নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
i am used to use full liberty. any kind of discussion and criticism will be welcome.
অষ্টম শ্রেনী পাশ কোন যুবক বা মধ্য বয়স্ক লোক আমাদের শ্রম বাজার বা চাকরীর বাজারে কোন ধরনের ‘কাজ’ পেতে পারেন.....? আপনার মনে যদি শুধু ‘পিয়ন’ বা ‘সিকিউরিটি’ এসে থাকে, তবে বলবো –‘আপনি বোকার স্বরগেবাস করছেন’.....! আমাদের এই দেশে ‘মন্ত্রিত্ব’ পর্যন্ত কাজ করা যায় এই ‘অষ্টম শ্রেণী পাশ’ দিয়ে। আরেকটু বাড়িয়ে বললে বলা যায়—এই দেশে মন্ত্রিত্ব পাওয়ার একমাত্র যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণী পাশ। এর বেশি এক ক্লাসও পড়া যাবে না। অনার্স- মাস্টার্স, পি এইচ ডি , বিসিএস দিয়ে আপনি সরবোচ্চ সচিব পর্যন্ত যেতে পারবেন। কিন্তু মন্ত্রী হতে হলে আপনাকে হতে হবে সরবোচ্চ ‘অষ্টম শ্রেণী’ পাশ। যেমন- আমাদের সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী, বা একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী।
সাংবাদিকদের ‘চরিত্রহীন’ ও ‘খবিশ’ উপাধী দেওয়া মাননীয় মন্ত্রীর কিছু কীর্তি-কান্ড মনে পড়ে যাচ্ছে। এখন তো আর আমরা পুরোনো দিনে নেই,আম্রা এখন ডিজিটাল। তাই মনে কথা চেপে রাখতে পারলাম না।
) সিলেটে একটি অনুষ্ঠানে নিজে গান গেয়ে আবারও আলোচনার কেন্দ্রে এসেছেন সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী। তার গাওয়া গানের ভিডিও অনলাইনে প্রচার হওয়ার পর শুরু হয়েছে হাস্যরস। তিনি ভূপেন হাজারিকার একটি গান গাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন।
খ) নবীগঞ্জ নয় মৌজা তাহিরপুর ইত্তেফাকিয়া আলীয়া মাদরাসা মাঠে আপ্তাব-খুদেজা শিক্ষা ও সমাজ কল্যাণ ট্রাস্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মাননীয় সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী দেশের মাদ্রাসা শিক্ষার উপর বারোটা বাজিয়ে দেয়ার হুমকি দেন। তিনি মাদরাসা শিক্ষার বিরুদ্ধে বিসোদগার করে এ শিক্ষা বন্ধের হুমকি দেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলী।
পরিস্কার ভাবে এদেশের মুসলিম সম্প্রদায়ের সেন্টিমেন্টে আগাত করে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী বলেন-“মাদরাসার ছাত্ররা সারারাত তছবিহ পড়ে সকালে এক হাজার টাকা নিয়ে যায়। তছবিহ পড়া আর শিরনি খাওয়া ছাড়া তাদের কোনো কাজ নেই। মাদ্রাসা শিক্ষার দরকার নেই কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। মাদ্রাসার যে ছাত্র ইংরেজি নাম-ঠিকানা লিখতে পারে না তাদের দিয়ে আমাদের কোনো লাভ নেই। মাদরাসার হুজুর মানুষের বাড়ি দাওয়াত খাওয়া ছাড়া আর কোনো কাজ করেন না।”
সাংবাদিক সমাজের উপর সমাজ কলযান মন্ত্রী ও তার ক্ষমতাসীন দল বরাবরই অখুশি।
সিলেট নগরীর জেলা পরিষদ মিলনায়তনে আদিবাসী দিবসের আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের উপর চড়াও হন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, “সাংবাদিকরা অশিক্ষিত, টাকা খেয়ে অন্যের বিরুদ্ধে রিপোর্ট করে। এজন্যই সম্প্রচার নীতিমালা হয়েছে।”
তিনি একই সঙ্গে হুংকার ও আফসোস করে বলেন- “সেদিন আমি কেবিনেটে উপস্থিত ছিলাম না। থাকলে আরো শক্ত করে টুটি চেপে ধরার ব্যবস্থা করতাম।”
সাংবাদিকদের ‘সংশোধন’ হয়ে যাওয়ার ‘উপদেশ’ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “অন্যথায় কোমর ভেঙ্গে দেয়া হবে, সাংবাদিকদের স্ত্রীদের সাথে মেলামেশা করতেও দেয়া হবেনা”। উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানে বিপুল সংখ্যক নারী ও শিশুর উপস্থিতিতে সমাজকল্যাণমন্ত্রী এরকম কুরুচীপূর্ণ ভাষায় সাংবাদিকদের অপমান করে বক্তব্য দিচ্ছিলেন। (অষ্টম শ্রেণী পাশ হলে যা হয় আর কি!)
