নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এই ঘরটির জন্য আমরা কোন স্পেশাল ক্যারেক্টার / ইমোটিকন গ্রহন করছি না।\nশুধুমাত্র সংখ্যা ও যে কোন সাধারন ক্যারেক্টার ব্যবহার করুন।\n

আমি মিন্টু

আমি মিন্টু › বিস্তারিত পোস্টঃ

পুরোপুরি গরম আসার আগেই জলবায়ু পরিবর্তনের কথা মাথায় রেখে কোন ব্যবস্থা হাতে নেয়া জরুরী ।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:০৭

পুরোপুরি গরম আসার আগেই জলবায়ু পরিবর্তনের কথা মাথায় রেখে কোন ব্যবস্থা হাতে নেয়া জরুরী ।এখনো গরম আসেনি অথচ গত দুই তিনদিন থেকেই কলে পানি তেমন পাওয়া যাচ্ছে না । মনে হচ্ছে দিনে ২৪ ঘন্টার ভিতরে ১৮ ঘন্টাই পানি থাকে না
পানি পাওয়া যায় মাত্র ৫ কি ৬ঘন্টা । তাঐ পানির পেশার খুবই কম থাকে ।তাই আসছে গরম মৌসুমে জলবায়ু পরিবর্তন এবং দুর্যোগ মোকাবিলার বিষয়টি মাথায় রেখে টেকসই কোন উন্নয়নের পরিকল্পনা করা উচিৎ । আর এসব পরিকল্পনা করার আগে অবশ্যয়ই সাধারণ মানুষদের চাহিদা এবং প্রয়োজনের কথা মাথায় রাখতে হবে । যতটা দ্রুত সম্ভব সরকারকে এ বিষয়টা বাস্তবায়নের প্রোকল্প বা উদ্যোগ নেয়া উচিৎ । একই সাথে সরকারের পাশাপাশি আমাদের সাধারণ মানুষদেরও কিছু সতর্কমূলক উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন । আর এসব সতর্ক বিষয়গুলো হলো যেমন ঢাকা সিটিতে সধারণ কোন প্রতিষ্ঠানে ডিপকল বসানো নিষেধ ।কিন্তু অনেক এলাকায় পানি বোতল জাত করন প্রতিষ্ঠানগুলতো আছেই তার পাশাপাশি অনেক বড় বড় মার্কেট বা শপিং কমপ্লেকস গুলোতেও ডিপকল বসানো হয়েছে । যা মোটেও উচিৎ নয় ।

