নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমৃদ্ধ আগামীর প্রত্যেয়

আনিসুর রহমান এরশাদ

আমি আমার দেশকে অত্যন্ত ভালবাসি ।

আনিসুর রহমান এরশাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণে শিক্ষার্থীদের ভূমিকা

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:৫৫

প্রযুক্তি আমাদের জন্য এক আর্শীবাদ। তথ্য প্রযুক্তির ক্রমবর্ধমান উন্নতির সোপানে পৃথিবীর অনেক দেশ তাদের দেশকে ডিজিটাল দেশ হিসেবে রুপায়িত করেছে। কম্পিউটার আমাদের কর্মময় জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রকে করে তুলেছে সহজ, সরল, প্রাণবন্ত ও গতিময়। ১৯৪৮ সালে ঘোষিত ইউনিভার্সাল ডিক্লারেশন অব হিউম্যান রাইটস্ এ বলা হয়েছে, Everyoe has the right to see, receive and import information and ideas through any media বিশ্বের উন্নত ও দ্রুত উন্নয়নশীল দেশগুলোর সাফল্যের মূলে রয়েছে আর্থ সামাজিক সংশ্লিষ্ট সব সেক্টরে বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে শিক্ষিত ও দক্ষ জনবল সৃষ্টি। আর এই দক্ষ জনবল সৃষ্টিতে ছাত্র-ছাত্রীদের ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ। প্রযুক্তিগত জ্ঞান সমৃদ্ধ দক্ষ জনশক্তিরাই হয়ে উঠতে পারে দেশের উন্নয়নের মূখ্য চালিকা শক্তি যা এই দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে রুপায়িত করবে।



ইংরেজী Digit থেকে Digital শব্দটির উৎপত্তি হয়েছে। Digital শব্দের অর্থ সংখ্যাতাত্ত্বিক ধারণা হলেও এর রয়েছে এক বিশাল বিস্তৃতি। সেই বিস্তৃত অংশেই রয়েছে ডিজিটাল বাংলাদেশের আন্ত:সম্পর্ক। ডিজিটাল বাংলাদেশ হলো একটি দৃষ্টিভঙ্গি। দৃষ্টিভঙ্গি এই অর্থে যে, ডিজিটাল কর্মকান্ডের যে সামাজিক প্রভাব তাকে শুধু গাণিতিক তথ্যচিত্র দিয়ে পরিমাপ করা যায় না এবং দেখা দরকার এর গুণগত পরিবর্তন ও সম্ভাবনার দিক। প্রকৃতপক্ষে ডিজিটাল বাংলাদেশ হচ্ছে যেই সুখী, সমৃদ্ধ, শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর বৈষম্য। দুর্নীতি, দারিদ্র্য ও ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ এবং যার মুখ্য চালিকা শক্তি হচ্ছে ডিজিটাল প্রযুক্তি ও আমাদের ছাত্র সমাজ।



১২ ডিসেম্বর ২০০৮ বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ তার নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করে। জননেত্রী শেখ হাসিনা যেদিন তার নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন যে, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছরে ২০২১ সালে বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত হবে।মূলত একটি উন্নত দেশ, একটি ডিজিটাল সমাজ, ডিজিটাল যুগের জনগোষ্ঠী, রুপান্তরিত উৎপাদন ব্যবস্থা, নতুন জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি সব মিলিয়ে একটি জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনের স্বপ্ন দেখিয়েছেন তিনি।



ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ায় ছাত্র ছাত্রীরা বিভিন্নভাবে ভূমিকা রাখতে পারে।যেমন-

১. আর্থসামাজিক উন্নয়ন:

কৃষকেরা অনেক সময় সঠিক তথ্য পায় না। এরা জানে না, তাদের কী ধরনের ফসল লাগালে, কখন লাগালে, কী পরিমাণ সার বা সেচ দিলে ফলন বৃদ্ধি পাবে। কৃষি, মৎস্য চাষ ও পশুপালন বাংলাদেশের জনগণের সংখ্যাগরিষ্ঠ আয়ের প্রধান উৎস। তাই এসব ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে ক্ষেত্র সমূহের অব্যবহৃত সম্ভাবনা গুলোকে কাজে লাগাতে ছাত্র ছাত্রীরা মূখ্য ভূমিকা পালন করতে পারে।



২.স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে:

টেলিমেডিসিন, টেলিহেলথ্ বা এক্সপার্ট মেডিকেল সিস্টেমের সাহায্যে অভিজ্ঞ ডাক্তারদের পরামর্শ ও সেবা কম খরচে, কম সময়ে ছাত্র ছাত্রীরা গ্রাম পর্যায়ে পৌছে দিতে পারে।



৩.পরিবেশ সুরক্ষা:

