নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাড়ির পাশে আরশিনগর সেথা পড়শী বসত করে, আমি একদিনও না দেখিলাম তারে।

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য

মানুষ পথিক বেশে ঘুরছে দেশে দেশে একটু ছায়াতলে থমকে দাঁড়ায়, স্মৃতিটুকু রেখে শুধু একদিন তো চলে যায়।

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

শেখ হাসিনা এক ইতিহাসের নাম

১৯ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:০০

একবার চিন্তা করুন, যাঁর বাবা-মা, ভাই, ভাইয়ের স্ত্রী, চাচা, ফুফা, ৭বছরের শিশু ভাই সহ পরিবারের প্রায় সবাইকে খুন করা হয়েছে। খুনীরা সবাই বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়ায় দেশে বিদেশে শহরে বন্দরে। রাষ্ট্র আইন করেছে সেই হত্যাকান্ডের বিচার করা যাবে না, খুনীদের কিছু বলা যাবে না। আর সেই খুনীদের হাতে তখন তাদের নির্বাচনী প্রতীক হিসাবে তুলে দেয়া হয়েছে ভয়ংকর মারণাস্ত্র 'কুড়াল'। সেই খুনীরা সারা দেশে কুড়াল নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। যাকে তাকে ভয় দেখায়, হত্যা করে। আর্মি পুলিশ সবাই সেই খুনীদের পক্ষে। এই পরিস্থিতিতে একজন নারী, যার বয়স মাত্র ৩৪, রিফিউজি হিসাবে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, দেশে দেশে। যাকে দেশে ফিরতে দিতে চায় না শাসকগোষ্ঠি, ভয় দেখায় খুন হওয়ার। তবু সেই নারী স্বদেশের পথে পা বাড়ায়। স্বদেশ তার শ্মশানভূমি। তার চেয়েও আশ্চর্যের বিষয় ছিল শ্মশানের পোড়া হাড়গোড় থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ ছুটে আসে পুলিশের গোয়ান্দা তদারকী ভেদ করে, খুনীদের রক্ত চক্ষু উপেক্ষা করে। জড়ো হয় উন্মুক্ত আকাশের নীচে, আকাশ থেকে বৃষ্টি নামে। গর্জনে বর্জ্রপাতে বর্ষণে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে লক্ষ লক্ষ মানুষ। বৃষ্টির ধারা মাথার চুল বেয়ে চোখের জলের সাথে মিশে বয়ে যায় বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষা হয়ে পদ্মা-মেঘনা-বঙ্গোপসাগরে। সৃষ্টি হতে থাকে ইতিহাসের নতুন অধ্যায়। এর পরের কাহিনী সবাই জানে। আমি সেই সমবেত জনতার মাঝে ছিলাম না, কিন্তু আমি বুঝতে চেষ্টা করছি মানুষের শক্তি। সমবেত সেই জনতা কারো রক্ত চাইতে আসে নি,
তারা এসেছিল তাদের ভালোবাসার কথা জানাতে, সমবেত সেই জনতা তার ক্ষুধার অন্ন চাইতে আসে নি, সমবেত শ্রমিক মজুরী-শূন্য উপবাসের বদলেও সেদিন কিছু চায় নি। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম ভালোবাসা হলো জনতার ভালোবাসা!
সেই ভালোবাসা ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলের। প্রতিটি শষ্যকণা ভালোবাসা;
সেই ভালোবাসা উঠে এসেছিল রেস কোর্সের ৭ই মার্চের জনসভা থেকে,
সেই ভালোবাসা উঠে এসেছিল মুক্তিযুদ্ধের অজানা কোন রণক্ষেত্র থেকে,
সেই ভালোবাসা উঠে এসেছিল ত্রিশলক্ষ শহীদের অতৃপ্ত অন্তর থেকে, সেই ভালোবাসা অগণিত নির্যাতিত মা-বোনের বিদীর্ণ হৃদয়ের ভালোবাসা! সমবেত জনতা তাদের ভালোবাসার কথা জানিয়ে ঘরে ফিরে গেছে ৩৬ বছর আগে। এখন সেই মেয়েটির বয়স ৭০। তারুণ্যের সঙ্কল্প, উত্তরাধিকারের সাহস আর দৃঢ়তা, অভিজ্ঞতা, প্রজ্ঞা আর নেতৃত্বের শক্তি দিয়ে সেই অশ্রুসজল ভালোবাসার কতটা সে ফিরিয়ে দিতে পেরেছে বা পারে নি তা বিচার করবে মহাকাল। কিন্ত এই বাঙলায় গণমানুষের এমন ভালবাসার উন্মাতাল প্রকাশ আর কখনোই দৃশ্যমান হবে না। শেখ হাসিনার সফলতা ব্যর্থতা নিয়ে লিখবে ইতিহাস, আমি নিজে আমজনতার একজন হিসাবে শুধু এতটুকু বলতে পারি, শেখ হাসিনার প্রতি গণমানুষের সেদিনের সেই ভালোবাসায় কোন সংশয়-সন্দেহ ছিল না, এখনো নেই! এটাও একটা ইতিহাস বটে, তবে তা কোথাও লেখা থাকবে না! এটা কোন আওয়ামী লীগারের কথা নয়, গণমানুষের কথা!

মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:১৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: অ‌নেক সাহসী ম‌হিলা। আজ ব্ল‌গে এক‌টি পোস্ট দেখলাম। তি‌নি বাংলার মাহা‌থির হ‌তে পা‌রেন।

১৯ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:৩৭

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: মাহাথির হওয়ার যাবতীয় গুণাবলি তাঁর মধ্যে আছে। নিজেকে শুধরে তিনি নিশ্চয়ই তার প্রমাণ দিতে পারেন। শেখ হাসিনার ভয় নাই, সাথে আছে লাখো ভাই।

২| ১৯ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:১৭

কাইকর বলেছেন: সাহসী লেখা। পড়ে ভালো লাগল। এটা কোন আওয়ামী লীগের কথা নয়, এটা সাধারণ মানুষের কথা।

১৯ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:৩৮

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: অবশ্যই।

৩| ১৯ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:২৮

চাঁদগাজী বলেছেন:

শেখ হাসিনা কোনভাবে রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলো না; জেনারেল জিয়া তাকে ৬ বছর দেশে আসতে দেয়নি। সেই জেনারেলের ছেলে, তারেক জিয়া বাংলাদেশে ডাকাতী করে মারাঠাদের মতো, তাকে মিলিটারী সরকার দেশ থেকে বের করে দিয়েছে; সে বিনাভোটে এমপি হয়েছিল ২০০৭ সালে; তাকে বিএনপি পার্টির সভাপতি বানায়েছে!

১৯ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:৪১

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: ঘটনাক্রমে হয়তো রাজনীতিতে এসেছেন শেখ হাসিনা, গুরুত্বপূর্ণ অনেক কাজও করেছেন। সামনে নিশ্চয়ই নিজেকে আরও মেলে ধরবেন। সে সুযোগ তাঁর আছে। এটা অস্বীকার করার সুযোগ নেই তিনি যদি ক্ষমতায় না আসতে পারতেন, ইতিহাসের গতিপথ উল্টো হতো।

৪| ১৯ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:৩৫

রসায়ন বলেছেন: পড়লাম

১৯ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:৪২

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: আচ্ছা!

৫| ১৯ শে মে, ২০১৮ রাত ১০:০১

চাঁদগাজী বলেছেন:


৩৬ বছরে উনি যা করেননি, সামনে কোন একদিন বিরাট কিছু উনার মাথায় আসবে, এটা রূপকথার সামান।

২০ শে মে, ২০১৮ সকাল ৭:৩১

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: একেবারেই কি কিছু করেন নি? এটা কোন কথা বললেন? যা করেছেন নেহায়েত কম নয়।

