নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নির্লিপ্ত সাদামাটা হাসোজ্জ্বল তবে দুটা জিনিসকে খুব খুব ঘৃণা করি। এক- নাস্তিক নামক যু্ক্তির অযৌ্ক্তিক বাক্স (প্রাণি)। দুই- রাজাকার নামক ছদ্মবেশি জানোয়ার

‍সাদ্দাম

আমরা রোবট না। আমরা কোন প্রোগামে বন্দি না, আমাদের আছে চিন্তার স্বাধীনতা। আমরা ২+২=১০০০ ও বলতে পারি। কে বাঁধা দিবে। তবে বিষয় টা হাস্যকর। রোবট এটা করবে না যতক্ষন না তাকে এই প্রোগ্রামে বন্দি করা না হবে। রোবটের জন্য চাই সুনির্দিষ্ট প্রোগ্রাম, সে অসাড়, যত পাওয়ার ফুলই হোক। মানুষ যত সিম্পল হোক সে অনেক শক্তিশালী। কারণ মানুষের স্রষ্টা আল্লাহ। তাই রোবটের মত কথা বা লেখালেখি করা ঠিক না। চিন্তার প্রসারণ ঘটান। যুক্তি দিয়ে চলা রোবটের কাজ মানুষের না। এখানেই মানুষের আর রোবটের পার্থক্য। যেমন যুক্তি দিয়ে ভালবাসা যায় না। যুক্তি দিয়ে কান্না করা যায় না। তেমনি যুুক্তি দিয়ে স্রষ্টা মানা যায় না।

‍সাদ্দাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

রজব মাসের ফযিলত, রোজা রাখা ও আমল (পর্ব ১)

২২ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:১১


দ্বিতীয় পর্ব তৃতীয় পর্ব
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আল্লাহ তাআলার নিকট চারটি মাস বিশেষভাবে সম্মানিত। সুতরাং আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন- (কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ)


নিশ্চয় মাসগুলোর সংখ্যা আল্লাহর নিকট বার মাস, আল্লাহর কিতাবের মধ্যে, যখন থেকে তিনি আসমান ও জমীন সৃষ্টি করেছেন। তন্মধ্যে চারটা সম্মানিত। এটাই সহজ সরল দ্বীন। তাই এ মাসগুলোর মধ্যে নিজেদের আত্মাগুলোর উপর যুলুম করো না এবং মুশরিকদের বিরুদ্ধে সর্বদা যুদ্ধ করো, যেমনিভাবে তারা তোমাদের বিরুদ্ধে সর্বদা যুদ্ধ করে এবং জেনে রেখো যে, আল্লাহ খোদাভীরুদের সাথে রয়েছেন। (পারা-১০, সূরা-তওবা, আয়াত-৩৬)

প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! এই আয়াতে করিমায় চন্দ্র মাসের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যার হিসাব চাঁদের মাধ্যমে হয়ে থাকে। আহকামে শরীআতের ভিত্তিও চন্দ্র মাসের উপর। যেমন-রমযানুল মুবারকের রোযা, হজ্জের বিধান সমূহ ইত্যাদি। সাথে সাথে ইসলামী আচার অনুষ্ঠান, কৃষ্টি কালচার যেমন ঈদে মিলাদুন্নবী ﷺ ঈদুল ফিতর, ঈদুল আযহা, শবে মেরাজ, শবে বরাত, গিয়ারভী শরীফ, বুযুর্গানে দ্বীনের ওরশ সমূহ ইত্যাদিও চন্দ্র মাসের হিসাব অনুযায়ী উদযাপন করা হয়ে থাকে। আবার সূর্যের হিসাবও রয়েছে। যেমন নামাযের ওয়াক্ত নির্ধারণ

আফসোস! আজকাল যেখানে মুসলমানগণ অসংখ্য সুন্নাত থেকে দূরে ছিটকে পড়ছে সেখানে ইসলামী ইতিহাস ঐতিহ্যের ব্যাপারে অজ্ঞ ও অসচেতন হয়ে যাচ্ছে। এক লক্ষ মুসলমানের মধ্যে যদি এই প্রশ্ন করা হয় যে “বলুন, আজ কোন হিজরীর কোন মাসের কত তারিখ?” হয়ত তখন সর্বোচ্চ একশত মুসলমান হবে যারা কষ্ট করে সঠিক উত্তর দিতে পারবে। পূর্বে উল্লেখিত আয়াতের ব্যাখ্যায় হযরত সায়্যিদুনা সদরুল আফাযিল মওলানা নঈমুদ্দীন মুরাদাবাদী رحمة الله عليه খাযাইনুল ইরফানে বর্ণনা করেন, (চার পবিত্র মাস দ্বারা উদ্দেশ্য) তিনটি লাগাতার জিলক্বদ, জিলহজ্জ, মুহাররাম, আর একটি পৃথক রজব। আরবের লোকেরা জাহেলী যুগেও এই মাস গুলোতে যুদ্ধ বিগ্রহ হারাম হিসেবে জানত। ইসলামেও এই মাসগুলোর শান মান ও গুরুত্ব বৃদ্ধি করা হয়েছে। (খাযাইনুল ইরফান, পৃ. ৩০৯)

