ভরে মনে চাইলে ফরমালিন খেয়ে যান, বালি দ্বীপে মনের আনন্দে নগ্ন নৃত্য করে যান, নো টেনশন ! আপনাদেরকে জ্বিন-ভূতও ধরবে না, সাপ-বিচ্ছুও কাঁমড়াবে না, বাঘ-সিংহও তাড়া করবে না ! কারণ আপনারা মহান (!) 'মঙ্গল শোভাযাত্রায়' সঙ্গ দিয়েছেন !

এখন থেকে টাকা-পয়সার কোন অভাবই হবে না, উপছে পড়া ধনসম্পদ আসবে স্রোতের গতিতে, সুখ-শান্তির জীবনে কোন কমতিই হবে না ! কারণ আপনারা মহান (!) 'মঙ্গল শোভাযাত্রায়' বরকতময়(!) মুখোশ পরেছেন !

সংসারে সুখ-শান্তি আসবে ফর্ ফর্ করে, মান-সম্মান বৃদ্ধি পাবে তর্ তর্ করে, অশান্তি-গ্লানি মুছে যাবে গর্ গর্ করে। কারণ আপনারা মহান (!) 'মঙ্গল শোভাযাত্রায়' পূণ্যময় (!) সিন্দুর লাগিয়েছেন !

বাংলাদেশে আর অশান্তি থাকবে না, সকল অপশক্তির চৌদ্দ গোষ্ঠী বিনাশ হবে, সকল সন্ত্রাস সাড়ে তিন হাত মাটির নিচে দাফন হয়ে যাবে ! কারণ আপনারা মহান (!) 'মঙ্গল শোভাযাত্রায়' সীমান্তের ওপারের দেব-দেবীর নির্জীব ছবি মাথার উপর নিয়ে সার্বজনীন উৎসব বেরিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় তা পালন করেছেন !

বাঘ-ভাল্লুক আর মূর্তির মুখোশে আহা কি ‘তাছির’! কলকাতার নাচের আহা কি যে মাহাত্ম্য ! কপালে সিন্দুর আর ঢোলের বাজনার কি যে ফজিলত ! বাঁশির সুরের মাঝে কি যে ভরা এ্যাকশন ! অতীতের সকল গ্লানি ধুঁয়ে মুছে সাফ পরিষ্কার ! সামনে শুধুই শান্তি আর শান্তি !!

কিন্তু আমাদের যাদের মঙ্গল শোভাযাত্রায় যাওয়ার ‘নসীব’ হয় নাই। তাদের কি অবস্থা হবে গো !!??

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৩১

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: কি আর হবে সব অমঙ্গল বাসা বাধবে হাহাহাহাহ

আল্লাহ ভরসা -

২| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৭

মীর মোহাম্মদ উল্লাহ বলেছেন: ইসলাম হল জীবন বিধান (কোড অব লাইফ ); এটা শুধু কিছু নামাজ রোজা পালন করার নাম নয়। যুগে যুগে ইসলাম বিভিন্ন জাতির রীতি নীতি কে সংস্কার করে এসেছে। ইসলামের কোন ভৌগোলিক বাউন্ডারি নাই। মুসলমান হোক সে বাঙালি, আরবি, হিন্দুস্তানী কিংবা জাপানি; সবার জন্য সমান বিধান। ইসলাম কোনো জাতির নিজস্ব সংষ্কৃতিকে ততক্ষণ পর্যন্ত সমর্থন করে যতক্ষণ পর্যন্ত তা ইসলামের মৌলিক বিধানের সাথে সাংঘর্ষিক না হয়।
অন্যথায় উহা পরিত্যাজ্য। মঙ্গল শোভা যাত্রা যেখানে মঙ্গল কামনা করা হয় কিন্তু কার কাছে ? ইসলাম এক আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো কাছে প্রার্থনা করা শিরক যা সর্বসম্মত ভাবে পরিত্যাজ্য। তাছাড়া যে সমস্ত উপকরণ(মুখোশ, পশু পাখির প্রতিকৃতি ইত্যাদি ) দিয়ে তা সাজানো হয় তা ইসলাম কোনোভাবেই সমর্থন করেনা। মঙ্গল শোভাযাত্রা বাঙালির নিজস্ব সংষ্কৃতি হলেও তা ইসলাম সমর্থন করেনা।
তাই যারা বাঙালি মুসলিম দাবি করো, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের (স) উপর ঈমান রাখো তারা এই ধরণের অণুষ্ঠান থেকে সরে আসো।

