নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এই ঘরটির জন্য আমরা কোন স্পেশাল ক্যারেক্টার / ইমোটিকন গ্রহন করছি না।\nশুধুমাত্র সংখ্যা ও যে কোন সাধারন ক্যারেক্টার ব্যবহার করুন।\n

আমি মিন্টু

আমি মিন্টু › বিস্তারিত পোস্টঃ

জিকা ভাইরাস সম্পর্কে এখনি জেনে নিন

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৩৫


মানবসভ্যতার জন্য হুমকি হয়ে দাড়ানো মশাবাহিত রোগ জিকা ভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরিতে দশ বছর বা এক দশক সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন আমেরিকান বিজ্ঞানীরা। দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে মহামারি আকারে বিস্তার লাভ করা ভাইরাসটি ইতোমধ্যে বিশ্বের অন্তত ৩০টি দেশেরও বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে জিকা ভাইরাসের আক্রমণে নবজাতক শিশুদেরর মস্তিষ্কের আকার অপেক্ষাকৃত ছোট হয় যা পরবর্তি সময়ে তার শারীরিক অক্ষমতাসহ মৃত্যুর কারনও হতে পারে। তবে এখনও পর্যন্ত এই ভাইরাসটির কোন প্রতিষেধক আবিষ্কার করা সম্ভব হয়ে উঠেনি। তাছাড়া এর শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া খুবই জটিল বলে জানিয়েছেন একদল গবেষকগণ ।

তবে এখন ভাইরাসটির প্রতিষেধক আবিষ্কারের জন্য টেক্সাস ইউনির্ভাসিটির মেডিকেল ব্রাঞ্চ গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। গবেষণা ভবনটি পুলিশ এবং এফবিআই সদস্যরা কঠোর নিরাপত্তায় রেখেছেন। ইতি এক তথ্যে জানা যায় এই ভাইরাসটি নিয়ে মানুষের মধ্যে উদ্বেগ ছড়ানোর কারণ রয়েছে উল্লেখ করেন ইনস্টিটিউট ফর হিউম্যান ইনফেকশন অ্যান্ড ইমিউনিটি বিভাগের পরিচালক প্রফেসর স্টক ওয়েভার বলেছেন দুই বছরের মধ্যে ভাইরাসটির পরীক্ষামূলক প্রতিষেধক আবিষ্কার সম্ভব হবে। তবে তা আক্রান্তদের জন্য ব্যবহারে অনুমোদনের সময় লাগবে অন্তত আরও দশ বছরের মতো । অন্যদিকে জিকা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে মধ্য আমেরিকার দেশ এল সালভেদরে ২০১৮ সাল পর্যন্ত সন্তান না নিতে নারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দেশটির সরকার। তাছাড়াও নির্দিষ্ট সময়সীমা বেধে না দিলেও কলোম্বিয়া এবং ইকুয়েডরের সরকারও জনসাধারণকে ওই একই ধরনের পরামর্শ দিয়েছেন।

অস্ট্রেলিয়া, ডেনমার্ক, ব্রিটেনেও এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদেরর কথাও জানান কর্তৃপক্ষ। বিশেষ প্রজাতির ডেঙ্গুজ্বর ছড়ানো এডিস এজিপ্টি Aedes aegypti মশকির মাধ্যমে এই ভাইরাসটি ছড়িয়ে থাকে। আর এই ধরনের মশকির দেখা মিলে বেশি অস্ট্রেলিয়ার উত্তর কুইন্সল্যান্ডের দিকে।এর আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছিলেন দক্ষিণ মধ্য ও উত্তর আমেরাকায় জিকা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিতে পারে। তবে কানাডা ও চিলি বিপদের আওতায় নেই।১৯৪৭ সালে উগান্ডায় লেক ভিক্টোরিয়ার কাছে জিকা বনে প্রথম একটি বানরের দেহে জিকা ভাইরাসের সন্ধান পাওয়া যায়। পরে ওই বনের নামানুসারে এর নামকরণ করা হয়। সাধারণত আফ্রিকা দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপগুলোয় এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। তবে এবার তা আমেরিকা মহাদেশে ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়েছে। ব্রাজিলে তা মহামারীর আকারও ধারণ করেছে বলে দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।

তবে এখনও পর্যন্ত এই ভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। এর থেকে বাঁচার উপায় হলো এডিস মশার বংশবিস্তার বন্ধ করা ও মশার কামড় এড়িয়ে চলা। সাধারণত জমাট পরিষ্কার পানিতে ডিম পাড়ে এ প্রজাতির মশা। কাজেই কোথাও যেন পানি বেশিক্ষণ জমে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখার জন্য বেশি পরামর্শ দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