৬| ১৯ শে মে, ২০১৮ রাত ১০:৩১

কানিজ রিনা বলেছেন: আমাদের দুর্ভাগ্য আমাদের এই স্বাধীন দেশে
কোনও নেতা নেত্রী মাহাথীর হতে পারে নাই।
মাহাথীর নব্বই বছর বয়সে এসে সমান ভাবে
জন প্রিয়। এদেশে যুদ্ধ অপরাধীর বিচার হয়
নাই। এখনও এদেশে গনতন্ত্র প্রতিষ্টা পায় নাই।
এদেশে ধর্ষন খুন দুর্নীতিবাজদের বিচার হয়না।
এদেশে ধর্ষনের মহামারী দুর্নীতিবাজদের দাপটে
মানুষ অসহায়। আসল মুক্তি যোদ্ধা পিছনে
ফেলে ভুয়া মুক্তযোদ্ধার প্রাদুর্ভাব। সব মিলে
আজ আমরা সাধারন জনগন অসহায়।
জাতীরপিতা বলেছিলেন আমি দেশ স্বাধীন
করে চোরের খনি পেয়েছি সেই চোরের খনিরা
এখনও সোচ্চার। মানি লন্ডারিং থেকে শুরু
করে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যাংক হ্যাকার
অথচ টোকাইরা স্টেশনে ফুটপাতে ঘুমায়।
তিরিশ লাখ প্রানের রক্তে ভাসা এই স্বাধীন
দেশ। সেই রক্তের দাগ আজও মুছেনাই
সবহাড়ানো মা সন্তান হাড়া স্বামী হাড়ানোর
বেদনা আজও কাঁদে থুরথুরে বুড়ি হিসাবটা
মিলেনা অথচ দেশটা স্বাধীন হয়েছিল তাদের
ছেলেরা প্রান দিয়েছিল কই তাদের খুজে
কেউ বেড় করেনি।
প্রধান মন্ত্রীর মত এদেশের কত মা বোন
একাত্তরে পিতা হাড়া ভাই হাড়া হয়েছে।
তারা কোথায় কেউ খবর নেয় নাই।
আমার এক ভাবীর একটা ছেলে একাত্তরে
মুক্তিযুদ্ধে গিয়ে আর ফেরে নাই শেষ বয়সে
মানুষের কাছে হাত পেতে খেয়ে মৃত্যু হয়েছে।
আমার ভাই মুক্তিযুদ্ধ থেকে ফিরে এসে উম্মাদ
পাগল হয়েগিয়েছিল। সে এখনও ঘরের মেঝে
তে বিছানা পেতে ঘুমায় কই কেউত খবর
রাখেনা। এখন বলুন কেন এত কথা বললাম।
দেশে কয়লাখ রাজাকার ছিল একাত্তরে।
এখন নব্য রাজাকারে দেশ ভরেছে তা কি
কেউ খেয়াল রাখে, সে রাজাকার শোসক
দুর্নীতিবাজ দখলদারী রাজাকার।
শোসক পাকিস্তানের থেকে এদেশ স্বাধীন
হয়েছিল সে শোসকেরা দলবেদলে চালে ডালে
মিশে গেছে। ধন্যবাদ।

২০ শে মে, ২০১৮ সকাল ৭:৩৭

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: '৭৫ এর পর দেশ উল্টোরথে চড়া শুরু করেছিলো। সেটা সামলে নতুন করে আগানো কঠিন বৈকি। এতদিনে পরাজিত শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠেছে। সত্যি বলতে কী স্বাধীনতার পরপরই যদি মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিষ্ঠিত করা যেতো, তাহলে হয়তো এসব দেখতে হতো না। যাহোক, শেখ হাসিনা ন্যূনতম হলেও সম্মান দিয়ে যাচ্ছেন মুক্তিযোদ্ধাদের। এমনটাও তো কেউ দেয় নি। তিনি নিশ্চয়ই নিজেকে আবার ঢেলে সাজাবেন।

৭| ১৯ শে মে, ২০১৮ রাত ১০:৪৭

সাইন বোর্ড বলেছেন: গণ মানুষের অনুভূতির কথা জেনে পুলকিত হলাম, অারো জানার অাগ্রহ রইল...