ঈমান আলোকিতকারী ঘটনা

হযরত সায়্যিদুনা ঈসা রুহুল্লাহ عليه السلام এর সময়ের ঘটনা, এক ব্যক্তি দীর্ঘদিন থেকে কোন এক মহিলার প্রেমে আসক্ত ছিল। একদা তিনি তার প্রেমিকাকে নাগালে পেয়ে গেলেন। তখন মানুষের কথাবার্তা থেকে তিনি অনুমান করতে পারলেন যে, মানুষেরা চাঁদ দেখছে। তখন ঐ ব্যক্তি সে মহিলাকে জিজ্ঞাসা করল, মানুষেরা কোন মাসের চাঁদ দেখছে? ঐ মহিলা উত্তর দিল “রজবের চাঁদ।”

ঐ ব্যক্তি কাফির হওয়া সত্ত্বেও যখনই রজব মাসের নাম শুনল সাথে সাথে (রজবের) সম্মানার্থে ঐ মহিলা থেকে পৃথক হয়ে গেলেন ও যিনা থেকে বিরত রইলেন।
হযরত সায়্যিদুনা ঈসা রুহুল্লাহ عليه السلام এর প্রতি নির্দেশ আসল যে আমার অমুক বান্দার সাক্ষাৎ করতে যান। তখন তিনি তার কাছে তাশরীফ নিয়ে গেলেন এবং আল্লাহ তাআলার নির্দেশ ও নিজের আগমনের কথা বর্ণনা করলেন। এই কথা শুনতেই তার অন্তর ইসলামের নূরে আলোকিত হয়ে গেল এবং দ্রুত ইসলাম গ্রহণ করল। (আনিসুল ওয়ায়েজীন, পৃ-১৭৭)

প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আপনারা রজবের বাহার শুনলেন তো! রজবুল মুরাজ্জবের সম্মান করে এক কাফিরের ঈমানের দৌলত নসীব হয়েছে। তাহলে যে ব্যক্তি মুসলমান হয়ে রজবুল মুরাজ্জবের সম্মান করবে জানিনা তার পুরস্কার কি হতে পারে! মুসলমানদের উচিত রজব মাসকে অত্যন্ত সম্মান করা। কুরআনে পাকেও হারাম মাস সমূহে স্বীয় আত্মার উপর অত্যাচার করতে নিষেধ করেছেন। যেমন-

কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ -

(তোমরা) এ মাসগুলোর মধ্যে নিজেদের আত্মাগুলোর উপর জুলুম করো না।”

এই আয়াতের ব্যাখ্যায় রয়েছে-“অর্থাৎ বিশেষ করে ঐ চার মাস সমূহে গুনাহ করবে না যেহেতু এতে গুনাহ করা মানে নিজের উপর জুলুম করা অথবা পরস্পরে একে অপরের উপর জুলুম করো না। (নুরুল ইরফান, পৃ-৩০৬)

দুই বছরের (ইবাদতের) সাওয়াব


হযরত সায়্যিদুনা আনাস رضى الله عنه থেকে বর্ণিত আছে যে, নবীদের সরদার, শাহান শাহে আবরার, হযরত মুহাম্মদ ﷺ এর সুগন্ধময় বাণী হচ্ছে, “যে ব্যক্তি হারাম মাসে তিন দিন বৃহস্পতিবার শুক্রবার এবং শনিবার সাপ্তাহিক রোযা রাখবে, তার জন্য ২ বছরের ইবাদতের সাওয়াব লিখে দেওয়া হবে। (মাযমাউয যাওয়ায়েদ, খন্ড-৩য়, পৃ-৪৩৮, হাদীস নং-৫১৫১)

রজবের বাহার সমূহ

হুজ্জাতুল ইসলাম হযরত সায়্যিদুনা ইমাম মুহাম্মদ গায্যালী رحمة الله عليه ‘মুকাশিফাতুল কুলুব’ কিতাবে লিখেছেন, রজব(رَجَب) শব্দটি মূলত তারজীব (تَرجِيب) থেকে উৎপত্তি তার অর্থ “সম্মান” করা। উহাকে আল আছীব (الاصيب) সবচেয়ে গতিময় বন্যা বলা হয়। এই জন্য যে এই মুবারক মাসে তওবাকারীদের উপর রহমতের বন্যা বয়ে যায়। আর ইবাদতকারীদের উপর কবুলিয়তের ফয়েয বর্ষণ হয়।