ব্রাজিলে গত বছরের অক্টোবর থেকে এখনও পর্যন্ত প্রায় চার হাজার নবজাতক মাইক্রোসেফালি আক্রান্ত হয়ে অথবা অস্বাভাবিক ছোট আকারের মস্তিষ্ক নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছেন। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে এই পর্যন্ত মাইক্রোসেফালিতে আক্রান্ত ৪৯জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচজন শিশুর দেহে জিকা ভাইরাস পাওয়া গেছে।ধারণা করা হচ্ছে জিকা ভাইরাসের আক্রমণে নবজাতকের মস্তিষ্কের আকার অপেক্ষাকৃত ছোট হয়। তবে এখনও পর্যন্ত তা প্রমাণিত হয় নাই।সিডনিতে ওয়েস্টমিড হাসপাতালের ভাইরাসবিদ অধ্যাপক ডমিনিক ডয়ের বলেছেন এডিস ছাড়া অন্য কোনো প্রজাতি জিকা ভাইরাস ছড়ানোয় সহায়ক হতে পারে কি না তা জানা যায়নি। কয়েকজন পর্যটকের দেহে জিকা ভাইরাস শনাক্ত হলেও তা ছড়িয়ে পড়ার কোনো তথ্য এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।অন্যদিকে মার্কিন কর্তৃপক্ষরা এখনও আমেরিকা মহাদেশ এবং এর বাইরের ২০টিরও বেশি দেশে ভ্রমণ না করার পরামর্শ বলবৎ রেখেছেন। তালিকায় থাকা প্রতিটি দেশেই জিকা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে।

দেশগুলোর মধ্যে মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার দেশ বলিভিয়া, ইকুয়েডর, গায়ানা, ব্রাজিল, কলোম্বিয়া, এল সালভেদর, গুয়েতেমালা, হন্ডুরাস, মেক্সিকো, পানামা, প্যারাগুয়ে, সুরিনাম এবং ভেনেজুয়েলা উল্লেখযোগ্য। তাছাড়াও ক্যারিবীয় অঞ্চল, ওশেনিয়া এবং আফ্রিকারও কয়েকটি দেশ রয়েছে এ তালিকায়।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, জিকা ভাইরাস সংক্রমণ ঘটায় না। সাধারণ ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হলে যে ধরনের লক্ষণ প্রকাশ পায়, এক্ষেত্রেও একই ধরনের লক্ষণ দেখা যায়। সেই সঙ্গে ত্বকে দাগ দেখা দেয়।

তবে এখনও পর্যন্ত এই ভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। এর থেকে বাঁচার উপায় হলো এডিস মশার বংশবিস্তার বন্ধ করা ও মশার কামড় এড়িয়ে চলা। সাধারণত জমাট পরিষ্কার পানিতে ডিম পাড়ে এ প্রজাতির মশা। কাজেই কোথাও যেন পানি বেশিক্ষণ জমে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখার জন্য বেশি পরামর্শ দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
ছবিতথ্য সূত্রঃ অনলাইন নিউজ

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৪০

নুরএমডিচৌধূরী বলেছেন: পোস্টে++++

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৪৭

আমি মিন্টু বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ।

২| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৪৪

প্রামানিক বলেছেন: পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৪৭

আমি মিন্টু বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ।

৩| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:১৭

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: সুন্দর প্রয়োজনীয় একটি বিষয় নিয়ে লেখার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৫৮

আমি মিন্টু বলেছেন: আপনাকেও অণেক অনেক ধন্যবাদ মফিজ ভাই । :)

৪| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৩১

অগ্নি সারথি বলেছেন: হুম।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৫৯

আমি মিন্টু বলেছেন: হুম চিন্তা ভাবনা করুন এখন কি করবেন । :)

৫| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৯

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: পোষ্টের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ আমি মিন্টু ভাই ।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:০০

আমি মিন্টু বলেছেন: আপনাকেও মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ ব্লগ সার্চম্যান ভাই ।

৬| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৪

মোঃ সাইফুল্লাহ শামীম বলেছেন: উপকারী পোষ্ট। ধন্যবাদ।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:০১

আমি মিন্টু বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই । B-)

৭| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:২২

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: কঠিন রোগ ছড়ানোর উপযুক্ত বাহন মশা। আমাদের মশারী প্রেম বাড়ানো উচিত।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৫৪

আমি মিন্টু বলেছেন: কথা কিন্তু মন্দ বলেন নাই বড় ভাই । মানুষের সাথে প্রেম না করে মশারী এর সাথে প্রেম করলে তবু অন্তত একজন বিশ্বাসী বন্ধু মিলবে । ধন্যবাদ ভাই ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.