নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

angrycitizen007

always remain alert about injustice in society.

ক্রোধিতনাগরিক

i am used to use full liberty. any kind of discussion and criticism will be welcome.

ক্রোধিতনাগরিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

চবি'র সমস্যা..................

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:১৫

একটা বড় বন্ধের পর ক্যাম্পাস খুলল। ক্লাশ করার জন্য আবার সেই দিনব্যাপী যুদ্ধ। আজ বেশ পর্যবেক্ষণের সাথে কয়েকটি সমস্যা প্রকট মনে হলো। যে গুলোর জন্য অনেক শিক্ষার্থীকেই ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে। অথচ এই সমস্যা গুলোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনই দায়ী। এবং চাইলেই খুব সহজেই সমস্যা গুলোর সমাধান করা সম্ভব।
সমস্যা- ১
সকাল ৯.৪৫ এ নগরীর ষোলশহর থেকে যে শাটল ট্রেনটি ছেড়ে আসে, সেই ট্রেনে আসলে আপনি যেকোন বিভাগেরই ১০.৪০ এর ক্লাশটি করতে পারবেন। আমার মনে হয় এই বিষয়টি মাথায় রেখেই শাটলের সময় সূচী নির্ধারণ করা হয়েছে। অথচ এখন ৯.৪৫ ট্রেন টি ফতেহাবাদ ষ্টেশনে এসে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আসা ডেমু ট্রেন ক্রস করার জন্য অপেক্ষা করে। এবং এই অপেক্ষার প্রহর ২০-২৫ মিনিট স্থায়ী হয়। ফলে ১০.৪০ এর ক্লাশে উপস্থিত থাকার সম্ভাবনা আর থাকে না। আর যদি ডেমু ট্রেনটির জন্য অপেক্ষা করতেই হয়, তাহলে ৯.৪৫ এর শাটল টি আরও ২০ মিনিট পরে ষোলশহর থেকে ছাড়লেই হয়। এতে অন্তত ১২০০- ১৫০০ শিক্ষার্থী রোজকার এই দুর্বিষহ যন্ত্রনা থেকে রক্ষা পায়।
সমস্যা-২
শীতকালে দিনের আলো কম সময়ের জন্য থাকে, এটা আমাদের সকলেরই জানা। এই অল্প সময়ের মধ্যেই আমাদের ‘দিনের’ কাজ গুলো সারতে হয়। আমার এই কথা গুলো উচ্চবিত্ত বা উচ্চ মধ্যবিত্তের সন্তানদের জন্য না। এখনকার স্নাতক বা স্নাতকোত্তর শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের বেশিরভাগকেই নিজের পড়শোনার ও হাত খরচ নিজেকেই জোগাতে হয়। এই খরচ জোগানের চাপটুকু যেমন পরিবারের পক্ষ হতে আসে, তেমনি তাড়া দেয় শিক্ষার্থীদের নিজেদের বিবেকও। এর ফলে এই সময়ের প্রত্যেক শিক্ষার্থী (স্নাতক ও স্নাতকোত্তর) কিছু না কিছু করার মাধ্যমে নিজের পড়াশোনার ও আনুসাঙ্গিক খরচ মেটায়, আবার পরিবারের জন্য কিছু করার চেষ্টায় থাকে।
কিন্তু দুপুর ২.৩০ থেকে ক্লাশ নিলে সেটা যদি ৩.৩০ এ শেষ হয়, তবে শিক্ষার্থীটি ৪.০০ এর ট্রেন এ শহরে ফিরতে পারে। শহরে পৌছাতে পৌছাতে ৫.০০। আর আজকের মতো ৪.৩০ এ ট্রেন ছাড়লে তো কথাই নেই..............!
উভয় সমসযার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনই পারে সামনে এগিয়ে আসতে। তবে আমলাতন্ত্রের জটিলতা ও প্রশাসনিক দীর্ঘসূত্রিতা কাটিয়ে সমস্যা গুলোর সমাধান আদৌ হবে কিনা, সেটা ভাববার বিষয়।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১:২৯

দালাল বলছি বলেছেন: খুব জানতে ইচ্ছে করে এখনো কি ৭.৩০, ৮.২০ এ ট্রেন ছাড়ে আর দেড় ঘন্টার কচ্ছপগতিতে প্রিয় ক্যাম্পাসে পৌছে। হায় আরো কতগুলো প্রজন্ম শেষ হলে আধ ঘন্টায় ক্যাম্পাসে পৌছে যাবে ট্রেন। কবে আসবে সেই দিন। কেউ কি নেই এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেয়ার। ক্যাম্পাস পর্যন্ত ২০ কি.মি. রেলপথ কোন দিনই কি সংস্কার হবেনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.