নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

angrycitizen007

always remain alert about injustice in society.

ক্রোধিতনাগরিক

i am used to use full liberty. any kind of discussion and criticism will be welcome.

ক্রোধিতনাগরিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশী 'গেস্টাপো'............

২০ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ২:৪১

হিটলারের এক গোপন পুলিশ বাহিনী ছিল, নাম ‘গেস্টাপো’। এই পুলিশ দ্বারা বিরোধীদের ও প্রতিবাদকারীদের উপর নির্মম নির্যাতন ও হত্যা করে গুম করানো হতো সেই সময়। হিটলার ভেবেছিল প্রতিবাদকারীদের মেরে ফেললেই প্রতিবাদের কন্ঠ স্তব্ধ হয়ে যাবে। তা যে আসলেই পুরোটাই ভুল তা আমরা হিটলারের পরিণতির দিকে তাকালেই দেখতে পাই।


আমাদের দেশেও ‘গেস্টাপো’ রয়েছে। পারথক্য হলো এই ‘গেস্টাপো’ ইচ্ছাকৃত ভাবে বানানো হয়নি। ‘বাংলাদেশ পুলিশ’ নামে এই গেস্টাপো বাহিনী বিভিন্ন সময় বিভিন্ন শ্রেনী পেশার সাধারণ মানুষের উপর বিনা কারণে/ ঘুষের টাকার জন্য/ যৌন লালসা চরিতার্থের জন্য অত্যাচার করে আসছে। উদাহারন হিসেবে গণধর্ষিত ইয়াসমিন (২০০১), কোপ খাওয়া ঢাবি ছাত্র আব্দুল কাদের, এক বৃদ্ধ ফটো সাংবাদিকের মারখাওয়া, এবং সর্বশেষ সংযোজন হল দৈনিক প্রথম আলো পটুয়াখালী বাউফল প্রতিনিধি এ বি এম মিজানের উপর অত্যাচারের ঘটনা।

তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে সাংবাদিক মিজাণ কে থানার ভেতর নির্মম নির্যাতন ও মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়া হয়।

আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) হতে প্রাপ্ত তথ্য মতে ২০১৫ সালের জানুয়ারী –ফেব্রুয়ারী মাসে পুলিশী নির্যাতনের চিত্রটা এমন-


ক্রসফায়ার (গ্রেপ্তার না করে)----- পুলিশের হাতে মারা যায়--৫ জন, ডিবি পুলিশের হাতে মারা যায়—৫
ক্রসফায়ার (গ্রেপ্তার করে)------- পুলিশের হাতে মারা যায়--১৩ জন, ডিবি পুলিশের হাতে মারা যায়—৫

শারিরীক নির্যাতন (গ্রেপ্তার না করে)----- পুলিশের হাতে আহত--৫ জন,
শারিরীক নির্যাতন (গ্রেপ্তার করে)------- পুলিশের হাতে আহত--২ জন


গুলি করে হত্যা (গ্রেপ্তার না করে)----- পুলিশের হাতে মারা যায়--৩ জন,
গুলি করে হত্যা (গ্রেপ্তার করে)------- পুলিশের হাতে মারা যায়--৫ জন,

(বিঃ দ্রঃ- এই সব তথ্য শুধু মাত্র পত্রিকা হতে সংগৃহীত। বাস্তবিক পক্ষে সংখ্যা অনেক বেশি।)

পুলিশের এমন ‘সাফল্যমণ্ডিত’ কাজের জন্য Amenesty International Annual Report 2014/15 রিপোর্টে বাংলাদেশ চ্যাপ্টারে প্রথমেই উল্লেখ পূর্বক প্রশংসা করেছে। সেখানে বলা হয়েছে-

“Dozens of people were forcibly disappeared. Journalists and human rights defenders continued to be attacked and harassed.”


আর এমন সাফল্যের কারণ তুলে ধরেছে ‘Human Rights Watch 2015’ রিপোর্টে। সেখানে বলা হয়েছে—“Allegations of violations by members of the police and other law enforcement agencies, including the Border Guard Bangladesh, were not independently investigated or prosecuted.”

রাষ্ট্র যখন বিচার করতে পারছে না বা বিচার করতে চাইছে না, তখন আমাদের কি করার আছে, আমরা কিভাবে এই উর্দিধারী সন্ত্রাসীদের মোকাবিলা করতে পারি তা এখনই ভাবতে হবে।

‘বাংলাদেশ পুলিশ’কে জানাই লাল সালাম..................

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.