নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এই ঘরটির জন্য আমরা কোন স্পেশাল ক্যারেক্টার / ইমোটিকন গ্রহন করছি না।\nশুধুমাত্র সংখ্যা ও যে কোন সাধারন ক্যারেক্টার ব্যবহার করুন।\n

আমি মিন্টু

আমি মিন্টু › বিস্তারিত পোস্টঃ

আপনি কি আবুল ফজল ইবনে মুবারাক এর ঘটনা জানেন !

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:০১


আবুল ফজল আকবরকে আকবরনামা উপহার দিচ্ছেন মুঘল মিনিয়েচার
আবুল ফজল ইবন মুবারক ছিলেন মুঘল সম্রাট আকবরের একজন প্রধানমন্ত্রী । তিনি আবুল ফজল ও আবুল ফদল এবং আবুল ফদল আল্লামি নামেও অনেকের কাছে সুপরিচিত । আবুল ফজল ইবন মুবারক তিন খণ্ডে রচিত আকবরের রাজত্বকালের সরকারি ইতিহাস গ্রন্থ আকবরনামা ও উক্ত গ্রন্থের তৃতীয় খণ্ড আইন ই আকবরি এর রচয়িতা এবং বাইবেলের একটি ফার্সি অনুবাদের অনুবাদক। পারিবারিক সূত্রে তিনি ছিলেন আকবরের সভাকবি ফৈজির কনিষ্ঠ ভ্রাতা। আবুল ফজল ছিলেন রেল সিন্ধ নিবাসী শেখ মুসার অধস্তন পঞ্চম পুরুষ। তার পিতামহ শেখ খিজির নাগৌরে বসতি স্থাপন করেছিলেন। এখানেই আবুল ফজলের পিতা শেখ মুবারকের জন্ম হয়। প্রথম দিকে শেখ মুবারক নাগৌরে খ্বাজা আহররের নিকট পঠনপাঠন করেন। পরে তিনি আহমদাবাদে গিয়ে শেখ আবুল ফজল শেখ উমর এবং শেখ ইউসুফের কাছে পড়াশোনা করেছেন। পরে তিনি আগ্রায় বসতি স্থাপন করেন। সেখানেই তার জ্যৈষ্ঠ পুত্র শেখ ফৈজি এবং কনিষ্ঠ পুত্র আবুল ফজলের জন্ম হয়।১৫৭৫ সালে আবুল ফজল আকবরের রাজসভায় আসেন। ১৫৮০সাল এবং ১৫৯০সাল এর আকবরের মতাদর্শে যে উদারনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি পরিলক্ষিত হয়েছিল তার পশ্চাতে আবুল ফজলের একটি প্রভাব কার্যকরী ছিল। আবুল ফজল দাক্ষিণাত্যে মুঘল সেনাবাহিনীরও নেতৃত্ব দান করেছিলেন।

আকবরের রাজসভা আকবরনামা গ্রন্থের পুথিচিত্র
জানা যায় আবুল ফজল যুবরাজ সেলিমের সিংহাসনে আরোহণের বিরোধিতা করেছিলেন। সেই কারণেই সেলিমের ষড়যন্ত্রে নারওয়ারের নিকট সরাই বীর এবং অন্ত্রীর মধ্যবর্তী কোনো এক স্থানে বীর সিংহ বুন্দেলার হস্তে তিনি নিহত হয়েছিলেন। তার ছিন্ন মস্তক এলাহাবাদে সেলিমের নিকট পাঠানো হয়েছিল। আবুল ফজলকে অন্ত্রীতে সমাধিস্থ করা হয়। উল্লেখ্য আছে যে আবুল ফজলের ঘাতক বীর সিংহ বুন্দেলা পরে ওরছার শাসক হয়েছিলেন এবং ১৬০২ সালে যুবরাজ সেলিম জাহাঙ্গির নাম ধারণ করে মুঘল সিংহাসনে আরোহণ করেছিলেন। পরে ১৬০৮ সালে জাহাঙ্গির আবুল ফজলের পুত্র শেখ আবদুর রহমান আফজল খানকে বিহারের শাসনকর্তা নিযুক্ত করেছিলেন।
আকবরনামা ছিল তিন খণ্ডে রচিত আকবরের শাসনকাল এবং তার পূর্বপুরুষদের ইতিহাস। সেই গ্রন্থে তৈমুর থেকে হুমায়ুন পর্যন্ত আকবরের পূর্বপুরুষদের জীবনকথা এবং আকবরের রাজত্বকালের ৪৬ বছরের ১৬০২ সাল পর্যন্ত বিবরণী লিখিত আছে। আইনই আকবরি নামে আকবরের সাম্রাজ্যের একটি প্রশাসনিক প্রতিবেদনও ওই গ্রন্থে সংযোজিত হয়েছে। আইনই আকবরি গ্রন্থ থেকে লেখকের জীবন ও পুর্বপুরুষদের একটি বর্ণনাও পাওয়া যায় । আইনই আকবরি গ্রন্থে আকবরের রাজত্বকালের ৪২ বছরের সম্পূর্ণ এবং ৪৩তম বছরের বেরার জয় পর্যন্ত ইতিহাস লিখিত রয়েছে ।রাকাত বা রাকাত ই আবুল ফজল হল মুরাদ, দানিয়াল, আকবর, মারিয়াম মাকানি, সেলিম জাহাঙ্গির, আকবরের রানি ও কন্যাগণ, তাঁর পিতা, মাতা, ভ্রাতৃগণ এবং একাধিক সমসাময়িক বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে লিখিত আবুল ফজলের পত্রাবলি। এই গ্রন্থটি সম্পাদনা করেন তার ভাগিনেয় নুর আল দিন মুহাম্মদ।ইনশাই আবুল ফজল বা মক্তবাৎই আল্লামি হল আবুল ফজল কর্তৃক লিখিত সরকারি প্রতিবেদনের সংগ্রহ। সেই গ্রন্থ দুটি খণ্ডে বিভক্ত। প্রথম খণ্ডে তুরানের আবদুল্লাহ খান উজবেগ ও পারস্যের শাহ আব্বাস এবং খান্দেসের রাজা আলি খান, আহমদনগরের বুরহান উল মুলক ও আবদুর রহিম খান খানান নিজ অভিজাতবর্গকে লিখিত আকবরের পত্রাবলির সংকলন। দ্বিতীয় খণ্ডে রয়েছে আকবর, দানিয়েল, মির্জা শাহ রুখ এবং খান খানানকে লিখিত আবুল ফজলের পত্রাবলি।সেই গ্রন্থের সংকলক আব্দুস সামাদ।

তথ্য ইন্টারনেট সাইট । B-)

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:১১

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: পোস্ট ভাল্লাগসে মিন্টু ভাই । সম্রাট জাহাঙ্গীরের নির্দেশে যে তাঁকে হত্যা করা হয়েছিলো, জেনে মনটা খারাপ হয়ে গেলো ।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৪২

আমি মিন্টু বলেছেন: ধন্যবাদ সাধু ভাই ।

২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:২৯

মোঃ সাইফুল্লাহ শামীম বলেছেন: নতুন কিছু জানলাম। খুব ভালো লাগলো।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৪২

আমি মিন্টু বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই B-)

৩| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৪৯

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: দারুন তথ্য দিলেন মিন্টু ভাই ।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৪৩

আমি মিন্টু বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই । আপনিও অনেক ভালো পোস্ট দেন কিন্তু । :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.