নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এই ঘরটির জন্য আমরা কোন স্পেশাল ক্যারেক্টার / ইমোটিকন গ্রহন করছি না।\nশুধুমাত্র সংখ্যা ও যে কোন সাধারন ক্যারেক্টার ব্যবহার করুন।\n

আমি মিন্টু

আমি মিন্টু › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইহা একটি বাংলাদেশী বেগুনের বিজ্ঞাপন ।তবে উপকারী :) :) :)

২৪ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১:৩৮



জী ভাই ঠিকিই ধরেছেন ইহা একটি বাংলাদেশী বেগুনের বিজ্ঞাপন ।বেশি বেশি দেশী বেগুন খান আর দেহের ভিতর এনার্জি ছড়ান। আপনি কি জানেন আমাদের বাংলাদেশী বেগুনে রয়েছে অনেক অনেক গুনাগুন । তাছাড়াও এ বেগুন আপনার দেহের অনেক কাজে আসে ।আমাদের বাঙালিদের রসনাবিলাসের একটি বিশাল অংশজুড়ে রয়েছে নানা গুণসমৃদ্ধ এই বেগুন। ভর্তা, ভাজি তো আছেই তাছাড়াও আছে বেগুন পোড়া এবং বিভিন্ন তরকারি ও লাবড়া ইত্যাদিও তাই বেগুন কিন্তু কম জনপ্রিয় না । এছাড়াও রমজান মাসে বাংলাদেশে ইফতারের একটি জনপ্রিয় খাবার হলো তেলে ভাজা বেগুনী । ওটা লম্বা লম্বা বেগুন কেঁটে সাইজ করে নিতে হয় । সবজি হিসেবেও জনপ্রিয়তার কম নেই আমাদের বেগুনের। এটা এমন এক বেহাইয়া সবজি যাকে আপনি বারো মাস আপনার হাতের কাছে পাবেন । এটার দামও কম । এটা কম দামী সবজি হলেও এর রয়েছে বহুমাত্রিক গুণাগুণ। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে উপকারি খাদ্য উপাদান।
যেমন প্রতি ১০০ গ্রাম বেগুনে রয়েছে
খাদ্যশক্তি= ২৫ কিলোক্যালরি।
শর্করা= ৫.৮৮ গ্রাম ।
চিনি= ৩.৫৩ গ্রাম।
খাদ্যআঁশ= ৩ গ্রাম।
চর্বি= ০.১৮ গ্রাম।
আমিষ= ০.৯৮ গ্রাম।
থায়ামিন= ০.০৩৯ মিলিগ্রাম ।
রিবোফ্লেভিন= ০.০৩৭ মিলিগ্রাম।
নিয়াসিন= ০.৬৪৯ মিলিগ্রাম ।
প্যানটোথেনিক অ্যাসিড= ০.২৮১ মিলিগ্রাম ।
ভিটামিন বি৬= ০.০৮৪ মিলিগ্রাম।
ফোলেট= ২২ আইইউ।
ভিটামিন সি= ২.২ মিলিগ্রাম।
ভিটামিন ই= ০.৩ মিলিগ্রাম।
ভিটামিন কে= ৩.৫ আইইউ।
ক্যালসিয়াম= ৯ মিলিগ্রাম।
আয়রন= ০.২৩ মিলিগ্রাম।
ম্যাগনেসিয়াম= ১৪ মিলিগ্রাম।
ম্যাংগানিজ=০.২৩২মিলিগ্রাম।
ফসফরাস= ২৪ মিলিগ্রাম।
পটাশিয়াম=২২৯ মিলিগ্রাম ।
জিংক= ০.১৬ মিলিগ্রাম ।