আবার এই মাসকে আল আছম (الاصم) তথা বধিরও বলা হয় কেননা এই মাসে যুদ্ধ বিগ্রহের আওয়াজ মোটেই শুনা যায় না। আবার একে রজবও বলা হয়, যেহেতু জান্নাতের একটি নদীর নাম রজব রয়েছে যার পানি দুধের চেয়েও সাদা, মধুর চেয়েও মিষ্টি এবং বরফের চাইতে ঠান্ডা। এই নদী থেকে সে-ই পান করতে পারবে যে রজব মাসে রোজা রাখবে। (মুকাশাফাতুল কুলুব, পৃ-৩০১, দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যাহ, বৈরুত)

গুনিয়াতুত তালেবীন এ উলে−খ আছে যে, এই মাসকে শাহরো রজম (شَهرُ رَجَم) তথা পাথরের মাসও বলা হয়। কেননা এ মাসে শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ করা হয়। যাতে শয়তান মুসলমানদেরকে কষ্ট দিতে না পারে। এই মাসকে আসম (اَصَم) তথা বধিরও বলা হয় কেননা এ মাসে কোন জাতীর উপর আল্লাহ তা’আলার শাস্তি অবতীর্ণ হতে শুনা যায়নি। আল্লাহ তা’আলা আগের উম্মতগণকে এ মাস ছাড়া অন্য সব মাসে শাস্তি দিয়েছেন। (গুনিয়াতুত তালেবীন, পৃ-২২৯)

বীজ বপনের মাস


হযরত সায়্যিদুনা আল্লামা ছাফওরী رحمة الله عليه ইরশাদ করেন, রজব মাস বীজ বপনের, শাবান পানি দ্বারা সেচ দেয়ার ও রমযান ফসল কাটার মাস।

এজন্য যে ব্যক্তি রজব মাসে ইবাদতের বীজ বপন করবে না, আর শাবান মাসে চোখের পানি দ্বারা সেচ দেবেনা, সে রমযান মাসে রহমতের ফসল কিভাবে কাটবে? তিনি আরো বলেন, রজব মাস শরীরকে, শাবান মাস হৃদয়কে এবং রমযান মাস আত্মাকে পবিত্র করে দেয়। (নুযহাতুল মাযালিস, খন্ড-১ম, পৃ-১৫৫)

পাঁচটি বরকতময় রাত

হযরত সায়্যিদুনা আবু উমামা رضى الله عنه থেকে বর্ণিত যে, নবীয়ে করিম, রাউফুর রহীম হযরত মুহাম্মদ ﷺ এর মহান বাণী হচ্ছে, পাঁচটি এমন রাত রয়েছে যেগুলোতে দু’আ ফিরিয়ে দেয়া হয় না।

(১) রজবের প্রথম রাত,
(২)শাবানের ১৫ তারিখের রাত
(৩) বৃহস্পতিবার ও শুক্রবারের মধ্যবর্তী রাত
(৪) ঈদুল ফিতরের রাত,
(৫) ঈদুল আযহার রাত।

(আল জামেউস সগীর, পৃ-২৪১, হাদীস নং-৩৯৫২)

হযরত সায়্যিদুনা খালিদ বিন মি’দান رضى الله عنه বর্ণনা করেন, বছরে ৫টি রাত এমন রয়েছে যে, যে ব্যক্তি এগুলোকে বিশ্বাস করে, সাওয়াবের নিয়্যতে ঐ রাতগুলোকে ইবাদত বন্দেগীতে অতিবাহিত করে তবে আল্লাহ তা’আলা তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।
(১) রজবের ১ম রাত। এই রাতে ইবাদত করবে ও দিনে রোজা রাখবে।
(২), (৩) দুই ঈদের (তথা ঈদুল ফিতর ও আযহার) রাত। (এই দুই রাতে ইবাদত বন্দেগী করবে কিন্তু দিনে রোজা রাখবে না। দুই ঈদের দিন রোযা রাখা জায়েয নেই।)
(৪) ১৫ই শাবানের রাত। এই রাতে ইবাদত করবে ও দিনে রোজা রাখবে।
(৫) আশুরার রাত (তথা মুহাররামূল হারামের ১০ তারিখ রাত)। ঐ রাতে ইবাদত করবে ও দিনে রোযা রাখবে।

(গুনিয়াতুত তালেবীন, পৃ-২৩৬, দারুল ইহইয়াউত তুরাসিল, আরবী বৈরুত)


লিখাটি রমযানের ফযিলত নামক কিতাবের ৩৭৯-৩৯৮ পৃষ্ঠা হতে সংগৃহীত। মাকতাবাতুল মদিনা থেকে কিতাবটি নিজের জন্য কিনুন, রমযানে অন্যকে উপহার দিন। যারা মোবাইলে কিতাবটি পড়তে চান তারা ফ্রি ডাউনলোড দিন

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:১১

Al Rajbari বলেছেন: অনেক সুন্দর পোস্টের জন্য, ধন্যবাদ.!

২২ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:০৭

‍সাদ্দাম বলেছেন: ধন্যবাদ :#)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.