‘ডিজিটাল আইসিটি ফেয়ার ১১’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বন ও পরিবেশ মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, পরিবেশ বিপর্যয় রোধে আইসিটি ব্যাপক ভূমিকা পালন করতে পারে।তথ্য প্রযুক্তির বিভিন্ন মাধ্যমকে পরিকল্পিতভাবে ব্যবহার করে গ্রামীণ জনসাধারণকে সচেতন করার ক্ষেত্রে ছাত্রছাত্রীরা অবদান রাখতে পারে।



৪. দারিদ্র্য বিমোচন:

তথ্য প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে গ্রামের মানুষের দারিদ্র্য বিমোচন করার সম্ভাবনা বিশ্বব্যাপি স্বীকৃত। গ্রাম বাংলার দারিদ্র্য বিমোচনে তথ্য প্রযুক্তি ভূমিকা রাখতে পারবে যখন ছাত্র ছাত্রীরা এ বিষয়ে জনসাধারণকে সচেতন ও আগ্রহী করে তুলবে।



৫. প্রতিবন্ধীদের জন্যে বিশেষ উদ্যোগ:

শিক্ষার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধীরা বৈষম্যের শিকার। তাই তথ্য প্রযুক্তির সুবিধা তাদের এই বৈষম্য দূরীকরণে সাহায্য করতে পারে। এক্ষেত্রে উৎসাহ দানে ভুমিকা রাথতে পারে ছাত্রছাত্রীগণ।



৬. ডিজিটাল স্কুলিং সিস্টেম:

অনলাইনে ভর্তি রেজিস্ট্রেশন, পরীক্ষার ফি পাঠানো ইত্যাদি কার্যক্রম শুরু হলেছাত্রীদেও মধ্যে যে ডিজিটালাইনের জোয়ার বয়ে যাবে তার দ্বারা অনেক অডিজিটাল অভিভাবক ডিজিটাল ব্যবস্থার সাথে একাত্ব হবে।



এসব ভূমিকা রাখতে হলে করণীয় হচ্ছে,

১.জনমত গড়ে তোলা।

২.নিজেরা আইসিটি ভালভাবে আয়ত্ব করা।

৩.পরিবারের সদস্যবৃন্দ ও বন্ধু বান্ধবের মাঝে আইসিটি শিক্ষা ছড়িয়ে দেয়া।

৪.গ্রাম পর্যায়ে সাইবার ক্যাফে গড়ে তোলা।

৫.জীবন যাত্রার মানোন্নয়ন।



ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে গৃহীত পদক্ষেপ:

পাঠ্যক্রমে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যবহার :

ইতোমধ্যে সবকার শিক্ষাক্রমে পরিবর্তন এনেছে। নিম্ন মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরাও এখন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি তথা কম্পিউটারের ধারণা লাভ করেছে।



স্বল্পমূল্যে ল্যাপটপ তৈরি:

সংখ্যাঘরিষ্ট নিম্ন আয়ের মানুষের কথা বিবেচনা করে সরকার টেলিফোন শিল্প সংস্থাকে দিয়ে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা মূল্যেমানের ল্যাপটপ তৈরি ও বাজারজাত করতে সক্ষম হয়েছে।এই ল্যাপটপ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নিকট পৌছানো হয়েছে।



স্বল্প মূল্যে প্রয়োজনীয় সামগ্রী:

কম্পিউটার, মোবাইল ফোন, মোডেম এসব প্রযুক্তি পণ্য এখন সাধারণের নাগালের ভেতরে চলে এসেছে। ফলে মোবাইলেও কিছু মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারছে।



যোগাযোগ ব্যবস্থায় ডিজিটালাইজেশন:

ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে মোবাইলের মাধ্যমে টিকেট কেনার ব্যবস্থা চালু করেছে।



ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রগতি:

এরই মধ্যে দেশে ১ হাজার ৬০০ টি মাল্টিমিডিয়া শ্রেণীকক্ষ স্থাপন করা হয়েছে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ভ্রাম্যমান তথ্যসেবা পৌছে দিতে সাড়ে চারহাজার তথ্যসেবা কেন্দ্র কাজ করছে। এই কেন্দ্রগুলো থেকে ৪০ লাখ মানুষ স্বাস্থ্যসেবা নিচ্ছেন।





ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জওহর নাল নেহেরুর মতে, The future belongings to science and those who make friendship with science’ সরকারের পৃষ্টপোষকতার পাশাপাশি ছাত্রসমাজ ও শিক্ষিত সমাজ যদি এগিয়ে আসে তাহলে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নকে অবশ্যই কাংখিত রুপ দিতে পারব।











মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:০৭

আমিনুর রহমান বলেছেন:



চমৎকার সব প্রস্তাবনা !

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৩

আনিসুর রহমান এরশাদ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.