এই সমাবেশে তিনি বৃহত্তর সিলেটের ইতিহাস বিকৃতির চেষ্টা করছেন। তিনি বলেছেন তার মেয়ে সিলেট বিভাগে একমাত্র মাষ্টার্স পাশ জার্নালিষ্ট, মাননীয় মন্ত্রীর কথাটি মোটেই সত্য নয় এর আগে অনেকেই সাংবাদিকতায় উচ্চতর ডিগ্রি নিয়েছেন।
নিজের বাপ-দাদার ঢোল বাজাতে গিয়ে মন্ত্রী বলেছেন - তার পূর্ব পুরুষ সিলেটের প্রথম মেয়র সিলেট সরকারী আলীয় মাদ্রাসা ও এমসি কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছেন। মন্ত্রীর এই কথাটিও সত্য নয়। সিলেটের প্রথম মেয়র বদর উদ্দিন আহমেদ কামরান।তা-ও অতি সম্প্রতি। এই প্রতিষ্ঠান গুলো যেসময় প্রতিষ্ঠিত হয় তখন মেয়রের যুগ ছিলনা। আলীয়া মাদ্রসা প্রতিষ্ঠা করেন তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার আর এমসি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সিলেটের হিন্দু জমিদার বাবু মোরারী চাঁদ, তার পূর্ব পুরুষ নয়।
উল্লেখ্য সভা শেষে বরাবরের মতোই সাংবাদিকদের জন্য কিছু ‘আপ্যায়নের’ ব্যবস্থা ছিলো। এ সময় মন্ত্রীর এপিএসসহ দলীয় ক্যাডাররা সাংবাদিকদের নাজেহাল করে। পরে অনুষ্ঠান থেকে প্রাণ বাঁচিয়ে বেরিয়ে আসে
সাংবাদিকরা।
নির্বাচনী এলাকা মৌলভীবাজারের কেশবচর গ্রামে এসে পার্শ্ববতি নবীগঞ্জ উপজেলাবাসীকে কটাক্ষ করে বক্তব্য দিয়ে সমালোচিত হন আমাদের ‘সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী’। যেন উনি শুধু মৌলভীবাজারের ‘সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী’।
সর্বশেষ গত ৯ আগষ্ট ছাতাক থেকে সিলেট ফেরার পথে রাস্তার পাশে গাড়ী দাঁড় করিয়ে প্রকাশে খোলা জায়গায় প্রস্রাব করায় অনেকে তার বিরুদ্ধে পরিবেশ দূষনের অভিযোগ এনেছেন। সাংবাদিকদের ‘চরিত্রহীন’ ও ‘খবিশ’ উপাধি দানকারী এই ‘মাননীয় মন্ত্রী’ কি কাজটি করে ‘ডাবল খবিশ’ হয়ে গেলেন না.....?
ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে ‘দেশের মানুষের কথা চিন্তাকরার’ লোক আমাদের দেশে অনেক। তার ‘জ্বলন্ত’ উদাহারন আমাদের সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী।
বিতর্কিত সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলী নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট্রি বোর্ডের পরিচিতি সভায় অধিকাংশ সময় ঘুমিয়ে কাটালেন। এ সময় মন্ত্রীর পাশে বিশেষ অতিথির আসনে বসে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কন্যা অটিজম ও নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল ডিসঅর্ডার জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির সভাপতি সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।
এই হচ্ছে আমাদের দেশের মন্ত্রীর অবস্থা.......! এখন মানুষের উপরই ছেড়ে দিলাম কে ‘খবিশ’ আর কে ‘রাবিশ’......?
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৬
I am innocent 99% বলেছেন: তার উক্তিগুলো রয়ে যাবে যুগ যুগ ধরে ......
১/ যারা বোরখা পরে -তারা জঙ্গি । তারা অসুন্দর, তাই তারা বোরখা দিয়ে মুখ
ঢেকে রাখে ।
২/ সমাজের সব আকাম -কুকাম বোরখা পরা মেয়েরাই করে ।
৩/ টাঙ্গাইলের পতিতা পল্লী উচ্ছেদ কারি মোল্লাদের শিরচ্ছেদ করা উচিত ।
৪/ পর্দা করলে চলবে না, হাফ প্যান্ট পড়ে পুরুষের পাশাপাশি চলতে হবে ।
পুরুষদের ধাক্কা দিয়ে সামনের দিকে যেতে হবে । (মা বোনদের উদ্দেশ্যে)
৫/ কোলকাতার নার্সরা আমার গোপন অঙ্গ হাত দিয়ে ধুয়ে দিছে, আপনারা
বাংলাদেশের নার্সরা কেন পারবেন না ?
৬/ আমি চাই দেশে বিখ্যাত নর্তকী গড়ে উঠুক ।
৭/ আমি এইট পাশ তাতে সাংবাদিকরা বাল ফালানির কে ?
৮/ ঐ সাংবাদিক আমার বিরুদ্ধে রিপোর্ট করলে রাতে বউয়ের পাশে ঘুমাতে পারবি না ।