আবারও বলি,
“ইসলাম কোনো জাতির নিজস্ব সংষ্কৃতিকে ততক্ষণ পর্যন্ত সমর্থন করে যতক্ষণ পর্যন্ত তা ইসলামের মৌলিক বিধানের সাথে সাংঘর্ষিক না হয়”
সুতরাং যেকোনো বাংগালি অনুষ্ঠান সেটা ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক না হলে আমার (এবং যে কোনো মুসলমানের ) অংশগ্রনে কোনো বাধা নাই বরং একজন বাঙালি হিসেবে আমার সমৃদ্ধ সংষ্কৃতি নিয়ে তৃপ্তই হবো।

৩| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৭

অতঃপর হৃদয় বলেছেন: :| :|

৪| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৯

মাহিরাহি বলেছেন: বাংলাদেশে কয়েক কোটি মানুষ পেট পুরে খেতে পায় না। বাংলাদেশের পথশিশুর সংখ্যা ৪০ লক্ষ। ঢাকার ১ কোটি ৩০ লক্ষ লোকের মধ্যে সত্তর-আশি লক্ষ মানুষ বস্তিতে অথবা সেমি-বস্তিতে বাস করে।

বাংলাদেশে লক্ষ লক্ষ মানুষ বিভিন্ন রোগে রোগাক্রান্ত। আন্তর্জাতিক শ্রম সংগঠনের (আইএলও) তথ্যমতে, বর্তমানে বাংলাদেশে বেকারের সংখ্যা প্রায় তিন কোটি।

বাংলাদেশে এখনো ৩ কোটি ৮৫ লাখ দরিদ্র মানুষ রয়েছে, যা মোট জনগোষ্ঠীর ২৪ দশমিক ৪৭ শতাংশ। দেশে অতিদরিদ্র মানুষের সংখ্যা ১ কোটি ৫৭ লাখ, যা মোট জনগোষ্ঠীর ১০ দশমিক ৬৪ শতাংশ।

ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যতম দুর্যোগ প্রবণ দেশ। ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, খরা, জলাবদ্ধতা, নদী ভাঙন, নদীর নাব্য হ্রাস, টর্নেডো ও ফসলি জমিতে লবণাক্ততা বৃদ্ধি ইত্যাদি কারণে মানুষের জীবন ও জীবিকা প্রতিনিয়ত হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে। বিশ্বের সবচাইতে দূষিত শহরের তালিকায় আছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার নাম।। সেই সঙ্গে আছে বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরও।

বড় একটা ভুমিকম্পের ঝুকিতে আছে ঢাকা।

তারপরও ভন্ডদের ভন্ডামি দিন দিন বাড়তাছে।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৩

‍সাদ্দাম বলেছেন: “তারপরও ভন্ডদের ভন্ডামি দিন দিন বাড়তাছে।“
কাকে দিলেন বুঝলাম না, ওকে আমিই ব্যাখ্যা করি বুঝার জন্য।
ভন্ড বলতে কাকে বুঝালেন সেটা অস্পষ্ট। তবে আপনার উপরের এত সংকটের সাথে যদি মিলিয়ে দেখি তবে বলতে হয় মঙ্গলীরা এখন তো রাষ্ট্রীয় খরচায় শুরু করছে ছাগল মার্কা কুযাত্রা। উপরের এত সংকটের পর হিসাব লাগালে এই কুযাত্রা সরকারী ও বেসরকারী ভাবে কয়েক হাজার কোটি টাকা খরচ হয়। যা দিয়ে উপরের একটা সংকট হলেও মোচন করা যেত। প্রতি বছরের টাকা দিয়ে সংকট কাটিয়ে উঠা যেত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.