২০ শে মে, ২০১৮ সকাল ৭:৩৭

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: আপনার অনুভূতি কী?

৮| ১৯ শে মে, ২০১৮ রাত ১১:০৬

সনেট কবি বলেছেন: তিনি দেশ ও জাতির জন্য কিছু করতে পারুন, এটা সবার কাম্য।

২০ শে মে, ২০১৮ সকাল ৭:৩৮

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: শুভকামনা।

৯| ১৯ শে মে, ২০১৮ রাত ১১:২৪

কলাবাগান১ বলেছেন: একটা ছোট বিষয়
কানিজ রিনার লিখা সব সময় কবিতার মত হাফ লাইনে লাইনে লিখা হয় কেন??

২০ শে মে, ২০১৮ সকাল ৭:৩৮

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: নিচে উত্তর দিয়েছেন।

১০| ২০ শে মে, ২০১৮ রাত ১২:৫২

এমজেডএফ বলেছেন: সেই সমাবেত জনতার মাঝে আমি ছিলাম। তখন আমি কলেজের ছাত্র। আমি কোন রাজনৈতিক দলের সাথে কখনো সম্পৃত্ত ছিলাম না। তারপরও যাঁর বাবা-মা, ভাই, ভাইয়ের স্ত্রী, চাচা, ফুফা, ৭বছরের শিশু ভাই সহ পরিবারের প্রায় সবাইকে খুন করা হয়েছে তাঁর দেশে ফেরাকে স্বাগতম জানাতে গিয়েছিলাম, ৭৫ থেকে ৮১ ছয় বছর বজ্রকন্ঠে আমার প্রিয় শ্লোগান "জয় বাংলা" বলতে পারিনি, খুনীদের রক্ত চক্ষু উপেক্ষা করে উন্মুক্ত আকাশের নীচে চিৎকার করে অকুতোভয়ে "জয় বাংলা" বলতে গিয়েছিলাম। গর্জনে বর্জ্রপাতে বর্ষণে ঠায় দাঁড়িয়েছিলাম বঙ্গবন্ধু কন্যাকে এক নজর দেখতে। বজ্রপাতসহ অজোর বৃষ্টির ধারায় ভিজে ভিজে হেঁটে সেদিন কুর্মিটোলা থেকে ফকিরাপুল এসেছিলাম।

২০ শে মে, ২০১৮ সকাল ৭:৪০

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: আমি সরাসরি ছিলাম না, তবে আপনাদের অনুভূতি অনুধাবন করতে পারি। আপনাদের আমাদের সকলের ভালোবাসাই তো তাঁর সম্পদ।

১১| ২০ শে মে, ২০১৮ রাত ২:২৭

জগতারন বলেছেন:
এমজেডএফ-এর অভিমতই যেন আমার অভিমত।

আমিও তখন সবে ইন্টার পাশ করে ঢাকায় এসেছিলাম বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হবো, থাকতাম মামাদের বাসায়। আমিও গিয়াছিলাম ফারম গেট হয়ে তেজগাঁও-এর দিকে। সে দিনের কাল বৈশাখীর কি ঝড় আর বৃষ্টী। মনে হয় প্রকৃতি আগাইয়া এসেছিল খুনিদের বিচার চাইতে।

২০ শে মে, ২০১৮ সকাল ৭:৪২

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: তাঁর আগমনটাও নিশ্চয়ই প্রকৃতির চাওয়া ছিল। তা না হলে কেউ কি ভাবতে পেরেছিলো কখনো যোদ্ধাপরাধীদের, পিতৃহত্যার বিচার হবে?

১২| ২০ শে মে, ২০১৮ রাত ২:৫৬

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: শেখ মুজিবের কন্যা। আজ হোক কাল হোক রাজনীতিতে আসতই। এটা উপমহাদেশের সংস্কৃতি...

২০ শে মে, ২০১৮ সকাল ৭:৪৪

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: '৭৫ এর প্রেক্ষাপটে বলা যায়। তা না হলে..
বঙ্গবন্ধু কখনো শেখ হাসিনাকে রাজনীতিতে আনার চিন্তা করেন নি।

১৩| ২০ শে মে, ২০১৮ ভোর ৬:০০

আমিনভাই বলেছেন: ki jani!! amto ai mohilar valo kicho dekhi na. naki amar chitar vol ache???