বাংলাদেশ নাতিশীতোষ্ণ তাপমাত্রার দেশ হিসেবে পরিচিত হলেও বিগত কয়েক বছরে তাপমাত্রার অস্বাভাবিক আচরণ সেই পরিচিতি ম্লান হয়ে যাচ্ছে। ১৯৬০ সালে বঙ্গীয় এলাকায় সর্বোচ্চ ৪২.৩° সেলসিয়াস তাপমাত্রা নথিভুক্ত করা হয়। স্বাধীনতার পরে বাংলাদেশে ১৯৭২ সালের ৩০শে মে রাজশাহীতে তাপমাত্রা নথিভুক্ত করা হয় ৪৫.১° সেলসিয়াস । ১৯৯৫ সালে এসে নথিভুক্ত করা হয় ৪৩° সেলসিয়াস। ২০০৯ সালের ২৬শে এপ্রিল যশোরে নথিভুক্ত করা হয় বিগত ১৪ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২.২° সেলসিয়াস । তাপমাত্রার এই পরিসংখ্যানে আপাতদৃষ্টিতে যদিও মনে হচ্ছে তাপমাত্রা কমছে কিন্তু বস্তুত অতীতের সর্বোচ্চ গড় তাপমাত্রা ছিলো কম অথচ বর্তমানে সর্বোচ্চ গড় তাপমাত্রা অত্যধিক বেশি। কেননা ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ডলাইফ ফান্ড বা WWF-এর গবেষণায় দেখাগেছে শুধু ঢাকা শহরেই মে মাসের গড় তাপমাত্রা ১৯৯৫ সালের ওই মাসের তুলনায় বেড়েছে ১° সেলসিয়াস ২০০৯ সালে প্রেক্ষিত ৷ নভেম্বর মাসে এই তাপমাত্রা ১৪ বছর আগের তুলনায় বেড়েছে ০.৫° সেলসিয়াস৷ আবহাওয়া অধিদপ্তরসূত্রে জানা যায় গত ৫০ বছরে দেশের তাপমাত্রা বৃদ্ধির হার ০.৫%। এমনকি ২০৫০ সাল নাগাদ বাংলাদেশের তাপমাত্রা গড়ে ১.৪° সেলসিয়াস এবং ২১০০ সাল নাগাদ ২.৪° সেলসিয়াস বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তাপমাত্রা বাড়ার ঘটনাটি অনেকটা সম্পুরক হারে ঘটবে। কেননা বাড়তি তাপমাত্রার কারণে পানির বাষ্পীভবন বেড়ে যাবে এবং বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বাড়িয়ে দিবে।বাতাসে জলীয় বাষ্প বেড়ে যাওয়া মানে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বাড়া। আর্দ্র বাতাসের প্রভাবে প্রকৃত তাপমাত্রা না বাড়ালেও অনুভূত তাপমাত্রা feels like বেড়ে যাবে। ফলে তাপমাত্রার তুলনায়ও বেশি গরম অনুভূত হবে। ইতোমধ্যেই একটি জরিপে দেখা গেছে বাংলাদেশের আর্দ্রতার মাত্রা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাছাড়াও ২০৩০ সাল নাগাদ বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত ১০থেকে১৫ ভাগ এবং ২০৭৫ সাল নাগাদ তা প্রায় ২৭ ভাগ বেড়ে যাবে। ফলে বাতাসে আর্দ্রতার মাত্রা বেড়ে যাবে চরম হারে। এই আর্দ্রতা গরম বাড়িয়ে দিবে। উল্লেখ্য আছে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা WMO এর মতে ২০১০ সালে ছিল ২৫০ বছরের মধ্যে বিশ্বের উষ্ণতম বছর আর ২০০১সাল থেকে ২০১০সাল সময়টুকু ছিল বিশ্বের উষ্ণতম কাল।
গ্রীষ্মকালে যেখানে তাপমাত্রা বাড়বে শীতকালে ঠিক একইভাবে তাপমাত্রা মারাত্মকভাবে কমবে। ২০০৩ সালের পর ২০১১ সালে প্রচণ্ড শ্বৈতপ্রবাহের কবলে পড়ে বাংলাদেশ। শ্রীমঙ্গলে নথিভুক্ত করা হয় ৬.৪° সেলসিয়াস। পরিবেশ এবং জলবায়ুবিদদের মতে সেসময় অনুভূত তাপমাত্রা হয়েছিল আরো কম।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৩১

বিজন রয় বলেছেন: সমসাময়িক প্রয়োজনীয় পোস্ট।
++++

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৫২

আমি মিন্টু বলেছেন: আপনাকেও পোস্টটি পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ ।

২| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৫৩

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: চমৎকার পোস্ট।
সচেতনতা জরুরী। পদক্ষেপ এখুনি না নিলে এড়ানো যাবে না

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৫১

আমি মিন্টু বলেছেন: ধন্যবাদ রাখাল ভাই বিষয়টি নিয়ে আপনাদের মতামতের জন্য ।

৩| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:১৪

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: জন গুরুত্বপূর্ন পোষ্ট। আপনাকে ধন্যবাদ বিষয়টি তুলে ধরার জন্য।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:১৩

আমি মিন্টু বলেছেন: ধন্যবাদ পলাশ ভাই ।

৪| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৫১

উল্টা দূরবীন বলেছেন: গরম না আসতেই পানির সমস্যা। গরম আসলে তাতে যোগ হবে লোডশেডিং। ভয়াবহতায় নাগরিক জীবন স্তব্ধ।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৭

আমি মিন্টু বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আমাদের শহর বাসীর এইতো জীবন ।

৫| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৫৮

মিজানুর রহমান মিরান বলেছেন: সমসাময়িক গুরুত্বপূর্ণ টপিক নিয়ে লিখেছেন। সচেতনা অবশ্যই জরুরী।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪২

আমি মিন্টু বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ।

৬| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৭

মোঃ সাইফুল্লাহ শামীম বলেছেন: সময়োপযোগী পোস্ট। ধন্যবাদ।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪৩

আমি মিন্টু বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.