নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
i am used to use full liberty. any kind of discussion and criticism will be welcome.
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নং গেট। দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত ক্লাশ করে আমি আর বন্ধু ইফতি যখন বিশ্ববিদ্যালয় গেটে তখন ২ঃ৪৫ মিনিট। সিটি ব্যাংক থেকে স্টুডেন্ট একাউন্ট খোলার জন্য যে বুথ কার্যক্রম চলছে, সেখানে দাঁড়িয়ে। হঠাত শুধু ২টি গলার চীৎকার চেঁচামেচি শুনলাম। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের যা অবস্থা, তাতে সবাই আতংকিত হওয়ার কথা। সুতরাং আমিও আতংকিত চোখ নিয়ে চীৎকারের উৎসের তাকালাম, এবং অবাক হলাম। দেখলাম দুজন পুলিশ কর্মকর্তা একে অপরের সাথে বাকবিতন্ডতায় লিপ্ত।
এস আই আলম এবং এ এস আই ছবির বা ছাবিরের মধ্যে এই ‘ঝগড়া’ হচ্ছে। এবং সেখানে উপস্থিত ছিলেন ইন্সপেক্টর চন্দন ও ইন্সপেক্টর খায়ের।
দুজন সিনিয়র ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সামনেই হচ্ছিল এই ‘চেঁচামেচি’। উল্লেখ্য এস আই আলম পদাধিকার বলে এ এস আই ছবির বা ছাবিরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
তারা দুজনেই চীৎকার করে একে অপরকে হুমকি দিচ্ছিলেন। এবং আমার মনে হয়েছে এই বিতণ্ডার একপর্যায়ে এস আই আলম তার কোমরে থাকা রিভলবার এর দিকে হাত বাড়িয়েছেন। কারণ তার রিভলবার রাখার খোপটির ফ্লিপার হাত দেয়ার পর খোলা দেখতে পেয়েছি। যদিও তা আগে খোলা ছিল না।
পুলিশ একটি ‘সুশৃঙ্খল বাহিনী’ বলেই আমাদের কাছে দাবী করা হয়। যে কারণেই তাদের মধ্যে মনোমালিন্য হোক না কেন, তা প্রকাশ্যে আসার প্রশ্নই উঠে না, চীৎকার ও হুমকি- ধমকির মাধ্যমে তো না ই।
কিন্তু আজকের এই বাকবিতণ্ডা প্রমাণ করে যে, পুলিশের ভেতরকার ‘চেইন অব কমান্ড’ একেবারেই ভেঙ্গে পড়েছে। অধস্তন কর্মকর্তারা ঊর্ধ্বতনদের প্রতি অনুগত নয়। একই ব্যাপারটি বেশ কিছুদিন আগে এক পুলিশ সুপারের মুখেও শোনা যায়। এবং এই লক্ষণটি নিশ্চয়ই ভালো লক্ষণ নয়।
রাজনৈতিক প্রভাব ও ঘুষ লেনদেনের মাধ্যমে পুলিশে লোক নিয়োগ হয়- এমন অভিযোগ অনেক পুরোনো। ‘কেন রাজনৈতিক প্রভাব ও ঘুষ লেনদেনের মাধ্যমে পুলিশে নিয়োগ হবে’? – এই প্রশ্ন হাজারবার সামনে এলেও, এর ফল বা প্রতিক্রিয়া কি হবে সেই ব্যাপারটি সামনে এসেছে খুব কমই........।
কিন্তু আজকের ঘটনাটি রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন ও দুর্নীতির মাধ্যমে পুলিশে নিয়োগের প্রতিক্রিয়া কেমন হতে পারে তার প্রকৃষ্ট উদাহারন।
এভাবে অসাধু উপায়ে নিয়োগ পাওয়া ব্যক্তিরা নিজেদের রাজনৈতিকভাবে আশীর্বাদপুষ্ট বলে মনে করে এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে তুচ্ছ জ্ঞান করেন। এবং এটা ভীতিজনক যে এমন অবস্থায় যে কোন ‘শৃঙ্খল বাহিনী’ সম্পূর্ণরূপে ভেঙ্গে পড়তে বাধ্য।
(বাক বিতণ্ডার এক পর্যায়ে এ এস আই ছবির বা ছাবির কাউকে ফোন করার জন্য মোবাইল বের করেন, কিন্তু পরে উপস্থিত ঊর্ধ্বতনদের কথায় নিরস্ত হন)।
পুলিশ কারো পরিবারের টাকায় গড়া হয়নি, বা কোন নির্দিষ্ট অঞ্চলের মানুষের করের টাকায় পুলিশের বেতন দেয়া হচ্ছে না। সারা বাংলাদেশের প্রায় ১৭ কোটি মানুষের টাকায় এই পুলিশ চলছে। তাই জনমানুষের কাজে আসবে এমন একটি পুলিশ বাহিনী গড়তে হবে। আর জনমানুষের কাজে আসবে এমন একটি ‘সুশৃঙ্খল ও পরিকল্পিত’ পুলিশ বাহিনী গড়া না হলে জনগণ যদি হাতে আইন তুলে নেয়, তখন আবার বলতে পারবেন না-
“আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না, পুলিশের কাজ পুলিশকে করতে দিন”। (বাংলা ছবির ডায়লগের মতো)
সময় থাকতে সাবধান হোন..................
লাল সালাম.................
২| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:১৭
ক্রোধিতনাগরিক বলেছেন: ধন্যবাদ@ আসাদ ইসলাম নয়ন
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:০০
আসাদ ইসলাম নয়ন বলেছেন: ভালো লাগলো ।