নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এই ঘরটির জন্য আমরা কোন স্পেশাল ক্যারেক্টার / ইমোটিকন গ্রহন করছি না।\nশুধুমাত্র সংখ্যা ও যে কোন সাধারন ক্যারেক্টার ব্যবহার করুন।\n

আমি মিন্টু

আমি মিন্টু › বিস্তারিত পোস্টঃ

উপন্যাসঃ রোমিজ মিয়ার জীবণ গল্প (প্রথম খন্ড )

২৪ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:০৫


শত শত পৃষ্টা লিখেও রোমিজ মিয়াদের জীবণের
কথা শেষ করা যাবে না ।রোমিজ মিয়া খুব ছোট থাকতে মা বাবাকে হারিয়ে নানার বাড়িতে মামা মামির কাছে মানুষ হয়েছেন ।মামা মামির কোন সন্তান না থাকায় তারাও রোমিজ মিয়াকে নিজ সন্তানের মতই বড় করেছেন ।মামা মামি কখনো রোমিজ মিয়াকে পিতা মাতার অভাব বুঝতে দেননি । রোমিজ মিয়া নিঃশন্দেহে এ সমাজের আর দশজন সাধারণ মানুষের মতই একজন অসাধারণ ও ভালো চরিত্রের মানুষ । চাঁদের গায়েও নাকি কলঙ্কের দাঘ আছে কিন্তু রোমিজ মিয়াদের মতো ভালো চরিত্রের সহজ সরল লোকদের গায়ে কোন আচরের দাঘ থাকে না ।
মামা মামি দুজনেই ছয় মাস আগে পিঁছে মারা গেলেন । মামা মারা যান ছঁয়মাস আগে, আর মামী পরে । যখন মামা মারা যান তার বছর তিনেক আগে রোমিজ মিয়াকে বিয়ে করিয়ে দেন ।শ্ত্রী এক ছেলে এক মেয়ে নিয়ে চারজনের সংসার ভালোই কাঁটছে । শ্ত্রীও গুনপতি রোমিজ মিয়া জানেন সংসার সুখী হয় রমনীর গুনে ।আর রোমিজ মিয়ার শ্ত্রীও বিশ্বাস করেন স্বামী শ্ত্রী দুইজনের সম পরিচর্যা সংসারে সুফল এবং ছেলে মেয়েদের জন্য ভবিষ্যত উজ্জল নক্ষত্রের দিকে এগিয়ে নেয় ।
রোমিজ মিয়া মামী মারা যাওয়ার বছর খানেক পড়েই গ্রাম থেকে শহরে চলে আছেন । হুতহাত শহরে আসা তেমন বেশি লেখা পড়াও করেননি,তাই কোন চাকুরির আসা করে নিরআসা না হয়ে শহরে এসেই রোমিজ মিয়া ঢাকার শান্তি নগরে ছোট একটি বাসা ভাড়া নেন ।বেরিয়ে পড়েন সংসার চালানোর উপার্জনের জন্য । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে একটি খালি জায়গায় একটি চায়ের দোকান দিয়ে বসেন । মাঝে মাঝে রমিজ মিয়া ঢাকা শহরে থাকা দালান কোঠার ভিতরে টাই সোর্ট পড়া ভদ্র সাঁজে অভদ্র লোকদের নিয়ে ভাবেন । তার ভাবনায় শহরে এত বড় বড় দালান কোঠা আর টাই সোর্ট পড়া ভদ্র লোকদের ভালো ভালো চাকুরি বাড়ি গাড়ি আর এত এত টাকা তবু যেন ওইসব অসব্য লোকদের চাহিদার খিদে আরো বেড়ে চলছে ।
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রীদের অসামাজিক কার্যলাপ দেখে মাঝে মাঝে রোমিজমিয়া ভাবেন একদিন আমার ছেলেমেয়েও বড় হবে তারাওতো এখানে হয়ত লিখা পড়া করবে তারাও কি এরকম অসামাজিক কার্যলাপ করবে ? শিক্ষ্যার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে রাজনীতি নামের ফাঁদে পা দিবে । প্রতিদিন সমাজে অসমাজিক বীচ রোপন করবে ।কলমের নামে অস্র ধরবে লেখার বদলে কোন মায়ের সন্তানের পেটে ছুঁরির আঘাত বসাবে নয়ত গুলী ছুড়বে।
রমিজ মিয়ার ছোটবেলা থেকেই স্কুলের পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি সাধারন গল্পের বইগুলো পড়ার খুবই পোকা ছিলেন ।

আজ রোমিজমিয়ার শরীর ভালো না তাই দোকানে যাওয়া হয়নি ।দুপুরে খাওয়া শেষ করে একটি গল্পের বই হাতে নিয়ে খাটের এক পাশে মাথা রেখে বই পড়ছেন । আগে দাদা দাদির নানা নানির মুখে বহু রূপ কথার গল্প শুনেছি । আর এখন বই কবিদের লেখা গল্প পড়ছি ।তবে দাদা দাদি আর নানা নানিদের বলা আর কবিদের লেখা
গল্পে বহু ব্যাবধান। নানা নানিদের দাদা দাদিদের সেই গল্পে যেন কেমন মায়া জড়িয়ে থাকত সাথে কিছুটা হলেও বাস্তবতার ছোঁয়া দুই মিলে জমে ওঠতো । আর এখন কবিদের লেখায় কেমন জানি প্যাচ লেগে যায় ।
গল্প পড়ে কেন যেন রোমিজমিয়া একটু ভাবনায় পড়ে গেছেন । রোমিজমিয়ার চিন্তার কারন হলো গল্পের শেষে একজন পাঠক লেখকের কাছে প্রশ্ন রেখেছিলেন আসলে পৃথিবীতে মানুষের সার্থকতা কোথায় । রমিজমিয়াও পাঠকের মতো মনের কাছে প্রশ্ন করে পৃথিবীতে মানুষের সার্থকতা কোথায় ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.