২০ শে মে, ২০১৮ সকাল ৭:৪৬

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: ভুলত্রুটি নিয়েই তো মানুষ! একবার চিন্তা করুন তাঁর জায়গায় আপনি হলে কী করতেন? দেশটাকে কসাইখানা বানাতেন কি না।

১৪| ২০ শে মে, ২০১৮ সকাল ৭:০৫

কানিজ রিনা বলেছেন: কলাবাগান, টেলিফোন থেকে মন্তব্য করতে
মাঝে মাঝে এমন হয়ে যায়। আশা করি
সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। ধন্যবাদ।

২০ শে মে, ২০১৮ সকাল ৭:৪৬

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: ঠিক আছে।

১৫| ২০ শে মে, ২০১৮ সকাল ৭:৫৫

আমিনভাই বলেছেন: lekhok saheb ami zodi tar jaygay hotam. akta jiboner mollo are nirapotta ditam. mithabadider dore rakhtam. manosher khaddho shastho nischit kortam. jatike hingsa mokto korar chesta kortam seta jiboner binimoy holeo. asa kori uttar peychen.

২০ শে মে, ২০১৮ সকাল ৮:০৭

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: যারা বলেন, দেশটাকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে-বিপক্ষে বিভক্ত করবেন না, তারা তখন কি কোন কথা বলেছিলেন,
-যখন মুক্তিযোদ্ধা অফিসারদের মুড়ি মুড়কির মতো ফাঁসি দেয়া হতো?
-যখন মুক্তিযোদ্ধা অফিসারদের নামে ভূয়া কেইস সাজিয়ে চাকরীচ্যুত করা হয়েছিল?
-যখন দেশের সমস্ত কর্মকান্ড হতে মুক্তিযোদ্ধাদের বহিস্কার করা হয়েছিল?
-যখন রেডিও টিভিতে বংগবন্ধুর নাম নেয়া নিষিদ্ধ ছিল?
-যখন স্বাধীন বাংলা বেতারের গানগুলো নিষিদ্ধ ছিল?
-যখন ১৫ আগষ্টে কেক কাটার উৎসব হয়?
-যখন মুজিব কোটকে (সংসদে সাইফুরের মতো শিক্ষিত লোক) পেঙ্গুইনের পোষাক বলেছিল?
-যখন সৈয়দ নজরুল ইসলামকে বলা হয়েছিল কোথাকার কোন সৈয়দ নজরুল?
-যখন সৈয়দ নজরুল ইসলামের ছেলে বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব) সৈয়দ সাফায়েত ইসলামকে চাকরীচ্যুত করা হয়?
-যখন পাকিস্তানের নাম বলা যেতো না, বলতে হতো হানাদার?
-যখন মুক্তিযোদ্ধারা নাম পরিচয় প্রকাশ করতো না ভয়ে?
-যখন যুদ্ধাপোরাধীদের বিচার হয় তখন যখন হরতাল ডাকতো?
-যখন যুদ্ধাপোরাধীদের শহীদ বলা হয়?
-যখন জানজুয়ার মৃত্যুতে শোক বাণী পাঠান প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া?
-যখন জানজুয়ার কবর জিয়ারত করার জন্য পাকিস্তান গমন করে আমাদের প্রধানমন্ত্রী?
-যখন পাকিস্তানী পার্লামেন্টে বাংলাদেশের নিন্দা প্রস্তাব আনা হয়?
-যখন বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের প্রতিটি রায়ের দিনে হরতাল ডাকতো?
-যখন রাজপুত্রে উপস্তিতিতে ঘোষণা দেয়া হয় হাসিনা মুক্ত বাংলাদেশ চাই তখন?
-১৫ আগস্টের শোক দিবসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ের হলগুলোতে ব্লুফিল্মের উৎসব হতো?
-যখন তারেক জিয়া বঙ্গবন্ধুকে পাকবন্ধু বলে তখন?
-যখন বঙ্গবন্ধুকে ইতিহাস বই থেকে মুছে ফেলা হয়?
-যখন মুক্তিযোদ্ধাদের ফ্লাইং কিক মারা হয়?
-যখন আমাদের পাট শিল্প পাকিস্তানের ষড়যন্ত্রে ধ্বংশ করার জন্য আদমজী বন্ধ করে পাটকে বাংলাদেশ থেকে বিদায় করে দেয়া হয়?
- যখন চীর স্থায়ী খাদ্য ঘাটতি সৃষ্টির জন্য সারের সঙ্কট তৈরী করে ১৮জন কৃষক হত্যা করা হয়?
-যখন মি: বারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তনে কথা বলেন?
-যখন একুশে টিভি বন্ধ করে দেয়ার জন্য সরকার আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থন না করে?
-সাইমন ড্রিংকে এক কাপড়ে দেশ ছাড়তে হয় তখন?