খাদ্যগুণে ভরপুর বেগুন বিভিন্নভাবে আমাদের শরীরের উপকার করে। যেমনঃ
১। বেগুনে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা পাকস্থলী ও ক্ষুদ্রান্ত এবং কোলন ক্যানসার প্রতিরোধ করে। যেকোনো ক্ষতস্থান দ্রুত শুকাতেও বেগুন অনেক সাহায্য করে।
২। এতে চিনি এবং চর্বির পরিমাণ খুবই কম। তাই ডায়াবেটিকস ও হৃদরোগ এবং অধিক ওজন রয়েছে যাঁদের তাঁরা নিশ্চিন্তে বেগুন খেতে পারেন।
৩। বেগুনে উপস্থিত রিবোফ্লেভিন মুখ ও ঠোঁট এবং জিহ্বার ঘা দূর করে । জ্বর জ্বর ভাব কমায়। এর ভিটামিন এ চোখের রোগ প্রতিরোধ করে । ভিটামিন সি ত্বক নখ ও চুলে পুষ্টি জোগায় এবং ভিটামিন ই ও কে রক্তজমাট বাঁধার বিরুদ্ধে কাজ করে।
৪। বেগুনে রয়েছে খাদ্যআঁশ যা খাদ্য হজমে সহায়তা করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
৫। বেগুনে রয়েছে নাসুনিন নামে একটি উপাদানঃ যা মস্তিষ্কের শিরা উপশিরার দেয়ালে চর্বি জমা হতে বাধা দেয়। ফলে ব্রেইন স্ট্রোক এবং মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত রোগের ঝুঁকি কমে যায়। মস্তিষ্কে অক্সিজেনের মাত্রা বেড়ে গিয়ে কর্মোদ্দীপনা বৃদ্ধি পায়।
৬। বেগুন রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয় এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে।
৭। বেগুনের ম্যাগনেসিয়াম এবং ক্যালসিয়াম দাঁত, হাড় ও নখ মজবুত করে।
৮। মৌসুমি সর্দি, কাশি, কফ দূর করতে বেগুন সাহায্য করে।
খাদ্যগুণের পাশাপাশি বেগুনের রয়েছে কিছু ভেষজগুণও। যেমনঃ
১। আগের দিন সন্ধ্যাবেলা বেগুন সেদ্ধ করে পরদিন এর শাঁস মধু মিশিয়ে খেলে অনিদ্রা দূর হয়।
২। বেগুন পোড়ানো ছাই গায়ে মাখলে চুলকানি ও চর্মরোগ সেরে যায়।
৩। বেগুন সেদ্ধ করে এর পুলটিস দিলে বিষফোঁড়া তাড়াতাড়ি পেকে যায়।
৪। কাঁচা বেগুনের রস খেলে ধুতুরার রস নেমে যায়।
৫। রোজ সকালে খালি পেটে বেগুন পুড়িয়ে এর সাথে গুড় মিশিয়ে খেলে ম্যালেরিয়ার কারণে লিভার বড় হয়ে যাবার ঝুঁকি কমে।

তাহলে আমাদের বোঝতে বাকি নেই যে আসলে বেগুনের কত গুনাগুন ।তা সর্তেও অনেকে ভাবেন বেগুন খেলে শরীর চুলকায় ।তাদেরকে বলি আপনাদের এই ধারনাটি ভুল তাই বেশি বেশি বেগুন খান আর দেহে রোগ প্রতি রোধের ক্ষমতা বাড়ান । সকলের শরীর ও মন সুস্থ কামনা থাকল ।

ছবিতথ্য সূত্রঃ ইন্টারনেট ।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১:৪১

প্রামানিক বলেছেন: ১ম হইছি বেগুন ভাজা চাই।

২৪ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ২:০১

আমি মিন্টু বলেছেন: অপেক্ষা করুন চুলায় দিছি ভাজা হচ্ছে । :)

২| ২৪ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১:৪৮

মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: বেগুনি ছাড়া ইফতারি অসমাপ্ত গল্পের মত :P

২৪ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ২:০৩

আমি মিন্টু বলেছেন: একদম রাইট কথা বলেছেন ।কেমন প্রিয়তমা ছাড়া ফাকা ফাকা থাকার মত B-)

৩| ২৭ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৩:০৫

কালীদাস বলেছেন: ইদানিং আচার টাইপের একটা জিনিষ খাই ইস্টার্ণ ইউরোপের, ঐটার অন্যতম ইনগ্রাডিয়েন্ট বেগুন; বেগুনের এই টাইপ ব্যবহার আগে দেখিনি।

হা হা! ইউনিভার্সিটির ফার্স্ট ইয়ারে পড়ার সময় দেশে বেগুনের আকাল পড়ে গিয়েছিল রমজান মাসে। বেগুনি ছাড়াই ইফতার করতে হয়েছিল অনেকদিন। তখন, কুমড়া, শসা দিয়ে বেগুনি শেপের জিনিষ বানিয়ে বিক্রি হত বেগুনির দামে। ভার্সিটির ভেতর বেগুন নিয়ে সেরকম কিছু কাহিনি ছিল, ওপেন ব্লগে বলে সুলেমানি ব্যান খেতে আগ্রহী না B-)

২৭ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:৫৯

আমি মিন্টু বলেছেন: থ্যঙ্কু ভাই ভার্সিটির ভেতর বেগুন নিয়ে সেরকম কিছু কাহিনি ছিল, ওপেন ব্লগে বলে সুলেমানি ব্যান খেতে আগ্রহী না B-)

সে জন্যই বেগুনের চড়া দাম ;)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.