নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
i am used to use full liberty. any kind of discussion and criticism will be welcome.
গতকাল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে ক্লাশ হচ্ছিল। দিনের শেষ ক্লাশ শুরু হল দুপুর আড়াইটায়। শিক্ষক যথারীতি ‘যোগাযোগ ও গণমাধ্যম গবেষণা’ কোর্সের দুর্বোধ্য ও দাঁত ভাঙ্গা পাঠদানে মনোযোগ দিলেন। বেশ খানিকক্ষণ পড়াশুনার পর প্রসঙ্গক্রমে ‘দেশবরেণ্য রাজাকার’ দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর যুদ্ধাপরাধ মামলার রায় বিষয়টি এলো। শিক্ষক অনেক কথাই বলেছেন। তার মধ্যে হৃদয়স্পর্শী কিছু কথা তার জবানীতেই তুলে ধরছি।
শিক্ষক শুরু করলেন---
“ আমার মা বিশ্ববিদ্যালয় পড়া মহিলা। স্বাধীনতা যুদ্ধে অনেক স্বজন হারিয়েছেন তিনি....... অনেক। আমাদের পরিবার ও আত্মীয়দের মধ্য হতে সব মিলে শ’খানেক মানুষ মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিল। ফিরেছিল ২০ জনেরও কম। এই শহীদ হওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে দুজন ছিল আমার মায়ের (চাচাতো- খালাতো- ফুপাতো) ভাই বোন।
বোনটি ছিল বিধবা। যখন ভাই যুদ্ধে যায় তখন বোনটি ছিল বাড়িতে।
তো যুদ্ধ চলাকালীন কোন এক রাতে ঐ ভাই তার দলের অন্য মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে গ্রামে আসে। গ্রামে আসার পরপরই ভাইয়ের খুবই ইচ্ছা হয় বোনকে একনজর দেখার। সে দলপতিকে জানায় তার ইচ্ছার কথা। কিন্তু নিরাপত্তার কথা ভেবে দলপতি সহ অন্যরা তাকে যেতে নিষেধ করে। কিন্তু ভাইয়ের মন অনড়। সে বলে – একটু দেখেই চলে আসবো............ একটু.......।
ভাই আসে বোনের কাছে। বহুদিন পর সাক্ষাতে তারা আত্মহারা। কিছুক্ষন পরই ভাই চলে যাবার কথা জানায়। কিন্তু মাতৃরূপী বোন আবদার করে বসে- ‘আসলি যখন, দুটো ভাত খেয়েই যা.....’।
ভাই বোনের কথা ফেলতে পারলো না।
এরই মধ্যে এলাকার রাজাকার গিয়ে পাক বাহিনীর ক্যাম্পে খবর দিয়ে আসে। হানাদার বাহিনীর সৈন্যরা বাড়ির চারিদিক ঘিরে ফেলে। ধরে ফেলে ভাই- বোনকে।
ভাইটাকে যথেষ্ট মারধরের পর তাকে বাধা হয় উঠোনের একটি গাছের সাথে। আর ভাইয়ের সামনেই উপর্যুপরি ধর্ষণ করা হয় বিধবা বোনটিকে। একের পর এক ধর্ষণ করেই ক্ষান্ত হয়নি হানাদার বাহিনী আর রাজাকারের দল। তারা বিধবাটির দুটি স্তন কেটে নেয় এবং হয়তো নর পিশাচের মতো তা দিয়ে মজাও করতে থাকে। এবং শেষে ঐ বোনের গোপনাংগে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে মেরে ফেলে। আর মুক্তিযোদ্ধাটির কপালে তো...................!”
এইটুকু বলে যখন স্যার থামলেন, আমি খেয়াল করলাম আমার চোখে পানি। ঘাড় ঘুরিয়ে দেখলাম আরও কয়েকজনের চোখেও পানি এসে গেছে।
স্যার আবার বললেন- “আমার মা এখনও কাঁদে। মাঝে মাঝেই স্বজন হারানোর বেদনায় আমার মা কাঁদেন। আমি দেখি সেই চোখের পানি”।
এমনই হাজারো নৃশংস কাহিনী লুকিয়ে আছে ঐসব ‘ইসলামী’ মুখোশধারী রাজাকার গুলোর ইতিহাস।
আমি নিজেকে ধিক্কার জানাই এমন একটা দেশে জন্ম গ্রহন করার জন্য, যেখানে এমন হিংস্র রাজাকারের যথাযথ বিচার হয় না..............
আমি আপনাকে ধিক্কার জানাই, কারণ আপনি এমন নৃশংসতার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের ভোট দিয়ে জাতীয় সংসদে ‘সাংসদ’ করে পাঠিয়ে ছিলেন.............
আমি আমাদের ধিক্কার জানাই-, কারণ আমরা এমন একটা সরকারকে মাথায় নিয়ে রেখেছি, যারা আমাদের আবেগের জায়গাটা দিয়ে রাজনীতি খেলছে.................
এটা ঠিক হচ্ছে না আমাদের সাথে.................
লাল সালাম..........................
©somewhere in net ltd.