নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
i am used to use full liberty. any kind of discussion and criticism will be welcome.
কয়েকদিন আগের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ১নং গেটে দুই পুলিশ কর্মকর্তার বাকবিতণ্ডা বা তার চেয়েও একটু বেশি ‘হুমকি- ধমকি’ এর কথা তুলে ধরেছিলাম। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যেখানে নিজেই ‘আইন শৃঙ্খলাহীন’, সেখানে জনসেবার প্রশ্ন অবান্তর। তারপরও আমাদের তাদের (পুলিশদের) মেনে নিতে হচ্ছে, সহ্য করতে হচ্ছে। কারণ একটি কুলাংগার সন্তানকেও তো তার বাবা চোখের পলকে অস্বীকার করতে পারেন না। সেখানে আমাদের ঘাড়ে চেপে বসেছে প্রায় দুই লক্ষাধিক বাহিনীর পুলিশ বাহিনী।
কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় হল মুক্ত চিন্তার জায়গা। এখানে যে কোন ধরনের চিন্তা- ভাবনা সৃষ্টি ও প্রকাশ করা যায় অবলীলায়। (তবে জঙ্গিবাদ, স্বাধীনতা বিরোধী, ও ধর্ম ব্যবসায়ী সংশ্লিষ্ট চিন্তা- ভাবনা ও কাজকর্ম ছাড়া।)
এই চিন্তা- ভাবনা সৃষ্টি ও ভাবনা প্রকাশে সাহায্য করে বিশ্ববিদ্যালয় তথা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ৫২’র ভাষা আন্দোলন থেকে দেশের প্রতিটি ক্রান্তিকালে এগিয়ে এসেছে দেশের ছাত্র সমাজ। বিশেষত বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সমাজ। আর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষকরা ছাত্রদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নিয়েছিল সেই সব আন্দোলন।
এত গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস সত্ত্বেও গতকাল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এর আলাওল হলে পুলিশের নির্মম মারধরের শিকার হতে হল যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ও দৈনিক পূর্বদেশের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক আবদুল্লাহ আল ফারুককে।
উপ- পরিদর্শক আব্দুর রাজ্জাক নামের এই অতি উৎসাহী পুলিশ কর্মকর্তা কিছু না জেনে শুনেই কেন এই শিক্ষার্থীকে পেটালেন, তা নিঃসন্দেহে অনুসন্ধান করা প্রয়োজন। হয়তো এই পুলিশ কর্মকর্তা কোন রকমে একজন শিক্ষার্থীকে আটক করে পুলিশের ‘নন্দিত’ আটক বাণিজ্য চর্চা করতে চেয়েছিলেন।
উল্লেখ্য আইন অনুযায়ী পুলিশ কাউকেই প্রহারের অধিকার রাখে না। এমনকি ‘রিমান্ড’ নামক জিজ্ঞাসাবাদের সময় কালেও প্রহারের বা মারধরের অনুমতি রাষ্ট্র পুলিশকে দেয় না। শুধু মাত্র পুলিশ কারো দ্বারা আক্রমণের শিকার হলে তবেই পুলিশ আত্মরক্ষার্থে প্রতি আক্রমণ করতে পারে, তবে তা যেন প্রাণহানিকর না হয়। এমনটাই লেখা আছে ‘পুলিশ আচরণ বিধিতে’।
তবে পুলিশ এসব কাজ করবে সেটাই স্বাভাবিক হয়ে পড়েছে বাংলাদেশে। তাই হয়তো আমরা বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছি না। কিন্তু ভাববার বিষয় হল- রাষ্ট্রায়ত্ত একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমানার ভেতর, হলের সামনে, বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সাধারণ শিক্ষার্থী, একজন কর্মরত সাংবাদিককে পেটানো হল, অথচ প্রশাসনের কোন প্রতিক্রিয়া দেখলাম না। দেখলাম না পুলিশ সদস্যের শাস্তির ব্যবস্থা, বা ক্ষমা চাওয়ার বিবৃতি।
যে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমাদের ন্যায়- নীতি, অন্যায়ের প্রতিবাদ, মানবিকতা শেখার কথা, যাদের কাছ থেকে শেখার কথা, তারাই লেজুড়বৃত্তির অনুসারী, পদের অস্তিত্ব রক্ষায় শঙ্কিত।
সর্বোপরি – চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কাছেই নিরাপত্তাহীন।
এটা ভালো লক্ষণ নয়............
লাল সালাম..............
©somewhere in net ltd.