নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমৃদ্ধ আগামীর প্রত্যেয়

আনিসুর রহমান এরশাদ

আমি আমার দেশকে অত্যন্ত ভালবাসি ।

আনিসুর রহমান এরশাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি পত্রিকা, একটি আড্ডা ও এক কাপ চা

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৫৪

একটি পত্রিকা:

একটি ইংরেজী দৈনিক পত্রিকার পাতা উল্টাতেই লক্ষ্য করলাম ব্যবহারিত ছবির নীচে ভিন্ন Source/Collected লেখা।কৌতুহলী হলাম। দেখলাম মোট ৬৫টি ছবি ব্যবহারিত হয়েছে তন্মধ্যে মাত্র ১০টি নিজস্ব ফটোগ্রাফারের তোলা আর ৫৫টিই সংগ্রহ করা হয়েছে বিভিন্ন উৎস থেকে। ভাবলাম-



১. কোন পত্রিকা অন্য কোন গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবি সেই গণমাধ্যমের অনুমতি ছাড়া ছাপানোর নৈতিক অধিকার পেয়ে গেলে প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার তৈরি হবে না।ফটোগ্রাফির মত সৃজনশীল কাজে পেশাদার সাংবাদিকদের ভূমিকা গৌণ হয়ে পড়বে। যে কোন প্রকাশনাতেই ছবি যেহেতু একটি গুরুত্বপূর্ণ পার্ট সেহেতু ফটোগ্রাফারের অনুমতি ছাড়া কোন প্রকাশনা তা ইচ্ছেমতো ছাপালে ফটোগ্রাফার গুরুত্বহীন হয়ে পড়ে এবং মিডিয়া হাউজগুলোতে ফটোগ্রাফারের প্রয়োজনীয়তা কমে যায়।



২.পত্রিকাটিতে নিবন্ধ, সংবাদ ও অন্যান্য কিছু মিলিয়ে মোট ১৮৩টি লেখা ছাপিয়েছে। তন্মধ্যে ১১৪টিই বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা বা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট থেকে সরাসরি সংগৃহীত এবং হুবহু প্রকাশিত।বাকি ৬৯টির মধ্যে লেখকের নামসহ ছেপেছে ১৪টি, রিপোর্টারদের ৭টি, করসপন্ডেন্টদের ৩২টি, ডেস্ক থেকে ১৪টি, লেখকের নাম ও পরিচয় ছাড়া ২টি।এই যদি অবস্থা হয় তাহলে এসব পত্রিকার কোয়ালিটি নিয়ে প্রশ্ন উঠা স্বাভাবিক।শুধু কাট কপি পেস্ট করা সাংবাদিক দিয়ে এ জাতির উপকারতো দূরের কথা ঐ হাউজেরও কোন উন্নতি হবে না।



৩. কিছু কিছু পাতা আছে যেগুলোতে একটিও পত্রিকার সাথে সংশ্লিষ্ট কারো নিজস্ব লেখা নেই। সবই কোন মিডিয়ায় পূর্বপ্রকাশিত; যা সংগ্রহ করেছে। কোন পাতায় কোনটা প্রাসঙ্গিক হবে এতটুকু বুঝার জন্যে এইচএসসি পাশের উপরে লাগে না।অথচ আমার জানামতে ঐ মিডিয়া হাউজটিতে কর্মরতরা অধিকাংশই গ্রাজুয়েট। এটা কি হাউজের দোষ নাকি হাউজে যারা আছে তাদের সীমাবদ্ধতা? আমার খুব কষ্ট হলো ২০ পাতার এই পত্রিকাটির অবস্থা দেখে যে শুধু কাগজ, ছাপানোর মেশিন,কালি আর কিছু লেখা ও ছবি সমেত প্লেটিং বা আউটপুট হলেই কি যথেষ্ট? তাহলে তো এসব পত্রিকার সম্পাদককে সম্পাদকের সম্মান দিতে গিয়ে অনেকেই ভুল করবেন। হাউজের বড় সাংবাদিকদের যোগ্যতা দেখে সাংবাদিকতা পেশার প্রতিই খারাপ ধারণার জন্ম নেবে।



একটি আড্ডা

১. যখন অনেক স্কলারের সাথে সম্পর্ক তৈরির কোন প্লাটফরম তৈরির কথা কেউ বলেন দৃষ্টি তার দিকে পড়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু যখন এদেরকে তালিকা করে, যোগাযাগ করে, সম্পর্ক তৈরির মাধ্যমে একটি নেটওয়ার্কে নিয়ে আসা এবং পরবর্তীতে সক্রিয় রাখার জন্যে নির্দিষ্ট কাজ-দায়দায়িত্ব বা প্রজেক্ট-প্রোগ্রামের কথা বলা হয় তখন উপস্থিত অনেকের চোখমুখেই উদ্বেগ উৎকন্ঠা লক্ষ্য করা যায়।



২. আমরা যখন আমাদের জ্ঞানটা অন্যের মাঝে ছড়ায়ে দেয়ার কথা বলি তখন বোধহয় আমরা ভুলে যাই আমাদের জ্ঞান বা চিন্তাধারা আরেকজনের সাথে শেয়ার করাটাকে ফলপ্রসু করার স্বার্থে তার চিন্তাধারাকে জেনে নিতে হবে।ডাক্তার আগে রোগীর সমস্যা বুঝেন তারপর ঔষধ দেন আর হকাররা কিন্তু তা করেন না। এখন যে অন্যকে না বুঝেই তাকে নিজেকে বুঝানোর চেষ্টা করেন তাকে ঐ হকারের মতো সচেতন বলে বোধ হয়।



৩. যখন আপনার চিন্তাটা সমাজের প্রচলিত পদ্ধতি বা নিয়মের সাথে সাংঘর্ষিক হবে তখন দুটি উপায় আছে। হয় আপনার এমন ক্ষমতা অর্জন করতে হবে যেন সমাজের প্রতিষ্ঠিত সকল শক্তির সম্মিলিত বাধাঁও অতিক্রম করা যায়। অথবা সমাজের সাথে মিলে মিশে থেকেই আস্তে আস্তে বিদ্যমান ধ্যান ধারণার পরিবর্তন সাধন করে নতুন মত পথকে গ্রহণ করা,ভালবাসা বা চর্চায় আনার মানসিকতা সম্পন্ন অধিকাংশ মানুষ তৈরি হয়।



৪. অতি উচুঁদরের সমালোচক না হয়ে উঁচুমানের উত্তম বিকল্পদানকারী হতে হবে।



(চলবে)

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৪২

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
কপি পেস্ট ই-তো চলছে।
আপনিও চালিয়ে যান ;)
কথায় যুক্তি আছে।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৯

আনিসুর রহমান এরশাদ বলেছেন: আমাকেও কপি পেস্ট চালিয়ে যেতে বলছেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.