এরকম হাজার হাজার উদাহরণ দেয়া যাবে, জাতিকে বিভক্ত আসলেই করেছে কারা? লন্ডন দিয়েই শেষ করি, বর্তমানের রাজনীতিতে শেখ হাসিনার সাথে খালেদা জিয়ার বিরোধ, কিন্তু লন্ডনের বিএনপি কর্মীরা হাসিনার ছবিকে অপমান না করে বঙ্গবন্ধুর ছবিকে জুটোপেটা করলো কেন? তার জবাব চাও না কেন? তুমি আমার পিতাকে জুতা পেটা করবে আর আমি তোমাকে বুকের মধ্যে জায়গা দেবো, এমন পুত্রের কি প্রয়োজন হে সুশীল? শেকড়ের দিকে তাকাও বাঙ্গাল। তুমি ঠকেছো চিরকাল। যুদ্ধ তোমার আজও অসমাপ্ত!

১৬| ২০ শে মে, ২০১৮ সকাল ৯:০৬

আমিনভাই বলেছেন: এই গুলিতো বি এন পি কে বলছেন। আমাকে কিছু বলেন। আমিতো সাধারন পাবলিক।

২১ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৯

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: ভালোকে ভালো আর মন্দকে মন্দ বলার সৎসাহস থাকা জরুরি।

১৭| ২০ শে মে, ২০১৮ সকাল ৯:০৯

কলাবাগান১ বলেছেন: শেকড়ের দিকে তাকাও বাঙ্গাল। তুমি ঠকেছো চিরকাল। যুদ্ধ তোমার আজও অসমাপ্ত!
চরম কথা

২১ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৬

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হবে।

১৮| ২০ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:১০

রাজীব নুর বলেছেন: সহমত।

২১ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১০

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৯| ২০ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:২২

রাফা বলেছেন: শেখা হাসিনা/ শেখ মুজিবের কণ্যা।এর প্রমাণ উনি রেখেছেন তার প্রতিটি পরিকল্পনা ও কাজে।শেখ মুজিব'কেও যা মোকাবেলা করতে হয় নাই -শেখ হাসিনাকে তার চাইতে বেশি অপশক্তি'কে মোকাবেলা করতে হয়েছে।

সাধারণ মানুষ যা ধারনাও করতে পারবেনা ,তা করার মত সক্ষমতা শেখ হাসিনার আছে।শেখ হাসিনার মূল্যায়ন করার ক্ষমতা খুব কম মানুষেরই আছে।আজ থেকে ৫০ বছর পরের মানুষ হয়তো কিছুটা বুঝতে পারবে এই জাতির জন্য শেখ মুজিবের কণ্যার অবদান।

২১ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৩

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: জীবন্ত প্রতিভার মূল্যায়ন বরাবরই কম। বাঙালির স্বভাবই এমন মৃত প্রতিভার কবরে বাতি জ্বালায়, আর জীবিত প্রতিভাকে লাশে পরিণত করে! আগেভাগে বুঝতে পারলে তো ভালোই হতো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.