নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

angrycitizen007

always remain alert about injustice in society.

ক্রোধিতনাগরিক

i am used to use full liberty. any kind of discussion and criticism will be welcome.

ক্রোধিতনাগরিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমলা পূজো......

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩১

রকারের দুর্নীতির ও আমলা প্রীতির চরম এক প্রদর্শনী হয়ে গেল বিশ্বের অন্যতম বড় শিল্প দুর্ঘটনা ‘রানা প্লাজা’ সংশ্লিস্ট শিল্প মন্ত্রনালয়ের সরকারী কর্মকর্তাদের রেহাই দিয়ে। অথচ শ্রম মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব তদন্তে ৮ জন কর্মকর্তাকে দায়ী করে চিহ্নিত করা হয়, পরে পুলিশি তদন্তে ৪জনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়েরের অনুমতি চাওয়া হয়।



শ্রম মন্ত্রণালয় নিজেদের তদন্তে বলেছিল- ২০০৬ সালের শ্রম আইনের ৬১, ৮৫, ৩১৯ ও ৩২৬ ধারা এবং ১৯৭৯ সালের এ বিধিমালার ৩, ৪, ৫ ও ৩৮ ধারা অব্যহত ভাবে লংঘন করা হয়েছে। বিশেষ করে ভবনের তৃতীয় তলায় ফাটল ধরার বিষয়টি গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রচারের পরও ‘ঢাকা বিভাগীয় কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন দপ্তর’ কারখানা বন্ধের কোন ব্যবস্থা না নেয়ার বিষয়টিকে বড় ধরনের অপরাধ হিসেবে ধরেছিল তদন্ত কমিটি। ঐ তদন্তে ‘রানা প্লাজা ধস’ ঘটনায় মন্ত্রণালয়ের ৮ জনকে দায়ী করা হয়েছিল, এবং নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান গুলোকে দায়ী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ‘ব্যবস্থা’ নিতে বলা হয়েছিল। এরই প্রেক্ষিতে পরবর্তী সময়ে ৮ জনকে বরখাস্ত করা হয়।



এরপর ‘সি আই ডি’ এক প্রতিবেদন দেয় যেখানে চার শ্রম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের ব্যাপারে বলা হয় এভাবে- জামসেদুর রহমান ও বেলায়েত হোসেন রানা প্লাজা ভবনের ছয় তলার উপর অবৈধ ভাবে নির্মিত সপ্তম ও অষ্টম তলার পোশাক কারখানার মেশিনের লে- আউট নকশা ও ভুয়া স্থাপত্য অনুমোদন করে সংশ্লিস্ট মালিকের অনুকূলে লাইসেন্স ইস্যু করেন। তদন্তে আরও বলা হয় উল্লেখিত দুটি ফ্লোর সহ ভবনের তৃতীয় তলায় বৈদ্যুতিক জেনারেটর স্থাপন করা হয়েছিল। অন্য দুই কর্মকর্তা ইউসুফ আলী ও সহিদুল ইসলাম রানা প্লাজা ভবনের পোশাক কারখানার ফ্লোর গুলো বাণিজ্যিক হওয়া সত্ত্বেও যথাযথ ভাবে কারখানার ফ্লোর পরিদর্শন না করে এবং মেশিনের লে- আউটে নকশার কারিগরী দিক পরীক্ষা না করে পোশাক মালিকদের লাইসেন্স দেয়ার সুপারিশ করেছেন। পাশাপাশি ‘কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর’ এর পরিদর্শক এর চোখের সামনেই কারখানার ফ্লোরে অবৈধ ভাবে স্থাপিত বৈদ্যুতিক জেনারেটরের দৈনন্দিন কম্পন ‘রানা প্লাজা ধস’ কে ত্বরান্বিত করে। ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হলেও সাভার এলাকার পরিদর্শক সহিদুল ইসলাম কারখানা বন্ধের নোটিশ জারী ও মালিকদের সতর্ক করেননি।



এখন প্রশ্ন হলো যে জামসেদুর রহমান ও বেলায়েত হোসেন কারখানার মেশিনের লে- আউট নকশা ও ভুয়া স্থাপত্য নকশা এমনি এমনি যে অনুমোদন করে কারখানা মালিকের ‘উপকার’ করেননি, তা সচেতন বাঙালি মাত্রই বুঝবেন। এর পেছনে যে লাখো টাকার ধানাই- পানাই হয়েছে, এবং এই ধানাই-পানাই চাপরাশি থেকে মন্ত্রী; সবার পকেটে গিয়েছে তাও সহজেই অনুমেয়। এখন আবার এই কর্মকর্তাদের ‘রক্ষার’ জন্যও হয়তো ঐ কর্মকর্তাদের গুনতে হচ্ছে বেশ মোটা অংকের টাকা। তবুও চাকরীটা তো বাচানো দরকার। চাকরী থাকলে আবার কামানোর (টাকা) সুযোগ আছে।



আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি শ্রম মন্ত্রণালয়ের ঐসব কর্মকর্তাদের এহেন কর্মকাণ্ডের পেছনে ঘুষ লেনদেনের লম্বা হাত রয়েছে। যে হাতের এক প্রান্তে পিয়ন, অন্য প্রান্তে মন্ত্রী মহোদয়ও থাকতে পারেন।



১ হাজার ১৩৪ জন নিহত ও আরও প্রায় ২ হাজার এর বেশি আহত এবং পঙ্গু মানুষের রক্তের দায় সরকার এড়াতে পারেনা। তা সে যেই হোক না কেন। ‘আমলা পূজো’ না দিয়ে সরকারের উচিত শক্ত হাতে ঐসব কর্মকর্তাদের আইনের আওতায় আনা। না হলে সরকারের এমন কান্ড বাংলা মানুষ ভুলবে না।



জনগণ রাষ্ট্র ক্ষমতার উৎস...... ভুলবেন না..........



লাল সালাম.................

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.