নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমৃদ্ধ আগামীর প্রত্যেয়

আনিসুর রহমান এরশাদ

আমি আমার দেশকে অত্যন্ত ভালবাসি ।

আনিসুর রহমান এরশাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুনাফিক কি মুসলমান !

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০২

মুনাফিকের রুপ দুই, সুযোগ সুবিধা মতো রুপ পাল্টায় তাকে বুঝাটা বেশ দুর্বোধ্য। একজন ঘসেটি বেগম কিংবা মীর জাফর ছাড়া কেউ বড় ধরনের ক্ষতি সহজে করে উঠতে পারেনা। ফলে মুনাফেকের সমাজে আস্থা ও বিশ্বাস দুরাশা। আন্তরিকতা, ক্ষমাশীলতা ও সরলতা মুনাফিকের জন্যে আনন্দের আর শয়তানের জন্যে তৃপ্তির। আপনি কে হিন্দু, কে মুসলিম, কে খ্রিস্টান তা আলাদা করতে পারবেন নাম-পোষাক-জীবন যাপন দেখে তবে কে মুনাফিক তা আলাদা অত সহজে করতে পারবেন না। আবদুল্লাহ ইবনে উবাইকে সব সময় চেনা না গেলেও সময়ের সাথে সাথে তাদের স্বরুপ উন্মোচিত হয় এটা সত্যি তবে এটা সবাই ভালভাবে বুঝতে পারেনা।



মুনাফিক কিভাবে চেনা যায়? যখন দেখবেন- কেউ যা লিখছেন কিংবা বলছেন কাজে তা করছেন না। কিংবা যা ভাবছেন তা বিশ্বাস করছেন না অর্থাৎ একধরনের দ্বৈততা বিরাজ করছে। সুযোগ বুঝে এরা প্রতিশ্রুতি দেন আবার সেই প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করেন না। সে নারী নাকি পুরুষ, শিক্ষিত নাকি অশিক্ষিত, গ্রামে থাকে নাকি শহরে থাকে, কিশোর নাকি বৃদ্ধ, রাজনীতিবিদ নাকি ব্যবসায়ী সেটি বড় কথা নয় বড় কথা হচ্ছে যে যত বেশি মিথ্যা বলতে পারেন তিনি তত বড়মাপের মুনাফিক । মুনাফিক ঘৃণিতও হতে পারে আবার অভিনন্দিত হতে পারে তবে মুনাফিক প্রকৃত মানুষ হতে পারে না। যে অন্যকে ঠকায়ে আনন্দ পায়, অন্যকে প্রতারিত করতে পেরে তৃপ্তির ঢেকুর গিলে সে আর যাই হোক সত্যিকারের মানুষ নন। কারণ যিনি আসলেই রুপে ও গুণে মানুষ তিনি কখনোই মানুষের সাথে ছলনা করতে পারেন না, মানুষের কষ্ট দেখে আনন্দ করতে পারেন না।



যে মানুষের সাথে কথা দিয়ে কথা রাখেনা সে ব্যক্তিত্বহীন। যার নিজের কথার মূল্য নিজের কাছেই নেই সে পৃথিবীর এক মূল্যহীন জীব। কেউ যদি মিথ্যা বলাকে কৌশল ভাবেন, অন্যের আমানতের খেয়ানত করাকে বৈধ ভাবেন তিনি পশুর স্তরটা ছাড়িয়ে যান। কারণ পশু প্রাকৃতিক আইন মানে কিন্তু মুনাফিক ধর্মের কিংবা রাষ্ট্রের কোন আইন মানেনা। অন্যকে ধোঁকা দিতে পারলে নিজেকে যোগ্য ভাবেন, অন্যের ক্ষতি করেও নিজের লাভটা নিশ্চিত করতে পারলে তিনি নিজেকে সফল ভাবেন। মুনাফিকের এই ভাবনা তাকে অহংকারী করে তোলে, নিজের ভেতরের কদর্য রুপটাকে গোপন করার প্রয়াসে তিনি বাহাদুরী দেখান। মুনাফিক বড় হতে চেয়েও ছোট হয় আর নিজের ব্যক্তিত্ব ও মূল্যবোধ বিসর্জন দিয়েও হাসিখুশিতে মেতে থাকে।



মুনাফিক সংকীর্ণতার উর্ধ্বে ওঠতে পারেনা বলেই উদারতাকে সহ্যও করতে চায়না। নিজের নীচুতাকে ডেকে রাখার সুতীব্র ইচ্ছাটা প্রকাশ পায় গর্ব ও অহংকারী আচরণের মাধ্যমে। নিজের দুর্বলতা ও অপ্রকাশিত রুচিহীন কর্ম তাকে মানসিকভাবে দুর্বল করে তোলে। এই দুর্বলতা ঢাকতে সে প্রশংসিত হতে চায়, অন্যের কাছে অতিব গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হতে চায়। কখনো অতি মাত্রায় কদর যত্ন কিংবা মনোযোগ না পেলেই ভাবে সে হেরে গেছে ফলে সে বিজয়ী হতে হিংসাত্মক ও আক্রমনাত্মক হয়ে ওঠে। সে মানবতাবোধ ও মনুষত্ববোধকে বিসর্জন দিয়ে পাশবিকতার চর্চায় লিপ্ত হয়। এতে মুনাফিক কখনো বা সমাজের চোখে বিজয়ী হলেও তার বিবেকের কাছে চরমভাবে পরাজিত হয়। ফলে মুনাফিকের ঔদ্ধত্য শির আমারা যতটা দেখি তার নাস্তানাবুদ অবস্থা আমরা ততোটা দেখিনা। আসলে আমাদের দৃষ্টিসীমায় বাইরের জগতের অস্তিত্ব থাকলেও ভেতরের জগৎটা অগোচরেই থেকে যায়। তবে প্রত্যেকেই তার একটি নিজস্ব জগতের সন্ধান পায় যেই জগৎ তাকে যেভাবে মূল্যায়ন করে সেটাই যে যথাযথ মূল্যায়ন তা অধিকাংশ মুনাফিকই সঠিকভাবে বুঝতে চায়না।



(চলবে)





মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.